নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিনাক্ষী

'রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।' খটকা লাগল,কী জানি বানিয়ে বললেম নাকি। ও বললে, থাক এখন যাও ও দিকে।' সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে। আমি চললেম একা।। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মিনাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প- প্রত্যাবর্তন

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

অনেক অনেক কাল আগের নয়, এই সময়েরই কথা। দেশটির নাম বাংলাদেশ। এখানে সবাই বাংলায় কথা বলে, বাংলায় গান গায়, বাংলাতেই লিখে যত গল্প-উপন্যাস। বাংলাতে মধুর আলাপ, আবার বাংলাতেই কলহ-বিবাদ।





সীমান্ত। আঠারোটি বসন্তের সাক্ষী সে। এই দেশেরই ছেলে। লিখতে ভালোবাসে। সে কখনো কবি, কখনো গল্পকার। লিখে চলে মনের আনন্দে। তার গোটা গোটা হস্তাক্ষরে সাদা পৃষ্ঠাগুলো হয়ে যেতো কালো কিংবা নীল বর্ণময়। সে লিখতো তার নয়নাভিরাম গ্রামের কথা, গ্রামের শান্ত ছোট্ট নদীর কথা, দুরন্ত বেগে ছুটে চলা ঘাসফড়িং এর কথা। রঙ্গীন প্রজাপতি তার কবিতায় ডানা মেলতো, পাখপাখালির অর্থহীন কলকাকলি হয়ে উঠতো অর্থময়, পায়ে আলতা পড়া অষ্টাদশী হতো সরলা প্রেয়সী কিংবা রহস্যের আধার। তার লেখনী ছিল সহজ ও সরল। কোন জটিল শব্দের ব্যবহার নেই, নেই কোন বাহুল্য। তার লেখা গল্প কিংবা কবিতার কোন পাঠক ছিলনা, ছিল অসংখ্য শ্রোতা। লেখক যখন হয়ে যেতো সরব পাঠক জোৎস্না রাতের অগণিত তারারা তখন তার সাক্ষী হয়ে থাকতো। সীমান্ত ঘুমিয়ে পড়তো তারাদের ঘুমানোর আগেই আর প্রতিটা নতুন সূর্যদোয় তার কাব্য রচনার অসীম উপকরণ নিয়ে আসতো।







দিনগুলো যাচ্ছিলো দিনেরই মতো। একদিন সীমান্তের সাথে পরিচয় হলো অসীমের। অসীম আধুনিক গল্পকার। তার লেখার কোন শ্রোতা নেই, আছে অনেক অনেক পাঠক। সে ছিলো ব্লগ-দুনিয়ার অতি জনপ্রিয় একজন লেখক। গল্পগুলো হতো রূপক এবং কল্পনাপ্রবণ। গল্প লিখতে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ নষ্ট করার কোন দরকার নেই, নেই কলমের কালি শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়। কাঁটাছেড়াবিহীন সমান আকারের কালিবিহীন বর্ণময় অক্ষরে অস্তিত্বহীন কিন্তু দৃশ্যমান কাগজগুলো পরিপূর্ণ হয়ে যেতো।



- পাঠকবিহীন এমন লেখা তুমি লিখো কেন?

- লিখতে ভালো লাগে বলে!!

- এমন লিখায় কোন পাওনা নেই। যে নক্ষত্র প্রতিদিন মনের আনন্দে জ্বলছে কিন্তু আলোটুকু পৃথিবীর দুরত্বটুকু অতিক্রম করতে পারছেনা; যার অস্তিত্ব আমরা কেও জানিনা, তার আলো দেওয়ার কোন স্বার্থকতা আছে কি?

- সে স্বার্থক, কারণ তার আলো দেওয়ার ক্ষমতা আছে। সে কোন অকেজো পাথরখন্ড নয়।

- সে তার সামর্থ্যটুকু নিয়েও নিরর্থক জীবন পালন করছে, তার নামটুকু জানবেনা কেউ। সে যেন আলোবিহীন কোন পাথরখণ্ডের সমর্থক।

- নাইবা জানলো কেউ, তাতে কি আসে যায়?! সে তো তার ছোট্ট আলোময় সাম্রাজ্যে অসীম আনন্দের অধিকারী।

- যদি কোনোদিন আলো নিভে যায়? যদি সবাই ভুলে যায় একসময় সে ছিল জ্বল-জ্বলে কোন নক্ষত্র? তখন?

