নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি করোনার চেয়েও শক্তিশালি?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩০



বিশৃংক্ষল ঢাকাবাসি অবশেষে হার্ড ইমিউনিটির পথে।

দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর নিয়ে একটি যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে রাজধানী ঢাকার ৪৫ শতাংশ বাসিন্দা ও ৭৪% দরিদ্র বস্তিবাসি এপ্রিল থেকে আগস্টের ভেতর একটা সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। উপসর্গহীন ভাবে। অজান্তে সেরেও গেছিলেন উপসর্গহীন ভাবে। গবেষকদের রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে অলরেডি তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি উপস্থিতি হার্ড ইমিউনিটি দেখা গেছে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর নিয়ে গবেষণার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (Institute of Epidemiology, Disease Control and Research) ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (icddr,b) যৌথভাবে এই গবেষণা্র ফল প্রকাশ করেছে। এই গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং বহুল পরিচিত মাইক্রোসফট প্রধানের সাহায্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরের বস্তিবাসির তিন চতুর্থাংশ ৭৫% মানুষ ও ৪৫ শতাংশ নগরবাসী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ও রক্ত পরীক্ষায় অ্যান্টিবডি পজিটিভ ধরা পড়েছে। এদের করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। তারা জানতই না কোন এক সময়ে তাদের করোনা ভাইরাস পজিটিভ ছিল।
তারা জানত না সংক্রমিত হয়ে সেরে যাওয়ার পর অলরেডি তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে।

আইইডিসিআর সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান সেমিনারে গবেষণায় প্রাপ্ত নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে জানান, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের
৮২ ভাগের কোনো লক্ষণই ছিল না,
৬ ভাগের সামান্য লক্ষণ ছিল,
১২ ভাগ ছিল প্রিসিম্পটোমেটিক।


গবেষণার জন্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়। প্রতি মহল্লা থেকে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ৮টি বস্তিকে এ জরিপে যুক্ত করা হয়। ঢাকা শহরের সাধারণ খানার নমুনা সংগ্রহ করা হয় মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত। আর বস্তির মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে সেমিনারে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকার ২৫টি ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে। গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরে ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বস্তি এলাকার ৭৪ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব বয়সী ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীর পরিমাণ ১৮ শতাংশ।
গবেষণার জন্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়।
প্রতি ওয়ার্ড থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়।
প্রতি মহল্লা থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বস্তি থেকে ৮টি বস্তিকে বাছাই করে এ জরিপে যুক্ত করা হয়।
ঢাকা শহরের সাধারণ খানার নমুনা সংগ্রহ করা হয় মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত। আর বস্তির মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত।
সেমিনারে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা অনুমান করছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল।
গবেষকেরা বলছেন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা ও কি পরিমান জনসংখাকে টিকা আওতায় আনতে হবে, সেসব ব্যাপারে এসব তথ্য কাজে লাগবে।



স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘করোনায় আমাদের দেশে মৃত্যুহার বেশ কম, বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মৃত্যুও আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান দেশগুলোর তুলনায় কম। যে কারণে মোট মৃত্যুহারও অনেকটাই কম। যদিও বয়স হিসেবে বাংলাদেশে বয়ষ্ক বৃদ্ধরাই বেশী মারা গেছেন।’

আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু। এই ক্ষেত্রে অবশ্য এটাকে কেস ফাইন্ডিং বলা যায় না। পুর্বে ও বর্তমান পরিক্ষা করা জেনম সিকুয়েন্স ডাটা থেকে এটা অনুমান করা হচ্ছে।’
সেমিনারে অংশ নিয়ে আইসিডিডিআরবি’র গবেষক ড. শামস আল আরেফিন বলেন, নানা সমালচনা থাকলেও করোনা চিকিৎসায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে চিকিৎসকরা খুব দ্রুত অ্যাডপ্ট করেছে। এছাড়াও জটিল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় কিছু দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইটালী ও আমেরিকায় যখন ভেন্টিলেটর নিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমরা হাই-ফ্লো অক্সিজেন দিয়েছি। এ কারণে মৃত্যুর হার কম হয়েছে। এছাড়া অন্যান্ন দেশের মত আমাদের দেশেও স্টেরয়েডের ব্যবহার হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন আইইডিডিআর ও আইসিডিডিআরবির গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি মিশনের পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন ও আইসিডিডিআরবি’র ডাইরেক্টর ড. তাহমিদ আহমেদ।


