![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য, সুন্দর, অনন্ত, অসমাপ্ত ভবিষ্যতের পানে আমার ছুটে চলা।
ছোটবেলা থেকে জেনেটিক্যালি গণিতে ভাল। তবুও অংক করতে গিয়ে মার খাইনি এইরকম দিন নেই। সংখ্যায় বা কথায় লিখতে বললেই বুকে ধুরুধুরু। কিন্তু তার মধ্যে জিরো(০) সংখ্যাটি দেখলে কেমন সহজ ও মজাদার লাগতো। ৯ এর পরে ১০ লিখতেই যেন আনন্দ। আস্তে আস্তে জিরো নিয়ে আরো মজার তথ্য শোনতাম শিক্ষকদের কাছে। স্যাররা মজা করে বলতেন “ জিরোর সাথে তোকে গুন করলে তুইও জিরো ”। জোড়-বিজোড় সম্পর্কে জ্ঞান হওয়ার পর জানলাম জিরো নিরপেক্ষ আর বাকিসব হয় জোড় না হয় বিজোড়। তখন থেকে ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ বেখাপ্পা মনে হত। জিরোকে প্রায়ই আমার জোড় মনে হত। আব্বাকে জিজ্ঞেস করলেই বলতো বড় হলে জানবি এখন বুঝবি না। কিন্তু এখনো আমার মনে হয় জিরো জোড়!! অনেক আগে থেকে আমি নিজেকে কিছু যুক্তি দিয়ে বুঝাতাম যে জিরো জোড়। যুক্তিগুলো দেখে অনেক গণিতবিদ হয়তো লাঠিসোঁটা নিয়ে বেধম মারধর করে বলবে “তুই অংক করতে গিয়া আগেও মাইর খাইতি, এখনও খাইতেছস, সামনেও খাবি”। চিন্তা করলাম ইন্টারনেটে তো আর কেউ মাইর দিতে পারবে না। এটাই সঠিক জায়গা গণিতবিদ ফলানোর জন্য।
• যেসব সংখ্যার শেষ ডিজিট জোড় সংখ্যা সে সংখ্যাগুলো জোড় সংখ্যা। যেসব সংখ্যার শেষ ডিজিট জিরো সে সংখ্যাগুলোও জোড় সংখ্যা। অতএব জিরো জোড়।
• জোড় সংখ্যার সাথে ১ যোগ করলে বিজোড় সংখ্যা পাওয়া যায়। তাহলে ০+১=১ অতএব জিরো জোড়।
• আমরা জানি, জোড়+বিজোড়=বিজোড়। তাহলে ০+১=১, অতএব ০ জোড়।
• আবার আমরা জানি, জোড়+জোড়=জোড়। তাহলে ০+২=২, অতএব ০ জোড়।
• -৪,-৩,-২,-১,০,১,২,৩,৪ সংখ্যা রেখার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ২টি বেজোড়ের মাঝখানে একটি জোড় এবং ২টি জোড়ের মাঝখানে একটি বিজোড় থাকে। অতএব -১,০,১ এর মাঝখানে ০ একটি জোড়।
• পুর্ণ সংখ্যার ভাগ অনুসারে ০ কে ২ দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ ০ পাওয়া যাবে। অতএব জিরো জোড়।
©somewhere in net ltd.