![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারন ...
আজকে যারা গণজাগরণ মঞ্চ-কে “গজা মঞ্চ” বলছেন তাদের বেশির ভাগই কিন্তু এই মঞ্চের সমর্থক ছিলেন অল্প কিছুদিন আগেও । আপনাদের হিসাবে অনুযায়ি গণজাগরণ মঞ্চের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে গেছে সেদিনই যেদিন কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে পরিবর্তন করা গেছে ! সুতরাং এখন সেটা “গজা” মঞ্চ ! কেন সেটা মনে হলো আপনাদের ? কেউ কি বলবেন ? এই যে প্রশ্নটি করলাম তাই এখন “গজা” বলা লোকজন আসবেন বাল-ছাল অনেক কিছু বুঝাইতে । ভাই আপনাগো কোন কিছু বোঝানোর দরকার নাই, সবই আমরা বুঝি । আপনারা হচ্ছেন সেই সব আবাল বা লুজার যারা চামে নিজেরেও হিরু বানানোর স্বপ্নে বিভোর আছিলেন ! বেশি কইয়া ফেলাইলাম নাকি ?
আচ্ছা বলেন তো ভাই বা বোনেরা (যে কেউই হোন না কেন আপনি) - গণজাগরণ মঞ্চ-কে কেন গজা মঞ্চ বলছেন ? গণজাগরণ মঞ্চ তো কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি না; তাই না ? এটা কোটি মানুষের চেতনার জায়গা । গুটি কয়েক মানুষের জন্য তো সবার চেতনাকে অপমান করতে পারেন না; তাই না ? গণজাগরণ মঞ্চ ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে । একে কেউ “গজা মঞ্চ” বা অন্য যে কোন নাম দিয়ে আর মুছে ফেলতে পারবে না । হ্যা, এটা ঠিক এই আপনাদের মত মানুষ্দের জন্য ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষরা রাজপ্থে বের হবে কিনা সেটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন !
এখন আসি কিছু বাস্তব ভিত্তিক সমীকরণে । বাস্তবতার আলোকে আলোচনাটা করি । আচ্ছা আপনারাই বলেন একটা মুভমেন্ট চালাতে হলে অবশ্যি টাকার প্রয়োজন; তাই না ? নাকি হাওয়ায় হাওয়ায় কোন মুভমেন্ট চলে ? টাকা ছাড়া কি কোন কিছু করা সম্ভব আজকের দুনিয়ায় ? বলেন না; সম্ভব কিনা ? সম্ভব না । গণজাগরণ মঞ্চের নামে আজকে চাদাবাজি করার কথা উঠছে ! কি হাস্যকর একটা বিষয়; তাই না ? কত টাকা উঠেছে ২ কোটি ? ৫ কোটি ? ১০ কোটি? ২০ কোটি ? কেউ কিন্তু জানেন না । শুধু আঙ্গুল তুলছেন তাদের প্রতি । কেন ? কারণ এখন আপনারা তাদেরকে বির্তকিত করতে চান । তাও আবার সবাই না বিশেষ কিছু গোষ্ঠি ! যদি বলি তারা জামাত-শিবিরের পেইড; খুব কি বেশি বলা হয়ে যাবে ? যাবে না মনে হয় । কারণ, বর্তমান মার্কেটে জামাত-শিবিরের পারপাস তারাই সার্ভ করে দিচ্ছেন ! মার্কেটে এখন জামাত-শিবির দেখা যায় না, আছে তাদের পেইড এজেন্ট বা চেতনা নামধারী ব্যবসায়ী বা বুদ্ধিবেশ্যাগুলা । যারা উঠে পড়ে লেগেছেন গণজাগরণ মঞ্চ-কে বদনাম করার জন্য ।
ওহ যে কথা বলছিলাম, গণজাগরণ মঞ্চ কোটি কোটি টাকা তুলছে, বেশ ভালো কথা । সেই টাকা কি আপনি দিছেন বা আপনি নিজে দেখছেন টাকা দিতে ? আল্লাহর ওয়াস্তে সেই ৫ ছাত্র সংগঠনের নাম নিয়েন না । যারা নিজেরাই তাদের প্রেস কনফারেন্সে বলেছে এই টাকা আদান-প্রদানের সময় সরাসরি জড়িত ছিলো । আপনিও যেমন জানেন আমিও তেমন জানি চোরে চোরে মাসতুত ভাই । পাচ ছাত্র সংগঠনই এখন কার পারপাস সার্ভ করছে তা ভালই বোঝা যাচ্ছে । তাই বলে মনে কইরেন