গবেষণার তথ্য এমন সময় প্রকাশ করা হলো যখন দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আলোচনা চলছে। আসন্ন শীত মৌসুমে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের আছে।


অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে বলতে চাই,
দেশের জনসংখার বড় অংশ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে হার্ড ইমুনিটি হয়ে গেছে মনে হলেও বৈজ্ঞানিক ভাবে কোন সিদ্ধান্তে আসার মত এখনো কিছুই হয় নি। অনেক গবেষনা বাকি। আমরা নিরাপদ বলার মত সিদ্ধান্ত এখনো বহু বহু দূর।


আসলে এখনো আমরা কেউই নিরাপদ না।
যারা এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হননি তাদের একটা কারণ হতে পারে যে, তারা হয়তো কোভিড-১৯ আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসেননি। আরেকটি কারণ হতে পারে এমন যে, তিনি স্বাস্থ্য বিধির সব কিছুই মেনে চলেছেন।’
সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। এখনও তৃতীয় ফেইজও ট্রায়ালে আছে। ভ্যাকসিন কবে ফাইনাল হবে সেটাও সময়সাপেক্ষ বিষয়। সুতরাং নিরাপদে থাকার জন্য আমাদের সবাইকে আগের মতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলাটাও অতি গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ যারা পজিটিভ তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৮২ শতাংশের কোনো লক্ষণ-উপসর্গ ছিল না। তার মানে এমন হতে পারে, আপনি যার পাশে বসে আছেন তিনি হয়তো পজিটিভ, কিন্তু লক্ষণ-উপসর্গ না থাকার কারণে বোঝা যাচ্ছে না।

বিজ্ঞানীরা গবেষনা করবে আমরা জনগন আগের মতই সাবধানে স্বাস্থ বিধি মেনে চলতে হবে।
সুতরাং কার আছে, কার নেই, কার এন্টিবডি হয়েছে, সেই সব চিন্তা না করে আমাদের প্রত্যেকের মাস্ক পড়া উচিত। এর কোনো বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাত ধোয়ার অভ্যাস প্রতিনিয়ত করে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে যেন ভিড় না করি। আজকাল দেখছি অনেকক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না, স্বাস্থ্যবিধি মোটেই মানা হচ্ছে না। আমি আবারো অনুরোধ করে বলব, সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। এর কোনো বিকল্প নেই। সেটাই আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ রোধ করতে পারবে।’

সুত্র -
view this link
view this link
view this link

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: ডিগবাজি

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশ যেইভাবে চলেছে/চলছে, তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশী নিশ্চিতভাবে। আমার জানামতে ঢাকায় যারা করোনা টেস্ট করিয়েছে, তাদের প্রায় ৮০ ভাগ আক্রান্ত হয়েছে কোন এক সময়ে। তারপরেও টেস্ট নিয়ে তেলেসমাতি তো আছেই। টেস্ট রেজাল্টের অথেন্টেসিটিও প্রশ্নবিদ্ধ। আক্রান্ত অনুপাতে মৃত্যুসংখ্যাও অনেক কম। যাইহোক, আস্তিকরা নিশ্চিত, এই হার্ড ইমিউনিটি এবং সহনীয় পর্যায়ের মৃত্যুসংখ্যা আল্লাহর তরফ থেকে একটা নেয়ামত। নাস্তিকদের কথা এই মূহুর্তে কইতে পারি না।

আপনের কি মত? :P

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আল্লাহ কি শুধু আপনাদের? ইজারা নিয়া রাইখা দিছেন মনে হচ্ছে। কাউকে ভাগ দিতে নারাজ।

আমি মনে করি আল্লাহ সবার। সবধর্মের, অবিশ্বাসিদেরও।
আল্লাহ যে পরিমান বিশাল বান্দার সামান্য বিশ্বাস সন্দেহের মত তুচ্ছ কারনে কিছুই মনে করার কথা না।
কিন্তু আপনারা দাংগাবাজ পলিটিকাল ইসলাম ফলোয়াররা কাউকে আল্লার ভাগ দিতে নারাজ।
আমাদের মত নিরিহ সাধারন মুসলমানদের আর কত বিভ্রান্ত করবেন?

