নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাটহাজারী আপডেট

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

হাটহাজারী মাদরাসায় সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। কওমি ধারায় এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাদরাসা।
হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফী হাটহাজারী মাদ্রাসায় ৩৬ বছর একক কর্তৃত্ব ছিল।
এই তিনযুগ ধরে তার কথার একচুল বাইরে যায়নি মাদ্রাসার কেউ।

প্রশ্ন হল, হাটহাজারীতে দেশের বৃহত্তম ঐ কওমি মাদ্রাসায় এমন কি ঘটেছিল যার জন্য তারা এতবড় ছাত্র বিক্ষোভ গড়ে তুললো?
অতীতে কোন মাদ্রাসায় এই নেচারের এত বিপুল বিধ্বংশি ছাত্র বিক্ষোভে ইতিহাস নেই।

যা জানা গেছে মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে ম্যানেজমেন্ট লেভেলে পদ নিয়ে একটা বিবাদ ছিল। যে বিরোধ তাতে ছাত্রদের যুক্ত হওয়ার কোন কারণই ছিলনা। জানারও কথা ছিল না। যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, যিনি তাদের 'বড় হুজুর'--যিনি কওমি মাদ্রাসার ইতিহাসে ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন। তিনি হঠাৎ কি এমন বড় অপরাধ করে ফেললেন পদত্যাগে স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত মাদ্রাসার সবকিছু ভেঙ্গেচুরে ধ্বংশ করা শুরু হল, হুজুরে রুমের দরজা আটকে পদত্যাগে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত চ বর্গিয় গালাগাল করে তার সামনেই টেবিল চেয়ার চুরমার করলো, কিতাবের আলমারি উলটে হাতুড়ি পিটুনি শুরু করলো, মারধরের ভয়ে তার পুত্র ও অন্যান্ন সমর্থকরা আগেই পালিয়েছে।



ইহা ছাত্রবিক্ষোব ছিল কি?
সাধারন ছাত্র বিক্ষোভ হলে রাস্তায় স্লোগান হয়, দাবির তালিকা থাকে, মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। সাংবাদিক না আসলে ডেকে আনার ব্যাবস্থা হয়। কিন্তু এখনে সেরকম কিছু ছিল না, বরং মিডিয়া থেকে লুকুচুরি ছিল। এরা অনেকেই বহিরাগত শিবির কর্মিই ছিল, কারন মুখ দেখাতে দেয় নি। সম্ভবত মাদ্রাসা তান্ডবের আগে মিডিয়াকে মোটা অংকের ঘুশ দিয়ে দূরে পাঠিয়ে দেয় হামলাকারিরা, কারন ৩ দিনের ভয়াবহ তান্ডবে মিডিয়ার টিকিও দেখা যায় নি। পুলিশকেও ঘুষ দিয়ে নিউট্রাল রেখেছিল।



পুলিশ প্রবেশ প্রতিরোধের জন্য মানব ঢাল, একে শিশু ঢাল বললে ভাল। তালামারা ফটক জুড়ে মাদ্রাসার ছোট শিশুদের হাতে প্লাকার্ড লেখা "মাদ্রাসায় হামলা করবেন না, ইহা মাদ্রাসার আভ্যন্তরিন ব্যাপার"
ঢাকায় কন্ট্রলরুমে জামাত হাইকমান্ড ভয়ে ছিল পুলিশ ঢুকলে সব ভন্ডুল হয়ে যাবে। তাই ভিপি নুরের মাধ্যমে কঠিন হুমকি দেয়ানো হয়। মফস্বলের একটা মাদ্রাসার ঘটনায় নুরার ঢাকা অচলের হুমকিতে অনেক নুরা সমর্থকও অবাক হয়েছিল।
সবকিছু নিখুত, একদম সুপরিকল্পিত মিলিটারি কায়দায় সব সেটআপ করে ধ্বংসাত্বক শক্তি প্রয়োগ করে পটপরিবর্তন করানো