না যে আমি গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-পোতাদেরকে ডিফেন্ড করছি। আমি ওদেরকে ডিফেন্ড করছি, আমি আমার, আপনার এবং তাদের ভূলগুলা ধরার চেষ্টা করছি আমার মত করে । কারণ, গণজাগরণ মঞ্চের সাথে আর সবার মত আমার চেতনাও যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । আমি আমার টাইম লাইনে কিছুদিন আগে আমারই দেওয়া আমার স্ট্যাটাসটা রেখে দিয়েছি, ডিলিট করিনি । করবও না । ওখানে আমিও গণজাগরণ মঞ্চকে নিয়ে বিষোদাগার করেছি । সেটা করেছি আমার ভুল কিছু চিন্তা-ধারা থেকে । কিন্তু পরে আমি যখন বিশদ দিক নিয়ে চিন্তা করেছি তখন মনে হয়েছে আমি কত বোকা ? ৫৭ ধারার ফ্যাকরায় বাধা, তা না হলে অনেক কথাই বলা যেত ।
আমি বুঝি না গণজাগরণ মঞ্চের সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ সরাসরি স্বীকার না করে ইনিয়ে-বিনিয়ে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার কেন করছেন ? আরে বাবা সমস্যা কোথায়; টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করাতে ? আবারো বলছি এই রকম একটা মুভমেন্ট চালানো তো আর মুখের কথা না; তাই না ? হাওয়ার উপর ভরসা করে তো আর এরকম একটা মুভমেন্ট চলতে পারে না ! নাকি পারে ? আর এই বিদেশ-বিভূইয়ে বসে আমরা যতটুকু দেখেছি বা শুনেছি তাতে জানি যে এই টাকাগুলা টাকার মালিক স্বইচ্ছায় মঞ্চকে দিয়েছে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করার জন্য, খাবার-দাবার কেনার জন্য। আরে বাংলাদেশের এত সব রাজনৈতিক দল আছে তারাও তো তাদের দল পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা সাহায্য নিয়ে বেড়ান । নাকি এখন বলবেন এই সব দল চলে তাদের নেতার বাপের বাড়ির টাকায় ? যেহেতু মঞ্চের মুখপাত্র হিসাবে ইমরান এইচ সরকার দায়িত্বে ছিলেন সুতরাং সেই টাকাগুলা গ্রহণ করেছেন । এতে সমস্যার কি আছে ? আচ্ছা হলোই না হয় তারা দু-এক টাকা এদিক সেদিক করে খরচ করে ফেলেছে, তাতে কার বাপের কি আসে যায় ? যারা টাকা দিল তাদের মাথা ব্যাথা না অন্যের ঘুম হারাম হয়ে গেছে ! এ যে মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি অবস্থা ।
যেই সব বুদ্ধিবেশ্যারা আজকে কোমরের কাপড় তুলে এদের পিছে লেগে আছেন কই তাদেরকে তো দেখি না সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাইতে ? বা সোনালী ব্যাংক বা রুপালী ব্যাংক বা বেসিক ব্যাংকের মত জায়গায় এত বড় বড় দুর্নীতিতে কথা বলতে ! নাকি এই সব ব্যাপারে কথা বললে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়ে যাবে ? ইতিমধ্যে আপনারা তো সবাই ভুলে বসেই আছেন পদ্মা সেতুর কথা । কি না হলো এই পদ্মা সেতু বানানো নিয়ে ? এখন কি অবস্থা এর ? কোন অবস্থায় নায় । সংসদ নির্বাচন তো শেষ । আবার কেউ তো বললেন না দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক, প্রাক্তন সাংসদ এ বি এম মুসা সাহেবের মৃত্যুর পর কেন তাকে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হলো না বা তার শেষ নামাজে-জানাযা সংসদ ভবন প্লাজায় করা হলো না ? না আপনারা তো এসব বলবেন না, কারণ এগুলা বললেই তো ৫৭ ধারা চলে আসে ! ভয় পাওয়া লাগে । যদি গ্রেফতার হয়ে পড়েন ।
