নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থনীতি চালু করার ও পাবলিক মনবল ফিরিয়ে আনতে সবদেশ যে কোন মুল্যে দ্রুত যে কোন ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৬

নিরুপায় হয়ে রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক -৫ এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিলো পাকিস্তান।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এই রাশিয়ার ভ্যাকসিন আমদানি ও বণ্টনে স্থানীয় একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এজিপিকে অনুমতি দিয়েছে।
এর আগে WHO অনুমোদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আনার অর্ডার দিয়েছিল, কিন্তু এক বছরেও তা পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় অপরিক্ষীত চাইনিজ সিনোভ্যাক্স অর্ডার দিয়েছিল, সেটাও বিলম্বের সম্ভাবনা থাকায় এখন আরেকটি অপরিক্ষিত স্পুটনিক জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল পাকিস্তান।
যথা সময়ে ডিসিশন না নিলে যা হয়।

টিকা প্রাপ্তির বিলম্বের সম্ভাবনা দেখে তুরস্কের মত ধনী দেশও ব্যায়বহুল ফাইজার বা মডার্নার ভ্যাক্সিন নেয়নি, তারা নিচ্ছে চাইনিজ সিনোভ্যাক্স, যার ফেজ থ্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়নি। WHO অনুমোদন ও নেই (তবে পেয়ে যাবে)।
এই মুহুর্তে ট্র্যাভেল টুরিজম ও সার্বিক অর্থনীতি চালু করার ও পাবলিক মনবল ফিরিয়ে আনতে সবদেশ যে কোন মুল্যে দ্রুত যে কোন ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া।

বিশ্বের শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির পথে, এর ভেতর বাংলাদেশের একটা কম্পানিও আছে।
তবে মাত্র তিনটা ভ্যাক্সিন ৩য় ফেজ পরিপূর্ণ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করে WHO অনুমদন পেয়েছে।
১ অক্সফোর্ড,
২ ফাইজার বায়োন্টেক
৩ মডার্না।
এর পর লাইনে আছে জনসন এন্ড জনসন চাইনিজ সিনোভ্যাক্স ও রাশিয়ান স্পুটনিক
রাশিয়া বা চিনের ভ্যাক্সিন ফেজ থ্রি ট্রায়াল সম্পন্ন করেনি। WHO এপ্রুভাল পায় নি। তবে পকিস্তানে ব্যবহৃত হলে ফলাফল দেখে দ্রুত এপ্রুভাল না পাওয়ার কারন নেই
অনুমদন প্রাপ্ত মডার্না বিশাল ফার্মাসিটিক্যাল কম্পানি হলেও এর আগে কোন ভ্যাক্সিন বানায়নি। প্রধান ক্রেতা মার্কিন সরকার
অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল হয় ইংল্যান্ড ব্রাজিল মিডল ইস্ট আর ভারতে। তাদের বিশাল আকারের ট্রায়াল অন্যদের অনেক আগে শুরু হয়। ইংল্যান্ড ও ভারতে এর উৎপাদন হচ্ছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। সুতরাং অল্প সময়ে বেশি ডোজ তৈরীতে ভারতের বিকল্প কিছু ছিলনা। একা ইংল্যান্ড উতপাদন করলে আমাদের ভ্যাক্সিন পাওয়া আরো পিছাত।

এই মুহুর্তে ট্র্যাভেল টুরিজম ও সার্বিক অর্থনীতি চালু করার ও পাবলিক মনবল ফিরিয়ে আনতে সবদেশ যে কোন মুল্যে দ্রুত যে কোন ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া।
৩য় বিশ্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে আগে টিকার ব্যাবস্থা করে রেখেছে। দিচ্ছে।
অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম ও সাশ্রয়ি দামে অক্সফোর্ডের টিকা পাওয়ার জন্য ব্যাবস্থা করেছিল। ৩-৪ মাস আগেই এডভান্স টাকা দিয়ে রেখেছেন।
WHO নিরিক্ষায় দ্রুত করোনা টিকা সংগ্রহ ও ব্যাবস্থাপনায় বাংলাদেশ ২০ তম অগ্রগামী দেশ।



টিকা ব্যাবস্থাপনা ও অবকাঠামোও ভাল।
বাংলাদেশের ইপিয়াই (গ্যাভি ও ডাবলুএইচওর কোওর্ডিনেশনে) যারা বিসিজি পোলিয়ো টিটেনাস বিনা মুল্যে দেয়, সেই প্রশিক্ষিত জনশক্তি ব্যবহার করে বিনামুল্যে রেজিষ্ট্রিভুক্ত সবাইকে পর্যায়ক্রমে এই টিকা দেয়া হবে।
টিকাদান রেজিষ্ট্রশন (সুরক্ষা এপ) আরো দুমাস আগেই সরকারিসংস্থা মারফত রেডি রাখা ছিল।

