![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহিয়ান।
নাই দেশ কাল পাত্রের ভেদ,অভেদ ধর্ম জাতি ।
সব দেশে সব কালে ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
যেই মহান কবি দারিদ্রতার সীমাহীন কষ্টের মধ্যেও মানবতার জয়গান গেয়েছেন তাকে সকলে আমাদের জাতীয় কবি বললেও আমি তাকে জাতীয় কবি বলিনা। আমি বলি
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ্য কবি
আমি ধারাবাহিকভাবে তার বিভিন্ন রচনা ও তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তবে এই ব্যাপারে আপনাদের সহযোগীতা প্রয়োজন। কাজী নজরুল ইসলাম কবিতার বিভীন্ন শাখায় এত পরিমান অবদান রয়েছে যে এরকম আর কোনদিন কেউ পারবেনা কিনা আল্লাহই ভাল জানেন। তাকে সবকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদা দান এখন সময়ের দাবী। আজকে তার রচিত অমর কবিতা মানুষ পড়ুন।
গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্ ।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।-
‘পূজারী দুয়ার খোলো,
ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হ’ল!’
স্বপন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়,
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান’, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনি ক’ সাত দিন!’
সহসা বন্ধ হ’ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে,
তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুধার মানিক জ্বলে!
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’
মসজিদে কাল শির্নী আছিল,-অঢেল গোস–র”টি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি,
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে আজারির চিন্
বলে, ‘ বাবা, আমি ভূখা-ফাকা আমি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা-‘ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভূখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?’
ভূখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল-‘তা হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস–র”টি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে-
‘আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুধার অন্ন তা ব’লে বন্ধ করনি প্রভু।
তব মস্জিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী।
মোল্লা-পুর”ত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী!’
কোথা চেঙ্গিস্, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড়?
ভেঙে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার!
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা!
হায় রে ভজনালয়,
তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়!
মানুষেরে ঘৃণা করি’
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি’ মরি’
ও’ মুখ হইতে কেতাব গ্রন’ নাও জোর ক’রে কেড়ে,
যাহারা আনিল গ্রন’-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে,
পূজিছে গ্রন’ ভন্ডের দল! মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন’;-গ্রন’ আনেনি মানুষ কোনো।
আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর,-বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এঁরা পিতা-পিতামহ, এই আমাদের মাঝে
তাঁদেরি রক্ত কম-বেশী ক’রে প্রতি ধমনীতে রাজে!
আমরা তাঁদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ,
কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ।
হেসো না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম,
আমিই কি জানি-কে জানে কে আছে
আমাতে মহামহিম।
হয়ত আমাতে আসিছে কল্কি, তোমাতে মেহেদী ঈসা,
কে জানে কাহার অন- ও আদি, কে পায় কাহার দিশা?
কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি?
হয়ত উহারই বুকে ভগবান্ জাগিছেন দিবা-রাতি!
অথবা হয়ত কিছুই নহে সে, মহান্ উ”চ নহে,
আছে ক্লেদাক্ত ক্ষত-বিক্ষত পড়িয়া দুঃখ-দহে,
তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন’ ভজনালয়
ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়!
হয়ত ইহারি ঔরসে ভাই ইহারই কুটীর-বাসে
জন্মিছে কেহ- জোড়া নাই যার জগতের ইতিহাসে!
যে বাণী আজিও শোনেনি জগৎ, যে মহাশক্তিধরে
আজিও বিশ্ব দেখনি,-হয়ত আসিছে সে এরই ঘরে!
ও কে? চন্ডাল? চম্কাও কেন? নহে ও ঘৃণ্য জীব!
ওই হ’তে পারে হরিশচন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব।
আজ চন্ডাল, কাল হ’তে পারে মহাযোগী-সম্রাট,
তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দী-পাঠ।
রাখাল বলিয়া কারে করো হেলা, ও-হেলা কাহারে বাজে!
