নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
বারো
দেবপতি ইন্দ্রের নির্দেশ এসেছে নৃপতি বেণের কাছে- বহির্ষ্মতী থেকে আধা ক্রোশ দক্ষিণে যে অনার্য বানরজাতির বসতি রয়েছে, তাদেরকে উৎখাতের পর সেই বসতিতে মানবদের বসতি স্থাপন করে আশপাশের জঙ্গলাকীর্ণ ভূমি চাষযোগ্য করে ফসল ফলাতে হবে।
সবে এক বৎসর পূর্ণ হয়েছে বেণ নৃপতি হয়েছেন, এখন যুদ্ধে জড়াবার মোটেও ইচ্ছে নেই তাঁর, নৃপতি হবার পর সবকিছু গুছিয়ে নেবার জন্য তিনি কয়েকটা বৎসর যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে চান, এই সময়ের মধ্যে মানব যোদ্ধাদেরকে আরো চৌকস করে গড়ে তুলতে চান তিনি, পণি বণিকদের নিকট থেকে আরো ধাতুর অস্ত্র সংগ্রহ করতে চান। কিন্তু এখন স্বর্গ থেকে যুদ্ধের নির্দেশ আসায় তাঁর মন বিষন্ন, এমন সুন্দর বসন্তকালও দুঃসহ লাগে যেন! এখন বানরদের সঙ্গে যুদ্ধ হলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে মানবদেরই জয় হবে, কিন্তু দু-পক্ষেরই তো প্রাণ ক্ষয় হবে, যুদ্ধ মানেই তো মৃত্যু, স্বজন-প্রিয়জনদের বিয়োগব্যথার ভার বহন করা।
বেণের বাল্য-কৈশোরের দিনগুলোতে মানব বীররা যখন নানা প্রকার অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদ্য বাজিয়ে অনার্য কিংবা দৈত্য-দানবদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যেতেন, তখন তাঁর মনে হতো যুদ্ধ খুব আমোদের বিষয়, খুব অনুশোচনা হতো যেতে না পেরে, তাঁর মনে হতো- কবে যে বড় হবো, বড় হলেই যুদ্ধে যেতে পারব! তারপর কয়েকদিন পরেই যুদ্ধ শেষে যখন মানব বীররা ফিরে আসতেন, তখন তাদের মধ্যে পরিচিত অনেককেই আর দেখা যেত না, কিছু কিছু বাটীতে কান্নার রোল উঠত, তখন কয়েকটা দিন মনটা ভার হয়ে থাকত। কিন্তু আবার যখন মানব বীররা কোনো যুদ্ধে যেতেন, বাদ্য শুনে রক্তের ভেতরে যেন টঙ্কার বাজতো, সেই মন ভার হয়ে থাকার কথা তখন মনেই থাকতো না!
যৌবনে পা দেবার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধে যেতে শুরু করেন বেণ; সে কী উচ্ছ্বাস, সে কী উন্মাদনা তাঁর! সোমরসের মতো যুদ্ধও তাঁকে নেশা ধরিয়ে দিয়েছিল, শত্রুর রক্ত দেখবার নেশা! কিন্তু গত বৎসর দেড়েক হলো যুদ্ধের প্রতি অনীহা ধরেছে তাঁর। তাঁর এই অনীহার মূলে বাল্যসখা কুথান, কুথান তাঁকে বুঝিয়েছেন- ‘যতক্ষণ না কেউ তোমায় আক্রমণ করছে বা তোমার অন্বিষ্ট করছে, ততক্ষণ তোমার যুদ্ধে জড়ানো উচিত নয়। যুদ্ধের চেয়ে প্রেয়সীকে বুকে জড়িয়ে ধরে অলস নিদ্রা দেওয়া উত্তম। যুদ্ধে শক্তি ও সময়ের অপচয় না করে, পুরুষের উচিত- ভালোবাসার প্রতি এবং ফসল উৎপাদন ও পশুচারণের দিকে মনোযোগ দেওয়া।’
কুথান কেবল তাঁকেই বুঝিয়েছেন তা নয়, বিভিন্ন জাতির লোকের মাঝে তিনি এই বার্তা প্রচার করে বেড়ান কুথান, যাতে সব জাতি যুদ্ধবিমুখ হয়ে শান্তিতে বসবাস করে।
