![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুর নাম রাখতে গিয়ে আমাদের প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হয়ে্ সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার আগে যে সকল নাম চিন্তা করে ঠিক করা থাকে, সন্তান হওয়ার পর সব এলো মেলো হয়ে যায় কারন, নানি পুরাতন আমলের একটি নাম দিয়ে করও মতামত না নিয়ে ডাকা ডাকি শুরু করে দেয়। দাদা-দাদীর নাম রাখার আবদার রাখতে গেলে এমন সব নাম বলে যা শুনলে পরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়।
বাবা-মার নাম রাখার ইচ্ছা অনেক দিনের । সূন্দর সুন্দর নামগুলো খুব যত্ন করে কোথায়ও লেখা আছে অনেক দিন থেকে, আবার দুই একটা নাম মনে মনে উচ্চারণ করেও দেখছে, শুনতে ভাল লাগে কিনা।
কিন্তু সন্তান হওয়ার পর বাবা-মার কোন মতামতের তোয়াক্কা না করে কোন আত্নীয় একটা নাম দিবে যা হযত কোন নায়ক বা নায়িকার নাম্। যদি কোন নবী রাসুল বা সাহাবদের নাম হলেও ভাল লাগত।
শেষ পর্যন্ত সিন্দান্ত হলো ছেলের নাম "তোরাব আলী", কে রাখল এই নাম? এক মৌলবী সাহেব। উনি নাকি স প্তাহে একদিন এই ঘরে এসে গরম ভাত খেয়ে যান, তাই তার নাম রাখার আবদার। আচ্ছা বলুন তো হুজুর এই "তোরাব আলী" নামের অর্থ কি? কলেজ পুড়ুয়া পুপু জানতে চায়।
"তুমি কলেজে না পড়ে মাদ্রাসায় পড়লে এই সব আরবী নামের অর্থ জানতে।" মৌলবী এই নামের অর্থ বললে সবাই চোখ মাথায় উঠাবে ভেবে পাল্টা প্রশ্ন করল।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আবূসামীহা বলেছেন: প্রথম শব্দটা "তোরাব" না হয়ে হবে "তুরাব" যার মানে হল "মাটি"। আর আলী হল রসূলের (সঃ) চাচাত ভাই ও জামাতার নাম। যার মানে "উচ্চ" বা "মর্যাদাবান"।
আলী (রাঃ) একবার মাটিতে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রসূলুল্লাহ্ (সঃ) তাঁকে ডাকতে এসে ঐ অবস্থায় দেখে সম্বোধন করলেন "হে আবূ তুরাব" বলে। "আবূ তুরাব" মানে মাটির পিতা। কিন্তু আরবী প্রায়োগিক দিক থেকে এর মানে হল "ধুলি ধুসরিত ব্যক্তি"। এরপর থেকে অনেকেই আলীকে (রাঃ) বলতেন "আবূ তুরাব"। এটা তাঁর একটা উপাধি হয়ে যায়। কিন্তু তিনি তোরাব আলী ছিলেননা। ছিলেন আবূ তুরাব আলী। আমাদের দেশের অনেক মৌলবীই ভাল করে না জেনে নাম রেখে দেয় অনেকের। এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বলে মনে হয়।