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

রাখে আল্লাহ মারে কে
বাঁচবে সে বিশ্বাস রাখে যে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাখে আল্লাহ মারে কে। ঠিক আছে।

২য় লাইনটা আপনার পকেটে রাখেন।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩১

বিষাদ সময় বলেছেন: আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালি, জনগন কে সাহস দেয়ার জন্য এ কথাটা ছিল এক ধরণের মোটিভেশনাল স্পিচ.... সেই কথাটারে মিডিয়া আর পাবলিকে মিলে যা জিলাপির প্যাঁচ প্যাঁচাইলো তা বলার মত না...................

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটাই।
একদল মানুষ চাচ্ছিল করোনা বাংলাদেশের কাঠামোকে ধ্বংশ করে ফেলুক, এখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকুক।
এরপর ফায়দা হাসিল হবে। কিন্তু সবার মুখে ছাই দিয়ে ....

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪২

উলডুমা কেরামত বলেছেন: আমি করোনা দাফন কাজের সাথে জড়িত ছিলাম। প্রথম দিকে দুই স্তরের পিপিই পড়েছি, সাথে সেফটি গগলস, ফেস শিল্ড। কিছুদিন পর পিপিই এর শুধু মাস্ক পড়েছিলাম। শেষ দিকে মাস্ক ছাড়া কিছুই পড়িনি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রথমে অনেকেই লাশকে ভয় পেত
পরে দেখা গেছে লাশ নিয়ে ভয় নেই, জিবানু রক্তে থাকে না থাকে ফুসফুসে, মৃত ব্যক্তির শ্বাস প্রশ্বাস নেই, তাই ভয় নেই।
ইভেন মাস্ক বাদেও নিরাপদ।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিনের ভেতর কোন মতে বেচে গেলে তার আর করোনা রোগ থাকে না। আর রোগও ছড়াতে পারে না। (ডায়াবেটিজ বা ফুসফুসে পুর্বরোগ থাকলে ভিন্ন ব্যাপার)
তবে ২ সপ্তাহ বিশ্রামে রাখা হয়। এরপরও দীর্ঘ দিন বিভিন্ন কারনে টেষ্টে করোনা পজেটিভ থাকতে পারে, সেটা করোনা নয়। সেটা রক্তে ভাসমান ডেড আরএনএ। এর কারনেই সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও মাসখানেক বা আরো কিছু দিন রেজাল্টে পজেটিভ আসতে পারে। তবে এরা আর রোগ ছড়াতে পারে না। এসব বিভিন্ন দেশে পরিক্ষা নিরিক্ষায় জানা গেছে।

এসব বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হলেও নিরঙ্কুশ ভাবে WHO বা CDC দ্বারা এপ্রুভড না। তাই সবাইকে আগের মত সাবধানে চলতে হবে।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের জ্বালাময়ী বক্তব্যে আনন্দ পাইলাম। ধন্যবাদ। :-B

আপনের এতো পুরানো প্ল্যাটফর্ম ছাইড়া দিতাছেন মনে হইতাছে!!! :P =p~

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আমনে আমারে এতদিন নাস্তিকের তালিকায় রাইখা দিছিলেন! নাউজুবিল্লাহ!