টিকার মুল্য নিয়েও বিভ্রান্তি আছে
বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের টিকা বাজার মুল্যে কিনছে, তবে যা দামেই কিনুক দুই ডোজ মুল্য ৪ ডলারের বেশী হবে না।
অক্সফোর্ডের টিকার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যও ৪ ডলার, ভারতে ২.৭৪ ডলার। আমেরিকাও পরিবহন খরচ বাদে ৪ ডলারে কিনছে।
আমেরিকার নিজস্ব অনেক টিকা থাকলেও অক্সফোর্ডের টিকা কিনছে বা কিনে রাখছে।

ভারত সরকার হয়তো অনেক কম দামে কিনছে।
একটা দেশের প্রাইভেট কোম্পানি তার সরকারকে যে পন্য দেবে, বাস্তব কারনে অন্য দেশকে তা দেবেনা। সে ঐ বিদ্যুৎ জমি ম্যানপাওয়ার, ট্যাক্স সুবিধা রাষ্ট্রীয় সাপোর্ট পাচ্ছে,। আমাদের চেয়ে ভারত রাষ্ট্র তাদের ভ্যাক্সিন অন্তত ২০-৩০গুন বেশি পরিমান কিনবে। কিছু বুঝেন? এডভান্স দাম দিয়েছে, অবকাঠামো ঋন দিয়েছে।
আর বাজারে বাকি WHO অনুমদিত ফাইজার মডার্নার ভ্যাক্সিনে দাম আপনি জানেন?
একটু খোজ নিয়ে দেখেন। ফাইজারের ভ্যাক্সিনের দাম আমেরিকা কিনছে ২০ ডলার, ইউরোপে আরো বেশী দামে কিনছে।
মডার্নার একডোজ লাগে ৩২ ডলারে কিনছে আমেরিকা।
ফালতু রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাক্সিনের দামই ১০ ডলার, এরও কোল্ড চেইন মেইনটেইন এর ইস্যু আছে।
পোষ্ট আপডেট হবে।

আপডেট ১ ফেব্রুয়ারি২০২১

অক্সফোর্ড - অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড-এর নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনেওয়ালা শনিবার জানিয়ে দিলেন, তারা নতুন এক ভ্যাকসিন নিয়ে আসছেন।
নতুন উদ্ভাবিত আমেরিকান কম্পানী নোভাভ্যাক্স এর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি ভারতীয় এই ভ্যাকসিনের নাম হবে কোভাভ্যাক্স।
পুনেওয়ালা জানান, জুনের মধ্যে এই ভ্যাকসিন ভারতীয় বাজারে আসবে। উল্লেখযোগ্য, নোভাভ্যাক্স দাবি করেছে যে, তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন ৮৯.৩ শতাংশ সফল। আদর পুনেওয়ালা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনের ফাইনাল ট্রায়ালের জন্যে তারা আবেদনও করেছেন।
ভারতে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিকের শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। কলকাতায় পিয়ারলেস হাসপাতালে এই ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
অর্থাৎ ভারতে রিতিমত একটি জোয়ার এসেছে করোনা টিকার বাজার ধরতে। বড়সর ইনিশিয়েটিভ নিয়েছে ভারত।



কোথাও ভ্যাকসিন না পেয়ে নিরুপায় পাকিস্তান অবশেষে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন নিচ্ছে।

ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন বাইশটি দেশ ব্যবহার করলেও তালিকায় নাম ছিল না পাকিস্তানের।
কিন্তু ভারতীয় ভ্যাকসিন কূটনীতির কাছে হার মানতে হলো ইমরান খানের পাকিস্তান সরকারকে। অবশেষে WHO কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের সাত লক্ষ ডোজ যাচ্ছে পাকিস্তানে। তবে পাকিস্তান এই ডোজ কিনছে না। কোভিশিল্ড চীন হয়ে পাকিস্তানে ঢুকছে রাষ্ট্রসংঘের মারফত। পাকিস্তানে যে ১৭ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে তার সাত লক্ষই ভারতীয় ভ্যাকসিন। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ভারতের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুরু থেকে করোনাকে ঠিক মতো কন্ট্রোলে রাখলে, বাংলাদেশকে ১ কোটী ডোজ হাতে রাখলেই চলতো; যখন কন্ট্রোলে রাখতে পারেনি, তখন অক্সফোর্ডে, কিংবা জনসন এন্ড জনসনের সাথে চুক্তি করে অগ্রিম বিনিয়োগ করার দরকার ছিলো; ডামীরা কোনটাই ঠিক মতো করতে পারেনি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে করোনা কি কন্ট্রোলের বাইরে?

আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের জনসংখা সামান্য কম বাংলাদেশ ২০০মিলিয়ন, আমেরিকা ৩৩০
আমেরিকায় ৩ থেকে ৪ হাজার মরছে ডেইলি!
বাংলাদেশে মাত্র ১২-১৪ জন মরছে। মাঝে মাঝে ২০। শুধু একবার ৩০শে জুন হাইয়েষ্ট ডেথ ৬৪জন,
দশগুন বেশী দামের আমেরিকান টিকা কেনা বিলাশিতার সামিল।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৬

সাসুম বলেছেন: বাংলাদেশ ভেক্সিন নিয়ে মোটাদাগে এক্টাই ভুল কাজ করেছে সেটা হল- সিনোভ্যাক এর সাথে যায়নি ( এটার কারন সরকারের ইন্ডিয়া পন্থী লবির প্রেসার ) । আমাদের ও কাজ হত, টিকার ও ট্রায়াল হয়ে যেত।

এটা করলে আমরা আগামি ৬ মাসেই কয়েক কোটি টিকা পেয়ে যেতাম। সিনোভ্যাক এর আর যাই হোক, টিকার প্রোডাকশান নিয়ে ঝামেলা নাই।

আর সিনোভ্যাক এর কোয়ালিটি নিয়েও কোন ঝামেলা হবে না আশা করি। আজ হোক আর কাল হোক তারা এপ্রুভাল পাবেই।

তবে সিরাম এর সাথে চুক্তি টা আরো বড় করে করতে পারত ব্রাজিল এর মত। এখন চুক্তির যা দশা, তাতে মাসে ১০-২০ লাখ মানুষ কে দিতেই কস্ট হয়ে যাবে।

আগে সরকার , পুলিশ, ডিফেন্স, আমলা, কামলা, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, পেশালীগ সবাইকে দিয়ে তারপর দিতে যাবে আপামর জনগন কে।

এদিকে আবার বিএনপির লোকজন যাতে টিকা না পায় সে দিক ও দেখতে হবে। এসব করতে অনেক ঝামেলা :/

তবে নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। টিকা নিয়ে গরীব দেশ হয়েও সরকার আগাইছে, তবে আরো আগানো যেত, আরো দ্রুত পাওয়া যেত।
কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাব এটা জানা কথা আরো ৬ মাস আগে থেকেই। এই ৬ মাসে আমরা চাইলেই কোল্ড স্টোরেজ এর সিস্টেম করতে পারতাম মহানগরী কেন্দ্রিক। চাইলে পিপিপি এর আওতায় কিছু একটা করা যেত। কোল্ড চেইন এর একটা সিস্টেম থাকলে ফাইজার এর টিকা ও কিনতে পারতাম। দেশের মিডিল আর হাই সোসাইটি টাকা দিয়ে হলেও কিনত টীকা।

অনেক কিছুই করা যেত, তবে যা করছে তাও এই চোর ডাকাত এর দেশে খারাপ না, অন্তত সরকার কে ১০ এ ৭ দেয়াই যায় টিকা নিয়ে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ ভেক্সিন নিয়ে মোটাদাগে এক্টাই ভুল কাজ করেছে সেটা হল- সিনোভ্যাক এর সাথে যায়নি ( এটার কারন সরকারের ইন্ডিয়া পন্থী লবির প্রেসার )

আপনি একটা বোকামি কথা বললেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত উচ্চমানের করোনা টিকার তুলনায় চাইনিজ ভ্যাক্সিন কিছুই না, এখোনো ট্রায়াল সম্পন হয় নি, বিশ্ব স্বাস্থা সংস্থার অনুমদনও পায় নি। বাংলাদেশ এইসব ফালতু ভ্যাকসিন নিয়ে ভাবার কথা না।

ইন্ডিয়া পন্থী লবির প্রেসার এসব বাঁশের কেল্লার প্রচারনা।
জীবন রক্ষাকারি টিকা কোন ব্যাবসার জিনিষ না। কালবাজারে ব্যাচার জিনিষ না।
প্রচুর চাহিনা থাকায় অক্সফোর্ড টিকা এখন উচ্চদামে চাইলেও কেউ পাবে না, ভারত রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে গত মাসেই,
শুধু বাংলাদেশ ও ব্রাজিল বিশেষ ব্যাবস্থায় পাচ্ছে।
বৃটেন ও ইউ অক্সফোর্ড টিকা রফতানি কঠিনভাবে বন্ধ করে দিয়েছে গতকাল।
আজকের প্রথমআলো দেখেন।
টিকা রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করছে ইইউ


৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভ্যাকসিন কাজ দিলেই হলো। এখন ভারত পাকিস্তান চিন্তা করা অমূলক কাজ। ফাইজার ফেক্টোরী পাকিস্তানে আছে, ভারতেও আছে। বাংলাদেশ যদি ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে চায় - ভারত পাকিস্তান উভয়ের কাছ থেকে নিতে হতে পারে, আর তাতে কি যুদ্ধ বেধে যাবে?

