নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত চিন্তা, সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক বিশ্বভ্রম্মান্ডের বিশাল বারধিতে।

মিছবাহ উল হক

সত্য, সুন্দর, অনন্ত, অসমাপ্ত ভবিষ্যতের পানে আমার ছুটে চলা।

মিছবাহ উল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকুরির জন্য মামা আর ভর্তির জন্য আব্বা !!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা শেষ করে ভর্তিযুদ্ধে মেধার স্বাক্ষর রেখে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান ও গর্বিত মনে করেছিলাম। কিন্তু দিন যাওয়ার সাথে সাথে জানতে পারলাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু মেধা দিয়ে নয় কোটা দিয়েও অনেক ভালো বিষয়ে চান্স পাওয়া যায়। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, উপজাতি কোটা, অ-উপজাতি(পার্বত্য বাঙ্গালি) কোটা, খেলোয়াড় কোটা, শিল্পী কোটা ও ওয়ার্ড় কোটাসহ বিভিন কোটার প্রচলন আছে। মুক্তিযোদ্ধা ও আদিবাসী কোটা নিয়ে অনেকের ভিন্ন মত রয়েছে কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে এই দুই কোটার সুফলের চেয়ে কুফলটাই বেশি পরিলক্ষিত। সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদর্শন করেও আজকাল অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছে আর সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তার পরিবার নিয়ে অসহ্য জীবনযাপন করছে। উপজাতি ও অ-উপজাতি(পার্বত্য বাঙ্গালি) কোটায় ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদর্শনের রমরমা ব্যবসা চলছে। শুনেছি নাম মাত্র মুল্যেও এই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। খেলোয়াড় কোটা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে। খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করলে তাদের জন্য পাশ নাম্বার পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া হয়, যা একজন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর নাম্বারের এক-তৃতীয়াংশের ও কম। কোটা পদ্ধতির সবচেয়ে নগ্নরুপটি পরিলক্ষিত হয় শিল্পী ও ওয়ার্ড় কোটায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে মেধার বিপরীতে শিল্পীদের জন্য অনেক যোগ্য স্থান আছে জানলে অনেক অভিভাবক নিজের সন্তানকে ভালো লেখাপড়ার পরিবর্তে ভালো শিল্পী হওয়ার জন্য উদ্ধ্বুদ্ধ করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মচারী ও সংশ্লীষ্টদের সন্তানরা সাধারণত ওয়ার্ড় কোটার অন্তর্ভুক্ত। আদিবাসী,অ-উপজাতি(পার্বত্য বাঙ্গালি)-রা পিছিয়ে থাকার কারণে এই কোটা চালু থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মচারী ও সংশ্লীষ্টরা কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে তা আমার বোধগম্য নয়। এইসব কোটা পদ্ধতি নিয়ে লিখতে বসে একটা লাইন খুব বেশি মনে পরে গেল তাই না লিখে পারলাম না "চাকুরির জন্য মামা আর ভর্তির জন্য আব্বা !!" । এখন মনে হয়, আমার কোন দোষ নেই সব দোষ আমার বাবার। কেন তিনি আমাকে একটা কোটার ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি ? তাহলে তো জীবনটা অন্যরকম হতে পারত !! সামগ্রিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে এই কোটা প্রথাই উন্নত দেশ ও মেধাবি জাতি গঠনের প্রধান অন্তরায়। এই কোটা পদ্ধতির জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছর অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী হারাচ্ছে ।গবেষণার জন্য মেধা দরকার কোটা নয় । মেধার বিপরীতে কোটা প্রথা কখনো একটি মেধাবী জাতি গঠনের পুর্বঃশর্ত হতে পারে না । মেধার তীর্থস্থানগুলোকে কোটা মুক্ত করে মেধা যুক্ত করাই কাম্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.