নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০২

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০১

প্রথম পর্বের পর থেকে -

সাপার্টদের ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাপারগুলো পুরোই আলাদা । ওদের জন্ম নেই, মৃত্যু নেই । তাই ওদের ক্ষুদাও নেই, তৃষ্ণাও নেই, বাড়তি কিছুর আকাঙ্ক্ষাও নেই । ওদের প্রধান কাজই হলো যুদ্ধ করা, তাও শুধুমাত্র কেন্টর-দের সাথে । ওদের সৃষ্টি হয় কৃত্রিমভাবে । কেন্টর-রা অবশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে টেকনো বাহিনীর সাথে কখনও কখনও যুদ্ধক্ষেত্রে পারদর্শী করে মোড ঠিক করা রবোটিক হেল্পার সাপার্টদের সাথে যুদ্ধ করতে পাঠায় । এইসব রবোটিক হেল্পাররা কেন্টর-দের চেয়েও ভালো যুদ্ধ করে । এই বুদ্ধিটাও ছিল ফিউমোরাস জেনিনির । তবে রবোটিক হেল্পারদের এরকম সাপার্ট-দের বিপক্ষে যুদ্ধ করার অনুমতির আইনটি পাশ করতে তাকে বেশ ভুগতে হয় । কেন্টর-রা মনেপ্রাণেই এই কথা বিশ্বাস করে, একদিন সাপার্টদের হারিয়ে তারা ঠিকই এই মহাকাশে রাজত্ব করবে । তবে তারা এই কথাটি তখন ভুলে যায়, সাপার্টদের পুরোপুরি পরাজিত করলে তাদের বেচে থাকার উদ্দেশ্যগুলো অনেকটাই সংকুচিত হয়ে যাবে এবং অর্ধেকের চেয়েও বেশি কেন্টর তখন কর্মহীন হয়ে যাবে । কারণ পারতপক্ষে স্প্লাটুজেনাস গ্রহে কর্মক্ষেত্রগুলো বেশ বিস্তৃত নয় । এখানে কাজের সুযোগ খুব কম । কারণ কেন্টরদের রোজ রোজ খাওয়ার কোন ঝামেলা নেই । একটি বায়োলজিক্যাল ট্যাবলেট মুখে দিয়ে হজম করে ফেললেই দশ থেকে পনেরো দিনের জন্য আর কিছুই খাওয়া লাগে না । এই বায়োলজিক্যাল ট্যাবলেটও কেন্টরদের মহান আবিস্কারদের মধ্যে একটি ।