বাংলাদেশের কমন মানুষের ইমোশন বেশী নাকি জ্ঞানবুদ্ধি কম?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফাইজার ফ্যাক্টরি পাকিস্তানে আছে, ভারতেও আছে।
ফাইজার ফ্যাক্টরি বাংলাদেশেও ছিল, বাংলাদেশী কম্পানীদের সাথে কোয়ালিটি মার্কেটিং ও মুল্যে কুলোতে না পেরে চলে গেছে।
ফাইজার ফ্যাক্টরি ভারত পাকিস্তানে যা আছে এরা প্যারাসিটামল ও এন্টিবায়োটিক বানায়, টিকা তৈরির অবকাঠামো অনেক কঠিন।

ফাইজার নিজেই টিকার ফ্যাক্টরি বানানো সময় সাপেক্ষ ও ব্যায়বহুল দেখে সব টিকা বেলজিয়াম থেকে বানিয়ে আনছে।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: তারপর ও রিজভী সাহেব অবলীলায় বলে যাচ্ছেন যে বাংগালী দের গিনিপিগ হিসাবে 'ভারতীয়' ভ্যাক্সিন এর পরীক্ষা করার জন্য নাকি ভ্যাক্সিন আনা হয়েছে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিজভী সাহেবরা কিছুদিন আগেই বলেছিলেন
এত দাম দিয়ে ভ্যাকসিন কেনা হচ্ছে, বিএনপকে দেয়া হবে না, বলা হচ্ছে। সব ভ্যাকসিন সরকারি নেতারাই নিয়ে নিবে।
এখন ভোল পালটে বলছে টিকা আগে লীগনেতাদের দেয়া হোক, হাসিনাকে দেয়া হোক।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে চারপাশ ভালো করে তাকালে বুঝা যায় তারা করোনা বা ভ্যাকসিন নিয়ে মোটেও চিন্তিত না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে 'করোনা আপা' তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

সাসুম বলেছেন: আপনার পুরা পোস্ট আর কমেন্ট এর সবচেয়ে দৃষ্টিকটু বাক্য হল- জীবন রক্ষাকারি টিকা কোন ব্যাবসার জিনিষ না। কালবাজারে ব্যাচার জিনিষ না।

এটাই সবচেয়ে বড় বিজনেস, এটাই সবচেয়ে বড় কালোবাজারি ।

খুব বেশিদিন আগের কথা না, জার্মানির মাস্ক হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছিল আম্রিকা, কানাডা কে মাস্ক না দিতে থ্রি এম কে না করছে ট্রাম্প বা ফ্রান্স এর অর্ডার করা মাস্ক কেনিয়ার বিমানবন্দরে ডাকাতি হয়ে গেছে দিনে দুপুরে।

ভেক্সিন পলিটিক্স বা ভেক্সিন বিজনেস এ ২০২১ জুড়ে দুনিয়া তে আলোচিত জিনিষ থাকবে।
আর সিনোভ্যক এর সাথে না গিয়ে ইন্ডিয়ার কোন এক অখ্যাত কোম্পানির ভেক্সিন ট্রায়াল এর অনুমতি দিছে আমাদের সরকার থেকে- এরপরেও বলবেন এই যায়গাতে ইন্ডিয়ান লবি জিতে নাই? আমাদের দেশে সরকারে এখন ইন্ডিয়ান লবি আর চায়নিজ লবি - এই দুই গ্রুপ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে।
ভেক্সিন পলিটিক্স এ জিতে গেছে ইন্ডিয়ান লবিই।

তবে ইন্ডিয়া থেকে বেক্সিমকোর মাধ্যমে অক্সফোর্ড এর সিরাম এর উৎপাদিত টিকা কিনার ডিসিশান টা এই সরকারের নেয়া করোনা কালে বেস্ট ডিসিশান। এই যায়গায় কোন ভুল নাই। এই যায়গায় সরকার বা আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা ১০ এ ১০। কারন অন্য দেশের দিকে তাকাই থাকলে ৫ বছরেও পাওয়া যেত না দরকারি ভেক্সিন।

সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হবে আমাদের দেশে- টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কম হবে, কারন একেতো আমাদের অশিক্ষিত ছাগলের সংখ্যা মাশাল্লাহ, তার উপর ইব্রাহিমস্টাইন দের অপপ্রচার সাথে রিজবী দের আওয়ামী বিরোধীতা আর ভারত কে যেকোন কিছুতে দেখতে না পারা মূর্খ- এদের কারনে ভেক্সিন প্রোগ্রাম পণ্ড না হয়। এরা কিন্তু দেশের একটা বিশাল অংশ।

রিসেন্টলি, চায়না দুনিয়াতে প্রথম বারের মত ভ্যাক্সিন ট্রাভেল রুলস জারি করেচ্ছে। এখনো সব দেশে খালি আসা যাওয়ার জন্য কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখালে চলে, চায়না শুরু করেছে ভেক্সিন রুলস। ভেক্সিন নিছে এই প্রমান লাগবে এখন থেকে।

