নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ বছর নোবেল পুরস্কার, এবার কিছুটা বেশী আলোচিত হলো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১১

চিকিৎসা বিদ্যায় এ বছর নোবেল পুরস্কার-২০২২ এবার কিছুটা বেশী আলোচিত হলো।
কারন এই ডাক্তারি শাখার পুরষ্কার মুলত আদী মানবের উদ্ভব ও বিবর্তন, যা চিকিৎসা খাতকে উন্নত করবে।







মেডিসিন ও ফিজিওলজি অর্থাৎ চিকিৎসা বিদ্যায় এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন সুইডিস জিনেটিক বিশেষজ্ঞ সানটে ফ্যাবো (Svante Paabo)।
বিলুপ্ত হোমিনিন তথা নিয়ানডারথালদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন বিষয়ে ব্যাপক গবেষণার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এই সুইডিশ বিজ্ঞানী/গবেষককে।


নিয়ানডারথাল মানুষের (হোমোসেপিয়েন্সের) পূর্ব পুরুষ নয়।

নিয়ানডারথাল অনেকটা মানুষের মতই Archaic Human (প্রাচীন মানুষ/আধুনিক মানুষের পূর্ব পুরুষ)
নিয়ানডারথাল বনমানুষরা মানবজাতির বিবর্তনের শেষদিকের একটি শাখা প্রজাতি ছিল, আজ থেকে ৪০ হাজার বছর আগে ধিরে ধিরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।






২০০৮ সালে সাইবেরিয়ার ডেনিসোভায় পাওয়া যায় একটি ৪০,০০০ বছর পুরনো হাতের আঙ্গুল। যা ছিল মানুষের ( হোমো স্যাপিয়েন্স) পূর্ব পুরুষের ভাগিদার নিয়ানডার্থাল দলের। পেবো এক অসীধ্য সাধন করেন সেই আঙ্গুল থেকে ডিএনএ সিকোয়েন্সিং করে। এই প্রথম মানুষ জানতে পারলো, আসলে মানুষের আদি পুরুষ আর নিয়ানডার্থালদের সঙ্গে জিনেটিক মিল ও ভাগাভাগি।
প্রায় ৪ লক্ষ বছর আগে ইউরোপ ও এশিয়ায় নিয়ানডার্থালরা বেড়ে ওঠে, আর আফ্রিকায় তিন লক্ষ বছর আগে মানুষ বা হোমো স্যাপিয়েন্সদের ডেভেলপমেন্ট দেখা যায়।

৭০ হাজার বছর আগে কিছু একদল হোমো স্যাপিয়েন্স খাদ্য সন্ধানে ছুটতে ছুটতে আফ্রিকা থেকে ইউরোপ চলে আসে। এই জিকেটিকসের আবিস্কার নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করে মানুষের বিবর্তন এবং প্রায় এক লক্ষ বছর নিয়ানডারথাল আর হোমো স্যাপিয়েন্স একসঙ্গে পৃথিবীতে বিচরণ করেছে। সিম্থসোনিয়ান ইন্সটুটিউশানে প্রকাশিত তথ্য অনুসরে, অ-আফ্রিকান আধুনিক মানুষের জিনোমের মধ্যে নিয়ানডারথালের কন্ট্রিবিউশান ০১% থেকে ০৪%। যদিও নিয়ানডারথাল আর মানুষের ডিএনএ ডাইভারজেন্স আট লক্ষ বছরের মতো।

শত কোটি বছর আগে আগে প্রাণের উদ্ভব এবং ৬ কোটি বছর আগে প্রাইমেট বা আদিম মানবের উদ্ভব । ৩০ লাখ বছর আগে ‘হোমো’ জেনাস বা বংশের জন্ম। এদেরকে বলা হয় হোমিনিন এবং এরাই মানুষের মানুষের নিকটতম পূর্বপুরুষ।
হোমো জেনাস ১১টি স্তর পার হয়ে আধুনিক মানুষ বা হোমো স্যাপিয়েন্স হয়েছে। যে পূর্বপুরুষ থেকে ডেনিসোভান আর নিয়ানডারথাল এসেছ, ওই একই পূর্ব-পুরুষ থেকে আজকের আধুনিক মানুষের জন্ম। তারপর শাখার এই অংশ নিয়ানডার্থালেরা বিলুপ্ত হয়ে যায়!