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মিছা কথা কা কা করোনার বেটার শক্তি বেশী। :-P

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব আমরা কোনো কিছুতেই শক্তিশালী না।
আমরা ভন্ড জানি। আমাদের কথার কোনো দাম নাই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


আমরা মোটেই ভন্ড না।
যারা গুজব ছড়াচ্ছে, যেসব কর্পোরেট মিডিয়া সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশটকে গান্ডুল্যান্ডে পরিনত করছে তারাই ভন্ড।
ভন্ডদের কিছু নমুনা দেখুন -

গতকালের হট নিউজ - করোনাকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে হার্ড ইমিউনিটির পথে বাংলাদেশ।
কিন্তু ভন্ড পত্রিকাগুলো কি লিখেছে দেখুন। প্রথমআলো গান্ডুদের জন্য লিখেছে "ঢাকার অর্ধেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত"।
সত্যকে মিথ্যা বানানো গান্ডুদের খ্যাদ্য।



একই সংস্থার ইংরেজি পত্রিকা সঠিক ভাবে লিখেছে। বাংলার মানুষ করোনা প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করছে,

People started developing herd immunity, researchers say after surveying 3,227 households
সঠিক সংবাদ দিতে বাধ্য হয়েছে, নইলে বিদেশিদের কাছে থাপ্পোর খাবে।



অন্যান্ন পত্রিকা যা বলছে







৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন:
রাখে আল্লাহ মারে কে। ঠিক আছে।
২য় লাইনটা আপনার পকেটে রাখেন।

উপরের লাইনটা ঠিক হলে নিচের লাইনটা
অব্শ্যই তার পরিপুরক, এটা সবার পকেটে
না রাখলেও অন্তরে রাখতে হবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি তা মনে করিনা।
মহান আল্লার ভয় দেখিয়ে একদল অর্থ ও ক্ষমতালোভি অসৎ গোষ্ঠি বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। ডাহা মিথ্যা বলে মানুষের সম্পদ আত্নসাত করে ফায়দা হাসিল করছে।
এই শ্রেনির লোকজন নিরিহ মানুষদের বুঝায় আল্লাহ সুধু তাদের মংলের জন্য। বাকিরা সব ধইঞ্চা।

আমি মনে করি আল্লাহ সবার। সবধর্মের, পৃথিবীর সব মানুষের, ইভেন অবিশ্বাসিদেরও। আল্লার আপনাদের মত এত সংকির্নমনা নন
তিনি বিশাল। আসমান জমিনের মানুষ সহ সকল প্রানীর ভাল মন্দের জন্য আল্লাহ আছেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল।

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আর কারো কথা জানি না তয় আপনারা করোনার চেয়েও হাজারগুনে শক্তিশালি। কত্রোনারে এই দেশের মানুষ ভয় পায় না তয় আপনাগোরে যমের মত ভয় পায়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমরা অবস্যই করোনার চেয়েও হাজারগুনে শক্তিশালি।
আপনারা ভীতু।
বিম্পি ছাত্রদল জামাত-শিবির লাখ লাখ সাপোর্টার ২০-২৫টা পুলিশের ভয়ে, গুমের ভয়ে ঘরে বসে আছে। হাসবো?
গুম কয়টা হইছে? ইলিয়াস আলী আর চৌধুরীআলম এ ই দুইটা বাদে ৪-৫ জন গুমির নাম বলেনতো?
পারবেন না। কারন বাকি গুমি গুলো কিছুদিন বাদেই ফিরে আসছে। জবান বন্ধ। কথা কইলে নাকি আবার গুম হইবে!

ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী জাসদ বাসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টে এবং নুরার দল এরা তো দেদারসে সয়ং হাসিনাকে ধর্ষক বলে সরকার বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। কেউ গুম হচ্ছে না, কেউ কিছু বলছে না। এদের পুলিশ পিটাইলেও তো চলে যাচ্ছে না, কেউ তো গুম হচ্ছে না।
আসলে লোক যোগার করতে পারছে না বিম্পি। এটাই সত্য।
লন্ডন নিউইয়র্কেও একই অবস্থা। সব যাগায় ঝিমিয়ে গেছে বিম্পি-জামাট।