এটা দুনিয়ার সব দেশ ই নিবে কয়দিন পর থেকেই। তখন যেসব দেশে মাস আকারে ভেক্সিন প্রয়োগ চালু করতে পারবেনা বা সাক্কেস হবেনা তাদের সাথে বাকি দেশ গুলা যোগাযোগ অফ করে দিবে, মারা খাব আমরা।
সরকারের উচিত জোরেসোরে ভেক্সিন প্রোগ্রাম সাক্কেস করতে এখন থেকেই প্রচার প্রচারণা দরকার হলে জোর করে হলেও ভেক্সিন দেয়া এন্সিউর করা। ছাগলের দল কে জোর করে হলেও ভেক্সিন দিতেই হবে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবচেয়ে দৃষ্টিকটু বাক্য হল- জীবন রক্ষাকারি টিকা কোন ব্যাবসার জিনিষ না। কালবাজারে ব্যাচার জিনিষ না।

আপনি কোন দুনিয়ায় আছেন বুঝি না।
ভ্যাকসিন পিয়াজ ডাইলের মত এমন কোন জিনিষ না যে কালোবাজারিরা গুদামে স্টক করে রাখবে।
যেন তেন মানুষ বা কম্পানী এটা কিনতে পারবে না মানুষ এসব কিনে ফ্রিজেও রাখতে পারবে না।

এর আগে যত প্রাণঘাতি রোগের টিকা এসেছে, কোন টিকা নিয়ে ব্যাবসা হয়েছে শুনি?
স্মল পক্স, পোলিও, টিটেনাস, মিজেলস(হাম) বিসিজি, কুত্তা কামোড়ের এন্টি র‍্যাবিজ ভ্যাকসিন ইত্যাদি সব ভ্যাকসিন বিনা মুল্যে দেয়া হয়। টিকা সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইপিআই ও গ্যাভি, সম্পুর্ন ডাব্লুএইচওর তত্তাবধানে।
গ্যাভি অলরেডি এক কনসাইনমেন্ট উচ্চচাহিদা সম্পন্ন ফাইজারের ভ্যাকসিন বিনা মুল্যে ইপিয়াইকে সরবরাহের ব্যাবস্থা কনফার্ম করেছে। আরো দিবে।

আরো ভাল ভ্যাকসিন আসছে, বাংলাদেশের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন সহ শতাধিক ভ্যাকসিন ডাব্লুএইচওর ফিল্ড ট্রায়াল পারমিশন হয়ে লাইনে আছে তবে মার্কিন জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন বেষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

বছরখানেক পর বোঝা যাবে কার ভ্যাকসিন কম মুল্যে সর্বচ্চ ক্ষমতা ও সহযে ফ্রিজিং পরিবহনযোগ্য সেটাই টিকে যাবে। বাকিগুলো স্বাভাবিক কারনেই বিলুপ্ত হবে।
ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টিকা উৎপাদনকারি দেশ ইয়োরোপেও টিকার ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু পয়শা দিয়েও পাচ্ছে না।
আজকের এ খবরটি পড়ুন -
view this link

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জার্মানির মাস্ক হাইজ্যাক হাইজ্যাক করেছে আমেরিকা?
ফালতু গুজব।

আপনার হয়তো জানা নেই ফেব্রুয়ারির শেষে চীনের করোনা দুর্যগে চীনও মাস্ক গ্লাবস এপ্রোন সংকটে নিরুপায় ছিল। তখন চীনের অবস্থা ভয়াবহ।
বাংলাদেশে তখনো করোনা আসেনি। কিন্তু বাংলাদেশ চীনের আহবানে সাড়া দিতে দেরি করেনি।

২০১৫-১৬ তে বিশ্বব্যাপি ভয়াবহ ইবলা সংক্রমন হওয়াতে বিপুল পরিমান PPE চীন থেকে আমদানি করে রাখা হয়েছিল। WHO পরামর্শে, WHO ফান্ডে। কিন্তু গত জানুয়ারি শেষে চীনে করোনা আক্রমন শুরু হলে চীন নিজেই মাস্ক গ্লাবস এপ্রোন (PPE) সংকটে পরে। তাদের সফটওয়ারে ধরা পরে যে বাংলাদেশের গুদামে বিপুল পরিমান PPE অব্যাবহৃত ভাবে পরে আছে।
চীন বাংলাদেশের কাছে অফিশিয়ালি আবেদন করলে বাংলাদেশ দ্রুতই সারা দেয়।
১০০ টনের বিমান বোঝাই করে পাঠিয়ে দেয়। জি ফ্রীতেই।
চীন ফিরতি বার্তায় বলেছিল বাংলাদেশের প্রয়জনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
মানুষ মানুষের জন্য। এখানে ব্যাবসার কিছু নেই।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০০