হয়ত গোপনে ব্রজের গোপাল এসেছে রাখাল সাজে!
চাষা ব’লে কর ঘৃণা!
দে’খো চাষা-রূপে লুকায়ে জনক বলরাম এলো কি না!
যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল,
তারাই আনিল অমর বাণী-যা আছে র’বে চিরকাল।
দ্বারে গালি খেয়ে ফিরে যায় নিতি ভিখারী ও ভিখারিনী,
তারি মাঝে কবে এলো ভোলা-নাথ গিরিজায়া, তা কি চিনি!
তোমার ভোগের হ্রাস হয় পাছে ভিক্ষা-মুষ্টি দিলে,
দ্বারী দিয়ে তাই মার দিয়ে তুমি দেবতারে খেদাইলে।
সে মার রহিল জমা-
কে জানে তোমায় লাঞ্ছিতা দেবী করিয়াছে কিনা ক্ষমা!
বন্ধু, তোমার বুক-ভরা লোভ, দু’চোখে স্বার্থ-ঠুলি,
নতুবা দেখিতে, তোমারে সেবিতে দেবতা হ’য়েছে কুলি।
মানুষের বুকে যেটুকু দেবতা, বেদনা-মথিত সুধা,
তাই লুটে তুমি খাবে পশু? তুমি তা দিয়ে মিটাবে ক্ষুধা?
তোমার ক্ষুধার আহার তোমার মন্দোদরীই জানে
তোমার মৃত্যু-বাণ আছে তব প্রাসাদের কোন্খানে!
তোমারি কামনা-রাণী
যুগে যুগে পশু, ফেলেছে তোমায় মৃত্যু-বিবরে টানি’।
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪২
মিতামারিয়া বলেছেন: মাইনাস কেন?
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
মিতামারিয়া বলেছেন: মাইনাস কি আমাকে না নজরুল ইসলাম কে??
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: অসাধারন কবিতা। মানবতার জয়গান এতে চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫
মিতামারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, আল্লাহর এক অসাধারন সৃষ্টি নজরুল। আর এই কবিতাটা...
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
অ্যামাটার বলেছেন: ভাই, আপনি জাতিয় কবির বারোটা বাজাচ্ছেন। শিরোনামের অতিসহ্য কথাগুলো জুতসই হয়নি। যাক, তবু প্লাস দিলাম কবিতাটার জন্য।
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫২
মিতামারিয়া বলেছেন: আমি মনে করি, তবে তিনি তো আমাদের জাতীয় কবি থাকছেনই
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
হিটলারের সাগরেদ বলেছেন: তিনি অসাধারন, অসাধারন ++++++++++++
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুম। শুরু করেন তাইলে।
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫১
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: আমি ধারাবাহিকভাবে তার বিভিন্ন রচনা ও তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। ....
ভাই আপনার উদ্যোগটাতো ভালো। কিন্তু শিরোনামটা যথার্থ নয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি অভিধাটি এখানে প্রযোজ্য নয়। নজরুল আমাদের একজন প্রধানতম কবি, প্রাণের ও প্রেরণার কবি। তিনি অসাধারন।
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৪
মিতামারিয়া বলেছেন: নজরুল আমাদের একজন প্রধানতম কবি, প্রাণের ও প্রেরণার কবি। তিনি অসাধারন
@প্রনব, আমিও একমত। তবে আমি মনে করি তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫
অন্যরকম বলেছেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবির ধারণাটা ম্যান টু ম্যান ভ্যারি করতে পারে। লেখকের দৃষ্টিভঙ্গতে নজরুল ইসলাম হয়ত সেরা কবি। সেটা যদি লেখক প্রকাশ করেন তাহলে তো দোষের কিছু দেখি না।
পাব্লিক হুদাই মাইনাস দেয়!