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:২৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জনসংখ্যার ৭৫% আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত হার্ড ইম্যুনিটির সম্ভাবনা নেই।
যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে তা দৈব চয়নের মাধ্যমে মাত্র ১২৬৯৯ জনের পরীক্ষার ফলাফল। এতে স্যাম্পলিং এরর অধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউরোপ এমেরিকার সাথে তুলনা না করে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে তুলনা করা উচিত। যেখানে ভারতে সংক্রমণের হারের সাথে সাথে মৃত্যুর পরিমান ভয়াবহ, সেখানে ঠিক পাশের দেশ বাংলাদেশে সংক্রমণ হার একই রকম হওয়া সত্বেও মৃত্যুর পরিমান কম হওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারবেন কি ?
আমার তো মনে হয় করোনা নিয়ে এই সকল পরিসংখ্যানের পুরোটাই শুভঙ্করের ফাঁকি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হার্ড ইম্যুনিটি হয়ে গেছে এখনো কেউ বলছে না।
বস্তির ৭৪% বাসাবাড়ির ৪৫% হয়ে এভারেজ মিউটেশন ৬০ এর কাছাকাছি হয়ে গেছে বা যাওয়ার পথে। ৭৫% হয়ে যাবে কিছুদিনের ভেতর। তবে স্থির সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হবে।

পরিসংখ্যানের পুরোটাই শুভঙ্করের ফাঁকি, মেনে নিতে পারছি না।
সার্ভেটি আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি করলেও সকল জনশক্তি ও ল্যাব সাপোর্ট আইসিডিডিআরবির (icddr,b)
ফান্ড সিংহভাগ 'বিল গেটসের'। কনসালটেন্ট মনিটরিং ও সার্ভেলেন্স করেছে মার্কিন সরকারি সংস্থা USAID। এতগুলো চোখের সামনে ২ নম্বরি করা অসম্ভব।
ল্যাব ভিত্তিক মেডিকেল সাইন্স রিসার্চ সার্ভে এমনিতেই অতি ব্যায়বহুল সময়সাপেক্ষ। এসব সার্ভে ৩ হাজার ব্যাক্তির উপর করলেই সেটা গ্রহণযোগ্য মান। এখানে 3,227 households থেকে 12,699 individual স্যাম্পল নেয়া হয়েছে। আর icddr,bর ল্যাব ও জিপিএস উচ্চপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ ফিল্ড জনবল দক্ষতা বিশ্বমানের চেয়েও এককাঠি উপরে। পৃথিবীর সব নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় রিসার্চ এখানে হয়ে থাকে।

এই রিসার্চের ফলাফল দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
রিসার্চ বাদেই জানা গেছিল করোনা সবাইকে ধরে না ।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস, রুবি প্রিন্সেস ইত্যাদি ৪-৫ টি ক্রুজ টুরিষ্ট জাহাজ করোনার আগে টুরিষ্ট নিয়ে যাত্রা করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। জাহাজগুলোকে পৃথিবীর কোন দেশ কোন বন্দরেই ভিড়তে দেয় নি করোনার ভয়ে।
২ মাস মাঝ দরিয়ায় নোংগড় করে ছিল। সবাই ভেবেছিল সবকটাই মরবে।

কিন্তু পরে ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের ৩,৭০০ জনের ভেতর ৩৭৮ জনের করোনা টেষ্টে পজিটিভ পাওয়া যায়। মারা যায় মাত্র ২জন, পরে ডাংগায় আরো ৪ জন মারা যায়
বাকি ৩,৩২২ জন যাত্রির ২ মাসে করোনার সাথে সহবাস করেও কোন করোনা হয় নি। যেখানে ইবলা বা বসন্ত হলে সবাই মরতো। করোনা সবাইকে ধরে না সেটাই সত্য।

আর বাংলাদেশে মৃত্যুর পরিমান কম হওয়াতেও দুই নম্বরি নেই।
বাংলাদেশে কম টেষ্ট করা, টেষ্ট রেজাল্ট গোপন/টেম্পারিং করা সম্ভব হলেও মৃত্যু সংখা গোপন করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে একটি মৃত লাশও লুকানো সম্ভব নয়। স্ব্বজনরা পর্যন্ত রুগীর কাছে আসে না, গন্ডগ্রামে গোপনে কবর দিলেও বাধা দেয়া হয়। গ্রামের খবরও তাৎক্ষনিক সরাসরি বড় মিডিয়াতে চলে আসে।