এত কিছু দেখতে হলো। জীবনের শতবর্ষ পেরিয়ে নিজের শিষ্যদের কাছেই এতটাই মর্যাদা হারিয়ে নির্মম অসম্মানজনক বিদায় হয়ে শেষবিদায়ে ঢলে পরতে হলো মওলানা শফীকে। নিজ হাতে তৈরি ছাত্র-শিক্ষকরা এজিদ শিমার কারবালা স্টাইলে অবোরোধ করল। খ্যাদ্য পানীয় বিহীন ঔসধ বিহীন নিজ বিধ্বস্ত অফিসরুমে অবরোধ, পদত্যাগ পত্রে সাইন না করা পর্যন্ত ৩ দিন ধরে মাদ্রাসা ভাংচুর করা হল। আর অফিসরুম চুরমার করা হল তার সম্মুখেই ততক্ষনে হুজুর নিস্তেজ মৃতপ্রায়। এম্বুলেন্স ঢুকতেও বাধা বের হতে ৪ ঘন্টা বাধা। বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলা হলো।

হুজুর ২০১৩র পর ছাত্রদের কোরান শিক্ষা নৈতিকতা শিক্ষা, ধর্মশিক্ষা না দিয়ে সহিংসতা, চাপাতি বিদ্যা, 'নারী ঘৃনাবাদ' বিদ্যা তালিম দিয়ে গেছিলেন।
তার সব ফল হাড়ে হাড়ে পেলেন আমির সফি হুজুর।
ছাত্ররা এত বছর মাদ্রাসায় কোরান হাদিস পড়ে শেষ পর্যন্ত "গুরু মারা বিদ্যা" তালিম নিল। "গুরু মারা বিদ্যা" প্র্যাক্টিকেল প্রয়োগ দেখলো দেশবাসি।





দখল পোক্ত করে অবরোধকারি হত্যাকারিদের নাটের গুরু নব্য দখলদার জামাত শিবির চক্র অন্ধকার থেকে বের হয়ে সেই লাশই কাধে নিয়ে মিথ্যা অশ্রু বর্ষন করে মিথ্যা কান্না করলো আর চিপায় যেয়ে হাসাহাসি। দখল তো আগেই কমপ্লিট।
মাদ্রাসা ছাত্রদের কেউই ভাংচুর, এম্বুলেন্স আটকানো ব্যাপারে কেউ বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত হলো না লজ্জিত হলো না।
নির্লজ্জ ভন্ড বেহায়ার দল।



বেশিরভাগ প্রায় সব পত্রিকা এই পটপরিবর্তনের খবর আল্লামা সফির মৃত্যুর ডিটেইল ছাপে নি, শুধু মানবজমিনে সামান্য একটু এসেছিল। লিঙ্ক view this link

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: হুজুর তার কর্মফল ভোগ করেছে !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: হ্যা সেটাই।
তবে পটপরিবর্তনে কট্টরপন্থি জামাতিদের দখলে চলে গেল হেফাজত।
যদিও কাওমি দেওবন্ধি মতবাদিরা প্রবল ভাবে মাউদুদিবাদ বিরোধী তথা জামাত বিরোধি

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: তেঁতুল হুজুর ভালো লোক ছিলেন না। উনি যদি আধুনিক বিজ্ঞান জানতেন তাহলে তার জীবন বদলে যেত। হয়তো উনি অন্যদের জীবনও বদলে দিতে পারতেন। তার চিন্তাভাবনা মধ্যযুগীয় ছিলো।
মানুষ অন্যায় করলে, পাপ করলে- সেই শাস্তি দুনিয়াতেই পেয়ে যায়। শফি হুজুর মরেও সেই প্রমান দিয়ে গেলেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পার্ফেক্ট বলেছেন।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: নিজের তৈরি ছাত্র , তিন যুগের বেশি সময়ের সহকর্মীদের হাতে এমন লাঞ্চনার কথা সবাই স্মরণ রেখে প্রতিষ্ঠান পকেটে পুরে চলবেন না বিশ্রামে যাবেন , ভেবে দেখবেন । একটা আন্তঃ ধর্ম যুদ্ধ হয়ে গেল ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভন্ড ছাত্রটির কান্না দেখুন। মেকি কান্না + খুসির উল্লাস

