নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর সমস্ত মানুষ যুদ্ধে নেমেছে, আর এই যুদ্ধে তাদের বড় অস্ত্র হলো নিজের বিবেগ।\nহাফিজুল\n

মো: হাফিজুল ইসলাম হাফি

মো: হাফিজুল ইসলাম হাফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: এলোমেলো ২ লেখক: মো: হাফিজুল ইসলাম (বিদায়ের পথযাত্রী) তানোর কলেজ, রাজশাহী

২০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

.
শাজাহান ২২ হাজার না কত হাজার যেন শ্রমিক দিয়ে তৈরি করেছিলেন তাজমহল। আর আমাদের গ্রামে এক শাজাহান আছে যিনি নিজের হাতে বানিয়ে মাটি দিয়ে একটি ঘর করেছে তার মমতাজের জন্য এখানে লেগে আছে তার শরীরের অজস্র ঘাম। তবু তার স্ত্রী বলে, কি করেছো জীবনে আমার জন্য? অমুকের স্বামী তার বউ এর জন্য এই করে সেই করে আরো কত কি। স্বামী একটু আমতা আমতা করে বল্ল তো আমি কি ভালো না? স্ত্রী এবার রেগে গিয়ে বল্ল কত ভালো সেটা তো দেখাই আছে সব পুরুষরাই এক। স্বামী মনে মনে হাঁসে এই জন্য যে, মেয়েরা কতটা স্বার্থপর হয় নিজেরা স্বামীর জন্য কি করেছে ইতিহাসে তো নাই আবার বলে কি ছেলেদেরই কথা যে অমুকের স্বামী। এই মেয়েরা কখনো বুঝবে না প্রত্যেক্ষ ভালোবাসা এরা পরোক্ষ ভালোবাসা পেতে চায়। তা না হলে আমার এমন স্বরল-সহজ চাচাটাকে পস্তাতে হয় নিজের হাতে একটা বাড়ি তৈরি করে দিয়েও। এরা চাই শাজাহানের মত প্রতিটা স্বামী একেকটা তাজমহল তৈরি করুক বউ এর জন্য। তবে এইটা জানা উচিৎ ছিল যে শজাহান তো মমতাজ মারা যাবার পর তাজমহল করেছিল। তাই প্রতিটা স্বামীরাও তোমারা মারা গেলেই না হয় একেকটা তাজমহল বানাবে।
সেদিন দুই চাচী (গ্রাম সর্ম্পকে চাচী নাম বলব না)গল্প করছিল পুকুর ঘাটে আমি গেলাম পানি আনতে হঠ্যাৎ দেখি ওপাড়ার বুবু আসছে। সেও এসে গল্প জুড়ে দিল এ কথা সে কথা বলতে বলতে বুবু চাচীকে বল্ল, কি গো বউ কেমন চলছে তোমার সংসার? চাচী তখন রেগেমেগে বল্ল, আর বলেন না তো খালা ঐ জানুয়ারটার কথা ওরে বিয়ে করে তো আমার জীবনটাই শেষ।
বুবু তখন বল্ল, তো আছো কেন তার ঘরে?
চাচী বল্ল, থাকতে তো আর চায়নি কিন্তু বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকাইয়াই তো যায়তে পারি না । বাচ্চাটা না হলে কো-দিন চলে যেতাম। চাচীর কথা শুনে তো আমার সেই হাঁসি পাই! মনে মনে বলছি বিয়ের পরই তো তুমি বুঝছিলা যে চাচা খারাপ তখন চলে যেতে বাচ্চা নিলে কেন? এই কথাটা বলতে পার যেন মানুষকে তাই। হঠ্যাৎ চাচী বলে কি রে হাফি হাঁসিস কেন? আমি বল্লাম হাঁসিনা হাঁসিনা কান্দি!
চাচী- কেন?
আমি- তোমারে চাচা ভালোবাইসা বাড়ি বানাইয়া দিল, তোমার খাবারের জন্য সারাদিন মাঠে থাকে সেই চৈত্র মাইসা খরার মধ্যে। সেদিন তো দেখলাম চাচারে হাট থেকে লুকাইয়া কি যেন নিয়ে আসল জিজ্ঞেস করলাম তো বল্ল, সন্দেস নিয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবছি এতো ভালোবাসার পরও তুমি যেইভাবে বলছ আমাদের কপালে না জানি কিরকম বউ আছে।
চাচী- এই থাম থাম... তোর বউ পরে দেখা যাবে আগে বল তো সত্তি করে তোর চাচা কি সত্তি সন্দেস নিয়ে আসছে।
আমি- হ্যা। তোমাকে দেয়নি না কি?
চাচী- মায়া কান্না কেঁদে বলতে লাগল দেখছেন খালা এই জন্যই আমার সন্দেহ হতো। আমি তো পড়ে গেলাম মহা ঝামেলায় প্যাঁচ তো লেগে গেছে। এখন যদি চাচা জানে তাহলে তো আমার খবর আছে। তাই ভাবছি তারাতারি পালায় এখান থেকে যেই আসতে যাব অমনি চাচী ডাক দিল। এই থাম আমার সাথে চল তো আমাদের বাড়িতে। আমার তো যায়যায় অবস্থা তোতলাতে তোতলাতে বল্লাম না চাচী আমার মেলা কাজ আছে।
চাচী ধমক দিয়ে বল্ল আরে রাখ তোর কাজ আমার সর্বনাশ করে এখন কাজ। চল আমার সাথে যাবি এখন। আমি আস্তে করে বল্লাম, আচ্ছা চলো.....
গোলির মুখে আসতেই চাচা দেখি বাড়িতে বসে জাল বুনাচ্ছে। মনে মনে একবার সুরা ফাতিহা পড়ে বুকে ফু দিয়ে নিলাম বলা তো যায় না কি না কি কান্ড ঘটে পরে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.