নিয়ান্ডারথাল মানুষের জিন নকশা তৈরির যে প্রক্রিয়াটি ড. পেবো ব্যবহার করেছেন তার একটি ইতিহাস আছে।

তার বয়স যখন ১৩ তখন তার মা তাকে নিয়ে মিশরে গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে।
সেখানে তিনি মিশরের প্রাচীন সংস্কৃতি এবং প্রত্নতত্ত্ব দেখে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তখনই সিদ্ধান্ত নেন তিনি ভবিষ্যতে একজন মিশরবিদ হবেন।


এই কারণেই তিনি ইজিপ্টোলজি ছেড়ে শুরু করলেন মেডিসিন (ডাক্তারি) পড়া। পরে মলেকিউলার জেনেটিক্সে ডক্টরেট করেন। আর এর মধ্য দিয়েই কৈশোরে তার যে বিষয়কে ঘিরে তার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল সেই বিষয়কে তিনি তার পেশার ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত করতে পেরেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস ড. পেবোর ওপর যে প্রোফাইল প্রকাশ করেছে তাতে তিনি লিখেছেন, "আমি বুঝতে শুরু করলাম যে ডিএনএ ক্লোন করার জন্য আমাদের কাছে অনেক প্রযুক্তি রয়েছে। কিন্তু এই প্রযুক্তি কেউ প্রত্নতাত্ত্বিক দেহাবশেষ - বিশেষ করে মিশরীয় মমিগুলির ওপর প্রয়োগ করেছে বলে মনে হয় না।"

কিন্তু তিনি এই পথ ধরে শুরু করলেন। বিষয়টি নিয়ে তার প্রবল উৎসাহ তাকে টেনে নিয়ে গেল মমির ডিএনএ অধ্যয়নের দিকে। এর কয়েক বছর পর তিনি চলে যান ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট বার্কলেতে প্রাচীন ডিএনএ অনুসন্ধান নিয়ে গবেষণার জন্য।
এরপর এই গবেষণার ধারায় তিনি চলে যান জার্মানির মিউনিখে, যেখানে গুহাবাসী ম্যামথ এবং মেরু ভল্লুকের গবেষণায় তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেন।
কাজগুলো সহজ ছিল না, কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি তৈরি করলেন, বলা যায়, তার নিজস্ব জিনোমিক টাইম মেশিন।





সময়ের সাথে সাথে তিনি আরও অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিছু করার জন্য প্রস্তুতি নেন। অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া নিয়ান্ডারথাল মানুষের ডিএনএ রহস্য উন্মোচন এবং বর্তমানের আধুনিক মানুষের থেকে নিয়ান্ডারথাল মানুষের জিন বিন্যাস কতখানি আলাদা তা ব্যাখ্যা করা।

তিনি হয়তো তখন ভেবে দেখেননি, কিন্তু তার হাত ধরেই বিজ্ঞানে চালু হয়েছিল নতুন একটি শাখা: প্যালিওজেনোমিক্স।


নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে জার্মানির লাইপজিগের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট ফর ইভোল্যুশনারি অ্যানেথ্রোপলজি বিভাগ ড. ফেবোকে চাকরি দেয়। এতে ওনার অনেক সুবিধা হয়।

তিনি নিয়ান্ডারথালদের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ নিয়ে কাজ করে আসছিলেন এবং এই ইন্সটিটিউট তাকে বিশাল এক গুণগত অগ্রগতির সুযোগ তৈরি করে দেয়। সেটা হলো ডিএনএ নিউক্লিয়াসের গঠন সম্পর্কে গবেষণা করা।

চিকিৎসার জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে থাকা করোলিনস্কা ইন্সটিটিউট এক বিবৃতিতে বলেছে, "নতুন ইন্সটিটিউটে, ড. ফেবো এবং তার দল পুরাতন হাড় থেকে ডিএনএ-কে আলাদা করা এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করার পদ্ধতিগুলিকে ক্রমাগত উন্নত করেছেন। গবেষণা দলটি নতুন প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়েছে যা জিন বিন্যাসকে খুব সুদক্ষ করে তুলেছে।"

