![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য, সুন্দর, অনন্ত, অসমাপ্ত ভবিষ্যতের পানে আমার ছুটে চলা।
একবিংশ শতাব্দি, হয়তো আমরা এখন সভ্যতার চুড়ান্ত পরিসরে। কিন্তু এই সভ্য সমাজে বিভিন্ন ধর্মীয় চেতনায় আঘাত, প্রতিহিংসার যের ধরে মানুষ হত্যা প্রমাণ করে আমাদের চিন্তা-চেতনা ও আচরণ-ভঙ্গি এখনো আমাদের পুর্ব পুরুষদের মত বর্বর ও পাশবিক। আমাদের চিন্তা-চেতনার আগ্রাসি বর্বরতার বীভৎস রূপ দেখা যায় ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনে সস্তা প্রশংসা কুড়ানো, সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বৌদ্ধ-পল্লী পোড়ানোর মত ন্যাক্কারজনক সহিংসতা। বর্বর আচরণ-ভঙ্গির সর্বশেষ ভয়ঙ্কর উদাহরণ রাতের আধারে ব্লগারকে কুপিয়ে মানুষ হত্যার মত নিন্দনীয় কাজ।
ধর্মীয় অনুধাবন ও মুল্যবোধ একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। যার যার ধর্ম তার তার। কোন ধর্মই অন্য ধর্মাবলম্বির উপর হামলার মত গর্হিত কাজে সংগ বা অনুপ্রেরণা দেয় না। সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের অপকারি দিককে কাজে লাগিয়ে অসাধু শ্রেণীর লোকরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মত ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। কিন্তু আমাদেরও কি একটু সচেতন হওয়া উচিত না? হুযুগে মোদাব্বেরের মত সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সব খবরাখবরকে যাচাইবাচাই না করে বাস্তব জীবনের সাথে সম্পৃক্ত না করা এবং সস্তা কিছু প্রশংসার জন্য ধর্মীয় অনুভুতির মত স্পর্শকাতর ব্যাপারে অহেতুক বিভ্রান্তকর তথ্য-চিত্র প্রকাশ থেকে বিরত থাকা।
অনেকের মতে ব্লগার রাজিবের লেখা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার মত এবং বিভ্রান্তকর। কোন ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়া কারো মুক্ত চিন্তা বা অহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না। ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশে কোন ধর্মকে কটাক্ক করে কথা বলার মত স্বাধীনতাও দেয়া হয়নি। ধরে নিলাম রাজিবের ব্লগগুলি ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার মত। কিন্তু তার জন্য তাকে মেরে ফেলতে হবে বা বিতাড়িত করতে হবে এই শাস্তি ব্যবস্থা ইসলাম ধর্মের কোথাও নেই। রাসুল (সাঃ) এর হাটার পথে কাঁটা বিছানো নারীকেও তিনি সেবা করেছেন এবং প্রকাশ্য নিন্দুক আবু জাহেলকে তিনি যথার্থ সম্মান করেছেন। এই বোধ বা আচরণ ভঙ্গি আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বা কারো প্রাণনাশের শিক্ষা দেয় না, বরং সৃষ্টি ও সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ট আশরাফুল মাখলুকাত হওয়ার শিক্ষা দেয়।
©somewhere in net ltd.