আমাদের প্রাণ প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি স্বয়ং নিজে মহান সংসদে সংসদ অধিবশন চলাকালীন সময় নিজ আসন হতে দাড়িয়ে বলেছিলেন “তার মনও পড়ে থাকে শাহাবাগে” । আমরা জানি উনি নিজেও যুব চেতনাকে নিজের আপন স্বত্তায় ধারণ করেন । আর আজকে কি এমন হলো যে উনি এই বিষয়ে একটি কথাও বলছেন না ? আমি আবার ৫৭ ধারায় পরে গেলাম নাতো ? আমার বিশ্বাস আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে কেউ না কেউ ভূল বোঝাচ্ছেন । যা কিনা তার তথাপি দলের জন্যই বড় ক্ষতি । তাকে আমাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে ।
এক জায়গায় একসাথে অনেক্গুলা হাড়ি-পাতিল থাকলে ঠোকাঠুকি এক-আধটু যে হবে তা সবাই জানে । কিন্তু তাই বলে হাড়ি-পাতিলগুলাকে তো আর তুলে ফেলে দেওয়া যায় না । আজকে আপনারা একে বলছেন “গজা” মঞ্চ ! ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে সমস্যা ? ঠিক আছে তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দাও । তা না পুরা গণজাগরণ-কেই খেয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে !
অনেকে আবার এই গণজাগরণ মঞ্চকে প্রশাসনের উপর প্রেসার গ্রুপ হিসাবে দেখচ্ছেন । এতে খারাপের কি হলো ? প্রশাসনের উপর যদি কোন “প্রেসার গ্রুপ” না ই থাকে তবে প্রশাসন ঠিকভাবে কাজ করবে কিভাবে ? তাদেরও তো ভুল-ত্রুটি হয় নাকি ? না তারা ফেরেশতা, যে তাদের কোন ভুল হয় না । সুতরাং সেই ভুলগুলা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য কাউকে না কাউকে তো দরকার । দয়া করে কেউ বলতে আইসেন না বিরোধী দলগুলা তো আছেই আমাদের হয়ে কথা বলার জন্য ! ঠিক আছে বিরোধী দলের সাথে সাথে অন্য একটি গ্রুপও না হয় থাকলো এই প্রেসার গ্রুপ হয়ে, যারা কিনা প্রশাসনের সাথে সাথে বিরোধীদের ভুল-ত্রুটিও ধরিয়ে দিবে । আর এই গ্রুপ নিজেও যদি ভুল-ত্রুটি করে তবে তো প্রশাসন রইলোই তাদের জন্য । বর্তমানে বিরোধী দলের যে অবস্থা, প্রশাসনকে প্রেসারে রাখবে কি উল্টা প্রশাসনই তাদেরকে প্রেসারে রেখেছে ! কোন এক সময়কার বৃহৎ বিরোধী দল বা ৩ বারের (১ বার বিতর্কিত) নির্বাচিত দলকে তো এখন আর মাঠেই দেখা যায় না । তারা সবাই ব্যস্ত নিজেদেরকে বাচানোর জন্য । মানে গ্রেফতারের হাত থেকে । এই যদি হয় নেতার অবস্থা তাহলে তো দেশের কি অবস্থা হবে তা তো বলাই বাহুল্য ! এতদিন শুনে এসেছি পুলিশের মাইর আর জেলে না গেলে বলে নেতা হওয়া যায় না ! সেখানে তারা জেলে যাওয়ার ভয়ে রাজপথে না নেমে তালেবানী স্টাইলে ঘরের চিপা থেকে ভিডিও মেসেজ দেয় ! আর তাদের চেয়ারম্যান এবং ভাইস-চেয়ারম্যানের মাথায় তো এখন পুরাই গেছে । ৪৩ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তন করায় ব্যস্ত !
আমার হিসাবে তার-ই নীতি বাক্য বলা সাজে যে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায় । আপনি বেনিফিট খাবেন, আরেক জনের থেকে টাকা নিয়ে তার পারপাস সার্ভ করবেন আর এসে আমাকে নীতি বাক্য শোনাবেন, আপনার ড্যাশ মারি !
