![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারন ...
বঙ্গবন্ধু “শেখ মুজিবুর রহমান”। কি বলব? একটি জাতি, একটি দেশ নাকি একজন ব্যাক্তির নাম? বঙ্গবন্ধু “শেখ মুজিবুর রহমান” এমন একজনের নাম যাকে তুলনা করা হয়ছে বিশ্বের সবচেয়ে উচু পর্বত শৃঙ্গ “এভারেস্টের” সংগে। বিশ্বের যে কজন মহান নেতার নাম শ্রদ্ধার সাথে নেওয়া হয় তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু “শেখ মুজিবুর রহমান” একজন। তিনি যে একজন মহান নেতা, তা একবাক্যে স্বিকার্য। কিন্তু আজ তাকে বিভিন্নভাবে কূলষিত করা হয় ! আর এটা কে করে, বিদেশী কোন শক্তি? না। তাহলে? উত্তর - আমরা। আমারা বাঙ্গালীরা নিজেরা-নিজেরাই আমাদের এই মহান নেতা-কে কূলষিত করি এবং করচ্ছি। এর জন্য দায়ী কে? এর জন্য দায়ী one and only আমাদের দেশের নোংরা রাজনীতি। এখানে একটি কৌতুক মনে পড়ে গেল - //দোজখে সব দেশের নামে আলাদা আলাদা দোজখ রয়েছে । প্রত্যেক দোজখে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার জন্য দরজা রয়েছে এবং এই দরজার পাশে গার্ডও রয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশ নামক দোজখের দরজার পাশে কোন গার্ড নেই ! এটা দেখে এক ফেরেস্তা আরেক ফেরেস্তা জিজ্ঞাস করছে - প্রথম ফেরেশস্তাঃ ব্যাপার কি? সব দেশের দোজখের সামনে গার্ড দেখলাম আর এই দোজখের সামনে কোন গার্ড নেই, কেন?
দ্বিতীয় ফেরেশস্তাঃ আরে এইটা তো বাংলাদেশের দোজখ, তাই। প্রথম ফেরেশস্তাঃ বাংলাদেশের দোজখ! এর সাথে গার্ড না থাকার সম্পর্ক কি? দ্বিতীয় ফেরেশস্তাঃ আরে ভাই বুঝলা না! বাংলাদেশ মানে বাঙ্গালীরা এমন এক জাতি - যারা নিজেরাই নেজেদেরকে বের (উঠতে) হতে দেয় না ।//
বঙ্গবন্ধু “শেখ মুজিবুর রহমান” এমন একটি নাম যা উচ্চারণ করার সাথে সাথে একটি দেশ ও একটি জাতির কথা গোটা বিশ্ব শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তার সহচার্য্য অনেকেই স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেছেন - বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা ও এক জোড়া মায়াভরা চোখে সারাক্ষন দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু না কিছু করার জন্য উদগ্রিব থাকতেন। তিনি যখন ভাষণ দিতেন মন্ত্রমুগদ্ধো হয়ে মানুষ তা শুনত। তার ভাষণে রক্তে নাচন সৃষ্টি করতো। ৪২ বছর পর আজও তার অগণিত ভাষণগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৯৭১ সালে রেসকোর্স ময়দানের দেওয়া ভাষণ আমাদের রক্তকে আন্দলিত করে। তার মৃত্যুর অনেক পরে আমার জন্ম । কিন্তু বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে এখনও প্রতি বছ্র ৭ই মার্চ-এর ভাষণ যখন শুনি সত্যি কথা বলতে আমারও রক্ত নেচে উঠে এবং আমি এটা জানি ও বিশ্বাস করি - আমার মত অনেকেরই রক্ত নেচে উঠে। আমি আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা-মা এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে আমাদের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরত্বগাথা গল্প শুনে শুনে বড় হয়েছি। কার কি অবদান ছিল তা কম-বেশি জানি। এরপরও নিজের অত্যাধিক আগ্রহ থাকায় বিভিন্ন বই-পুস্তক পড়ে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। এটা আমার আগ্রহের ফলেই হয়েছে। তাই বলে সবাই যে ইতিহাস সম্পর্কে জানবে তা কিন্তু নয়। নিজের দেশের ইতিহাস জানাটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তবে যে কোন রাষ্ট্রের একজন সু-নাগরিক হিসাবে উচিত তার রাষ্ট্রের জন্মের সঠিক ইতিহাস জানা। বিভিন্ন মত ও পথের মানুষ রয়েছেন আমাদের সমাজে। কারো এ দল ভালো লাগে তো কারো বি দল। স্বভাবতই মতের পার্থক্য থাকায় যে যার মতের সাথে মিল আছে এরকম দলকেই সাপোর্ট করে থাকেন, এতে দোষের কিছু নাই। তাই বলে একজন তো আরেকজনকে তার নিজের মত চাপিয়ে দিতে পারেন না! আবার ঠিক সেই রকম, নিজের মত ও পথের কারণে প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃতও করতে পারেন না। একটা উদাহরণ দেই আজ এখানে - বঙ্গবন্ধু “শেখ মুজিবুর রহমান”-কে স্ব-পরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশী কিছু বিপথগামী সৈন্যরা। কিন্তু আজও তার পরিবার শহীদের মর্যাদা পায় নি। প্রবাদ আছে “পাপ বাপকেও ছাড়ে না”। আবার ইতিহাসের পুণঃর্বৃতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-কেও হত্যা করে বাংলাদেশী কিছু বিপথগামী সৈন্যরা। কিন্তু এখানে তিনি শহীদের মর্যাদা পান। হায় সেলুকাস দেশ !