নিয়ান্ডারথাল জিন বিন্যাসের এই গবেষণার জন্য প্রায় ৪০,০০০ বছর আগের নিয়ান্ডারথাল হাড়ের নমুনা ব্যবহার করা হয়। এই হাড়গুলোতে ডিএনএ-এর কোডগুলি ভালভাবে সংরক্ষিত ছিল।
ওনার গবেষনা এবং নোবেল প্রাপ্তি মানবকুলের বিবর্তনের ইতিহাস টাইমলাইন অনেকটাই সমৃদ্ধ করলো।

তথ্যসুত্র ও ছবি সাইন্স জার্নাল এবং বিবিসি।
সেজান মাহমুদের ফেবু পোষ্টের একটি অংশ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৪

কামাল৮০ বলেছেন: এই আবিস্কারের পর এখন দেখা যাবে , কোরানে এটা আগের থেকেই ছিলো।কেবল আমরা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।ইহুদি নাসারারা কোরান থেকেই এটা খুঁজে বের করেছে।এটাও এক প্রকার ভালো যে,বিষয়টা স্বীকার করে।কোরানেই থাক আর বাইবেলে থাক।
আরেক দল আছে বিষয়টাকে সম্পুর্ণ অস্বীকার করে , তারা অন্ধবিশ্বাস।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ কামাল ভাই।
ভাল বলেছেন। তবে বিজ্ঞান আর ধর্মকে না মিলানোই উচিৎ।
কারন একটা বিশ্বাস, আরেকটা হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রমান।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



মানব বিবর্তনের জ্ঞান পরিবর্ধিত হচ্ছে; এছাড়া, এই জ্ঞানকে কি মেডিসিনে প্রয়োগ করা যাবে?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানব বিবর্তনের জ্ঞান প্রতিনিয়তই পরিবর্ধিত ও সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এই জ্ঞান এবং প্রাপ্ত ডাটা অহরহই চিকিৎসা বিজ্ঞানে ও বিহেবিরিয়েল সাইন্সে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ক্যান্সার ও হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

একটা উদাহরন বলি, আদী মানব জাতী প্রায় লাখ বছর মুলত ভেজিটারিয়ান ছিল, প্রধানত ফলমুল খেয়ে বেচে থাকতো, পাখির ডিম পেলে খেত। মাত্র ২০০০ বছর আগে থেকে মানুষ বেশী মাংশ খাওয়া শুরু করে।
তাই এখন ডাক্তাররা হৃদরোগীদের সাক সবজি বেশি খেতে ও মাংশ খেতে না করে।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে আগেও কিছু পড়াশোনা করেছিলাম। নিয়ানডার্থাল (ইংরেজি ভাষায়: Neanderthal) একটি জীবাশ্ম-নৃতাত্ত্বিক প্রজাতির নাম যারা প্লাইস্টোসিন যুগে বাস করতো। এরা হোমো গণের অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই তাদের দ্বিপদী নাম Homo neanderthalensis বা Homo sapiens neanderthalensis। তাদের আবাসস্থল ছিল ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্য ও পশ্চিম অঞ্চল। বিষয়টা অনেক বিস্তৃত.... যা একটা মন্তব্যে প্রকাশ করা সম্ভব না। আবার বিস্তারিত লেখার মতো যোগ্যতাও আমার নাই। আশা করছি, এই বিষয় নিয়ে অনেকেই লিখবেন যা পড়ে নিজের জানার ঘাটতি পূরণ করতে পারবো
ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২০

শেরজা তপন বলেছেন: নিয়েন্ডার্থাল যে আধুনিক মানুষ থেকে আলাদা একটা প্রজাতি সেটা বৈজ্ঞানিকেরা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন। শুধু সন্দেহবাদীরা আঙ্গুল উঁচিয়েছেন।
উনি সেটা মোটামুটি দ্ব্যর্থহীন ভাবে প্রমাণ করলেন। এধরনের ডী এন এ টেষ্ট যে কত কঠিনতর তা সাধারণ মানুষের ধারনারও বাইরে।

দারুন লিখেছেন। এই আর্টিকেলটা পড়ার ইচ্ছে ছিল- আপনি সেটা সহজে করেদিলেন।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২২

