নারীদের পোশাকের পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরুষদের মস্তিস্কে পরিবর্তন আসবে ইনশাল্লাহ

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৫

অনেকদিন হলো লিখা ছেড়ে দিয়েছিলাম………….
আমার প্রিয় নবী বলে গেছে, এমন এক যামানা আসবে যখন অধিকাংশ মানুষ আল্লাহকে ভুলে যাবে। আল্লহ যখন গজব নাজিল করবে তখন আবার আল্লাহর কথা স্মরণ করবে, এমনভাবে যেন, পূর্বে তারা কোন অন্যায় করেনি। ভালো কে মানুষ খারাপ বানাবে খারাপকে ভালো বানাবে নিজেদের মন গড়া সব যুক্তি দেবে। মনে হয় তাদের মত জ্ঞানী আর কেউ নায়, তাদের দলের অনুসারীও কম হবে না। আর তাদের অনুসারীদের জন্য তারা আরো বেশি আসকারা পেয়ে যাবে।
এবার আসি বর্তমানের কথায়; বর্তমানে তো এমন হয়েছে কেউ যদি সত্য কথা তুলে ধরে তার সাপোর্ট যদি দশ জন করে তো আর দশ জন এর এমন ভাবে বিরাধীতা করবে যাতে সে নিজে থেকে চুপ হয়ে যায়। দেখলাম, আজ একজন একটি পোষ্ট দিয়েছে “ধর্ষনের জন্য নারীদের পোশাক দায়ী”। তো এর বিরোধীতা কম করেনি। কিছু কিছু পুরুষ-নারীবাদীরাও ঝড় তুলে ফেলেছে। তাদের কাছে এমন মনে হয় যে, পোশাক না পরে থাকেলেও কোন সমস্যা নাই সব সমস্যা পুরুষদের মনে, মস্তিস্কে। আসলে এদের মস্তিস্কে যে বড় সমস্যা আছে সেটা স্বীকারে নারাজ। তাহলে যিনি এই দু’যাহানের মালিক তিনি হুদাই বলেছেন নারীরা তোমরা অবশ্যয় অবশ্যয় পর্দা করবে। আসলে এই পোষাকের বিরোধীতা যারা করছে খবর নিয়ে দেখেন, এরা টপ লেবেলের ব্যাহাইয়া। খোদার কসম এইসব নারী-পুরষদের গর্ভজাত, ঔরশজাত সন্তানরাই ধর্ষক হয়, সন্ত্রাস হয়, চাঁদাবাজ হয়। এই জাতেরই যখন আরেক জাতকে ধর্ষন করে কিংবা ভালোদের কে আবার ছোট বাচ্চাদেরকেউ যখন ছাড় দেয় না। তখন ওরাই আবার আন্দোলনে নেমে পড়ে। কি বিশ্বাস হয়না কথা আজকের খবরটা দেখুন ১১-১০-২০২০। দুইজনই টিভি অভিনেতা যে অনন্ত নারীর পোশাকের বিরোধীতা করেছে সে একজন অভিনেতা আবার এর যে বিরোধীতা করে নারীর পোষাক দায়ী না বলে তাকে বয়কট করেছে সে তো আগে থেকেই একটা বেপর্দা নারী, তার অর্ধালঙ্গ শত শত ছবি অনলেইনে পাবেন। তাই আমি অনেক আগে একটা কথা লিখেছিলাম আজ-কাল বেশ্যাদের মুখে শোনা যায় বেশি পবিত্রতার বানী। আমি এই ভয়ে আছি এরা কবে না জানি বলে বেশ্যাবৃত্তি আল্লাহরই নিয়ামতের অংশ। কাকে দেবো অপবাদ কার করবো প্রতিবাদ। এরা একটু কিছু হলেই আবার মাঝখানে টেনে আনে আমার প্রিয় ইসলাম ধর্মকে । খোদার কসম ঐসব নারী রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে চলাফেরা করলেও যারা সত্যিকারের পুরুষ তারা তাকানো তো দূরের কথা থু থু-ও ছিঁটাবে না। যারা ঐসব নারীদের স্বাধীনতা চায় তারাই ওদের ভোগ করে। যারা প্রকৃত মুসলিম ঘরের সন্তান তারা নারীরাও এসব নারীদের ঘৃনা করে, ঘৃনা করে, ঘৃনা করে ১০০ বার ঘৃনা করে। আর ঐসব পুরুষদের তো ১০০০ বার ঘৃনা করে। তাই যত্রতত্র বিষয় নিয়ে আমার প্রিয় ধর্ম ইসলামকে নিয়ে কটূক্তি করা যাবে না। আর কোন দুশ্চরিত্রা-দুশ্চরিত্র নারী-পুরুষ ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ না জেনে এই বিষয় নিয়ে কোন কথাই বলতে পারে না। ইসলাম কোন ছেলে-খেলা নয়, ইসলাম কোন সিনেমার অভিনয় নয়, এটা যেমন ইচ্ছা তেমন সাজাবেন এটা চলবে না বিধান যেটা আমার মালিক করে দিয়েছেন তার এক চুলও নড়চড় করা যাবে না। ভালো লাগবে না ছেড়ে দেবেন তবুও খোচাবেন না। আপনার যদি ১০০ টা যুক্তি দেখাতে পারেন ইসলামের বিরুদ্ধে আমরা তার ১টা যুক্তি দিয়ে ১০০ সমতুল্য করতে পারি। কারন এই মৃধা আমাদের তিনি দিয়েছেন যিনি নিজ হাতে আমাকে সৃষ্টি করেছেন।
সবাইকে মনে রাখতে হবেই হবে, মৃত্যু এমন এক পিয়ালা যার পানি সবাইকে পান করতেই হবে। এই আসমান জমিন আপনা-আপনি তৈরি হয়ে যায়নি।
সবশেষে আমি বিচার চাই পুরুষ নামের কাপুরষদের, সেই সাথে সকল অশ্লীল নারীদের । যাতে কোন নারীর গর্ভে আর ধর্ষকদের জন্ম না হয়। যাতে কোন পুরুষের শুক্রানুতে জন্ম না নেই অশ্লীল কোন বেহাইয়া নারী।

২৩ সফর, ১৪৪২

০ টি +০/-০