স্বর্গের ভূমি প্রায় নিষ্ফলা, বৎসরের চার মাস সেখানে বরফ পড়ে। দেবতাদের নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বলতে ফল, সবজী, অনার্যদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা কিছু ভূমিতে উৎপাদিত যৎসামান্য যব আর চমরি গাই ও নীল গাইয়ের দুগ্ধ। দেবতাদের জীবন ধারণের জন্য এসব যথেষ্ট নয়, ফলে জীবিকার জন্য তাদেরকে মানবদের করের ওপর নির্ভর করতে হয়। মানবরা তাদের উৎপাদিত ফসল এবং গবাদী পশুর একটা অংশ কর হিসেবে নৃপতিকে প্রদান করেন, নৃপতি তা থেকে ক্ষুদ্র একটি অংশ যজ্ঞের জন্য রেখে বাকিটা পাঠিয়ে দেন দেবপতি ইন্দ্রের নিকট। এছাড়াও দেবতাদের নির্দেশে সারা বৎসর নানা প্রকার যজ্ঞ করতে হয় মানবদের, সেই যজ্ঞের ভাগ পায় দেবগণ। দেবগণ তাদের জীবিকার একটি বড় অংশ পেয়ে থাকেন মানবদের কর এবং যজ্ঞভাগ থেকে। সঙ্গত কারণেই দেবগণ এখন যুদ্ধ চাইছেন যাতে মানবদের চাষের জমি বৃদ্ধি পায়, আর চাষের জমি বৃদ্ধি পাওয়া মানেই দেবগণের কর বৃদ্ধি পাওয়া। এই সহজ সত্যটি অনুধাবন করতে পারলেও নৃপতি বেণের নিজের কিছু করার নেই, দেবপতির আদেশ তাঁকে মানতেই হবে, এটাই রীতি। সেই স্বায়ম্ভূব মনুর কাল থেকে আজ অবধি এই রীতিই অনুসরণ করছে মানবরা।
মানবদের নিজেদের কল্যাণের কথা চিন্তা করলেও এখন ওখান থেকে বানরজাতিকে উৎখাত করা উচিত নয়। ওখানকার বানররা গৃহনির্মাণকলায় পটু, যব কিংবা গবাদীপশুর বিনিময়ে মানবরা ওদেরকে দিয়ে মজবুত গৃহ নির্মাণ করিয়ে নিতে পারে। এখন বানদের ওখান থেকে উৎখাত করলে গৃহনির্মাণ শ্রমিকের সংকট দেখা দেবে।
কিন্তু দেবপতির নির্দেশ অবশ্য পালনীয়। তবু যুদ্ধ বন্ধের শেষ চেষ্টা হিসেবে বেণ মনুর কাছে যান শলাপরামর্শ করতে, মনু মানবদের উপদেষ্টা, তিনি যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ করলে দেবপতি নিশ্চয় রাখবেন, যদি মনুর মাধ্যমে দেবপতিকে বুঝিয়ে যুদ্ধটা এই বৎসরের জন্য বন্ধ করা যায় তাহলে তা হবে মানবদের জন্য মঙ্গলজনক। এমনিতেই চাক্ষুস মনুর সময়ে মহাপ্রলয়ের কারণে মানবদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে; ভূমি ধ্বসের কারণে অনেক বসতি ধ্বংস হয়েছে, গবাদীপশু হড়পা বাণে ভেসে গেছে, অনেক মানুষ ভূমি চাপা পড়ে মারা গেছে এবং অনেকে বাণের জলে ভেসে গেছে। সেই ক্ষতি আজও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি মানবদের পক্ষে, তার ওপর এখন যুদ্ধ হলে আরো অনেক প্রাণ ক্ষয় হবে, যা মানবদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উপরে কারো হাত নেই, কিন্তু মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয় চাইলেই এড়ানো সম্ভব। একারণেই বেণের মনুর স্মরণাপন্ন হওয়া।
প্রভাতকালে আউলা বাতাস আর এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় বেশ শীত অনুভূত হওয়ায় মনু বৈবস্বত চমরি গাইয়ের চামড়ার চাদর গায়ে জড়িয়ে গৃহের অলিন্দে উপবেশন করে কাঠি দিয়ে ভূমিতে দাগ কাটতে থাকেন। তার পক্ককেশ মাথার উপরে চূড়ো করে বাঁধা। বেণের পায়ের শব্দে তিনি মুখ তুলে তাকান, বেণ নমস্কর জানালে তিনি প্রতি-নমস্কার জানিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলেন, ‘প্রভাতকালে নৃপতি যে! এসো এসো।’
তারপর মনু গৃহের দ্বারের দিকে তাকিয়ে কন্যার নাম ধরে ডাকেন, ‘কলাপী, নৃপতি এসেছে, উপবেশনের আসন দাও মাতা।’
পরক্ষণেই কৃষ্ণাজিন হাতে নিয়ে কিশোরী কলাপী বেণের সামনের দিকে ভূমিতে পেতে দিয়ে বলে, ‘বসুন ভ্রাতাশ্রী।’
বেণ কলাপীর মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, ‘শুনলাম তুই তীর নিক্ষেপে দারুণ দক্ষ হয়ে উঠেছিস!’