তানভির জুমার বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: এই আবিস্কারের পর এখন দেখা যাবে , কোরানে এটা আগের থেকেই ছিলো।কেবল আমরা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।ইহুদি নাসারারা কোরান থেকেই এটা খুঁজে বের করেছে।এটাও এক প্রকার ভালো যে,বিষয়টা স্বীকার করে।কোরানেই থাক আর বাইবেলে থাক। আরেক দল আছে বিষয়টাকে সম্পুর্ণ অস্বীকার করে , তারা অন্ধবিশ্বাস।

সব জায়গায়ই ধর্ম বিদ্বেষ উগলে না দিলে ভালো লাগে না? এইসব খাছরামি বন্ধ করেন।

বঙ্গীয় নাস্তিক কমিউনিটির তফালিং দেখে আমার হাসি পায়। তাদের কথা হইলো সাভান্তে পাবো নোবেল পুরুষ্কার লাভ করার দ্বারা বিবর্তনবাদ (ম্যাক্রো ইভোলিউশন বা হিউম্যান ইভোলিউশন) কে প্রমাণ করা হয়েছে বা এই গবেষণার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে। অথচ বিষয়টা (হোমিনিন গোত্রের হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথাল) মোটে এরকম কিছু না, ধর্মের প্রসঙ্গ তো অনেক দূরের কথা।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই জিন গবেষনার একটা অংশে ছিল যে -
63% of Bangladeshis have Neanderthal genes।Study find this makes them more susceptible to severe Covid-19 infections। ব্লগেও এই বিষয়ে সেই সময়ে পোস্ট এসেছে।

গবেষনার এই অংশটুকু কিন্ত ভুল প্রমানিত হয়েছে। বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলায় বলতে গেলে কোন পদক্ষেপই নেইয়া হয়নি এবং মানুষজন নিজেরাও সচেতন হয়ে কোন স্বাস্থবিধি মানেনি। তারপরেও ইউরোপ আমেরিকায় যেভাবে কীট পতঙ্গের মত মানুষ করোনায় প্রান হারিয়েছে , সেই তুলনায় বাংলাদেশে ডেথ রেট খুবই কম ছিল।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজের দাবীদার ছিল এ বছর করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারকারকরা। মরনঘাতক এক ভাইরাসকে যেভাবে বিজ্ঞানীরা পরাজিত করেছে তা অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে এই পৃথীবির ইতিহাসে। বারংবার রুপ বদল করে অধিক শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসে মরনঘাতক করোনা ভাইরাস এইমানবসভ্যতার অস্তিত্বই হুমকির মাঝে ফেলে দিয়েছিল। যে সব বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলাফল স্বরুপ আজ এই পৃথীবি আবারো ফিরতে পেরেছে স্বাভাবিক রুপে , তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে এই শতাব্দির পুরো মানব্জাতি।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

63% of Bangladeshis have Neanderthal genes গবেষনার এই অংশটুকু কিন্ত ভুল প্রমানিত হয় নি। বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মৃতদের নমুনা সংরক্ষন করা আছে সম্ভবত। সব চেক করাটা ব্যায়বহুল, তবে হওয়া উচিত।

প্যাবো ও তাঁর সহকর্মীরা দেখিয়েছেন, যেসব মানুষের মধ্যে নিয়ানডার্থালদের জিন আছে, তারা ‘কোভিড ১৯’ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভেন্টিলেশন অর্থাৎ কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন হয়েছে বেশি। এ বছর এক বক্তৃতায় প্যাবো বলেছেন, এবার করোনাভাইরাসে ১০ লাখের বেশি লোক মারা গেছেন নিয়ানডার্থাল জিন বহনের কারণে।

বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলায় বলতে গেলে কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি এবং মানুষজন নিজেরাও সচেতন হয়ে কোন স্বাস্থবিধি মানেনি। তারপরেও ইউরোপ আমেরিকায় যেভাবে কীট পতঙ্গের মত মানুষ করোনায় প্রান হারিয়েছে , সেই তুলনায় বাংলাদেশে ডেথ রেট খুবই কম ছিল।