বিশৃক্ষলা অরাজগতায় পুর্ন বাংলাদেশ অন্যান্ন দেশের মত মড়ক শুরু হলে লাশ এখানে সেখনে পরে থাকতো।
কেউ ভয়ে কাছে আসতো না পচে গন্ধ ছড়াতো, মেথর তুলে না নেয়া পর্যন্ত ..

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমনি হওয়ার কথা। তবে মানুষ এখনো মারা যাচ্ছে আরো যাবে। পুরোপুরি হের্ড ইমিউনিটি হতে আরো অনেক সময় লাগবে।

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের চমৎকার আত্মবিশ্বাসী উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ

কষ্টকরে আবার ফিরে এসে দেখে যাওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: ঢাকায় করোনা রুগীর সংখ্য সম্ভবত আরো অনেক বেশি হবে। চারপাশে যা শুনা যাচ্ছে তাতে এত কম হবার কথা না।
হার্ড ইমিউনিটি সব লক্ষনই দেশে দেখা যাচ্ছে। না হলে এতদিনে দেশের জনসংখ্য অর্ধেক হয়ে যাবার কথা।

পোস্ট খুব সুন্দর হয়েছে। এবং ১০ নাম্বার এর প্রতিমন্তব্য যা যা বলেছেন তা অতিশয় সত্য। আমার নিজেরই এদের ঝাটা দিয়ে পিটাতে ইচ্ছে করে। এর বসে আসে দুধ জ্বাল দেয়ার পর সর খাবার জন্য।
শুভ কামনা ভাই।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশের জনসংখার বড় অংশ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে হার্ড ইমিউনিটি হওয়ার পথে ..
আপাত গবেষনায় মনে হলেও বৈজ্ঞানিক ভাবে একটা সিদ্ধান্তে আসার মত এখনো বেশ দূরে। আরো সম্পুরক গবেষনার দরকার হবে।
তবে কিছু পত্রিকা ও টিভি টিআরপি বৃদ্ধির লক্ষে মুল জিনিষ ডিটেইল ভাবে খোলাসা না করে খন্ডিত ভাবে শুধু বিশেষ অংশ প্রকাশ করে নিজেদের মাধুরি মিশিয়ে সম্পুর্ন বিপরিত ভাবে প্রকাশ করে।

পোষ্ট ও কিছু মন্তব্য মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন সে জন্য আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

অনল চৌধুরী বলেছেন: করোনাকে গজব বলায় যারা আমাকে বিভিন্ন বিচিত্র খেতাব দিয়েছে, তাদের বলি, সন্ত্রাসী এ্যামেরিকা, ইংল্যান্ড আর ভারতের প্রতিদিন মত্যুর সাথে বাংলাদেশে তুলনা করলেই বুঝবেন, এটা গজব কিনা।
বুটেন আবারো লক ডাইন দিচ্ছে।
বাংলাদেশে অত্যধিক জনসংখ্যার ঘনত্বে কারনে দ্রুত সবাই করোনয় আক্রান্ত হওয়ার সুফল এখন সবাই পাচ্ছে।
ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অবস্থা থাকলে বলতে হবে, আমরা নিরাপদ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
করোনাকে আপনি গজব ভাবলে গজব বললে আমার কোন সমস্যা নেই।
আমি মানুষের যে কোন ধর্মিয় বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি।
তবে আপনি যদি আপনার বিশ্বাস অন্যের উপর সমাজের উপর বলপুর্বক চাপিয়ে দিয়ে বিজ্ঞানি ও বিজ্ঞান মনষ্কদের বিভ্রান্ত করেন তাহলে সমস্যা।