তাদের ভূল-ত্রুটি থাকতেই পারে। কারণ তার মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভূল-ত্রুটি হবে, তা নাহলে তো মানুষ আর মানুষ হতো না সবাই ফেরেশস্তা হয়ে যেত। তাদের ভূল-ত্রুটির জন্য সাজা দেওয়ার জন্য দেশে আইন ছিল। আইনের মাধ্যমে তাদের ভূল-ত্রুটির জন্য বিচার করা যেত। এভাবে হত্যা করাটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না! মাথা ব্যাথার জন্য কি মাথাটাই কেটে ফেলতে হবে নাকি? আর তাদের হত্যার ধরণ প্রায় একই রকম। কিন্তু এখানে জিয়াউর রহমান পেলেন শহীদের খেতাব আর বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে জাতি চুপ! অনেকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি, অনেক কিছুই জেনেছিও। কিন্তু একমত হতে পারিনি। একই দেশে এই রকম দুই নীতি তো হতে পারে না, তাই না? আর আমাদের চার নেতার কথা না হয় বাদই দিলাম! বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি ফেসবুকে একটি দল জোর-জোবরদস্তি ভাবে সবার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে “জয় বাংলার” সাথে সাথে, “জয় বঙ্গবন্ধু” বলতে হবে ! এর জন্য আবার গালাগালিও (আমি নিজেও গালা-গালি করি তবে এই বিষয়ে না) করেন। আশ্চর্য হই তাদের বিচার বুদ্ধি দেখে! আরে বাবা এটা কি চাপিয়ে দেওয়ার জিনিস? আর “জয় বাংলা” বলতে কি বুঝায়? এটা নিজের কাছে প্রশ্ন করে উত্তর খুজে নিয়েন, আমি ব্যাখ্যায় গেলাম না। একটি কথা - বঙ্গবন্ধু “শেখ মুজিবুর রহমান” পৃথিবীতে একমাত্র জাতির পিতা নন ! পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১৯৬ টা দেশ আছে। প্রত্যেক দেশেরই কেউ না কেউ জাতির পিতা বা মাতা রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন জায়গাতেই Long live ………..(country name) ছাড়া আর কোন কিছুই বলে না। এতে কি তারা তাদের জাতির পিতা বা মাতাকে অসম্মান করছে? মোটেই নয়। তার সম্মান তার জন্য ঠিকই আছে। এক ফোটা কমে নি এবং কমবেও না । এটা হচ্ছে চেতনা, ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ, চাপিয়ে দেওয়ার জিনিস না । “জয় বাংলা” যেমন আসছে ভালোবাসা থেকে ঠিক তেমনি জয় বঙ্গবন্ধুও আসা উচিত ভালোবাসা থেকে, না চাপ থেকে! সুতরাং, সবার কাছে আশা করব - আপনার ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন, তাই বলে আপনার ভালবাসা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেন না দয়া করে! মনে রাখখবেন প্রত্যেকের নিজস্ব আলাদা দৃষ্টি ভঙ্গী রয়েছে দেখার জন্য।
পুনশ্চঃ গঠনমূলক মন্তব্যকারীরা most welcome, কিন্তু নসিহতকারী দালাল, সুবিধাভোগকারীদের জন্য আমার স্ট্রেইট কথা CTN। “এত ভালোও ভালো না” !
©somewhere in net ltd.