নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক শ্রেণীর লোক জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে লেগে আছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

চিহ্নিত এক শ্রেণীর লোক জাফর ইকবাল স্যারের বিরুদ্ধে লেগে আছে।
অদ্ভুত সব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। উনি কেন মুক্তিযুদ্ধে গেলেন না? 
কথাটি কারা বলছে? চিহ্নিত জামাত-শিবির। ঘাতক আলবদরের ছানা পোনারা।
মানে শিবির চক্রকে জিজ্ঞেস অনুমতি নিয়ে তারপরে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে । মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে তো শিবির রা ছিল!
আশ্চর্য কয়েক হাজার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেতে পেরেছে, কিন্তু শিবির চক্র বলছে ৭ কোটি মানুষ সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে? না গেলে এজন্য ওত পেতে থাকে ওনার ঘাড়ে কোপ দিতে হবে।

জহির রায়হান সহ একাত্তরে নিহত বুদ্ধিজীবিগন বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার পক্ষে ঘাতকদের বিচারের জন্য মুখোশ উন্মোচনে যে কাজ গুলো করতেন জাফর ইকবাল স্যার অত্যন্ত নিষ্ঠা ও বিশ্বাসযোগ্যতার সাথেই সেসব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সব কাজ স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য ভয়ানক বিপদের কারন। তাই ওনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে বিতর্কিত করে উপস্থাপনা করার একমাত্র কারণ। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই, এসব কৌশল সম্মন্ধে মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের জনগণ ভালভাবেই অবগত আছেন। যার জন্য জাফর ইকবাল স্যার এগুলো নিয়ে ভাবেন না বা প্রতিক্রিয়া দেখান না যার জন্য উনি উনার কর্তব্যের কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন।


সপ্তম শ্রেণীর একটা বই। সাধারণ বিজ্ঞান বই। এই প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য বিজ্ঞান। এসব কোন কবিতা না কোন সাহিত্য না উপন্যাসও না। বিজ্ঞানের সাধারণ সূত্র মাধ্যাকর্ষণ সূত্র নিউটনের মাথায় আপেল পড়া, গ্যালিলিও, পড়ন্ত বস্তু, বিজ্ঞানের এসব মৌলিক সূত্র সারা পৃথিবীর বিজ্ঞান বইতে থাকতে হয়। থাকবে।

কিন্তু প্রথম আলোর লেজ ধরে সবাই এমন ভাবে বলছে যেন বিশাল কিছু চুরি হয়ে গেছে।
সবটা বই পড়ে কোন কিছুই খারাপ এলোমেলো লাগলো না। একটি ছোট ক্লাসের বিজ্ঞান বই লিখতে গিয়েও যদি সব কিছু নতুনভাবে গবেষণা করে লিখতে আবিষ্কার করে লিখতে হয় সেই চাওয়াটা হচ্ছে শুধু শুধু বিতর্ক তৈরি করার জন্য এটা একটা জামাতি পেইড প্রতিবেদন।
কোথাও তথ্যের কোন ভুল খুজে পায়নি।। আর ক্লাস সেভেন কেনো, ক্লাস টেন ইন্টারমিডিয়েটের বইতেও কোন রেফারেন্স থাকেনা। দরকারও হয় না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বাংলায় লেখা টেক্সটবুকগুলো গুলোও রেফারেন্সবিহীন।

এখন দেখা যাচ্ছে প্রথমআলোর ছাগল পালদের কথামতো সবকিছু আবার নতুন করে আবিষ্কার করে পেটেন্ট করে তারপর পাঠ্যপুস্তক লিখতে হবে।
ওরা দাবি করছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নিয়েছে।
বিদ্রুপাত্তক প্রবল আক্রশ নিয়ে বলছে 'চুরি করেছে'। আমার কথা হচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি পত্রিকা কি গ্যালিলিও নিউটনদের দাদা? সব বিজ্ঞানের নিউটন গ্যালিলিও সহ সব থিওরির মালিক? ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিন কার কাছ থেকে নিল? ওরা কি নিজেরাই এসব আবিষ্কার করছে? সপ্তম শ্রেণীর একটা অতি প্রাথমিক একটা বিজ্ঞান বই। বিজ্ঞানের প্রাথমিক জ্ঞান এটা আবার সূত্র উল্লেখ করা লাগে নাকি।