আজকে ছাত্রলীগ আর বাম এক সাথে হয়ে গেছে ! যা কিনা কষ্মিনকালেও চিন্তা করা যেত না । যেখানে ওপেন সিক্রেট একটি বিষয় যে - এই বামরা সহ কতিপয় বিপথগামী সেনা-সদস্য এবং ফিডম পার্টি সরাসরি জড়িত ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পুরো পরিবারকে হত্যার জন্য । এ কথা কে মুখ ফুটে বলবে ? ৫৭ ধারা চলে আসে যে ! এবার আসি হেফাজতের কথায় । হেফাজতের শফি হুজুর ভাষণ দিচ্ছেন - আওয়ামিলীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ আর তারা নাকি এখন ভাই ভাই ! কি আশ্চর্য্য তাই না ? এই সেদিনও হেফাজত ছিলো দুশমন । যেখানে মহান সংসদে বসে তার একটি স্টেটমেন্টের জন্য বিভিন্ন এএমপি-মিনিষ্টাররা শফি হুজুরকে ধূয়ে দিলেন । তেতুল হুজুর, লালা হুজুর কত কিছুই না বলা হলো তাকে ! এখন আবার সেই হুজুর ভালো হয়ে গেলো ? ক্ষমতা যে কি জিনিষ তা তো এখন দিনের আলোর মত পরিষ্কার ।
আবার আসি গণজাগরণ মঞ্চে । গণজাগরণ মঞ্চ-কে সেই সময় জামাত-শিবিরেরা নাস্তিকতার উপাধি দিলো আর আজ দিচ্ছেন আপনারা । ব্যাপারটা কেমন কেমন হয়ে গেলো না ? তখন জামাত-শিবিরেরা বললো এরা গাঞ্জা খায়, মদ খায়, সিগারেট খায়, মাগী লাগায়, বেলাল্লাপনা করে ইত্যাদি ইত্যাদি । আজকে সেই আপনারাই (যারা কোন এক সময় এই আন্দোলনের কোর সদস্য বা সমর্থক ছিলেন) আবার সেই সুরে কথা বলছেন ! কি আশ্চর্য্য তাই না ? সারা পৃথিবী জুড়ে সবাই জানে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা অনেক পায়াস (পবিত্র) । তারা মদ-গাজা-সিগারেট খায় না । কথাটা কি সত্যি ? না সত্যি না ? এই বর্তমান যুগে গুটিকতক শ্রদ্ধেয় হুজুর এবং এই লাইনে পড়াশুনা করা কিছু মানুষ ছাড়া বাকি সবাই প্রতিটি খারাপ কাজ করেন (কম-বেশি)। খোদ এই ইংল্যান্ডের পূর্ব লন্ডন শহরের বাঙ্গালী পাড়া নামক বিখ্যাত হোয়াইট চ্যাপেলে এমন প্রচুর মুরুব্বী এবং যুব সমাজ দেখা যায় যারা অহরহ ধূমপান করছেন । আর করছেন ইয়া বড় বড় দাড়ি, মাথায় টুপি এবং গায়ে জোব্বা ! আমার প্রশ্নটা এখানেই - কেন আমি বা আপনি ধর্মীয় লেবাস (ধর্মীয় লেবাস বললাম এই কারণেই যে দুনিয়া জুড়ে সবাই জানে মুসলমান ধর্মের লেবাস এইটা) পরে এসব অপকর্মগুলা করব ? অন্যের কথা কি বলব, আমি আমার কথায় বলি - লন্ডনে অন্য ধর্মের মানুষের সাথে যখন আমি সিগারেট বা বিয়ার খাই তখন তারা একটু অবাক হয়ে যায় যে একজন মুসলমান হয়ে কিভাবে আমি এটা করছি ? আমার ধর্ম তো এটাকে সাপোর্ট করে না ! সত্যি কথা বলতে কি তখন কিন্তু আমি নিজেও একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি । এই যা কারো ধর্মানুভূতিতে নাড়া দিয়ে ফেললাম না তো ?
