নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন সবাই িমলে েদশকে ভােলাবািস এবং দেশের জন্য ভালো হয় এমন কিছু করি .....

খুব সাধারন .....

েমাঃ ঈশা খান রােশদ

খুব সাধারন ...

েমাঃ ঈশা খান রােশদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্র চর্চা …

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড রায়ের পর কিছু আওয়ামী লইট্টা ফিস ব্লগাররা অন্যান্য সাধারণ ফেসবুক ইউজারদের (যারা এই বিচার সঠিক হয়নি এবং মনে করেন সরকার জামায়াত-শিবিরের সাথে তলে তলে হাত মিলাইছে) খুব গালাগাল করেছিলেন যে বিচার ঠিক আছে বলে ! তখন বলেছিলাম আজ থেকে আর কোনো গালাগাল করব না কাউকে (পরে কথা রাখতে পারিনি ছাগুদের কারণে)। এখন সেই সব ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন - সরকারের গুন গাইতে গাইতে যে মুখে ফেনা তুললেন এখন কি হলো? আসলে এই সব সরকারী ফরিয়াগুলোর জন্যই আর বাকি সব সাধারণ ইউজাররা (ম্যাঙ্গ পিউপল) কনফিউজড। এই ফরিয়াগুলো নিজেরা বুঝুক আর না বুঝুক কাউকে সাপোর্ট করা শুরু করলে অন্ধের মত শুধু সাপোর্টই করে, অন্য কোন কিছুই বুঝে না বা বোঝার চেস্টাও করে না! কিছু ব্লগার নিজেদেরকে স্বাধীন (কোনো দলের না) বলে দাবি করেন, কিন্তু যখন কথা বলেন তখন বোঝা যায় কে কোন দল কে সাপোর্ট করেন! ওই যে বলেনা - ল্যাঞ্জা লুকানো কঠিন। আসলে এদের আর ছাগুদের মধ্যে কোনো তফাত নেই, ছাগুদের মত এরাও জেগে জেগে ঘুমায়!



একটু খেয়াল করে - আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি রাষ্ট্রে কোনো দলই ক্ষমতায় এক টার্ম-এর বেশি দুই টার্ম থাকতে পারে না! কারণ? আমেরিকা! কেউ মানুক আর না মানুক, “আমেরিকা” চায় না যে - আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের কোন গরিব দেশে নির্বাচিত বা অনির্বাচিত যে কোনো সরকার লম্বা সময়ের জন্য ক্ষমতায় থাকুক ! কারণ? ইনভেস্টমেন্ট! যদি কোনো এক সরকার লম্বা সময়ের জন্য দেশ পরিচালনায় থাকে তাহলে তাদের (আমেরিকা) বিনিয়োগ কমে যাবে! এতে আমাদের মাথার উপর থেকে ঋণের বোঝা কমে যাবে আস্তে আস্তে। কিন্তু আমেরিকা সেটা চায় না! কারণ? তাহলে আমরা তো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাব এবং ভবিষতে আমাদের কোনো ঋণেরই প্রয়োজন হবে না দাতা গোষ্ঠির দেশ থেকে আর তারাও আমাদের মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে পারবে না। কিন্তু এর থেকেও মজার বিষয় হচ্ছে আমেরিকার সাথে তালে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলো কম যায় না! তারা নির্লজ্জের মত ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এইসব প্রভুদের কাছে নিজেদেরকে আত্মসমর্পণ করে দেন যে কোন কিছুর বিনিময়ে! কিন্তু একবারও চিন্তা করেন না কি করছেন? রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দিয়ে জনসাধারণ ক্ষমতায় বসান দেশের উন্নতির জন্য তথা জনগণের উন্নতির জন্য। কিন্তু বিধি বাম! ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে এবং পরে সব রাজনৈতিক দলগুলোর চেহারায় এক! ক্ষমতায় যাওয়ার আগে পাবলিকের পা ধরতেও বাধে না আর ক্ষমতা পেয়ে যাওয়ার পর পাবলিকরে লাথি মারতেও দেরী করে না! তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে এটাই কি রাজনীতি?



একদিকে সরকারি দল নির্বাচনে জিতে দেশ উন্নয়নের ধোয়া তুলে বিদেশী প্রভু দেশগুলোর সাথে বিভিন্ন উন্নয়নের চুক্তির মাধ্যমে লুট-পাটের রাজত্ব কায়েম করেন, আরেক দিকে বিরোধী দল নির্বাচনে হেরে ভোট কারচুপির ধোয়া তুলে নির্বাচিত সরকারের শপথ গ্রহনের পরের দিন থেকে সরকারকে উৎখাতের জন্য হরতাল, ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াওর মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃস্টি করেন। আর এ অবস্থা সরকারের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চলতেই থাকে। এতে দেশের মানুষের ভালো হোক না হোক, তাদের কিছু যায় আসে না। তাদের প্রধান টার্গেটই হচ্ছে ক্ষমতা হাশিল করা এবং সেটা যে কোন মূল্যেই হোক না কেন। তাহলে এটাই কি একটি গণতন্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্র চর্চা?