কলাবাগান১ বলেছেন: যখন সরকার ভারতে টিকা চুক্তি টাকা পাঠালো এই এসট্রাজেনেকার টিকার জন্য..পত্রিকাগুলির সরস হেডিং: ভারতে গেল সরকার এর টাকা....। আজ ইউরোপ সেইম ভ্যাকসিন এর জন্য হাহাকার...। তবে মাহফুজ আনাম ব্যাপারটা বুঝতে পেরে এখন অভিনন্দন জানাচ্ছে

Daily Star Congratulates PM Hasina for Vaccine success

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটাই। এই মুহুর্তে টিকার জন্য হাহাকার সারা বিশ্বে।
টিকার সংকটে উৎপাদনকারি ইওরপের দেশগুলোও বিপদে।
সরবরাহ ঘাটতিতে ইউরোপের দেশগুলোতে টিকাদান কার্যক্রমে ধীর গতি নেমে এসেছে। বেলজিয়ামে নিজেদের কারখানায় উৎপাদন সমস্যার কারণে চুক্তি অনুযায়ী সময়মত সব টিকা সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল আস্ট্রাজেনেকা৷ এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের কাছে জবাব চেয়েছে ইইউ৷ইইউ ইওরপে থেকে রফতানিও বন্ধ করে দিয়েছে।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১২

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন:

জার্মানির মাস্ক হাইজ্যাক হাইজ্যাক করেছে আমেরিকা?
ফালতু গুজব।

https://www.theguardian.com/world/2020/apr/03/mask-wars-coronavirus-outbidding-demand

https://www.bbc.com/news/world-52161995

ভাইরে ভাই! এত চোখ কান বন্ধ রাখলে হবে? তাতে কি সত্য মিথ্যা হয়ে যাবে? আমি অনলাইনে গুজব সাপ্লাই দেই না।

আর চীনের জন্য মাস্ক পাঠানো ছিল শেখ হাসিনার একটা ভুল ডিশিসান। উনি বুঝতেও পারেন নাই বা দেশের কেউ বুঝতেও পারে নাই আমাদের ডাক্তার বা হেলথ প্রফেশনাল রা এভাবে মাস্ক এর জন্য সাফার করবে কয় দিন পরে। দুনিয়ার কেউ, আগে ঘরে বাত্তি না দিয়া মসজিদে বাত্তি দিতে যায় না। হিসাব সোজা।

আর মাস্ক বা পিপিই নিয়ে আমাদের সরকার যা করেছে, হেলথ মিনিস্ট্রি, সচিবালয় আর মিনিস্টার যা করেছে, এরপর এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করলেও বমি আসে নিজেদের উপর। ভয় নাই, আপাতত দুর্নীতির তালিকায় ১২ নাম্বারে আছি। ট্রেক গিয়ার আমলের ১/২/৩ নাম্বার থেকে অনেক দূরে আছি এখনো। সো চিয়ার্স

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চীনের জন্য মাস্ক পাঠানো ছিল শেখ হাসিনার একটা ভুল ডিশিসান।
মোটেই ভুল ডিসিশন নহে।

মানুষ মানুষের জন্য, মানুষ মানবতার জন্য।

ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি বাংলাদেশের কাছে পাঁচ হাজার টিকা চেয়েছে। তারা এডভান্স টাকা দেয়ার পরও ৬-৭ মাসেও টিকা হাতে আসার সম্ভাবনা নাই। জরুরি ভাবে তাদের ফ্রন্টলাইন ডাক্তার নার্স ও স্কুল টিচারদের জন্য এখনি দরকার ৫০০০ টিকা।
বাংলাদেশের কাছে এই মুহুর্তে রেডি মৌজুদ ৬২ লাখ ডোজ।
মানবতার ডাকে দিবে ৫ হাজার।

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চীনের জন্য মাস্ক পাঠানো মোটেই ভুল ডিসিশন ছিল না। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্য ডিপ্লোম্যাটিক হওয়াটা বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর যে কয়টি মাস্ক পাঠানো হয়েছে তার জন্য তেমন কোনো ইম্পেক্ট হয়েছে বলে মনে হয় না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্য অক্ষতিকর ডিপ্লোম্যাটিক হওয়াটা বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাস্ক পাঠানোর ইম্পেক্ট বোঝা যাবে বাংলাদেশের সাম্ভাব্য বিপদে। অবস্যই ভুলবে না চীন।

বিপদে ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি বাংলাদেশের কাছে পাঁচ হাজার টিকা চেয়েছে।
তারা টিকা কিনতে এডভান্স টাকা দেয়ার পরও ৬-৭ মাসের ভেতরও টিকা হাতে আসার সম্ভাবনা নাই।
তাদের জরুরি ভাবে তাদের ফ্রন্টলাইন ডাক্তার নার্স ও স্কুল টিচারদের জন্য এখনি দরকার ৫০০০ টিকা।
বাংলাদেশ বলেছে, সমস্যা নেই। টিকা দেয়া হবে।
বাংলাদেশের কাছে এই মুহুর্তে রেডি মৌজুদ ৬২ লাখ ডোজ। আরো আসছে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোথাও ভ্যাকসিন না পেয়ে নিরুপায় পাকিস্তান অবশেষে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন নিচ্ছে।

ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন বাইশটি দেশ ব্যবহার করলেও তালিকায় নাম ছিল না পাকিস্তানের।
কিন্তু ভারতীয় ভ্যাকসিন কূটনীতির কাছে হার মানতে হলো ইমরান খানের পাকিস্তান সরকারকে। অবশেষে WHO কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের সাত লক্ষ ডোজ যাচ্ছে পাকিস্তানে। তবে ফ্রীতে পাওয়ার অপেক্ষায় পাকিস্তান এই ডোজ ডলারে কিনছে না।
কোভিশিল্ড বিশেষ ব্যাবস্থায় চীন হয়ে পাকিস্তানে ঢুকছে রাষ্ট্রসংঘের মারফত। পাকিস্তানে যে ১৭ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে তার সাত লক্ষই ভারতীয় ভ্যাকসিন। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ভারতের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে।
ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে পাকিস্তান!

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি ভ্যাক্সিন নিয়েছেন? কি অবস্থা?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না। এখনো নেই নি।
ভ্যাকসিন তো নিজের ইচ্ছায় নেয়া যায় না। আমার কোটা আসলে আমার পুর্বনির্ধারিত ফ্যামিলি ডাক্তার অফিস থেকে ফোন করবে।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুষ্ঠুভাবে টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গড়া জোট কোভ্যাক্স ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা তাদের আগের ঘোষণার প্রায় দ্বিগুণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস বা সিইপিআই এর নেতৃত্বাধীন এই জোট শুক্রবার জানিয়েছে, আসছে নতুন বছরে তারা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশে ১৩০ কোটি ডোজ টিকা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে।

এক বিবৃতিতে কোভ্যাক্স বলেছে, যে ১৯০টি দেশ এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তার সবগুলোতেই ২০২১ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে টিকা পৌঁছানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর প্রথম চালান আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকেই পাঠানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে বিষয়টি নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও দেশগুলোর প্রস্তুতির ওপর।

টিকার জন্য শুক্রবার নতুন যে চুক্তিগুলোর কথা কোভ্যাক্স জানিয়েছে, তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে আসবে ১৭ কোটি ডোজ। এছাড়া আরও ৫০ কোটি ডোজ টিকার জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে কোভ্যাক্স।

সিইপিআই এর প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যাটশেট জানিয়েছেন, ফাইজার ও বায়োএনটেকের সঙ্গেও টিকার জন্য তাদের আলোচনা চলছে। এ দুটি কোম্পানি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া মডার্নার টিকাও শিগগিরই অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন রিচার্ড হ্যাটশেট।

ধনী দেশগুলো যেখানে তাদের সব নাগরিককে সম্ভব দ্রুততম সময়ে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে গরিব দেশগুলোর জন্য টিকা পাওয়া হয়ে উঠেছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

গরিব দেশগুলোও যাতে টিকা পায়, সেই লক্ষ্যেই গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি বা কোভ্যাক্স নামের এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়, যাতে অর্থায়ন করছে বিভিন্ন দাতা দেশ, বিশ্ব ব্যাংকের মত বহুজাতিক সংস্থা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মত দাতব্য সংস্থা।
বাড়তি টিকার জন্য কোভ্যাক্সের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার এই খবরকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য এটি একটি ‘মাইলফলক’।

গ্যাভির প্রধান নির্বাহী সেথ বার্কলে বলেন, পুরো বিশ্বকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা সরবরাহের যে লক্ষ্য তারা স্থির করেছেন, তা ঠিক পথেই আছে, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে দরকার আরও টিকা, এবং অবশ্যই আরও টাকা।
বাংলাদেশ অবস্য নিয়মিত চাঁদা দিয়ে আসছে এইসব সংস্থাকে।

আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে সবটা পেতে ১ বছর লেগে যাতে পারে।

প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবনরক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রেখে আসা এই আন্তর্জাতিক জোট বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা সরবরাহ করবে তারা।

একজন মানুষ দুই ডোজ করে টিকা পাবেন। সেই হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য গ্যাভির কাছ থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মা, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যারা আগে জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবে। গ্যাভি যখন থেকে পরিকল্পনা জমা নেওয়া শুরু করবে, আশা করছি আমরা প্রথম দিনই আমাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারব।”

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আমরা এসব টিকা পেতে পারি। এটা একটা সম্ভাবনা। আমরা ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি করেছি সেখান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা পাব। আর আমাদের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের টিকা গ্যাভি আমাদের সরবরাহ করবে। তারা বলেছে, এই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তবে নির্ধারিত দিন-তারিখ বলতে পারব না।”

