নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত চিন্তা, সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক বিশ্বভ্রম্মান্ডের বিশাল বারধিতে।

মিছবাহ উল হক

সত্য, সুন্দর, অনন্ত, অসমাপ্ত ভবিষ্যতের পানে আমার ছুটে চলা।

মিছবাহ উল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত দোষ নন্দ ঘুষের

১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

শুরুতেই সবার কাছে আমার সহজ স্বীকারোক্তি, আমি কোন ধর্ম বিদ্বেষী, সাম্প্রদায়িক বা অন্ধ সমালোচকদের কাতারে নিজেকে শামিল করতে চাই না। এই লিখাটা কোন সম্প্রদায় বা ধর্মকে কটাক্ষ বা আঘাতের নিমিত্তে নয়। এই লিখাটা মুলত অসাম্প্রদায়িকতার মুখোশে থাকা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মুল হোতা রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং সমালোচক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে।

সংখ্যালগু, সংখ্যাগুরু এই দুই শব্দের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে এমন দুইটা সাংঘর্ষিক অবস্থায় ফেলেছি যে যত দোষ নন্দ ঘুষের। সাম্প্রদায়িকতার নগ্নরূপটি দেখা যায় যখন কোন হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান মেয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের কারো দ্বারা ধর্ষিত হয়। তখন বিভিন্ন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, সমালোচক এবং মানবাধিকার সংগঠংনগুলোর রক্তচক্ষু গিয়ে পড়ে ইসলাম ধর্মের উপর। ধর্ষককে একটি ধর্ম বা জাতির মধ্যে ফেলে এ নিয়ে সংখ্যালগু নির্যাতন নামে বিশাল কলাম, মানববন্ধনের মাধ্যমে নিন্দার ঝড় তুলে কিছু সস্তা প্রশংসা কুড়ানোই যেন তাদের আত্মতৃপ্তি। উগ্র ধর্মপন্থী অসাধু চক্র এইসব ঘটনাকে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি যে যখন কোনো মুসলিম মেয়ে অন্য ধর্মাবলম্বি দ্বারা ধর্ষিত হয় তখন এইসব মূখোশধারী শয়তানেরা মূখ লুকায়। এই ঘটনাকে সর্বোপরি একটা বিচ্ছিন্ন ও সাধারণ অপরাধের কাতারে ফেলে ধামা চাপা দেয়া হয়। সম্প্রতি পরিমল, পোদ্দার, বাসুদেব কুমারদের মত কুলাঙ্গার, নরপিশাচদের হাতে নারী ধর্ষণের ঘটনা তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ। পরিমল বা পোদ্দারের ঘটনাকে কেউ সংখ্যাগুরু নির্যাতন বলেনা? এই সময় ঐ সব কুলাঙ্গার লেখক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মূখে কুলুপ এঁটে যায়। ফিলিস্তিনে যখন প্রতিবছর হাজার হাজার মুসলমান হত্যাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হয় অথবা মায়ানমারে যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নামে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা ও দেশচ্যুত করা হয় তখনও কিন্তু এইসব সংগঠনগুলো নীরব ভূমিকার মাধ্যমে তাদের বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। তার মানে এই সব সংগঠনগুলোর কর্মকান্ড কি শুধুই একটা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে? দায়িত্ব ও অধিকারের ব্যপারে এইসব সংগঠনগুলো কতটা স্বচ্ছ?

ধর্ষণসহ সব অপরাধই ধর্মের ভাষায় পাপ। আর আমার জানামতে কোন ধর্মেই পাপকে সমর্থন বা উৎসাহিত করা হয় না। বরং পাপের শাস্তি বিধান রয়েছে। তাহলে কেন পাপের দোষ পাপীকে না দিয়ে ধর্মের উপর এবং তার অনুসারীদের উপর বর্তায়? এইসব অন্ধ দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মত গর্হিত কর্মকান্ড সংগঠিত হয়। একটা জোকস মনে পড়ে গেল। ভগবান কখন সবচেয়ে নারাজ হন জানেন? যখন কোনো ধর্ষিতার মা বলে “ হে ভগবান এইটা তুমি কি করলা?” । বিশ্বজিত হত্যা বা ধর্ষণ কোনো সংখ্যালগু, সংখ্যাগুরু নির্যাতন নয় আইনি ভাষায় এগুলো অপরাধ আর ধর্মের ভাষায় অমার্জনীয় পাপ যা ধর্ম কখনো সমর্থন করে না। কোনো সম্প্রদায়কে দোষ না দিয়ে ধর্ম, মত নির্বিশেষে সবাইকে এইসব পাপীকে শাস্তি দানের আন্দোলনে শামিল করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.