কলাপী মুখে কিছু বলে না, মৃদু হেসে নিচের ঠোঁটের আংশিক দাঁতে চেপে ধরে। বেণ আবার বলেন, ‘নিবিড় প্রশিক্ষণ চালিয়ে যা, তোকে আরো দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। পুত্রদের পাশাপাশি তোরা কন্যারও আর্যজাতির গর্ব হয়ে উঠবি। আমি পুত্রদের মতো কন্যাদের নিয়েও ধনুর্বাণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো।’
‘আশির্বাদ করবেন ভ্রাতাশ্রী।’
‘সবসময় আমার আশির্বাদ থাকবে তোদের জন্য।’
চলে যায় কলাপী। বেণ কুঁজো হয়ে কৃষ্ণাজিন একটুখানি পিছনে টেনে মনুর মুখোমুখি উপবেশন করেন। মনু হাতের কাঠিটা ভূমিতে রেখে বেণের মুখের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তোমার মুখ দেখে বোঝা না গেলেও আমার মন বলছে তুমি কোনো সমস্যায় পড়েছে।’
বেণ বলেন, ‘সমস্যায় পড়েছি বটে, তবে তা সমাধানের অযোগ্য নয়।’
‘বলো, কী সমস্যা?’
‘ব্রহ্মাবর্তের দক্ষিণদিকে বানরজাতির যে বসতি রয়েছে, তাদেরকে উৎখাত করার নির্দেশ দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন দেবপতি ইন্দ্র।’
‘বেশ তো, দেবপতির নির্দেশ পালন করো!’
‘কিন্তু…..।’
‘কিন্তু কী?’ মনু বেণের চোখের দিকে তাকান।
‘বানরদের উৎখাত করতে গেলে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে।’
‘আর্যবীর তো যুদ্ধকে ভয় পায় না, যুদ্ধের কথা শুনলে আর্যবীরের রক্ত টগবগিয়ে ওঠে। তোমাকেও তো আমি সে-রকমই জানি।’
‘আমার শরীরেও তো আর্য রক্ত, যুদ্ধ করতে আমি ভয় পাই না। আমি ভাবছিলাম অন্য কথা।’
‘বলো কী কথা।’
‘মহাপ্লাবনের সময় আমাদের যে জনবল ক্ষয় হয়েছে, তা পূরণ হতে অন্তত একশত বৎসর লেগে যাবে। সেই মহাদূর্যোগের পর মানবদের মধ্যে ভয়ানক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, চাষাবাদের ভূমির অভাব, খাদ্যের অভাব, প্রচুর সন্তান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় নারীর অভাব, এসব নিয়ে গোত্রে গোত্রে বিরোধ-হানাহানি চরমে পৌঁছেছিল, সেই ক্রান্তিকালে আপনি-ই মানবদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। তারপরও সংকট কিন্তু পুরোপুরি কাটেনি, এক বৎসর আগে দেবগণ এবং আপনার আশির্বাদে নৃপতি হলেও এখনো কোনো কোনো গোত্রপতি আমার বিরোধিতা করছেন, আপনার গোত্রেও আমাকে ঈর্ষা করার মানুষ আছে। আমি সব সামলে মানব গোত্রগুলোকে একসুতোয় বাঁধার চেষ্টা করছি, এখনো গুছিয়ে উঠতে পারিনি। সর্বশেষ আমরা দেড় বৎসর পূর্বে অনার্যদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলাম ভূমির প্রয়োজনে। এখন কিন্তু আমাদের ভূমির তেমন সংকট নেই, কেবল কিছু নিচু টিলা কেটে সমতল বানিয়ে চাষের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের বরং এখন জনবল দরকার। এই সময়ে যুদ্ধ করলে জনবল ক্ষয় হবে। তাই বলছিলাম যুদ্ধটা যদি কয়েকটা বৎসরের মতো স্থগিত করা যায়, মানে এই সময়টাতে আমরা সবকিছু একটু গুছিয়ে নিতে চাই। আমি বললে ধৃষ্টতা দেখায়, কিন্তু আপনি বুঝিয়ে বললে দেবপতি নিশ্চয় বুঝবেন।’