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, তার উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। ওই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে চলতি মাসের শুরুতে সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার।
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকার ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসই বাংলাদেশ সরকারকে ওই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্যাভির কাছ থেকে প্রতি ডোজ টিকা আনতে এক দশমিক ৬২ থেকে দুই ডলারের মতো ব্যয় হবে। ভর্তুকি দিয়ে টিকা সরবরাহ করবে তারা।

অপরদিকে বেক্সিমকোর মাধ্যমে যেসব টিকা আসবে তার প্রতি ডোজের জন্য ৫ ডলার করে লাগবে বলে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের কার্যকর টিকা পাওয়া গেলে তা যাতে সারা বিশ্বের মানুষ পায়, তা নিশ্চিত করতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি।

এ দুই বিশ্ব সংস্থার আয়োজনে গত ৪ জুন গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট হয়, যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন।
ওই সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়, যাকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে কোভ্যাক্স।
গত ৩০ জুলাই গ্যাভির বোর্ড সভায় এই কোভ্যাক্সের অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট (এএমসি) প্রকল্পের আওতায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেও সেই তালিকায় রাখা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলে এসব দেশের মোট জনসংখ্যার অন্তত ২০ শতাংশের জন্য সেই টিকা সরবরাহের প্রাথমিক লক্ষ্য ঠিক করেছে গ্যাভি। আর সেজন্য সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ, যদিও পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে কার্যকর ও নিরাপদ টিকার অনুমোদনপ্রাপ্তি, উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর।
কোভ্যাক্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারের বেশি সেসব দেশকে টিকা কিনে নিতে হবে। চার হাজার ডলারের নিচে আয়ের দেশকে শুরুতে বিনামূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকা দেবে গ্যাভি।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশ গত ৯ জুলাই কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্যাভির কাছে আবেদন পাঠিয়েছে। সে আবেদন গ্যাভি গ্রহণ করেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ গ্যাভির কাছ থেকে বিভিন্ন রোগের যে টিকা নিচ্ছে তার ১০ শতাংশ মূল্য সরকারকে পরিশোধ করতে হয়, বাকি ৯০ শতাংশ দেয় গ্যাভি।

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৪

সাসুম বলেছেন: ভেক্সিন নিয়ে শেখ হাসিনার ডিসিশান উনার নেয়া গত কয়েক বছরে বেস্ট ডিসিশান গুলোর একটা। এটা যে স্বীকার করবেনা হয় তার ব্রেণ নাই নাইলে মগজে সমস্যা আছে। এই যায়গায় কোন আপত্তি নাই। এই যায়গায় আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা না হয়ে অন্য কেউ হলে সেটা ভুলেও কল্পনা করা যেত না।

দুনিয়ার সবাই যেখানে হাহাকার করছে সেখানে আমরা ভেক্সিন পাচ্ছি এর চেয়ে আনন্দের সংবাদ আর কিছু নেই। হোক বেক্সিমকো বিজনেস করছে বা দুনিয়ার সবাই যেখানে সরকার টু সরকার পদ্দতি তে ভেক্সিন আনছে আমরা প্রাইভেট টু প্রাইভেট আঞ্চি, তাও দুনিয়ার সবাই হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমরা ভেক্সিন পেয়েছি এটাই সব চেয়ে সুখের।

ভেক্সিন নিয়ে যাদের সমস্যা আছে হয় তারা ট্রেক জিয়ার সৈনিক নাইলে ট্রেক ম্নোয়ার এর বক্ত । কথা পাইনাল।

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ক্যানাডা গত বছরের নভেম্বরের শেষে শুরু করেও পারে নি, সাত কোম্পানির সাথে চুক্তি, এর পরেও যে দূরাবস্থা, তার তুলনা নেই,
অল্প কিছু পেয়েছে কেবল স্বাস্থ্যকর্মীরা পাচ্ছে তাও সাধারণ ডাক্তারদের বেশিরভাগই পায় নি, সামারের আগে এরা 'ম্যাস ভ্যাক্সিনেশন' শুরু করতে পারবে না। সাধারন মানুষ কবে পাবে কেউ জানে না।
শেষ খবর হল ভারতের কাছে হাত পাততে যাচ্ছে।
নাইজেরিয়া দুই বছরেও পাবে না।
মালয়েশিয়া ফাইজার টিকা আমদানীর ব্যাবস্থা করছে সত্য। তবে সীমিত। allowing for its immediate emergency use
তাই ভ্যাকসিন দেয়া শুরুও হয়নি। শুধু সীমিত রেজিষ্ট্রেশন (conditional registration) শুরু হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির শেষে আসবে বলা হলেও ৩ মাসেও আসার সম্ভাবনা নেই।


UPDATED) COVID-19 Vaccines in Malaysia

Malaysia has granted conditional registration to Pfizer-BioNTech's COVID-19 vaccine, allowing for its immediate emergency use. According to Malaysian authorities, the first doses of the Pfizer vaccine will be rolled out in late February.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.