সীমান্ত অসীমের এই কথার কোন উত্তর করতে পারলোনা। সেই রাতে তারারা ঘুমিয়ে পড়লো সীমান্ত ঘুমোনোর আগেই। অসীমের যুক্তিগুলো মনের মধ্যে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল। সত্যিই তো। আচ্ছা তার সব খাতা যদি আগুনে ভষ্ম হয়? যদি সে তার লেখার ক্ষমতা হারায়? বোবা নক্ষত্ররাজি ছাড়া কেউই তো তার সৃষ্টির সাক্ষী হয়ে থাকবেনা। জানাতে হবে, সবাইকে জানাতে হবে। সরব মানবকূলকেই তার সাক্ষী হিসেবে চাই।







সীমান্ত নতুন কম্পিউটার কিনলো। অন্তর্জালের সাথে সংযুক্ত হলো। ব্লগ-দুনিয়ার নতুন সদস্য হলো। ততোদিনে কেটে গেছে মাসখানেক। এরমধ্যে সে নতুন কোন গল্প লিখেনি, নতুন কোন ছন্দ বুনেনি, তার নিয়মিত শ্রোতারা পায়নি পুরাতন বক্তাকে। সে গননাযন্ত্রের খুঁটিনাটি জানতে ব্যস্ত হয়ে রইলো। তার গল্প লেখায় মন নেই, কিন্তু আছে গল্প প্রকাশের সীমাহীন ইচ্ছা।





অবশেষে একদিন সে নতুন গল্প লিখলো তার চিরচেনা লেখনীতে। ব্লগের পাতায় স্থান পেলো সে গল্প। মন্তব্য পেলো মাত্র গোটা চারেক। “ ভালো হয়েছে, ভালো লাগলো, চালিয়ে যান, ব্লগে স্বাগতম”। কিন্তু তার কাছে এই অনেক পাওয়া হলো বলে মনে হলো।





এখানে লেখকের অভাব নেই। লেখাগুলো সীমান্তের কাছে দুর্বোধ্য বলে মনে হতো। এখানেও গল্পগুলোতে আছে আকাশ, পাখি, নক্ষত্র আর নদীদের কথা। কিন্তু কথাগুলো যেন ঠিক ওদের নয়, শব্দগুলো অন্যকিছুরই নামান্তর হয়ে উঠতো। আকাশের গল্প হয়েও আকাশের গল্প হয়ে উঠেনা, পাখির গল্প হয়না পাখিরই গল্প। কোন কোন শব্দ তার কাছে একেবারেই নতুন ঠেকতো। অথচ সবাই তাতে স্বতঃস্ফুর্ত মন্তব্য করছে। “ দারুণ, অসাধারণ, অপূর্ব” আরো কত উল্লসিত প্রকাশ তাদের!! যে গল্পের অর্থেরই সে কোন কূল-কিনারা করতে পারলোনা, তাতে এতো এতো লোকের অংশগ্রহণ!!





নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হতে লাগলো তার। এই বিশাল লেখক সাম্রাজ্যে তাকে তার জায়গা করে নিতেই হবে!! সে থামবেনা। লিখবে!

এক, দুই, তিন করে অনেক গল্পই আস্তে আস্তে জমা হতে লাগলো প্রকাশ বাক্সে। কিন্তু সে হিসেবে সাড়া মিলেনা পাঠকশ্রেণীর কাছে। মন্তব্যের দৌড় “খুব ভালো” পর্যন্তই। সীমান্ত লেখার আগ্রহ হারাতে থাকলো ধীরে ধীরে। এখন আর লেখায় আগের মতো আনন্দ নেই। লেখার উদ্দ্যেশ্য হয়ে উঠলো তাকে প্রকাশিত করার মোহ। খ্যাতির ক্ষুধা তাকে করে তুললো ঈর্ষাপ্রবণ। বিশেষ করে অসীমের পাতায় গেলে তার বড্ড বেশি হিংসে হতো। এতো এতো ভক্ত তার!! গল্পগুলো এতো বৈচিত্রময় আর কল্পনাপ্রসূত! সেতো এমন করে কোনোদিন লিখতে পারবেনা!

