নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং, কিছু কথা

১১ ই জুন, ২০২২ ভোর ৬:৪১

প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং নিয়ে লাফালাফি চলে।
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সিরিয়ালে তালিকার শেষে থাকলেও আমেরিকা কানাডার ইত্যাদি উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বা প্রতিযোগিতামুলক স্কলারশীপ সহ পিএইচডিতে চান্স পেতে পরবর্তিতে চাকুরি পেতে কোন বেগ পেতে হয় না, কোথাও র‍্যাঙ্কিং নিয়ে বিন্দুমাত্র বৈসম্য দেখিনি।
ঢাবি বুয়েটের কথা বাদই দিলাম খুলনা চট্টগ্রামের মত মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টরাও ভাল স্কোর করে আমেরিকা কানাডার ভাল ইউনিভারসিটিতে চান্স পাচ্ছে , হাজারে হাজারে। (আমার ছেলেও বুয়েট থেকে পাস করে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশীপ পেয়ে পিএইচডি করছে)

কথিত ফালতু র‍্যাঙ্কিংয়ে বা মেধা র‍্যাঙ্কিং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যলয় গুলো হাজারের নিচে থাকলেও আমেরিকা কানাডায় ভর্তিচ্ছু চান্স পাওয়ার তালিকা বাংলাদেশী শিক্ষার্থিরা ১৬তম। - সুত্র আমেরিকান দুতাবাস ওয়েবসাইট। বাংলাদেশী ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের জিআরই স্কোরও ভাল।
ভাল দেশী স্কোর নিয়ে যারা চান্স পাচ্ছে বেশিরভাগই পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের। বুয়েট ও কুয়েটের প্রায় 90 ভাগ ছাত্র ছাত্রী আবেদন করে আমেরিকা কানাডায় স্কলারশিপ পেয়ে যাচ্ছে। আমেরিকাতে যারা উচ্চশিক্ষা নিতে আসছে তারা বেশীর ভাগই পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। ২০২১ সালে ৮,৫০০ বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী শুধু আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, কানাডা ইউকে হিসেব করলে আরো হাজার হাজার। বেশিরভাগই অন্যান্ন দেশের সাথে প্রতিযোগিতামুলক পরিক্ষা দিয়ে স্কলারশিপ পেয়ে। সেখানে দেশের স্কোর আইএল্টিস বা জিআরই পরিক্ষার নম্বর বিবেচিত হয়েছে। দেশের শিক্ষার মান বিশ্ববিদ্যলয়ের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে নি।
অনেকেই জানে না বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং হয় মুলত ছাত্র আকর্ষনের জন্য।


র‍্যাঙ্কিং এজেন্সি কখনো এসব দেশে এসে খোজ করে না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেচে যেই তথ্য সরবরাহ করে, সেগুলোই গৃহিত হয়, মুলত ওয়েভসাইট থেকেই তথ্য খুজে নেয়, যাদের সাই্টে বেশি রিসোর্স বেশি পিডিএফ আর্টিকেল সংগত কারনে সেসব বিশ্ববিদ্যালয় বেশি প্রাধান্য পায়, মার্কেটিং/এডভার্টাইজিং এজেন্সি দ্বারা লবিং করলে আরো বেশি প্রাধান্য পায়। খরচ আছে।
র‍্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতামুলক হওয়ার মূল কারন স্টুডেন্ট আকর্ষণ করা।
উন্নতদেশের দুচারটি বাদে বেশীরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো পর্যাপ্ত ভর্তিচ্ছু স্টুডেন্ট পাওয়া যায় না, (অতি উচ্চ টিউশন ফির কারনে) বিজ্ঞাপন দিতে হয়, লাইব্রেরি, আর্টিকেল পাবলিশ ইত্যাদির ফিরিস্তি পরিবেশন করে র‍্যাঙ্কিং এজেন্সিগুলোর স্মরনাপন্ন হতে হয়। খরচ আছে।

ঢাবি বা বুয়েটকে ছাত্র আকর্ষন করতে খরচ করা লাগে না, বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলোর পেছনে দৌড়াতে হয় না, দরকারও হয় না। কারণ এক সিটের জন্যই শত শত এমনকি হাজার হাজার অপেক্ষমান।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ৭:৩৮

আরইউ বলেছেন:




আপনি ঠিক বলেছেন, হাসান!
ফেয়ার & স্কয়ার হিসাব হলে আমাদের ঢাবি বিশ্বের সেরা ৩, বুয়েট সেরা ৫, জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় সেটা ১০, আবু জর গিফারী সেরা ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে থাকবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশ্ববিদ্যালয় রাঙ্কিং খায় না মাথায় দেয়?
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাঙ্কিং দিয়ে কি করবে? তারা কি ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবে ভুগছে। কোন বিজ্ঞাপন না দিয়ে কোন দালাল এজেন্সি ভাড়া না করেও বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় কি বিদেশি হাজার হাজার ছাত্র পাচ্ছে না?
শুধু ভারত নেপাল মালয়েশিয়া থেকে শতশত স্টুডেন্ট ডাক্তারি পাশ করে তাদের নিজের দেশে সরকারি চাকরি করতে পারছে।
তাহলে কিভাবে কিসের ভিত্তিতে বলা যায় যে বাংলাদেশের শিক্ষার মান খারাপ?

২| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে।

১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা অনেক ব্যাপারেই খোজ খবর না করেই আত্মঘাতি বকাবকি হইতে পছন্দ করি।
আমি আপনি ভার্সিটির শিক্ষক আর সরকারকে- সমাজকে 'শিক্ষার মান খারাপ' ইত্যাদি বলে গালাগালি করে উল্টায়ে ফেলতেসি।
কখনো খোঁজ নিয়ে দেখার চেষ্টা করে না এই র‍্যাঙ্কিং কারা করে? কেন করে? এর ডাটা তারা কিভাবে সংগ্রহ হয়।

৩| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:০২

বিটপি বলেছেন: কু যুক্তি, যেটা নিতে তর্কাতর্কির কোন অবকাশই নেই। কেবল প্রশ্ন ছুঁড়ে গেলাম। ঢাবি আর বুয়েটের গ্রাজুয়েট প্রথম চাকরির বেতন হিসেবে সর্বোচ্চ কত টাকা আশা করতে পারে আর র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা ১০০ নং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট কত টাকায় জয়েন করে?

১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেতন জিনিষটা আপেক্ষিক।
দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। এম্পলয়ারের মর্জির উপর নির্ভর করে। আমাদের দেশের কিছু কর্পোরেট মালিক দেশে অনেক দক্ষ ম্যানেজার থাকার পরও শ্রীলংকা বা ভারতীয় ম্যানেজার রাখে, কারনটা প্রতিষ্ঠানে শৃক্ষলা বজায় রাখার জন্য। একজন বিদেশী ম্যানেজার থাকলে দলাদলি স্বজনপ্রিতি কম হয়, ভাষার কারনে চাটুকারিতাও কম হয়।

গুরু স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চাকুরী জীবনে র‍্যাঙ্কিং, বিশ্ববিদ্যালয় এসব থেকেও ব্যক্তিগত (দক্ষতা, নিষ্ঠা) গুণাবলীই মুখ্য হয়ে ওঠে।

৪| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:১০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বীজ ভালো,পরিচর্যার অভাব।

৫| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

নিমো বলেছেন: আপনার যুক্তি অনুযায়ী দেশে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা থাকার পরও আপনার ছেলেকে অন্য দেশে গিয়ে পিএইচডি কেন করতে হল ?

১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বুয়েট থেকে পাস করার পর স্কলারশীপ পেয়েছে।
সম্পুর্ন বিনামুল্যে পড়াশোনার সুযোগ আর সাথে রিসার্চ এসিস্টেট হিসেবে ২৪০০ ডলার সম্মানী, আর এখানে পাশ করার পর চাকুরির বাজারও ভাল।

৬| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার পোস্টে যথেষ্ট যুক্তি আছে - র‍্যাঙ্কিং নিয়ে আসলেই অতিরিক্ত বাড়াবাড়িই হয়ে থাকে।
আর চাকুরী জীবনে র‍্যাঙ্কিং, বিশ্ববিদ্যালয় এসব থেকেও ব্যক্তিগত গুণাবলীই মুখ্য হয়ে ওঠে। আমার এক কলিগ কানাডার র‍্যাঙ্কিংয়ের নিচের সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেও মাত্র দশ বছরে সবাইকে ডিঙিয়ে চারপাঁচটি প্রমোশন নিয়ে বেশ উপরে উঠে গেলো তরতর করে।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৩:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
র‍্যাঙ্কিং নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই অতিরিক্ত বাড়াবাড়িই হয়ে থাকে।
পৃথিবীর কোন দেশের সংবাদ মাধ্যমে এইসব খবর প্রাধান্য পায় না। বাংলাদেশে পায়, কারন কিছু কুলাঙ্গার বিভিন্ন যাগার আবর্জনা থেকে নিজ দেশকে অপমান করতে ছোট করতে নিজের সকল, মেধা সময় নষ্ট করে।