আড়াই কোটি বছর আগে থেকে মানুষ্য আদী প্রজাতি থেক বর্তমান হোমোসেপিয়েন্স পর্যন্ত মানবকুল প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমনের মুখে এখনো টিকে আছে।

মহামারি আসে একের পর এক ... প্রথমে কিছু মরেছে, পরে অনেক ক্ষয়ক্ষতির পর মানবদেহ প্রাকৃতির সাধারন নিয়মে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে নিয়েছে। এভাবেই লাখ লাখ বছর লড়াই করে টিকে গেছে মানবকুল।
কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু আরএনএ ভাইরাস মানবদেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাইপাস করতে বিবর্তনের পর বিবর্তনে জেনেটিক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। তখন মানবদেহ নিজস্ব প্রতিরোধ বুঝে উঠতে পারে না। সংক্রমন হয় একে একে, এরপর শুরুহয় মহামারি। তবে মানবজাতিকে বিলুপ্ত করতে পারে না।
বহু সংক্রমন ও মৃত্যুর পর কিছু মানু্ষের ভেতর প্রকৃতিগত ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে জীবানুদের হটিয়ে দেয়, গজব রুখে দেয়, বেচে থাকে টিকে থাকে মানবকুল।।

একসময় শিল্পবিপ্লপবের পর মানবকুল যান্ত্রিক সভ্যতায় আসলে বিজ্ঞানীরা কয়েক হাজার ক্ষতিকর ভাইরাসের পরিচয় বের করতে সক্ষম হয়। যেসব ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি, সে সব ভাইরাসের জন্য তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন। ব্যাকটেরিয়ার জন্য বিভিন্ন ঔসধ ও এন্টিবায়োটিক।

করোনা ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়েছে। ভ্যাকসিন বা ঔসধ তৈরির সুযোগ দেয় নি। আর অনেক ক্ষয়ক্ষতি পর ইতিমধ্যেই আমাদের দরিদ্র মানুষের ভেতর আদীমানব দের আদলে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই হয়তো আবারো মানবদেহ নবাগত কোন জবানুর সাথে লড়াই করবে। বিজ্ঞানীরাও পরিক্ষা নিরিক্ষা করে বিভিন্ন ঔসধ ও এন্টিবায়োটিক, প্রয়োজনে ভ্যাকসিনও বানিয়ে কথিত গজব রুখে দিবে।

ধন্যবাদ।

১৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




যে হারে এবং পরিমানে আমরা এতোদিন সবকিছুতে ভেজাল খেয়ে এসেছি, খেয়েছি ফরমালিন আর যতো কেমিক্যাল বিষ তাতে যখন মরিনি তখন এই করোনাও যে ফেল করবে এটাই তো স্বাভাবিক! :(

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আহমেদ ভাই ঠিকই বলেছেন।
বাংলাদেশের সহনশীলতা সহ্যক্ষমতা অনেক বেশী। হিউজ করোনার ভেতর সরকারি কার্ফিউ লকডাউন মানে নি।
পেটের দায়ে সবকিছু উপেক্ষা করে কুমিল্লা ময়মনসিং ফরিদপুর থেকে হেটে ঢাকা এসে পড়েছে, কার্ফিউ উপেক্ষা করে ফেরি বন্ধ থাকলেও জোরপুর্বক ঘুষ দিয়ে বেশী ভাড়া দিয়ে ফেরি উপচে পড়া যাত্রীসহ নদী পার হয়ে পায়ে হেটে ঢাকা চলে এসেছে। নজিরবিহীন এনার্জি এদের।

তবে এজাবৎ প্রাপ্ত খবর যাচাই করে আমার মনে হয় করোনা সবাইকে ধরে না।
আসলে সাধারন ভাবে বললে করোনা ৫০%কে ধরে, কিন্তু টের পায় ১৫% মরে ১% ।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস টুরিষ্ট ক্রুজ জাহাজের ৩,৩২২ জন যাত্রি সারা মাস একসাথে নাচানাচি করে এই হারেই আক্রান্ত হয়েছিল।
বিপুল ঘনবসতি বাংলাদেশেও কম বেশী ৫০-৭০% আক্রান্ত হয়ে গেছে। এদের এন্টিবডি হয়ে ওরা করোনা প্রুফ হয়ে গেছে।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস যাত্রীদের মত বাংলাদেশেও একই হারে সামান্য মরছে।
ইউরোপ আমেরিকায় বেশী মারা গেছে সেখানে অতি বয়বৃদ্ধ পুর্ব অসুস্থ লোকজন অনেক বেশী আমাদের দেশের তুলনায়।