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: সারা বিশ্বে এখন ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হাত শক্তিশালী হচ্ছে স্বচ্ছ ও প্রকৃত গনতন্ত্রের অভাবে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আপনি যত চেষ্টাই করুন না কেন এদের বিরুদ্ধে বিষবাস্প ছড়াতে, সেটা হালে পানি পাবে না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি কোন বিষবাষ্প ছড়াচ্ছিনা।
সংবাদ মাধ্যম গুলো অজ্ঞাত কারনে ৩ দিনের সহিংশ দখলবাজিকে ব্ল্যাকআউট করলো।
আমি ছোট স্থানিয় পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যম থেকে কিছু সংগ্রহ করে যাষ্ট তুলে ধরলাম। এটা বিষবাষ্প হয় কিভাবে।

গণতন্ত্রের সাথে জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই।
ব্রিটেন ফ্রান্স স্পেনে ভারতে গনতন্ত্র আছে জঙ্গি হামলাও লাগাতার। চীন রাশিয়া, ভিয়েতনামে গনতন্ত্র নেই জঙ্গি উৎপাতও নেই

আসলে গণতান্ত্রিক উদারনীতির সুযোগে ধর্মীয় উগ্রপন্থী লালন, জঙ্গিদের জন্য অর্থায়ন সংগ্রহ ও স্থানান্তর সম্ভব হয়।
নিউইয়র্কের এক মসজিদে গত বছর রমজান মাসে এক শুক্রবারে নামাজ শেষে আমার চোখের সামনেই মিলিয়ন ডলারের মত ফান্ডরাইজিং হয়েছিল 'কথিত রহিঙ্গাদের জন্য মসজিদ নির্মানের' উছিলায়। নিউইয়র্কে ছোটবড় ২০-২৫টা মসজিদ, আমেরিকা কানাডা মিলে ৭০০র উপরে মসজিদ, ইংল্যান্ড ফ্রান্সে হাজারের উপর মসজিদ। রমজান মাসে কত বিলিয়ন ডলার উঠেছিল রহিঙ্গাদের জন্য কেউ জানে না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে 'থোক বরাদ্দ' কথা বাদই দিলাম। কয়টা মসজিদ হয়েছে টেকনাফে এই অর্থে? কোন খবর নেই। ভালভাবে খোজ নিলে দেখা যাবে টাকা বেশীরভাগ সুদানে জঙ্গিদের কাছে গেছে, বাকি টা গেছে মধ্য আফ্রিকায় বোকোহারামের জন্য মেশিনগান কিনতে।
পটপরিবর্তনের পর বাবুনগরিরা গং এখন বিপুল অর্থ পাবে।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

এইচ তালুকদার বলেছেন: আপনার আগের বিশ্লেষণ টাও বেশ চমকপ্রদ ছিলো,সরকার খুব সম্ভবত নিজের স্বার্থেই এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে নাই।আর নুরা পাগলা চিল্লাচিল্লিতে কেউ সিরিয়াসলি নেয় বলে মনে হয় না।
আসলে আমরা একটা ক্যু বা রেজিম চেঞ্জ দেখে ফেললাম

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার মানে শেখ হাসিনা। হাসিনা বাদে কোন ডিসিশন হয় না।
হয়তো সফিগং দের চাহিদা বেড়ে গেছিল, উৎপাতও বেড়ে গেছিল। তাই হয়ত সাইলেন্ট ছিল

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হেফাজতকে তো জামাত বিরোধী বলেই জানতাম। ওদের সাথে গাঁটছড়া বাঁধলো কার মাধ্যমে? সরকার কি এদের গতিবিধি সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিল, নাকি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুললো?
পট পরিবর্তনের পর আমার মনে হয় এই কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক ঐক্যের ফাটল আরো বিস্তার লাভ করে তাদেরকে দুর্বল করবে, নয়তো এদের নেতৃত্ব অন্যদের হাতে চলে গিয়ে স্থিতিশীলতার প্রতি একটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তবে রাজনীতি এদের থেকে বেশী দূরে অবস্থান করবে বলে মনে হয় না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মৌদুদিবাদি জামাতে ইসলাম কোন ধর্মীয় সংগঠন নয়।
জামাত মুলত একটা সুবিধাবাদী, ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দল। নিজেদের ইসলামিক দল বলে দাবী করলেও পাকিস্তান আমলে গন মুসলমানদের কাছে এর গ্রহনযোগ্যতা কখনোই তেমন গড়ে উঠেনি। জামাতে ইসলামীর মূলশক্তি হচ্ছে তার মাফিয়া স্টাইল আর্থিক ভিত্তি ও শক্তিসালি ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন এবং ইসলামি ব্রাদারহুড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক যোগাযোগ।