“ আপনার গল্প অসাধারণ লেগেছে বললে কমই বলা হবে, আপনার গল্প আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এতো ভালো কি করে লিখেন? এতো সহজ সরল কথা! কিন্তু একদম মনের কথা!! আরো অনেক অনেক গল্প চাই”।

সীমান্তের লেখা শেষ গল্প “মানবী” তে মন্তব্যটি ছিল দেবশ্রীর দেওয়া। এই প্রথম এতো বড় কোন মন্তব্য পেলো সে। দেবশ্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে ভুললোনা সে। এরপর থেকেই দেবশ্রী সীমান্তের লেখার নিয়মিত পাঠাক হয়ে উঠলো। প্রতিটা গল্প কিংবা কবিতায় দেবশ্রীর উল্লসিত মন্তব্য থাকতো।





অন্তর্জালের পৃথিবীতে সীমান্তের সাথে দেবশ্রীর যোগাযোগ হলো। দেবশ্রী ছিল তার মুগ্ধ পাঠক এবং উৎসাহদাত্রী। নিয়মিত আলাপচারিতা চলতে থাকে তাদের দু’জনের মধ্যে।

-আমার গল্প আপনার সত্যিই ভালো লাগে?

- মিথ্যে বলবো কেন?

- তাহলে, আর কারো লাগেনা কেন?

- লাগেনা কে বললো? হয়তো, যাদের ভালো লাগার কথা তাদের চোখ এড়িয়ে যায়। আর যাদের চোখ এড়ায়না, তারা হয়তো কার্পণ্য করে ভালো লাগাটা জানাতে।

- মানতে পারলামনা আপনার কথা। এইযে, চাঁদটা সুন্দর। কেউ কি তার সৌন্দর্যের উপমা দিতে একটুও কার্পন্য করে? যা সত্য-সুন্দর তাকে এড়িয়ে যাওয়ার কারণ নেই।

-চাঁদটা সবার চেনা, অনেকযুগের চেনা। তাকে সবাই দেখছে, জানছে। এখন যদি দ্বিতীয় কোন চাঁদের জন্ম হয় যে হয়তো গৌরচন্দ্রিকা নয়, শুরুতে তার উপমাতে ঠিকই কার্পন্য হবে। কিন্তু যতই চিনবে ততই তার উপমার অলংকার বৃদ্ধি পাবে। আপনি লিখতে থাকুন, দেখবেন আপনাকেও সবাই চিনবে!! আপনার অনেক নাম হবে দেখবেন!! আর যদি কেউ আপনার লেখা নাও পরে আমি কোনোদিন পড়তে ভুলবোনা!

- সত্যি?

- হুম সত্যি। চাঁদ তার আলো ছড়াবেই। তাকে চেষ্টাও করতে হবেনা। আর যদি না পারে, তবে সে চাঁদই নয়।

দেবশ্রীকে ভালো লাগে সীমান্তের!! অনেক ভালো লাগে। তার জীবনে দেবশ্রী ভালোবাসা হয়ে আসে। তাকে নিয়ে সে ছন্দ বুনে, গল্প সাজায়। লেখায় আগ্রহ ফিরে আসে ঠিক যেন আগের মতো। মৃত প্রজাপতি আবার তার রংগীন ডানা মেলে দেই, শুকিয়ে যাওয়া নদীতে নামে নব বর্ষার জল, পাখ পাখালিরা নতুন সুরে গাইতে শুরু করে। আকাশের নক্ষত্ররাজীও এখন তাদের পুরোনো গল্পকথক কে ফিরে পেয়েছে। আর সরব সাক্ষী? তার সৃষ্টির সাক্ষী হিসেবে একজনই তো যথেষ্ট......



