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
মিতামারিয়া বলেছেন: আমার মনে হয় অনেকে আছেন যারা চাননা আমাদের কবি বিশ্বকবি হোক। যারা মাইনাস দেন তারা ইংরেজ আর ফিরিংগি কবিদের পা চাটতে চান সারা জীবন।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
সমর্পিত বলেছেন: অন্যরকম বলেছেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবির ধারণাটা ম্যান টু ম্যান ভ্যারি করতে পারে। লেখকের দৃষ্টিভঙ্গতে নজরুল ইসলাম হয়ত সেরা কবি। সেটা যদি লেখক প্রকাশ করেন তাহলে তো দোষের কিছু দেখি না।
পাব্লিক হুদাই মাইনাস দেয়!
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৯
রাজর্ষী বলেছেন: উদ্যোগ নিসেন তাই প্লাস, চালায় যান
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আমিও মনে করি তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। তিনি বিশ্ব কবি। তার কোন তুলনা হয়না।
@ মিতামারিয়া, ভাল উদ্যোগ, আপনি চালিয়ে যান। ++++
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮
আমজাদ সুজন বলেছেন: এতদিন কোথায় ছিলেন?
হঠাৎ মাথায় নজরুল ভর করলো কেন>
কোন অসৎ উপলক্ষে কবিকে ব্যবহার করা ঠিক না ভাই।
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০১
পথে-প্রান্তরে বলেছেন: পেলাস ।
১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৪
আলমগীর কুমকুম বলেছেন:
১. মাইনাস।
২. কবিতার "বিভিন্ন শাখা" বলতে কি বুঝাইলেন একটু বুঝায়া বললে কৃতার্থ হই। কবিতার শাখাগুলো কি কি?
৩. নজরুলের লেখাগুলোকে কবিতা না বলে পদ্য বললেই ভাল হয়, সে হিসাবে নজরুল ইসলাম নিশ্চয়ই বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেস্ঠ পদ্যকার।
১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৮
সায়েম মুন বলেছেন: চালায় যান
১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৪
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: আপনে আহমদ শরীফের নজরুল সমীক্ষা - অন্য নিরিখে বইটা পড়েন। তারপর লিখতে আসেন।
হুমায়ুন আজাদ একবার কোথায় যেন লিখছিলেন বা বলছিলেন যার মূল ভাব নিম্নরূপ......
নজরুলরে প্রথমে ডাকা হইতো বিদ্রোহী'র কবি কাজী নজরুল। "বিদ্রোহী" নামক কবিতাটার রচয়িতা হিসেবে। পরে এইটা শব্দের বিবর্তনে হইয়া গেল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল।
০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১৮
মিতামারিয়া বলেছেন: হুমায়ুন আজাদ ক আমি কোন লেখকরে পর্যায়ে ফেলিনা। যত সব আবর্জনার বস্তা
১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১১
মজার মানুষ বলেছেন: পারলে আর ও কিছু কবিতা পোষ্ট করেন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১৯
মিতামারিয়া বলেছেন: করব ভাই
১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৯
মজার মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ,
বারাঙ্গনা দেয়ার জন্য। আমি ও একটা লেখলাম আপনার সাথে একাত্তা ঘোষনা করার জন্য এবং বুঝলাম অনেক কঠিন একটা কাজ করেছেন।
লিংক
Click This Link
১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
সৈয়দ নূর কামাল বলেছেন:
মিতামারিয়া,
প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাই এই সুন্দর কাজের জন্য।
জেনে রাখবেন এ সময়ে নজরুলকে নিয়ে লিখলে অনেকের গাত্রদাহ হতে পারে। এটার একটি বিশেষ কারন আছে। বাংলাদেশের জাতীয় কবিকে নিয়ে আপনার লেখা সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
নেট থেকে খুঁজে খুঁজে নজরুলের কিছু লেখা সংগ্রহ করে এবং কিছু নিজে লিখে আমার সাইটে আমি তাঁর কয়েকটি বই দিয়েছি। আপনার প্রয়োজন হলে ওখান থেকে সাহায্য নিতে পারেন।
http://syednurkamal.synthasite.com/e-books.php
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মাইনাস।