ঐতিহাসিক ভাবেই কওমী দেওবন্ধি মতবাদিরা জামাত বিরোধী তথা ঘোরতর মাওদুদিবাদ বিরোধী ছিল।
তারা কখনোই রাজনীতিতে জড়ায় নি। তারা আর্থিক ভাবে তত সচ্ছিল ছিল না, অর্থ লোভিও ছিলনা। এলাবাসির যাকাত ফেত্রা কোরবানির চামড়া বিক্রি করে কোন মতে চলতো।
কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধিনতার পর নাগরিকদের ধিরে ধিরে হলেও আর্থিক সচ্ছলতা হতে থাকে, হুজুরদের সাহায্যও বাড়তে থাকে, দুর্নিতীও শুরু হয়, একসময় অনেক অর্থের পাহাড়ে নীতি নৈতিকতা হারিয়ে মৌদুদিবাদের কুচক্রে পতিত হয়।
কথা আছে না 'অর্থ সব অনর্থের মূল' যদি সেই অর্থ বিনা কষ্টে অর্জিত হয়।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: আল্লামা শফীর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানী করাপ্ট পারসন ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। সরকারের সাথে হেফাজতের রফার সময় এই মধ্যস্ততা করেছিল। এর উপরে সবার ক্ষোভ আগে থেকেই ছিল।
জুনায়েদ বাবুনগরী'কে ইচ্ছে মতো ব্যাকবেঞ্চে ফেলে রাখাই কাল হয়েছে শফী সাহেবের।
নুরা পাগলা তো নিজের ভার্সিটিতেই মাইর থেকে বাচতে পারে নাই। ও আবার কি করবে?
কোথায় আগরতলা আর কোথায় চকিরতলা?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শুধু শফিপুত্র আনাস মাদানী করাপ্ট পারসন ছিলেন বললে ভুল।
বেশিরভাগ মাদ্রাসা কমিটি, প্রায় সব মসজিদ কমিটি দুর্নিতীগ্রস্থ। অডিট হলে কেউই হিসেব দিতে পারবে না।

যে কোন বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের নিয়মকানুন মেনে সরকারের সাথে ভাল একটি সম্পর্ক থাকা উচিত।
শিক্ষার চেয়ে রাজনীতি প্রাধান্য পেলে অবস্য ভিন্ন কথা।

আর বাবুনগরী আপাত সাইড বেঞ্চে থাকলেও সে ছিল হেফাজতের সেকেন্ড ম্যান।
সফির বয়স ১১০ কদিন বাদে ন্যাচারালি মারা যেত। বাবুনগরী ইন করতো। অস্থির না হয়ে একটু সবুর করলেই হোত।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ দারুন লিখেছেন। অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: দেশে সুশাসক না থাকলে যা ঘটার তাই ঘটবে!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুশাসক বা শাসক জিনিষটা বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশের জনগন আইয়ুব ইয়াহিয়া, জিয়া এরশাদ ইত্যাদির শাসন খেতে খেতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কি সে সম্মন্ধে কোন ধারনা রাখেনা। মনের ভেতর বদ্ধমুল হয়ে গেছে শাসক বা তথাকতিত সুশাসক।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ হচ্ছে পিপলস রিপাবলিক। একটি প্রজাতন্ত্র। এমনিতে হয় নি, অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করে বহিরাগত বিদেশী ও দালালদের তাড়িয়ে পিপলস রিপাবলিক বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে শাসক বলতে কিছু নেই। বা সরকার দেশের মালিক নয়। নাগরিকরা প্রজা নয়।