এই যে নোটিশটা করলাম এটা কি ভূল করলাম ? আমি দীর্ঘ্য সময় ধরে মিডিয়াতে কাজ করে আসছি এবং তার ফলশ্রুতিতে এখানকার বাঙ্গালী কমিউনিটির দু-একটা টিভিতে কাজও করেছি । সেই সুবাদে এখানকার অনেক বড় বড় হুজুরদের সাথে আমার কথা-বার্তা হয়েছে । তাদেরকেও আমি অনেক বার এই বিষয়গুলো নোটিশ করেছি এবং তারাও তা টিভিতে বসে অন-এয়ার এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন । ধূর আমি তো আমার কথাই বলা আবার শুরু করে দিলাম ! এই হচ্ছে আমার দোষ । আচ্ছা যাই হোক আবার আগের কথায় ফিরে আসি - যে সব লোকজন এখন গণজাগরণ মঞ্চ-কে বিতর্কিত করার জন্য এই সব কথা বলে বেড়াচ্ছেন যে তারা সেখানে যে সব ডোনেশন পেয়েছে তা দিয়ে মদ-গাজা খেয়ে উড়িয়েছে । এই কথা শুনে হাসি ছাড়া আর কিছু আসতাছে না আমার । আপনাদের এমন অনেককেই আমি ব্যক্তিগত্ভাবে চিনি যারা সন্ধ্যার পর কে কি করেন । আমরা যখন স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠান করতাম তখন স্কুল থেকে বাজেট পেতাম স্কুলকে সাজানোর জন্য । আর এটা পেতাম রাতে যারা আমরা কাজ করতাম । সেই টাকা দিয়ে খাবার-দাবার কেনার সাথে সাথে কিছু টাকা বাচিয়ে যারা বড় ছিলাম তারা আবার বিড়ি-সিগারেট (এর চেয়ে বেশি কিছু না) কেনায়ও ব্যবহার করতাম । তো তাই বলে কি আমরা খারাপ হয়ে গেছি নাকি ? নাকি এখন আমাদের বিচারের কাঠ-গড়ায় দাড়াতে হবে যে কেন আমরা স্কুলের টাকায় বিড়ি-সিগারেট কিনে খেলাম ?
যাক এবার শেষ করি অনেক বড় লেখা লিখে ফেললাম - ইমরান এইচ সরকার যদি নতুন কোন রাজনৈতিক দল খোলার ঘোষণা দিয়ে থাকে তবে এটা সম্পূর্ণ্য তার বাক্তিগত অভিমত হবে বলে আমার বিশ্বাস । এতে গণজাগরণ মঞ্চের বিন্দু মাত্রও ক্ষতি হবে । সে তার আপন গতিতেই চলবে । যারা একে ভারতীয় (অনীল কাপুর অভিনিত) “নায়ক” ফিল্মের সাথে তুলনা করতে চান না তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই - সেটা না হয় নিছক ফিল্মই ছিলো তাই বলে কি এভাবে আমরা চিন্তা করতে পারি না ? চিন্তা করতে দোষ কি ? ঘূণে ধরা এই সমাজকে তো আমাদেরই শুদ্ধ করতে হবে । অনর্থক চিলে কান নিছে বলে চিলের পিছে না দৌড়িয়ে কষ্ট করে নিজের কানের জায়গায় হাত দিয়ে দেখুন না তা ঠিক জায়গায় আছে কিনা ? আর কোন গোষ্ঠিরই উচিত হবে না এই রকম একটি মুভমেন্টকে খেয়ে ফেলার । এই মুভমেন্টটা দরকার রাষ্ট্রের স্বার্থে । যে কোন গষ্ঠীকে তার নিজ কক্ষ পথে সঠিকভাবে অবস্থান ধরে রাখার জন্য এর বিকল্প নেই । আজকে গণজাগরণ মঞ্চ আছে বলেই জবাবদিহিতার একটি ভয় আছে, তা যে পক্ষই হোক না কেন ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৩১
েমাঃ ঈশা খান রােশদ বলেছেন: ভাইয়া আমি কিন্তু ইমরান-কে এখানে পাইরোটি দেই নাই । আমার কথা হচ্ছে আমাদের গণজাগরণ নিয়া .....
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: আপ্নে মনে হয় দরবেশ বাবার টিভিতে ইম্রান সরকারের রিসেন্ট টক শোটা দেখেন নাই???