সঠিক বলেছেন।
ঊত্তর দিতে অনেক দেরি হয়ে গেল, ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: জাদিদও আপনার লেখায় লাইক দিয়েছে দেখি ! অক্টবরের চার তারিখে BDnews২৪.com -এ ওপিনিয়ন কলামে আমাদের সিনিয়র বন্ধু মাহমুদুর রহমান নিন্টুর (সেজান মাহমুদ)লেখা 'মেডিসিন এবং ফিজিওলজিতে নোবেল কেন তাৎপর্যপূর্ণ?' শিরোনামের লেখাটার কথাও আপনার পোস্টের তথ্য সূত্রে বলতে পারতেন। আপনার নিকের বৈশাখী ঝরেই হয়তো রেফারেন্সটা উড়ে গেছে মনে হচ্ছে । কিন্তু ব্লগ র্যাব আরইউ সেজান মাহমুদের ওই লেখার সাথে এই লেখার গায়ে গতরে মিল পাবার কারণে আপনাকে হ্যান্ডকাফ পরাবার আগেই রেফারেন্সটা যোগ করে দিন কষ্ট করে। ব্লগার শাহ আজিজের লেখার পরে এই লেখাটা আসলে অতিরিক্ত মনে হয়েছে। তবুও কুডোস ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেজান মাহমুদের একটি বিশাল প্রবন্ধ থেকে ৪-৫ লাইনের কিছু বাক্যের মিল দেখাতে আপত্তি জানালেন!

৪০,০০০ বছর পুরনো হাতের আঙ্গুল। ওই আঙ্গুল থেকে পূর্ণ ডিএনএ সিকোয়েন্সিং
এটা তো সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন তথ্য। এই তথ্য বাদ দিয়ে লিখলে পুরো পোষ্টই অর্থহীন হয়ে যায়।

সবটা কপি করি নি, সম্ভবত ওনার ফেবু স্যাটাস থেকে নিয়েছি। হুবুহু নয়। বিডি নিউজের লেখাটা এই প্রথম দেখলাম। ভাল লেখা। আগে দেখলে আরো বেশী সংগ্রহ করতাম।
ফেবু স্যাটাসে উনি ধর্ম বিশ্বাসের সাথে তুলনা করে অনেকটা কটাক্ষ করেছেন বলা যায়, আমি ধর্ম প্রসংগ ইচ্ছা থাকলেও তুলি নি
আমি ওনার স্যাটাসও সবটা কপি করি নাই, প্রবন্ধও না। তবু যখন বলছেন সেজান ভাইয়ের নামটাও যোগ করে দিলাম।
আজিজ ভাই কিন্তু একজনের লেখা সবটাই কপি করে লেখকের নাম দিয়েছেন।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৭