নাগরিকগন তথা জনগন দেশের মালিক। নাগরিকরা তো এলোমেলো ভাবে চলতে পারে না। গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের নিয়মে ৫ বছর পর পর নাগরিকরা দেশটিকে সুসম সুন্দর ভাবে চালানোর জন্য কিছু মানুষকে বাছাই করবেন, বাছাই মনপুত না হলে নির্বাচনের মাধ্যমে। এবং তাদের কে দেশটি চালানোর আমলা পুলিশ দারোয়ান জাহাজ রেলগাড়ী যা যা লাগে সে জন্য খরচও দিবেন (কর)। আমলা পুলিশ দারোয়ান নাগরিকদের স্যার বলবেন, কারন তাদের বেতন পোশাক সম্পুর্ন খরচ দেয় নাগরিকরা। এলাকার সাংসদ এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে কি ধরনের আইন প্রনয়ন দরকার সেটা সংসদে তুলে ধরবেন।
নিয়ম মাফিক সাংসদদের একজন নেতা থাকবেন, ওনার পদের নাম প্রধানমন্ত্রী, উনি মোটেই দেশের মালিক নন, শাসকও নন। নাগরিকদের সেবক। ৫ বছরের জন্য।

আশা করি আপনার বিভ্রান্তি দূর করতে পারেছি।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২২

কসমিক রোহান বলেছেন: কূপমন্ডুকতায় আবদ্ধ

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

রাশিয়া বলেছেন: সব দোষ মিডিয়ার উপর ফেলে দিলেন, সরকার বাহাদূর কি বসে বসে আঙ্গুল চুষেছে? কোন নদীর চরে কে রাষ্ট্রবিরোধী মিটিং করে, তার খবর সরকার বাহাদুর জেনে যায়, আর চট্টগ্রামের প্রায় প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এত বড় মাদ্রাসার অভ্যন্তরে জামাত শিবির এত বড় তেলেসমাতি করল, আর বাহাদুর সাহেব কিছুই জানতে পারলেন না!

সরকার ইচ্ছে করেই নিষ্প্রভ থেকেছে। হুজুরেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে শেষ হচ্ছে - এটা দেখতে সেকুলার সরকারের বেশ আনন্দ হচ্ছে। তাই মাদ্রাসার আভ্যন্তরীন ব্যাপার বলে কাটিয়ে গেছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার গদি রক্ষায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সেসব নিন্দনিয়। অনেকক্ষেত্রেই সে সব সিদ্ধান্ত ভুল প্রমানিত হয়।

তবে মিডিয়া তো এসবে গা ভাসিয়ে দেয়ার কথা না।
দেশে ৩০টা টিভি ডজন ডজন সংবাদ পত্র ৩ দিনে একটা ক্যমেরাও দেখা যায় নি।
গেইটেও শক্ত পাহাড়া + শিশুবাচ্চা দিয়ে মানব বর্ম। পুলিশ ঢুকলে সব ভন্ডুল হয়ে যাবে, ভয়ে ছিল তাই সুদূর ঢাকা থেকে নুরাকে দিয়ে ভয় দেখিয়েছে। নিখুত সেটআপ।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নুরের নামে ধর্ষণের মামলা হয়েছে আজ । জামাত বলেছে আমরা সবাই ভাই ভাই । এখন সরকারের সাথে মিলে দেশটা খাই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নুরুর বিরুদ্ধে মামলা সরকার করেনি।
মামলা করেছে নুরুদের দলেরই একজন।
ধর্ষক ধর্ষনের শিকার উভয়ই নুরুর দলের কর্মি। নুরু সহযোগি আসামী।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


হাটহাজারীতে আরবী, উর্দু ও ফার্সি ছাড়া বাচ্চারা কিছু শিখে না; ধর্মের যেটুকু শিখায়, সেটা হলো, ইমামমতী করার জন্য ও মক্তব মাদ্রসায় পড়ানো জন্য; ওদেরকে সমাজ, রাষ্ট্র, স্বাস্হ্য, অর্থনীতি, বিশ্ব সম্পর্কে অজ্ঞ করে রাখা হয়; আফগানিস্তান, প্যালেষ্টাইন নিয়ে ওদেরকে ভুল ধারণা দিয়ে ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্হা সম্পর্কে খারাপ ধারণা দিয়ে ছেলেদেরকে আধা জংগী হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