সেরিনা এই কথাগুলো জানে । সে বেশ উচ্চশিক্ষিত । সে টেনার্ল ইউনিভার্সিটিতে (এটিও বেশ নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করা । সেরিনার পছন্দের বিষয় ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা । সে তার রেনালয়েড (কম্পিউটারের মতই যন্ত্র । তবে সুপার কম্পিউটারেরও মতই শক্তিশালী । আকৃতি অনেকটা বর্তমান ট্যাব মোবাইলের মত) দিয়ে প্রায় সময়ই ঘেঁটে দেখে বিভিন্ন জিনিসের ইতিহাস । পৃথিবীর আদি ইতিহাস, মানব জাতির উদ্ভাবন, বেড়ে উঠা, পৃথিবী রাজত্ব করা, একসময় নিজেদের মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার নিয়ে হানাহানি করা, শক্তির উৎসগুলো নিঃশেষ হয়ে যাওয়া, আস্তে আস্তে খাদ্যের অভাব দেখা যাওয়া, আস্তে আস্তে অস্তিত্ব লড়াইয়ে মানুষ মানুষকে শেষ করে দেওয়া, ধীরে ধীরে মানব জাতিই ধ্বংস হয়ে যাওয়া - সকল বিবর্তনই সে রেনালয়েড দিয়ে ঘেঁটে দেখেছে । এমনকি কেন্টর-দের উদ্ভাবন, সাপার্ট-দের উদ্ভাবন, পৃথিবী থেকে স্প্লাটুজেনাস গ্রহে মানুষ থেকে কেন্টরদের আগমন, কেন্টরদের ও সাপার্টদের মধ্যেকার যুদ্ধের কাহিনী, সাপার্ট-দের দৈনন্দিন প্রুযুক্তিবিদ্যায় কেন্টরদের সহায়তা চাওয়া এবং কেন্টরদের নিষেধ করা, কেন্টরদের বিবর্তন ইত্যাদি সবই সে জানে । সেরিনা এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রায়ই জেনিলির সাথে আলোচনা করে । স্প্লাটুজেনাসে সেরিনার আপন বলতে এই একজন বান্ধবীই আছে মাত্র । সেরিনার সাথে জেনিলির পরিচয় টেনার্লে পড়ার সময় থেকে । জেনিলির অবশ্য বাবা-মা ও দুই ছোট ভাই আছে । তবে জেনিলি এখন কার্লের সাথে থাকে । কার্ল জেনিলির ছেলে লাইফ পার্টনার । তবে ওরা বিয়ে করেনি । স্প্লাটুজেনাসে বিয়ে প্রায় হয় না বললেই চলে । এখানে যে যার প্রয়োজনে যাকে ইচ্ছা তার সাথেই থাকে । আর তখন তাদেরকে ছেলে অথবা মেয়ে পার্টনারই বলা হয়ে থাকে ।

তবে কার্লের সাথে জেনিলির পরিচয় বেশ আশ্চর্যজনকভাবে । অনলাইনভিত্তিক একটি গেমিং কনটেস্টের মাধ্যমে । অনলাইনভিত্তিক এই গেমিং কনটেস্ট খুবই মারাত্মক এবং এখানে জিতে গেলে প্রচুর সম্পদ দেওয়া হয় আর হেরে গেলে মেরে ফেলা হয় । সেখানেই জেনিলি প্রায় হারতে হারতে জিতে যায় কার্লের সাহায্যে । কার্ল জেনিলিকে দেখে পছন্দ করে ফেলে আর সে ছিল অপারেটর । তাই সূক্ষ্ম কারচুপি ঘটিয়ে জেনিলিকে জয়ী করতে তার কোনই সমস্যা হয়নি । পরবর্তীতে জেনিলিও কার্লকে মন দেয় এবং এখন তো তারা এক সাথেই । সে যাই হোক, কার্ল খুব হাসিখুশি এবং প্রাণবন্ত একজন কেন্টর । সেরিনাও কার্লকে পছন্দ করে । কার্ল দেখতে এমনিতে বোকাসোকা হলেও ভীষণ চালাক একজন কেন্টর । কয়েকদিন আগে থেকেই সে বলে রেখেছে এবারের নির্বাচনে বেশ ধরণের একটি ঝামেলা হতে যাচ্ছে । জেনিলি ব্যাপারটিকে তেমন আমলে নেয়নি কিন্তু সেরিনা এই কথাকে বিশ্বাস করেছে, । তাই তো সে বেশ চিন্তার মধ্যে পড়েছে । কি এমন ঝামেলা হতে পারে - সেরিনা খুব চিন্তা করেও কূল-কিনারা উদ্ধার করতে পারলো না ।

