![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
We are Vegetarianনেপালে মুসলিম হোটেল বা হালাল ফুডের রেস্টুরেন্ট খুবই কম। বাংলাদেশী আরিফের কাছে জেনে নিয়েছিলাম কোথায় কোথায় মুসলিম হোটেল আছে। থামেলে আমাদের আবাসিক হোটেল থেকে মিনিট পাঁচেক উত্তর দিকে হাঁটলে বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট। আবার কাঠমুন্ডু জামে মসজিদের পাশ্ববর্তী বাঘবাজার এলাকায় রয়েছে পাকিজা রেস্টুরেন্ট। রুটি, সব্জি, খাসির পায়া, ভাত, মাছ, গোশত সবই পাওয়া যায়। পোখারা এসে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোন মুসলিম হোটেল মেলাতে পারলাম না। এখানকার পাঞ্জাব হোটেলে হালাল ফুড পাওয়া যায়- শুনে আমরা দৌড়ে গেলাম। কিন্তু গিয়ে দেখলাম মুসলিম হোটেল নয় তবে `ফ্রাইড রাইস' বলে আমাদের দেশের চাইনিজ রাইসের মত সব্জি মিশ্রিত এক ধরনের খাবার সেখানে পাওয়া যায়, যা ভেজেটিরিয়ানদের প্রিয়। তবে দাম বেশ চড়া। প্রতি প্লেট ফ্রাইড রাইসের দাম ১৭৫ রুপি। সাথে আবার ১২% হারে ভ্যাট। হিন্দু প্রধান দেশ হওয়ায় গরুর গোশ্ত পাওয়া যায় না, অবশ্য মহিষের গোশ্ত মেলে। পশ্চিমা ট্যুরিস্টবহুল দেশ বলে এখানের হোটেলে পর্ক বেশ সহজলভ্য এবং বেশির ভাগ খাবারে পর্কের উপাদান থাকে। চিতোয়ানে পছন্দসই খাবার পাওয়ার কোন উপায় নাই। আগেই বলা হয়েছে, চিতোয়ান মূলত নেপালের `জাতীয় উদ্যান' এলাকা। এখানকার আবাসিক হোটেল/রিসোর্টগুলো গড়ে উঠেছে পার্কের পাশে গ্রামের ভেতর। এখানে স্বাধীনভাবে খাওয়া-দাওয়ার জন্য আলাদা কোন রেস্টুরেন্ট নেই। তাই সাধারণত থাকা-খাওয়া, সাইটসিয়িং ইত্যাদি টোটাল প্যাকেজ না নিয়ে সাধারণত এখানে কেউ আসে না। আমাদের প্যাকেজে কাঠমুন্ডু ও পোখারার খাবার অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কিন্তু চিতোয়ানে বাইরে খাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে এখানকার খাওয়া-দাওয়াও প্যাকেজে ইনকুড করা ছিল। ওরা আমাদের কি না কি খেতে দেয় এ নিয়ে আমরা একটু ইতস্তত করছিলাম। আরিফ আমাদের বলে দিয়েছিল, চিতোয়ান পৌছে আমরা যেন হোটেলে বলে দিই `উই আর ভ্যাজিটেরিয়ান'। তাহলে আর কোন সমস্যা নাই। যাই হোক, প্রথম দিন আমরা চিতোয়ানে পৌছে সাফারী কর্র্তৃপকে যখন আরিফের শিখিয়ে দেয়া `ভ্যাজিটেরিয়ান' বাণী ছাড়লাম তখন ওরা মৃদু হাসল, `ওকে'। পরবর্তীতে খাবার টেবিলে ম্যানু দেখে হাসব না কাঁদব ভেবে পাচ্ছিলাম না। ব্রেকফাস্টে ২ স্লাইস পাউরুটি, কলা, বাটার, জ্যাম এর নুডুল্স। লাঞ্চে কাবাব জাতীয় কী একটা সসের মধ্যে ডুবানো, আলু লম্বা লম্বা করে কেটে চিপসের মত একটি আইটেম (যোবায়ের ভাই নাম বলেছিল, ভুলে গিয়েছি), কয়েক টুকরা মূলা, মসলাবিহীন হালকা সিদ্ধ ম্যাকারনী, কয়েক টুকরা বরবটি আর ফুলকপি রান্না তো দূরের কথা মনে হয় গরম পানিতে শুধু একটু চুবিয়ে তোলা হয়েছে। নো লবন, নো মসল্লা।
ভেতো বাঙ্গালীর সামনে এসব খাবার। যোবায়ের ভাই পারলে খাবার টেবিলেই বমি করে দেয়। আমি সাহস যোগাই, না না বেশ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এমন খাবারই তো শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যা হোক, তিনদিনের মধ্যে শেষের দিন একবেলা (ডিনার) ভাত, রুটি, ডাল জুটেছিল। সেদিন পেটপুরে বাঙ্গালী খাবার খেয়েছিলাম। নেপাল ভ্রমণে খাওয়া দাওয়ার সমস্যাকে আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা মনে হয়েছে।
(চলবে)
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
শয়তান ২০০০ বলেছেন: আলুর আইটেমটার নাম french fry
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
বেলাল আহমদ খান বলেছেন: sob porlam. khub valo laglo
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
বেলাল আহমদ খান বলেছেন: sob porlam. khub valo laglo
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
বিডিআর বলেছেন: আলুর আইটেমটার নাম french fry