সরকার, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ এসব এতিমদের জন্য কিছু করতে চাহে না; কমপক্ষে ৭০ ভাগ ব্লগার মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে আছেন। আপনি কোন ধরণের মাদ্রাসা চান?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হাটহাজারীতে বা যেকোন মাদ্রাসায় আরবী, উর্দু ও ফার্সি ছাড়া বাচ্চারা কিছু শিখে না
কোরান পাঠ ও ধর্মের যেটুকু শিখায়, সেটা হলো, ইমামমতী/মুয়াজ্জিনি, বাসাবাড়িতে কোরান খতম করার জন্য।
ওদেরকে প্রচলিত সমাজ, রাষ্ট্র, স্বাস্হ্য, অর্থনীতি, বিশ্ব সম্পর্কে অজ্ঞ করে রাখা হয়; আফগানিস্তান, প্যালেষ্টাইন নিয়ে ওদেরকে ভুল ধারণা দিয়ে ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্হা সম্পর্কে খারাপ ধারণা দিয়ে শুরুতেই ছেলেদেরকে আধা জংগী হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

আপনার কথা অনেকটাই সঠিক।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাম্প্রতিক কালে উপমহাদেশে সবচেয়ে সাড়া জাগানো ঘটনা তেঁতুল হুজুরের প্রয়াণ।ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে বদৌলতে খবর এখন মানুষের মুখে মুখে। যদিও আমি ব্লগে ওনাকে নিয়ে দেওয়া বেশকিছু পোস্ট পড়েছি। কিন্তু একটিই মাত্র পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম। শুরুতে তেমন ওয়াকিবহাল ছিলামনা। আপনি বিশেষ কমেন্ট করে আমাকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। ধন্যবাদ হাসান ভাই আপনাকে সেদিনের সেই কমেন্টের জন্য।

উল্লেখ্য আপনার পোস্ট থেকে তো বটেই আরও কিছু স্থানে ওনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কারণে যে অমানুষিক চাপ উনার উপর তৈরি হয়েছিল তা থেকে মৃত্যু হয়েছে বলে বিষয়টি এক প্রকার স্পষ্ট। সঙ্গে যে ভাবে কারবালার প্রান্তরের ন্যায় ওনাকে পানি, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তার অত্যন্ত অমানবিক। আবার ঘটা করে জানাজা পালনের অনুষ্ঠান পালন করে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তাদের অপকর্ম প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অবরোধকে কেন্দ্র করে যেভাবে চূড়ান্ত ভাঙচুর, ধর্মীয় পুস্তকের ছোড়াছুড়ি করা হয়েছে তা‌ কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষের পক্ষে ভাবাও দুঃসাধ্য।অথচ ওরা সেদিন অবলীলায় সে কাজ করেছে।অথচ 1913 সালে রাজধানীতে এমনি একটি অবরোধে হুজুরের অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। ভাবতে অবাক লাগে এমনি গোষ্ঠী আগামীতে আবার কোনো মাশলা নিয়ে ইসলামের প্রচার করবে।
তবে এক্ষেত্রে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা 104 বছরের হুজরকেই আমার প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি বলে মনে হয়। একজন মানুষ তার জীবনে কিসের অভাব যে ওনাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সিংহাসনে আরোহণ করে থাকতে হবে।সম্রাট বাহাদুররা আমৃত্যু ক্ষমতা দখল করে রাখতেন।হুজুরকেও তার ব্যাতিক্রম মনে হলোনা।
বাচ্চা ছেলেটির হাতে যে প্লাকার্ডটি দেখলাম এটা ভয়ংকরতম বার্তা। এরা তো দেখছি দেশের মধ্যে দেশ চালাচ্ছে। যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য দেশের ঐতিহ্য দেশের সম্মান রক্ষা করা।যে প্রতিষ্ঠান দেশের নিজেদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে রাষ্ট্রকে হুমকি দেয়, সেই প্রতিষ্ঠানের মাথায় যে ঘুন লেগেছে সে কথা জোর দিয়েই বলা যায়।


শুভকামনা জানবেন।




২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই।
আপনার কমেন্টটি দুবার পড়লাম। খুব সুন্দরভাবে সবকিছু তুলে ধরেছেন।

পোষ্টে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি আগামিতেও বিস্তারিত লম্বা মন্তব্য করবেন।