দেশের বিশাল সংখক লোকজন চাইছিল বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হোক।
এর আগেও আমেরিকা যখন নিশেধাজ্ঞা দিল, তখন খুসিতে তালেবান বন্দনা বাদ দিয়ে আমেরিকা ভক্ত বনেগেল। তখনো এরা আরো বেশী আঘাত চাচ্ছিল, রপ্তানি বন্ধ করা চাচ্ছিল।
গত বছর - পঙ্গপাল আসছে, পঙ্গপাল সীমান্তের কাছে এসে গেছে - ওরে খুসিতে কি উল্লাশ!
নিজ দেশেকে ধ্বংশ করতে নাদানগুলো নিজেরাও গরিব ফকির হয়ে যেতেও রাজি।
৭১ এ বাবা চাচাদের কাছে শুনেছিলাম কিছু পাকিস্তান সমর্থক দেশপ্রেমে অন্ধ হয়ে নিজেদের পরিবারের মেয়ে সদস্যদের পর্যন্ত খানসেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল! ইসলাম রক্ষা পাকিস্তান রক্ষার জন্য।

৭| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি পিএইচডি করে ফেলেছেন, নাকি লাইনে আছেন?

১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জি না ওস্তাদ।
আমি একজন দিন মজুর। ঘন্টায় বেতন।

৮| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

সাসুম বলেছেন: তাহলে কিভাবে কিসের ভিত্তিতে বলা যায় যে বাংলাদেশের শিক্ষার মান খারাপ?


কোন কিছুর ভিত্তির দরকার নাই- আপনার এই ব্লগ এবং বিভিন্ন রিপ্লাই থেকেই এটা ক্লিয়ার বাংলাদেশের শিক্ষার অবস্থা।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৩:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্লগের কমেন্ট হিসাব করে শিক্ষাব্যবস্থা খারাপ বলছেন?
ব্লগ ও সামাজিক মাধ্যমে উপাচার্য বক্তব্যকে ট্রল করে ধুয়ে ফেলছে।

ভিসি সাহেব কোন কথাটা খারাপ বলছেন?
ওনার বক্তব্য সবটা দেখুন।

অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘র‍্যাংকিং নয়, শিক্ষার মান ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা বেশি জরুরি।’
শনিবার (১১ জুন) ঢাবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন উপাচার্য।
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার কতগুলো মৌলিক প্যারামিটার আছে, সেই প্যারামিটারগুলো অ্যাড্রেস করার পূর্বে র‍্যাংকিং বিষয়টা ভাবা উচিত নয়। এগুলোর উন্নয়ন না ঘটিয়ে র‍্যাংকিং বিষয়ে আমরা অ্যাটেনশন দেব না। কারা কী র‍্যাংকিং করল, এগুলো এখন একেবারেই দেখি না।
উপাচার্য বলেন, ‘গবেষণা, বিদেশি শিক্ষার্থী, বিদেশি শিক্ষক, শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের জীবনমান—এসব সূচকের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে পারলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের অবস্থান আরও স্পষ্ট হবে।’

১২ ই জুন, ২০২২ ভোর ৪:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভালো খারাপ বোঝার উপায় কি
পাশ করে কোথাও চাকরি পাচ্ছে না নাকি বিদেশে উন্নত শিক্ষায় ভর্তি হতে পারছে না?

বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ, এখানে উচ্চশীক্ষা বিনামুল্যে বা নাম্মাত্র মুল্যে। এজন্য বেশি বিঃ বেশি গ্রাজুয়েট।
পৃথিবীর কোথাও এত সস্তা উচ্চশীক্ষা নেই। অন্যান্ন দেশের হিসেবে ঢাবিতে মাস্টার্স করতে ৫০লাখ টাকা ঢামেকএ কোটিটাকা লাগার কথা।
পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ ব্যাংগের ছাতার মত অলিগলিতে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কিছু বিশৃক্ষলা থাকবেই।
এরপরও একদম খারাপ বলা যাবে না।

ভারতের মতো রক্ষণশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের গ্রাজুয়েট দের স্বীকৃতি দিচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে পাস করা ভারতীয়দের হাজার হাজার ডাক্তারদের স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকারি চাকরি দিচ্ছে।

বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের আমেরিকায় এত চাহিদা কেন? বহু পোলাপানদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেও কোন সদুত্তর পায়নি।
একজন চাইনিজ বংশের প্রফেসর গবেষণা সহকারি হিসেবে স্বদেশী স্টুডেন্টদের বাদ দিয়ে কেন একজন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট খুঁজে?
পরে জানতে পারছি কারণটা বাংলাদেশের স্টুডেন্ট ভালো নিষ্ঠাবান, অন্যান্য বিদেশিদের চেয়ে ইংরেজি ভালো বোঝে ভালোভাবে লিখতে পারে ভালোভাবে প্রেজেন্ট করতে পারে, ক্লাস ওয়ান থেকে ইংরেজি বই পড়ে আসছে।
চাইনিজরা আরবরা টার্কিশরা ভালো ইংরেজি জানেনা ক্লাস ওয়ান থেকে তাদের কোন ইংরেজি বই নাই ক্লাস টেন থেকে নামমাত্র আছে।
বাংলাদেশ ও ভারতে ক্লাস ওয়ান থেকে কমপক্ষে একটি ইংলিশ টেক্সটবুক, তাই অন্যান্ন বিদেশীদের চেয়ে এরা একটু বেশি প্রাধান্য পায়।


আর ঢাবিতে মারামারি হয় পিটাপিটি হয় হেলমেট পড়ে। ১০ টাকার সিংগারা সমুচা পাওয়া যায় এজন্য শিক্ষাব্যবস্থা খারাপ।
আপনার বয়স কত জানিনা একসময়ের ঢাবিতে প্রতিরাতে গুলির শব্দ শোনা যেত। কিছুই না ছাদে ফাঁকা গুলি চালিয়ে প্র্যাকটিস করত।
সেই নীরু বাবলু আওরঙ্গ অভি ইলিয়াস এসব ইতিহাসকে কি অতিক্রম করে আসেনি ঢাবি?
এখন ছুরি চাকু রামদা বন্দুক পিস্তল এসব অতিক্রম করে হেলমেট কে এখন প্রধান অস্ত্র বলা হচ্ছে। এমন মারাত্মক অস্ত্র।

৯| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: পাকিস্তানী বিশ্ববিদ্যালয় যদি ওয়েবসাইট এনরিচ করে লিষ্টে এগিয়ে থাকতে পারে তো আমরা কেন পারি না? সমস্যা কোথায়?

র‍্যাংকিং বলতে যে কিছু আছে তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানে, বোঝে বলেও মনে হয় না।

১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ২০১০ সালে থেকে এই র‍্যাংকিং করছে কিউএস৷
যেসব factor গুলোকে ভিত্তি করে করা হয় তার ভেতর 'শিক্ষার মান' বলে কোন ক্রাইটেরিয়া নেই।
বিভিন্ন সূচকে ১০০ মার্কের ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল্যায়ন হয়

একাডেমিক সুনাম, (অস্পষ্ট ক্রাইটেরিয়ায় ১০০ ভেতরে ৪০ নম্বরই খেয়ে ফেলে)।

স্টুডেন্ট জেন্ডার রেশিও
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে হিট সংখ্যা
ফেবু-টুইটারে পেইজ ভেরিফাইড থাকলে পয়েন্ট বাড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক আয় ব্যয় মুনাফা।
টিউশন ফি/ সেমিষ্টার ফি/বেতন (যত বেশী তত পয়েন্ট)
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বৃহৎ কর্পোরেট লিঙ্ক (বোইং, জেনারেল মটরস, মাইক্রোসফট, ইনটেল, জনসন এন্ড জনসন ইত্যাদি) যত ইনভেষ্ট, মিলিয়ন ডলার লেনদেন তত পয়েন্ট।
বিদেশী শিক্ষক অনুপাত
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত
সংগত কারনেই ২০২৩ সালের কিউএসের তালিকায় টানা ১১ বারের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

মুলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কন্টেন্ট দেখে র‍্যাঙ্ক যাচাই করা হয়।
যথেষ্ট আর্টিকেল পাবলিকেশন থাকলেই তো হবে না। ওয়েবসাইটে উল্লেখ ডিটেইল ও ভেরিফাইড লিঙ্ক থাকতে হবে। কিছুই নেই। স্বতপ্রনদিত ভাবেও ওদের কাছে ডাটা সাবমিশন (তেল দেয়া) করা যায়।
এজেন্সি ভাড়া করেও তেল দেয়া যায়।
ঢা বি বুয়েটের যাই আছে সবকিছু যদি সুন্দর ভাবে ওয়েবসাইটে থাকতো অন্তত পাকিদের পিছে পড়তে হত না।

১০| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:
চাকুরির বাজারও ভাল।

স্বামী বিশুদ্ধানন্দও প্রমোশন নিয়ে বললেন। হাসির ব্যাপার! বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য কী ? চাকুরি ? প্রমোশন ? আমাদের সোনাগাজীর প্রবাসীদের জ্ঞানের বহর দেখে আমি বিমোহিত।

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হাসির ব্যাপার?