সকাল সকাল সেরিনা তার স্লিপিং প্লেসে ঘুমাচ্ছিল তারই ফ্ল্যাটে । হঠাৎ বিকট আওয়াজে সাইরেন বেজে উঠলো আর চারপাশ লাল আলোয় আলোকিত হয়ে গেলো । সাইরেনের আওয়াজে সেরিনার ঘুম ভেঙ্গে গেলো । ঘুম থেকে উঠেই সে দেখলো তার দুইটি রবোটিক হেল্পার জিনা ও ব্লাটনিস তার পাশে এসে দাড়িয়ে তাকে তার রেনালয়েড-টাকে দেখতে বলছে । স্প্লাটুজেনাস গ্রহে যখনই লাল আলোয় চারপাশ আলোকিত হয়, তার মানে হচ্ছে খুব ভয়াবহ কিছু ঘটেছে । সেরিনা তাদের কথামত রেনালয়েড-টা হাতে নিলো । সেটা দিয়ে ওয়াল ভিজুয়াল টিভি অন করলো । টিভি অন করেই সে নিউজ চ্যানেল দেখতে লাগলো । টিভি থেকেই সে জানতে পারলো, আজ সকালে ফিউমোরাস জেনিনি তার নিজ ফ্ল্যাটে মৃত্যুবরণ করেছেন । তার পাশেই তার মেয়ে পার্টনার ছিল তবে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেও কিছু জানা যায়নি । প্রথমে ধারনা করা হয়েছিল, হয়তো ফিউমোরাস জেনিনির মৃত্যুর পিছনে সাপার্টদের হাত থাকতে পারে । সন্দেহবশত ফিউমোরাস জেনিনির সবকয়টি রবোটিক হেল্পারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবং সার্কিট পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবরেটরিতে নেয়া হয়েছে (সন্দেহ অনেকটা এরকম যে হয়তো সাপার্ট-রা ঐ রবোটিক হেল্পারদের সার্কিটে কোন সমস্যা করে এরকমটা ঘটাতে পারে) । এই পর্যন্ত শুনেই টিভি অফ করে দিলো সেরিনা । আধো ঘুম ঘুম চোখেই ফ্ল্যাটের করিডরে এসে দাঁড়িয়েছে সেরিনা । তার মাথায় এখন ব্যাপক চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে । বেশ অনেকক্ষণ ভেবেও কিছু না বুঝতে পেরে অবশেষে সে কার্লকে ফোন করার সিদ্ধান্ত নিলো ।

এক থেকে দুইবার ফোন রিং হতেই ফোন রিসিভ করলো কার্ল । খুব সম্ভবত ফোনের কাছাকাছিই ছিল সে । কার্ল ফোন ধরতেই সেরিনা তাকে জিজ্ঞেস করলো, নিউজ দেখেছ ? কার্ল উত্তর করলো, হ্যাঁ, দেখেছি । একটু আগে আমি আর জেনিলি একসাথেই দেখছিলাম নিউজ । আজ সকাল ধরেই সবকয়টা চ্যানেলের নিউজ ঘুরে ঘুরে দেখছি আর বুঝার চেষ্ঠা করছি, আসলে হয়েছেটা কি । তবে এখন আমার মনে হচ্ছে...... কার্ল ও সেরিনা দুইজনই কিছুক্ষণ চুপ থাকলো । এরপর সেরিনাই আগে বললো, তবে তুমিও কি তাই ভাবছ যা আমি ভাবছি ? কার্ল উত্তর করলো, হ্যাঁ, ঠিক তাই । তুমি জলদি বেরিয়ে পড়ো । আমি আর জেনিলিও রুইনি সেজার্টের বাসভবনে পোঁছাচ্ছি । তোমার সাথে তাহলে ওখানেই দেখা হবে আমাদের । ঠিক আছে, বাই । এই বলেই ফোন রেখে দিলো কার্ল । সেরিনা ফোন রেখে দেওয়ার পরও ভাবছে, আসলে কি হতে পারে । রুইনি সেজার্ট কি এই ব্যাপারটি নিজে থেকে টের পেয়েছেন ? নাকি তিনি এখনও এই সম্পর্কে উদাসিন । তবে যাই হোক না কেন, এখানে বড় কোন ষড়যন্ত্র হচ্ছে । ব্যাপারটির ভিতরে না ঢুকলে বুঝা যাবে না কিছুই ।