এক যে ছিল গরু

গল্প হলো শুরু

এক যে ছিল গাধা

গল্প হলো আধা

এক যে ছিল মেষ

গল্প হলো শেষ।

আবারো ছাতা-মাথা গল্প লিখলাম। :)







































মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: দারুণ লেগেছে গল্পটা । ++++++

আর একটা ব্যাপারে ওয়াও !! গল্পের নামের সাথে আমার আইডি মিলে গেছে । মজা লাগল ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

মিনাক্ষী বলেছেন: আপনার নাম দেখেও আমিও বেশ মজা পেলাম। ভালো থাকবেন। :)

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: দারুন গাঁথুনী। শুভ কামনা।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

মিনাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: “ আপনার গল্প অসাধারণ লেগেছে বললে কমই বলা হবে, আপনার গল্প আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এতো ভালো কি করে লিখেন? এতো সহজ সরল কথা! কিন্তু একদম মনের কথা!! আরো অনেক অনেক গল্প চাই”।


আমারও ঐ একই কথা ;) :)

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

মিনাক্ষী বলেছেন: হে হে হে। ;) ;)

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এক যে ছিল গরু
গল্প হলো শুরু
এক যে ছিল গাধা
গল্প হলো আধা
এক যে ছিল মেষ
গল্প হলো শেষ।
আবারো ছাতা-মাথা গল্প লিখলাম।


এইটা বেশ মজার হইছে। চান্স পেলে আমিও ব্যবহার করব একদিন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫

মিনাক্ষী বলেছেন: কবিতাটা আমিও ধার করছি। :P

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার লেখায় পরিবর্তন পেলাম কিছু। উপমা এবং অলংকরনে কিছুটা বাড়তি মনোযোগ। ভালো লাগলো।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

মিনাক্ষী বলেছেন: অলস মস্তিস্ক আকামের কারখানা। কাজ নাইতো তাই বইসা বইসা অলংকার পড়াইসি। ;)

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: “ আপনার গল্প অসাধারণ লেগেছে বললে কমই বলা হবে, আপনার গল্প আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এতো ভালো কি করে লিখেন? এতো সহজ সরল কথা! কিন্তু একদম মনের কথা!! আরো অনেক অনেক গল্প চাই”।


আমারও ঐ একই কথা ;) :)

:P :P

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

মিনাক্ষী বলেছেন: মামুন রশিদ আমার কপি করলো, আপনে তিনার কপি করলেন। এতো দেখি কপি আর কপি। ;) :P :P

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

বোকামন বলেছেন:
সহজ সরল প্রাঞ্জল গল্পে ৬ষ্ঠ্য ভালোলাগা
সব গল্পের মাথাতেই ছাতা থাকে :-)

ভালো থাকুন লেখক...।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

মিনাক্ষী বলেছেন: সব গল্পের মাথাতেই ভালো ছাতা থাকে, আমারটায় ছেড়া ছাতা। আপনিও ভালো থাকবেন। :)

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

আমি ইহতিব বলেছেন: ছাতা মাথায় দেয়া গল্প ভালো লেগেছে ;)

পরশুদিনই দেখেছি আপনার পোস্ট, সময় স্বল্পতায় পড়া হয়নি। শুরুটা ভালো লেগেছিলো বলে বুকমার্ক করে রেখেছিলাম তাই আজ আবার এলাম। ভালো লিখেছেন।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

মিনাক্ষী বলেছেন: কি করছেন এইডা? এক্কেবারে রেকর্ড। আমার গপ বুকমার্ক কইরা রেকুর্ড কইরা ফেললেন। অভিনন্দন অভিনন্দন। ;)

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

সায়েম মুন বলেছেন: গল্প আধাআধি হলো বোধয়। আর একটু বিশদ করে খোলাসা হলে মন্দ হতো না। :P

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:০৩

মিনাক্ষী বলেছেন: ওকে। আরেকদিন মেষের গল্প শুনামু। :P

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

মেইড ইন চিটাগং বলেছেন: আপনি আসলেই ভালো লেখেন।চালিয়ে যান :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.