১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সরকারের উচিত, এখন মাদ্রাসাটিকে পরিচালনার জন্য একটি নিরেপেক্ষ কমিটি করে দেয়া।জঙ্গিদের দখলে চলে গেলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে।

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: মাদ্রাসা এখন লুটপাটের জায়গা হয়ে গেছে।
এত গন্ডগোলের কারণ হলো অতিরিক্ত টাকাপয়সা।

১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পোস্টে অনেক অজানা তথ্য জানা গেলো। বাংলাদেশের মূল সমস্যাই হচ্ছে চরম দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় - মাদ্রাসা ও তার ওস্তাদরাও এর বিষধর প্রভাব থেকে মুক্ত নন। নেতা ও শিক্ষকরা যখন অর্থ, বিত্ত ও ক্ষমতার মোহে পড়ে অনুসারীদের বিভ্রান্ত করে ফেলে তখন তার পরিণতি হয় মারাত্মক।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ গুরু
আজকের ইত্তেফাক থেকে হেফাজতের বর্তমান অবস্থার কিছু আপডেট।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর কওমি অঙ্গনের কোন্দল-বিভক্তি বড় আকার ধারণ করছে। কওমিদের মারকাজ হাটহাজারী মাদ্রাসায় দুই দিনের ছাত্রবিক্ষোভ ও ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের মুখে আহমদ শফীর পদত্যাগ, মৃত্যু ও তার বিতর্কিত পুত্র আনাস মাদানিকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারের ঘটনার পর দৃশ্যত দুই পক্ষ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। কওমি অঙ্গনের এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য রাখছে।

হাটহাজারী মাদ্রাসায় এখন একচ্ছত্র আধিপত্য অধিকার করেছে আনাসবিরোধীরা।
দুই পক্ষের আলেমদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নেতৃত্ব নিয়ে ভাঙনের মুখে পড়েছে কওমি প্ল্যাটফরমের আলোড়ন সৃষ্টিকারী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই সংগঠনের আমির কে হবেন এবং কোন গ্রুপ থেকে হবেন তা নিয়ে চলছে দুই পক্ষের রেষারেষি। নেতৃত্বের জটিলতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থার। কোনো পক্ষ ছাড় দিতে রাজি নয়। তারা বলছেন, হেফাজতের আমির ও কওমি অঙ্গনের সবচেয়ে বুজর্গ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মতো সর্বজন গ্রহণযোগ্য আলেম বর্তমানে বাংলাদেশে আর কেউ নেই।

হেফাজতের এক গ্রুপ আল্লামা শফীর ছেলে বহিষ্কৃত মাওলানা আনাস মাদানির নেতৃত্বে শক্তি সঞ্চয় করছে। তার সঙ্গে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের (আমিনী) মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ,
মাওলানা মইনুদ্দিন রুহি,
মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে আবুল হাসানাত আমিনীসহ লালবাগ মাদ্রাসা,
ফরিদাবাদ মাদ্রাসা,
বড় কাটারা মাদ্রাসা,
গহরডাঙ্গা মাদ্রাসাসহ একটি প্রভাবশালী অংশ, যারা কওমি অঙ্গনে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট বলে প্রচারিত।
আল্লামা শফীর পদত্যাগ ও মাওলানা আনাসকে হাটহাজারী থেকে বহিষ্কারের ঘটনার পর এই গ্রুপ এখন সংঘবদ্ধ।

অন্য গ্রুপে রয়েছেন হেফাজতের বর্তমান মহাসচিব শায়খুল হাদিস মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী,
মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী,
সাবেক মন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস,
মাওলানা হাফেজ কারি আতাউল্লাহ হাফেজ্জি,
মধুপুরের পির মাওলানা আবদুল হামিদ,
মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদি,

যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকসহ কওমি ঘরানার অধিকাংশ আলেম-উলামা ও হেফাজতের নেতাকর্মী। হেফাজতে ইসলামের ২২৯ সদস্যবিশিষ্ট যে শুরা কমিটি আছে, তাদের বেশির ভাগই এদের সঙ্গে।
এ দুই পক্ষের বাইরে রয়েছে হেফাজতের অপর একটি গ্রুপ, যারা দুই পক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি পছন্দ করে না।

