নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত চিন্তা, সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক বিশ্বভ্রম্মান্ডের বিশাল বারধিতে।

মিছবাহ উল হক

সত্য, সুন্দর, অনন্ত, অসমাপ্ত ভবিষ্যতের পানে আমার ছুটে চলা।

মিছবাহ উল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দেশি চিনেনা, সে লেয়ারও চিনেনা

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অনেকদিন আগের কথা, আমাদের বাসায় আমার খালা আর খালু বেড়াতে এসেছিলেন। খালু আবার দেশি মুরগী ছাড়া খান না। আম্মা আমাকে দেশী মুরগী আনতে বাজারে পাঠালেন। ছোটবেলা থেকেই আমি ভিডিও গেমসে উস্তাদ। “ডাবল ড্রাগন” খেলতে গেলেই গেমসের দোকানে একটা চাপা আতঙ্ক থাকতো। প্রতিদ্বন্ধীদের রাম রাম অবস্থা। বাজারের পাশেই ছিল গেমসের দোকানগুলো। সেদিন গেমসের দোকানে ঢুকেই তুলনামুলক বাঘা বাঘা প্রতিদ্বন্ধীদের দেখা পেয়ে গেলাম আর দেশি মুরগী কেনার টাকা দিয়ে খেলা শুরু করে দিলাম। কিছুক্ষণ খেলার পর দেখলাম যে টাকা আছে তাতে দেশি মুরগী কেনা সম্ভব না, ব্রয়লার কেনা সম্ভব!! কিন্তু ঐ মুহুর্তে খেলার যা অবস্থা খেলা ছেড়ে চলে আসলে ইজ্জতের রফাদফা হয়ে যাবে। তাই খেলা চালিয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম ওমা অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ত ব্রয়লারও কেনা সম্ভব না!! অনেক দোকান ঘুরাঘুরি করেও ঐ টাকা দিয়ে দেশি বা ব্রয়লার মুরগীর জীবাশ্মও মিলল না। ততক্ষণে আমার সব ইন্দ্রিয় উন্নত উত্তমমাধ্যমের ব্যাকুল প্রহর গুনছিল। একটা দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে যত দোয়া মনে আছে ঝপতে লাগলাম। হঠাত দোকানদার আমাকে ডেকে বললঃ মুরগী লাগবে?? আমি মাথা নেড়ে হ্যা সুচক জবাব দিলাম আর অবশিষ্ট টাকার পরিমাণ বললাম। সে বললঃ এই টাকা দিয়ে শুধু লেয়ার মুরগী পাব। অনেকটা আশ্চর্য্য হয়ে জিজ্ঞেস করলামঃ লেয়ার মুরগী আবার কি? দোকানি বললঃ এটা ডিম পাড়া মুরগী, মাংস একটু শক্ত। আনন্দে আত্মহারা হয়ে মনে মনে ভাবলাম এইটাই ত আমার চাই। দেশি মুরগীর মাংসও একটু শক্ত হয়। ড্রেসিং করে নিয়ে গেলে কোন বাপের চেনার সাধ্য নাই এইটা লেয়ার না দেশি? যেমন ভাবনা তেমন কাজ। খাওয়া দাওয়া শেষে আমার খালু মুরগী আর আমার ভুয়সী প্রশংসা করে ভাসিয়ে দিল। সেদিন একটা জিনিস হাড়ে হাড়ে বুঝলামঃ “যে দেশি চিনেনা সে লেয়ারও চিনেনা”।



আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থাও আমার খালুর মত। দেশের মানুষকে না বুঝে তারা শুধু জোর গলায় বলেঃ জনগন আমাদের সাথে, বিদেশিরা আমাদের সাথে। হেনতেন!! বুদ্ধি হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত কখনো কোন দলকে দেখিনি দুয়েকটা সমস্যাকে প্রাধান্য দিয়ে তার স্থায়ী সমাধানের প্রক্রিয়া সম্বলিত কোন নির্বাচনী ইশতেহার দিতে। উনারা সবাই “সুপার হিউমেন”। বাংলাদেশ সৃষ্টি থেকে আজ পর্যন্ত সব সমস্যার সমাধান সম্বলিত আয়ুর্বেদিক এক নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েই ওনারা সমৃদ্ধি, প্রগতি, দিন বদল আর দেশ, মানুষ বাচিয়ে একাকার করে ফেলেন। ওরে ঘচু রাজনীতিবিদ আমরা শান্তি চাই!! তোদের ওইসব ক্ষমতা পরিবর্তনে আমাদের দুইটাকা পরিমাণ সাদৃশ্য লাভ এখনো পর্যন্ত চোখেও পড়েনি। আমাদের সাদৃশ্য কোন লাভ দেখাতে চাইলে আগে দেশের মানুষকে বুঝ আর দিন থাকতে দিন বদল কর। দেশ-জাতির দুর্দশার রাতে দিন বদল করে লাভ নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.