তবে এত সামান্য ডাটার মাধ্যমে কোন সিদ্ধান্ত সাইন্টিফিক ভাবে প্রমানীত হয় না। করোনার আচরন বুঝতে আরো দীর্ঘ রিসার্চ প্রয়োজন।

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি কোনো ধর্মীয় দিক থেকে করোনাকে গজব বলিনি, বলেছি প্রকৃতির অবধারিত প্রতিশোধ হিসেবে, যা যুগে যুগে সব দেশের-জাতির অত্যাচারীদের উপর নেমে আসে।
এ্যামেরিকা-ইউরোপের কথা বাদ দিলাম,সেখানে ঠান্ডা বেশী।
কিন্ত বাংলাদেশের মতোই তাপমাত্রার ভারতে প্রতিদিন হাজারের উপর ( আসল সংখ্যা আরো অনেক বেশী) লোক মরছে কেনো? এর ব্যাখা কি?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারতে প্রতিদিন হাজারের উপর কেন মরছে?
উত্তরটা খুবই সহজ।

এখানেও কোন বুজুর্গি নেই। ভারতের উপর কোন অভিশাপ নেই।
আল্লাহ কি বিজিবি বিএসএফ এর ভয়ে বর্ডার মেপে মেপে রোগ ছাড়বে?
বর্ডার ও রাজ্য তৈরি করেছে শাসক যন্ত্র। পাবলিকের কি দোষ, আল্লাহ কি অত্যাচারী নেতাদের দোষে নেতা না মেরে নিরিহ পাবলিকের উপর ধ্বংশযজ্ঞ চাপাবে?
আর ভারতে কি শুধু হিন্দুরাই থাকে? আর হিন্দুদের কি দোষ? দোষ খারাপ নেতাদের। আল্লাহর কিতাবে ছোট বড় সবধর্মকেই স্বীকৃতি দেয়। সবার জন্যই আল্লাহ।

ভারতে প্রতিদিন হাজারের উপর মরছে, এটা নর্মাল।
জনমিতি অনুসারে বাংলাদেশের সমানই মরছে। ভারতে ১০ গুন বেশী জনসংখা।
ভারতে এখন করোনা পিক চলছে, বাংলাদেশের পিক সময়ের মৃত্যুসংখাকে ১০ দিয়ে গুন দেন। মিলে যাবে।
তবে মৃত্যুসংখা দিন দিন কমে আসছে ভারতে। পার ডে ৬০০ তে নেমে আসছে। আরো নামবে।
ধন্যবাদ।

১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রতিটা দেশের সব জনগণ সেই দেশের আভ্যন্তরিণ সব সমস্যা ,আন্তর্জাতিক নীতিসহ সব অপরাধের জন্য দায়ী। হয় নষ্ট নেতাদের ভোট দিয়ে বা না দিয়ে নির্বাচিত হতে দিয়ে,অপরাধে সরাসরি অংশ নিয়ে, অপরাধের সমর্থন করে এবং অপরাধের প্রতিবাদ না করে।

এ্যামেরিকা, ভারত, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবদেশের জনগণের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য। তাই জনগণ কোনোভাবেই নীরিহ না, বরং পাপিষ্ঠ।
সুতরাং পাবলিকের কি দোষে কি অত্যাচারী নেতাদের না মেরে নিরিহ পাবলিকের উপর ধ্বংশযজ্ঞ চাপাবে-একথা মেনে নেয়া যাচ্ছে না।

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের চাইতে উন্নয়নে এগিয়ে আছে পশ্চিম আফ্রিকার এমন তিনটি দেশের নাম বলুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.