মহাসচিব শায়খুল হাদিস জুনায়েদ বাবুনগরী দ্রুত কাউন্সিলের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের আমির নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর সেই কাউন্সিল বর্জন করবে বলে জানিয়েছে হাটহাজারী মাদ্রাসার বহিষ্কৃত শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা পরিচালক আল্লামা শফীপুত্র আনাস মাদানি গ্রুপ। এই গ্রুপ চায় তাদের মধ্যে যারা প্রবীণ আলেম আছেন, তাদের মধ্য থেকে কাউকে আমির নির্বাচিত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের পছন্দ হাটহাজারী মাদ্রাসার মুঈনে মুহতামিম (সহযোগী পরিচালক) মাওলানা শেখ আহমদ। গত জুন মাসে আল্লামা শফী তার উত্তরসূরি হিসেবে এই মাওলানা শেখ আহমদকে মনোনীত করে যান।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছ থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের পদ কেড়ে নিয়ে সেখানে পদায়ন করা হয় শেখ আহমদকে। ১৬ জুন মজলিশে শুরার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর শেখ আহমদই মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। আনাস মাদানির ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত শেখ আহমদ হাটহাজারীর মহাপরিচালক হলে হেফাজতের আমির হবেন। কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সব ভণ্ডুল হয়ে গেছে। তবে আল্লামা শফীর মৃত্যুর পরদিন সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনায় তিন সদস্যের যে কমিটি করা হয়েছে, সেখানে শেখ আহমদ আছেন। এই গ্রুপের বিকল্প পছন্দের আমির ঢাকার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা পরিচালক ও হাইয়াতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আবদুল কুদ্দুস। তবে আবদুল কুদ্দুসকে নিয়ে নিজেদের গ্রুপের ভেতরেই পছন্দ-অপছন্দের দুই গ্রুপ আছে।

হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মইনুদ্দিন রুহী বলেন, আল্লামা শফী সাহেব তার উত্তরসূরি নির্বাচন করে গেছেন। সেটিই বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘হেফাজত ইসলামের পরবর্তী আমির কে হবেন এটা আল্লাহতায়ালা জানেন।

১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আরো ১৮শ মাদ্রাসা করবেন শেখ হাসিনা। তবে কতটি কওমি কতটি আলিম জানা যায়নি এখনো।

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মিডিয়া ও পুলিশকে যে ঘুষ দেওয়া হয়েছে সেটা আপনার মাধ্যমে সম্পাদন হয়েছে?

২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: দু:খের কথা বলি:
বিলিয়ন বিলয়ন টাকা দিয়ে শেখ হাসিনা বার্ন হসপিটাল তৈরী হল.। বেশ ভাল কাজ...কিন্তু নারায়নগন্জের মসজিদে দগ্ধ ৩৮ জনের মাঝে ৩৬ ই মারা গেলেন। মনে হয় না চিকিৎসায় একজন দগ্ধ রোগীও ভাল হয়েছেন...এই যদি হয় নতুন হাসপাতালের লেভেল, তবে এমন হাসপাতাল বানিয়ে কিই বা লাভ....উনারা সেপটিক শক কে প্রেভেন্ট করতে পারেন নাই বলেই প্রতীয়মান

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি মনে হয় শুরু থেকে সবটা খবর জানে না।
এরা সবাই মারা যাবে মোটামুটি নিশ্চিত ছিল সবাই।
আমি তখন টিভির সামনেই ছিলাম। ড। শামন্ত লাল সেন নিজেই বলছিলেন - ৩৮ জন প্রত্যেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থা।
প্রত্যেকে ৭০% থেকে ৯০% বার্ন। প্লাস ভয়াবহ ইনহেলেশন বার্ন, মানে স্বাসনালী ও ফুসফুস পুড়ে গেছে।
সাধারনত ২৭% বার্ন উইদাউট ইনহেলেশন বার্ন হলে মানুষ বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়।

"শেখ হাসিনা বার্ন হসপিটাল + ড। শামন্ত লাল সেন টিম" বিশ্বমানের চেয়ে একধাপ উপরে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.