বর্হিবিশ্বের গণতান্ত্রীক দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় তারা কত সুন্দরভাবে গণতন্ত্র চর্চা করছে। এমন না যে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা তা জানেন না? তারা সব কিছুই জানেন কিন্তু জানার পরও তারা গন্ডমূর্খের ন্যায় ক্ষমতার জন্য এই সব করে থাকেন! আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতারা প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন এবং সেই সব দেশের সরকার ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন, অনেক কিছু শিখে আসেন কিন্তু সেই জ্ঞান তেনারা আর নিজেদের ক্ষেত্রে চর্চা করেন না। একটু বিস্তারিত ভাবে - সো কলড ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিগুলোর সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই তাদের দেশের সকল সমস্যার সমাধানের জন্য বেছে নেন “সংসদ ভবন”। আর আমাদের দেশে বিরোধী দলগুলো (যে কেউ) সকল সমস্যা সমাধানের উপায় খোজেন রাজপথে (এটাই নাকি রাজনীতির ভাষায় গণতান্ত্রিক অধিকার), তাতে জনসাধারণের সম্মতি বা সমর্থন থাকুক আর না থাকুক! আর তারা যেসব যুক্তি উপস্থাপন করে সংসদ বর্জন করেন তা আমাদের সবারই জানা, সে আলোচনায় আজ নাই বা গেলাম! বিরোধী দলগুলো সংসদে আলাপ-আলোচনার জন্য না গিয়ে যান শুধুমাত্র তাদের মাসিক বেতন-ভাতা এবং সংসদ সদস্যপদ ঠিক রাখার জন্য!



আবার ধর্মীয় দৃস্টিকোণের দিক থেকে মুসলমানদের সাথে সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশও বিশ্বাস করে - ইসলামই হচ্ছে শান্তির ধর্ম। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে মুসলমানরা যে সব ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে এখন ইসলাম ধর্মকে অন্যরা জঙ্গীদের ধর্ম মনে করে (কেউ মানুক আর না মানুক)! আর আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক টান-পোড়নের এই দৃশ্য শুধু আমাদেরই না, প্রায় অন্যান্য সকল মুসলিম ও থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশগুলোর (কারো কম কারো বেশি) মধ্যেই ! কেউ কেউ অবশ্য এর জন্য আমেরিকাকেই দায়ী করে থাকেন। কিন্তু কথা হচ্ছে - নিজের ঘরই যদি ঠিক না থাকে তবে সেখানে যে কেউ প্রবেশ করতেই পারে, তাই না?



সো কলড ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রির দেশগুলোতে কে দেশ পরিচালনা করে তা মূখ্য নয়, মূখ্য বিষয় হচ্ছে তা কি দেশের জনগণের অনুকূলে কিনা। হ্যা, তাই বলে যে এসব দেশে দূর্নীতি হয় না তা কিন্তু না ! এখানেও অনেক বড় বড় দূর্নীতি হয়, কিন্তু তারা আমাদের মত না ! তাদের এমপি, মন্ত্রী বা সমাজের বড় যে কেউ ধরা পড়লে সাথে সাথে স্বীকার করে নেয় এবং নিজ পদ থেকে সরে দাড়ায়। আর আমাদের দেশে তো “চোরের মার বড় গলা” ! কোথায় মুসলমান হিসাবে আমরা অন্যান্যদের কাছে “আইকন” হব তা না বিধর্মীয় দেশগুলোই এখন আমাদের আইকন। উদাহরণ হিসাবে ইংল্যান্ড কে যদি দেখি, এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডই বিশ্বের একমাত্র দেশ যে তার রাস্ট্রের নাগরিক্দের ৫টি মৌলিক চাহিদার (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষা) সবগুলো পূরণে অঙ্গিকার বদ্ধ (যা কিনা আমাদের গর্ব চার খলিফার এক খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) -এর সময়কালের শাসন ব্যাবস্থারই প্রতিবিম্ব)। যেখানে আমরা সবাই জানি ইংল্যান্ড ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম অনুসরণকারী একটি দেশ।



সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে গত ৪২ বছর ধরে (সামরিক সরকার ব্যাতিত) গণতান্ত্রিক একটি দেশে বার বার গণতন্ত্র পূণঃরুদ্ধারের চেস্টা করে যাচ্ছেন বিরোধী দলগুলো এবং আরো একটি মজার হিসাব হচ্ছে ১৬ কোটি জনগণের দেশে সরকারি দল দাবী করে তাদের সাথে আছে ১৬ কোটি জনগণ এবং বিরোধী দলও তাই ! তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে দেশের জনগণ কি ৩২ কোটি?



বেশি দূরে না গিয়ে আমরা যদি আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের (বিশ্বের গণতন্ত্র চর্চাকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম) দিকেও তাকাই তাহলে দেখতে পারি সুষঠ (প্রায়) গণতন্ত্রের ব্যবহার। কথায় কথায় আমরা তাদের (ভারত) বিভিন্ন কর্মকান্ড আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে উদাহরণ হিসাবে নিয়ে আসি কিন্তু গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর দৃস্টি ভঙ্গি ভিন্ন! আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো বুঝুক আর না বুঝুক তারা কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এখনো পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই রাজনীতি করেন! আমরা ১৯৭১-এ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি ঠিকই কিন্তু কর্মকান্ডে এখনো আমাদের গণতান্ত্রিক সরকার এবং পাকিস্তানি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য খুজে পাওয়া যাবে না! সত্যি কথা বলতে কাগজ-কলমে আমরা বাংলাদেশী কিন্তু কর্মকান্ডে এখনো পুরোদস্তুর পাকিস্তানি!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.