সেরিনার সাথে কার্ল এবং জেনিলির দেখা হলো রুইনি সেজার্টের বাসভবনেই । একজন কেন্টর কতটা অস্বাভাবিক ভালো হলে, এই অবস্থাতেও এরকম দিব্যি হেসে যেতে পারে !! হ্যাঁ, রুইনি সেজার্টের কথাই বলছিলাম । ভদ্রমহিলা নাকি এখনও কোন উত্তাপ টের পাননি । কার্ল ও জেনিলি এখানে এসে পৌঁছেছে সেরিনাও প্রায় দশ মিনিট আগে । তারা এর মধ্যে রুইনি সেজার্টকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও, ভদ্রমহিলা এখান থেকে নড়তে নারাজ । নির্বাচনের জন্য যে তার প্রাণ ঝুঁকিতে আছে, এই কথাটি যেন তিনি বিশ্বাসই করছেন না । তার একটাই কথা, কেন্টররা মনুষ্য জাতির মত এত খারাপ না, যে তারা ক্ষমতার লোভে পড়ে এমন কিছু করবে । কিন্তু সেরিনা ভাবছে অন্য কথা । রুইনি সেজার্টের মত একজন কিভাবে ভুলে গেলো, কেন্টররা এই মনুষ্য জাতি থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছে । নিশ্চয়ই এখানে বড় ধরণের কোন ঝামেলা রয়েছে । সেরিনা অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে এবার কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলো ।

ম্যাডাম, কিছু মনে করবেন না, কিন্তু আপনি কি আজকের সবচেয়ে অবাক করা নিউজটা দেখেননি ? সেরিনা প্রশ্ন করলো রুইনি সেজার্টকে । হ্যাঁ, দেখেছি তো । রুইনি সেজার্ট স্বাভাবিক অবস্থাতেই প্রশ্নটার উত্তর দিলো । আপনি কি ভাবছেন এই বিষয়টাতে ? সেরিনা আবারও কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো রুইনি সেজার্টকে । এইবার সে উত্তরে বেশি কিছুই আশা করছে । প্রশ্নটা করার পরপর তার চোখ দুইটি চকচক করতে লাগলো । রুইনি সেজার্ট এতক্ষণ সেরিনার মুখের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন । তিনি সেরিনার মুখের এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন । অনেকক্ষণ চুপ থেকে ভেবেচিন্তেই জবাব দিতে লাগলেন, দেখো, এখানে কয়েকটি বিষয় আছে । প্রথম কথা হলো, ফিউমোরাস জেনিনির সাথে সাপার্টদের সরাসরি ঝামেলা ছিল । এখানে এই কাজটি করার সম্ভাবনা তাই তাদেরই বেশি । যদি সরাসরি তারা এই কাজের জন্য স্প্লাটুজেনাসে নাও আসতে পারে, তবে তারা কিছু একটা করেছে ফিউমোরাস জেনিনির রবোটিক কোন একটি হেল্পারকে বা একের বেশি হেল্পার-দের । হয়তো সার্কিটে পরিবর্তন করে দিয়েছে বা এমন কিছু । দ্বিতীয় কথা, এতদিন কেন্টর-দের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, এমন কোন রেকর্ড নেই, যে নির্বাচনের জন্য কেউ কাউকে হত্যা করতে পারে । তাহলে সন্দেহের তীর তো আমার দিকেও আসতে পারে, তাই না ?