ঈশ্বরকণা বলেছেন: ভেবে ছিলাম প্রথম মন্তব্যের পরে আর কিছু বলবো না। কিন্তু আপনার মন্তব্যের পরে আরেকটু না বললে আপনার ব্যাপারে অন্যায় করা হয়ে যায় ।ইউ আর রাইট। সেজান মাহমুদ ধর্ম নিয়ে খুবই অল্পই বলেছেন যদিও সেটাও অনর্থক বলেছেন, না বললেও ক্ষতি ছিল না (আমার কাছে আসলে সেটা ধর্ম খোঁচা দেয়া কিছুও অবশ্য মনে হয়নি)। আমি উনাকে সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ছাত্র অবস্থার সময় থেকেই চিনি। উনার প্রোগ্রেসিভনেস মাইনাস গড এটিচুড সম্পর্কে আমি সব সময়ই পুরো ওয়াকিফহাল। এ'নিয়ে উনার সাথে চা সিঙ্গারার সাথে দিনের পর দিন ডিবেট করে বহু সময় কেটেছে আমার। উনি এখনো আগের মতোই আছেন সেটাও জানি।তাই উনার লেখার এপ্রোচ নিয়ে আমি অবাক হই না খুব । মন্তব্যও সাধারণতো করি না ধর্ম সম্পর্কে উনার টানেল ভীষণ নিয়ে।উনিও আমাকে প্রচন্ড প্রগ্রেসিভ মাইন্ডেড কিন্তু প্র্যাকটিসিং একজন মুসলিম হিসেবেই ইউনিভার্সিটি জীবন থেকেই জানেন। সেজন্য আমাদের মধ্যে সব সময়ই ডিফারেন্স অফ ওপিনিয়ন ছিল কিন্তু সেটা কখনো যুদ্ধ বা দাঙ্গা হয়ে যায় নি।কিন্তু এই জায়গায় আমি আপনাকেও একটা ধন্যবাদ দিতে চাই যে আপনি ধর্ম নিয়ে অনর্থক খোঁচাখুঁচি করেন নি এই পোস্টে তার লেখার সেই হিন্ট দেখেও। কুডোস। আসলে আমার মতে Svante Paabo-র এই ইনভেনশনের সাথে ধর্ম জড়িয়ে কিছু বলার সুযোগ খুবই কম। ডক্টর প্যাবোর এই নোবেল পাওয়া বা মানুষের ইভূলুশনের সাইন্টিফিক আর্গুমেন্টের সাথে বা ধর্মের, বিশেষ করে ইসলামের, মানব সৃষ্টির ইন্টারপ্রেটেশনের কোনো দ্বন্দ্ব আছে সেটা আমিতো দেখি না। মেইনস্ট্রিম আমেরিকান সাইন্টিস্টদের খুব রিসেন্ট কাজও আছে এ'নিয়ে যেখানে ডারউইনিয়ান ইভূলুশনের সাথে মানব সৃষ্টির রিলিজিয়াস ইন্টারপ্রিটেশনগুলো যে খুবই এলাইনড সেটাই তারা বলেছেন। যাক সেটা অন্য আলোচনা। যারা এ নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা ব্যাপারটা বুঝবেন ঠিকই। সেটা নিয়ে খুব বেশি হৈচৈ করার কিছু নেই বলেই আমার ধারণা।যাক আবারো আপনাকে কুডোস লেখাটা পরিচ্ছন্ন রাখার কারণে। সাইন্টিফিক বিষয়ের লেখায় রেফারেন্স দেয়াতে কোনো নেগেটিভ কিছু নেই। না দিলেই বরং লেখা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। আমি এখনো মনে করি আপনি সেজান মাহমুদের লেখার রেফারেন্সটা দিয়েছেন দেখে আপনার লেখার মানের কোনো ক্ষতি হয়নি। টেক কেয়ার ।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ডি এন এ নিউক্লিয়াস নয়, কথাটা হবে, ডি এন এ নিউক্লিওটাইড।

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৮

এমজেডএফ বলেছেন: অল্প কথায় হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথালের পার্থক্যটা তুলে ধরেছেন। পোস্টে লাইক! বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার দেখলে ধর্মান্ধ কিছু লোকের পাছা চুলকানি শুরু হয়ে যায়। আপনার পোস্টে কয়েকজন 'হালাল' ব্লগারের চুলকানি মন্তব্য দেখে হতাশ হলাম।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

বিটপি বলেছেন: কামাল নামের বুইড়া গাধাটার চুলকানি মনে হয় রেডিই ছিল। পছন্দ মত একটা আর্টিকেল পেয়েছে আর চুলকানো শুরু করে দিয়েছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কামাল খারাপ কিছু বলেন নি।
কামালের সাথে একমত। কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই পোষ্টে ধর্মিয় বিতর্ক বাদ দিয়েছি। কারন এতে পোষ্টের মুল বক্তব্য হালকা হয়ে যাবে।

কট্টরপন্থি ধার্মিক নামের ধর্মব্যাবসায়ীরা বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের আবিষ্কার দেখলে নিজেদের বিলুপ্তির ভয়ে আতঙ্কিত হয়।
অতচ এরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সকল সুবিধাই ভোগ করছে। সুবিধা ভোগ করে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করছে।
বিজ্ঞানের নানা ডিভাইস সকল টেকনোলজি সুবিধা, সকল চিকিৎসা সুবিধা ভোগ করে বিজ্ঞানকে সর্ব ক্ষেত্রে ব্যাবহার করে বিজ্ঞানের থিউরিকে অস্বীকার করা মৌলবাদিদের চরিত্র।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার লেখার মাধ্যমে স্যান্টে ফাবো সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আজকের অর্জনের স্বীকৃতি পেলেন তিনি। তাঁকে অভিনন্দন।

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ানুষ পরিবর্তিত হচ্ছেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.