‘তোমার কথা যৌক্তিক, কিন্তু জানো তো দেবপতির ইচ্ছে নয় যে পবিত্র সরস্বতী নদীর তীরে ওই ইঁদূরের মতো দেখতে কুৎসিত অনার্যরা বাস করে সরস্বতীকে অপবিত্র করুক।’
‘তা আমি জানি। কিন্তু আমাদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই আমি এখন যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার কথা বলছি।’
‘তুমি নৃপতি হবার পর এই প্রথম দেবপতি তোমাকে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন, আমার মনে হয় এই নির্দেশ তোমার পালন করাই উচিত। আমাদের যোদ্ধারা যথেষ্ট শক্তিশালী, তোমার ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। জয় আমাদের সুনিশ্চিত।’
‘জয়ের ব্যপারে আমারও কোনো সন্দেহ নেই। আমি শুধু ভাবছিলাম এই সময়ে আমাদের একটি প্রাণও যাতে ক্ষয় না হয়।’
‘শোনো, প্রকৃতির যে মহা বিপর্যয় আমাদের উপর দিয়ে গেছে, আজই যে আবার তেমনটি ঘটবে না, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। মৃত্যু আমাদের হাতে নেই, পরমপুরুষ আমাদের মৃত্যু যেভাবে লিখে রেখেছেন সেই ভাবেই হবে, সেটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হোক কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রে।’
বেণ মনুর কথার সঙ্গে একমত হতে পারেন না এই ভেবে যে সব মৃত্যুর দায় মানুষ পরমপুরুষের ঘাড়ে চাপায় বটে, কিন্তু মানুষ চাইলেই কিছু মৃত্যু এড়াতে পারে, কিন্তু অন্তরের কথা চেপে রেখে তিনি বলেন, ‘বেশ, আপনি যখন বলছেন, আমরা যুদ্ধে যাব।’
‘আশির্বাদ করি পুত্র, নৃপতি হবার পর তুমি প্রথম যুদ্ধে যাবে, আশা করি বীরের বেশে ফিরে আসবে।’
হতাশা গোপন করে মনুকে প্রণাম জানিয়ে বাটীর পথে পা বাড়ান বেণ, হাঁটতে হাঁটতে গত এক বৎসরের অনেকগুলো ঘটনা তাঁর মনে পড়ে, যে ঘটনাগুলোয় তিনি নিজে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। মনু এবং ব্রাহ্মণদের সিদ্ধান্ত তাঁকে মেনে নিতে হয়েছে। ব্রাহ্মণরা অন্যায় করলেও শাস্ত্রের কারণে তাদের কোনো দণ্ড দেওয়া যায় না, আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্রাহ্মণ পুরুষেরা ক্রমশ দূর্বিনীত হয়ে উঠছে। কিন্তু নৃপতি হয়ে দেখে যাওয়া ছাড়া তাঁর কিছুই করার নেই। এখন যুদ্ধের পক্ষে মনুর অবস্থান সেইসব ঘটনাগুলো তাঁর স্মৃতিতে চাগাড় দিয়ে উঠে ক্ষোভের সৃষ্টি করে, পথ চলতে চলতে হঠাৎ একটা বৃক্ষে সজোরে লাথি মারেন বেণ!
(চলবে......)
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৪
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
লেখার ভাষা সহজ ও সুন্দর।