কিন্তু হত্যার বিষয়টি তো আমরা কেউ উল্লেখও করিনি, তাহলে আপনি কেন...... ? সেরিনা সহসা অনেকটা ঝুকে গিয়ে প্রশ্নটা করলো । এই কথা শুনে রুইনি সেজার্ট থতমত খেয়ে গেলেন । হঠাৎ করেই তিনি ঘামতে শুরু করেছেন । ঘরে এখন যে তাপমাত্রা তাতে কারোর ঘামার কথা না । তবে দ্রুতই নিজেকে সামলে নিয়ে রুইনি সেজার্ট সেরিনার দিকে তাকিয়েই উত্তর দিলো, তোমার কথার দিকটা ঐ দিকেই ছিল, এটা আমি বুঝতে পেরেছি । পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতেই যেন হঠাৎ জেনিলি এর মধ্যেই প্রশ্ন করে বসলো, আচ্ছা, তাহলে বেলায়েক হিউয়ানের ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন ? এই জঘন্য কাজটি কি তিনি করতে পারেন না ? এইবার তার জয়ের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমছিল এই ফিউমোরাস জেনিনির কারণেই । তাহলে তো সন্দেহ তার দিকেও অনেকক্ষেত্রেই ঝুকে পড়ছে, তাই নয় কি ? এই প্রশ্ন শুনে রুইনি সেজার্ট কেমন জানি একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন । বেশ খানিকক্ষণ পর এবারও নিজেকে সামলে নিয়ে উত্তর করলেন, দেখো, বেলায়েক হিউয়ান সদ্য বিদায়ী রাজা । তিনি বেশ অনেকদিনই ক্ষমতায় ছিলেন । আমার মনে হয় তিনি এই ঝুকি নেবেন না । কারণ যদি তিনি এটা করেও থাকেন, আর যদি এটা ধরা পড়ে, তাহলে তার অবস্থা কি হতে পারে, একবার ভেবে দেখো তো । এবার সেরিনাই প্রশ্ন করলো, তাহলে আপনার কি কিছুই বলার নেই বা কিছুই করার নেই ? রুইনি সেজার্ট উত্তর করলো, আমি আমার বাসভবন থেকে সবকয়টি রবোটিক হেল্পার সরিয়ে দিয়েছি । তাছাড়া এখানে নিরাপত্তার বিষয়টিও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি । তারা এখানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে । হয়তো দুই-একদিনের মধ্যেই আরও বাড়িয়ে দেবে এবং নির্বাচনের সময় পর্যন্তই এই অবস্থা চলবে ।

সেরিনা, কার্ল ও জেনিলি তিনজনই বুঝতে পারলো, রুইনি সেজার্ট কিছু একটা গোপন করছেন আর নিজেকেও সেইফ সাইডেই রাখছেন । তাই কথাবার্তাও তিনি অত্যন্ত হিসাব করেই বলছেন । এই অবস্থায় তার সাথে আর কথা বলে লাভ হবে না । তাই তারা তিনজনই এখান থেকে প্রস্থান করার সিদ্ধান্ত নিলো । তাই তারা রুইনি সেজার্ট এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলো । তাদের বিদায় নেওয়ার সময় রুইনি সেজার্ট যেন আরও ফুরফুরা হয়ে গেলেন । কেমন জানি রহস্যময়, তবে ব্যাপারটি কারোরই চোখ এড়ালো না ।

রুইনি সেজার্টের বাসভবন থেকে বের হওয়ার পর পথে কার্ল ও সেরিনা দুইজনকেই চিন্তিতগ্রস্থ দেখালো । তবে ব্যাপারটির আঁচ জেনিলিকে তেমন স্পর্শ করতে পারেনি । তাকে তেমন চিন্তিতগ্রস্থ দেখালো না । যদিও বিষয়টি সে বুঝতে পেরেছে । তাই কেউই কারো সাথে কথা বললো না আর । এর কিছুক্ষণ পরেই সেরিনা, কার্ল ও জেনিলির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের ফ্লায়িং সসারটিতে উঠে পড়লো । সেরিনা ফ্লায়িং সসারটি চালু করে চোখের সামনে থেকে পুরোপুরি গায়েব হয়ে যাওয়া পর্যন্ত কার্ল ও জেনিলি দুইজনেই তাকিয়ে থাকলো ।

(বাকী ও শেষ পর্ব আগামী পর্বে)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: আগের পর্বটাই পুরা হয় নাই। পড়ে ফেলবো খুব তাড়াতাড়ি।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগে প্রথমটি পড়ে আসলাম। পরে ২য়টি পড়লাম!!

বেশ ভালই লাগল.. চলুক..শেষ পর্ব পর্যন্ত!

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: পরেরটা কখন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.