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কী ?
শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে একজন অবস্যই ভাল চাকুরি ভাল ক্যারিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন।

অবস্য বুয়েটের অনেককে দেখি হাদিস গবেষনা হাদিস প্রচার করছে।
বুয়েটের নোটিস বোর্ডে তবলিগ জামাতের শিডিউলও দেখা যায়। অনেকের কাছে ক্যারিয়ারের চেয়ে এসবও গুরুত্বপুর্ন।

১১| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ দেশটারে শেষ কইরা দিলো।

১২| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: র‍্যাংকিং দিয়ে কি হবে?

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
র‍্যাংকিং দিয়ে কিছুই হয় না।
যাষ্ট একটি নন প্রফিট অর্গানাইজেশন। তাদের ওয়েব সাইট,
কোন ইউনিভার্সিটি ভাল বাছাই করতে মুলত ছাত্র-ছাত্রীদের ধনী অভিভাবকদের আকর্ষনের জন্য।

উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা প্রচুর ব্যায় বহুল, এক এক ইউনি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান, এরা ছাত্র ধরতে পেশাদার মার্কেটিং এজেন্সি ভাড়া করে, ধনী বৃদ্ধদের ডোনেশন, সরকারি তহবিল, ভিক্কা হাতিয়ে নিতেও দালাল নিয়োগ করে।

১৩| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: Stupidity is observing the same thing over and over again but still believing the opposite.

১৪| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ২০১০ সালে থেকে এই র‍্যাংকিং করছে কিউএস৷
যেসব factor গুলোকে ভিত্তি করে করা হয় তার ভেতর 'শিক্ষার মান' বলে কোন ক্রাইটেরিয়া নেই

শিক্ষার মান সরাসরি যাচাইয়ের কোন মিটার আছে? এগুলো ছাড়া আপনার কোন পরামর্শ আছে যা দিয়ে শিক্ষার মান যাচাই করা যায়?

১৫| ১১ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন:
জি না ওস্তাদ।
আমি একজন দিন মজুর। ঘন্টায় বেতন।

-এতেই ইউনীভার্সিটির ব্যাংকিং'এর সমাধান দিচ্ছেন? দেশে থাকল, ভাইস চ্যানচেলর হতে পারতেন।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি কোন সমাধান দিচ্ছিনা।
ব্লগ ও সামাজিক মাধ্যমে ভিসির বক্তব্য নিয়ে ট্রল তামাসা চলছিল, আমি ভাবলাম কিছু বলা দরকার।

১৬| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল এনালাইসিস

১৭| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @নিমো:

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য কি সেটা আপনি পরিষ্কার করে বললে ভালো হতো। বাংলাদেশে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে তারা সবাই কি সেই মূল উদ্দেশ্যের জন্যই পড়াশুনা করছে ?

তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দক্ষ এবং যুগের সাথে মানানসই জনশক্তি উৎপাদন করা। এরা বিশ্বায়নের যুগে অন্যান্য দেশে গিয়ে কতটুকু খাপ খাওয়াতে পারছে সেটার জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে এককভাবে দায়ী করার পক্ষে আমি নই। এটি একটি কারণ হতে পারে - তবে সেই সাথে এই সকল শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের বুনিয়াদ যে দুর্বল সেটাও আরো অনেকগুলো কারণের একটি বলে আমার মনে হয়।
আমাদের প্রাইভেট পড়ুয়া মুখস্থ নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিতরা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও কি কোনো অভাবনীয় সাফল্য প্রদর্শন করে ফেলতে পারবে ?

আমার কাছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং নিয়ে হৈচৈ করার চাইতে দেশের গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো অনেক বেশি প্রয়োজন বলে মনে হয়। এই বিষয়ে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং ফিলিপাইন অনেক এগিয়ে - এদের এই দুটি দেশের প্রবাসীদের অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা না থাকে সত্ত্বেও উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন সেক্টরে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই কাজ করে যাচ্ছে।

আমার জ্ঞানের বহর আপনার তুলনায় অতি নগন্য। আমার বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে, এবং পরবর্তীতে উত্তর আমেরিকার দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা বেশ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করার সুযোগ হয়েছে - এটুকুই। এর জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা রেকর্ড সংখ্যক তথা ১৩,৫৬৩ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সক্ষম হয়েছে। এর আগের বছর সংখাটি ছিল ৮,৫০০, প্রতি বছরই বাড়ছে।
এরা কেউই পালিয়ে যায় নি। বাংলাদেশিদের পারিবারিক বন্ধন অনেক মজবুত, এরা চাকুরি পেয়ে মোটা অংকের রেমিটেন্স পরিবারের কাছে পাঠাচ্ছে। এই কারনেই আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.