![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারন ...
গণজাগরন মঞ্চ। একটি চেতনার নাম, তারুণ্যের উদ্দিপনার নাম। যার জন্ম শাহবাগের প্রজন্ম স্কয়ারে। রাষ্ট্রের অনাচার অবিচারের বিপক্ষে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন এই মঞ্চ। এটা কোন নতুন বিষয় নয় বাংলাদেশের জন্য, তথা বাঙ্গালী জাতির জন্য। আমরা মানে বাঙ্গালীরা যুগ যুগ ধরে অন্যায় অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করেছি আবার যখন প্রয়োজন হয়েছে তখন সবাই মিলে এর প্রতিরোধও করেছি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এ স্বাধীনতার আন্দোলন এবং শেষ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ, এই সব ঘটনাগুলো ছিল পশ্চিম পাকিস্তান এবং পুর্ব পাকিস্তানের মধ্যে, একই নামধারি একটি দেশের দুটি অংশ। কিন্তু পরে ১৯৯০ এর স্বৈরাচারের বিরদ্ধে গণ-অভ্যুথান এবং ২০১৩ পর্যন্ত সব ঘটনাগুলোই সংগঠিত হয়েছে নিজের দেশের মধ্যে, একে অপরের বিপক্ষে (মানে বাংলাদেশি-বাংলাদেশিদের মধ্যে)। এতে কি লাভ? সত্যি কথা বলতে জাতিগত ভাবে কি লাভ হচ্ছে তা আমি জানি না, কিন্তু এতটুকু বলতে পারি যে ব্যাক্তিগত ভাবে আমরা অনেকেই লাভবান হচ্ছি। যাকে বলে - কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ ! যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় - কিছু মধ্যস্বত্ব ভোগকারী ব্যবসায়ী। যে কিনা দেশের প্রায় সকল খারাপ অবস্থায় যে কোন মূল্যে তার ব্যবসা দ্বারা মানুষকে ঠকিয়ে মুনাফা অর্জন করে যাচ্ছে এবং কিছু মানুষ আছে বিভিন্ন দেশে গিয়ে (মূলত ইউরোপ-আমেরিকা) রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে সেই দেশে স্থায়ী হওয়ার একটি লাইন করে নিচ্ছে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর যখন দল মত নির্বিশেষে সবাই গণজাগরন মঞ্চের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করছে, ঠিক তখনই অন্য-কোন জায়গায় অন্য কেউ গণজাগরন মঞ্চকে ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কারণে। দেশে যেমন এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছেন ব্যব্সায়ী রাজনীতিকরা ঠিক তেমনি লন্ডনে শোনা যাচ্ছে গণজাগরন মঞ্চের কতিপয় লোকজন রাজনৈতিক আশ্রয় (Political Asylum) পাওয়ার এবং ফেমাস হওয়ার আশায় একে অপরের সাথে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। লাভের লাভ তো কিছুই হচ্ছে না, উল্টো গণজাগরন মঞ্চই হয়ে যাচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ! পুনশ্চঃ সাধু সাবধান। ল্যাঞ্জা ইজ ডিফিকল্ট থিং টু হাইড।
©somewhere in net ltd.