আজ সারাদিন প্রথম আলোর লেজ ধরে কিছু চিহ্নিত ডক্টর, প্রফেসর নামের গর্ধবগুলো স্যার কে হেয় করে সোশাল মিডিয়া সয়লাব করে ফেলেছে।
এইসব চিহ্নিত ডক্টর, প্রফেসরদের নুন্যতম জ্ঞ্যান নেই যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি 'ওপেন সোর্স নলেজ সাইট' এবং এর জন্য রেফারেন্স দরকার হয় না।
আসলে উনি তো এ বই লিখেন নাই। উনি শুধু বইগুলো সম্পাদনা করেছেন। এখন বইটির একটি পাতার কিছু লেখা ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নেওয়া হলেও হুবহুতো নেওয়া হয়নি অনুবাদ করে নেওয়া হয়েছে। একটা অনুবাদ ক্রস চেক করে দেখা কারো পক্ষেই কোনভাবেই অনুমান করা সম্ভব না।
করতে হবেই বা কেন? যদি ইংলিশটা নিতো তাইলে না হয় কিছু বলা যেত। ধিক্কার জানাই প্রথম আলোকে। প্রথম আলোর লেখককে। 
জাফর ইকবাল স্যার আজকে ৭১ টিভি কে ফোনে বলেছেন তিনি দুঃখিত।
উনি সজ্জন মানুষ। তাই বলেছেন। আসলে দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



বাঙালী এত সচেতন হলো কবে থেকে? রেফারেন্সবিদ্যায় পারদর্শী হতে গিয়ে, জিততে চায়।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাঙালী এত সচেতন হলো কবে থেকে?

এরা বাংগালী নয়। আলবদরের ছানাপোনা।
৯০এর দশকে জাফর ইকবাল ও শাহারিয়ার কবিররা আলবদরদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছিল, গণআদালত সমর্থন করেছিল, সেই তখন থেকেই এত আক্রোশ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবাই না বুঝেই লাফায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি 'ওপেন সোর্স নলেজ সাইট' এবং এর জন্য অনুমতি বা রেফারেন্স দরকার হয় না।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাগ্যিস জহির রায়হান বেঁচে নেই । বেঁচে থাকলে ভদ্রলোক কে অনেক অপমান সহ্য করতে হতো যা করছেন প্রফেসর জাফর ইকবাল !!! জাফর ইকবাল আজ যদি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোন কথা বলেন দেখবেন সেই সকল জ্ঞ্যানীদের ভাষ্য কি করে পরিবর্তন হয় । আসোলে এরা একটা মিশনে আছেন তা হলো বাঙ্গালীর ইতিহাস কে পাতিহাসে পরিণীত করে পাঁকিহাস বানানোর । খোঁজ নিন এদের বেশীরভাগ নুরু টাইপের পেইড জ্ঞ্যানী ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেশীরভাগ নুরু টাইপের পেইড জ্ঞ্যানী।
ভাল বলেছেন।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরো বিষয়টাকে আপনি সামু ব্লগের কপি পেস্ট ইস্যূ মনে করছেন বলে মনে হচ্ছে। যাই হোক সামু ব্লগের কপি পেস্ট ইস্যূটাও আপনি বুঝেছেন বলে মনে হয় না।Plagiarism এর বিরুদ্ধে এখানে কোন কথা হয়নি। এই ইস্যূতে যেটুকু বিতর্ক হয়েছিল সেটা ছিল Plagiarism বিষয়টা নিয়ে ব্লগারদের হেনস্তা না করে বিষয়টা সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতে। কারন ব্লগতো আর বিশ্ববিদ্যালয় বা অফিস আদালত নয়।

জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা মারাত্মক। এটা দুঃখিত বলে পার পাবার বিষয়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই কয়েক বছর আগে সামিয়া চৌধুরি নামে জনৈক শিক্ষকের চাকুরি চলে গেছে গবেষনাপত্র চুরির অভিযোগে। যে কোন গবেষনাপত্র বা পাঠ্য পুস্তকের প্রথম পাতায় acknowledgement বা কৃতজ্ঞতা স্বীকার বলে একটা পেইজ থাকে যেখানে তথ্যসুত্র দেয়া হয় তানাহলে কপিরাইট আইনে মামলা হতে পারে। অনুবাদ করলেও মুল বই এর রেফারেন্স দিতে হয়। জাফর ইকবাল অনুবাদও করেননি , অভিযোগ উঠেছে যে গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে অনুবাদ করিয়েছেন। যারা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করেন তারা মুলত ভাবানুবাদ করেন , যাতে বিষয়টা বোধগম্য হয়। গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে অনুবাদ করালে সরাসরি ইংলিশ টু বাংলা অনুবাদ হয় যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বোধগম্য হয় না। প্রথম আলোয় সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান বই এর বিষয়টা নিয়ে যিনি লিখেছেন তিনি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উপযুক্ত তথ্য প্রমান সহকারেই লিখেছেন।

অটঃ ব্লগে মাইনাস বাটনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাফর ইকবাল এই বই লিখেন নি, অনুবাদও করেন নি। অন্যান্ন লেখরা যা লিখেছে উনি চেক করেছেন, বিয়ে কোন ভুল নেই অনুবাদেও অসংগতি নেই। গুগোলের সুন্দর অনুবাদ।


আপনি মিয়া প্লেইজারিজমের মানেই বুঝেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ছাড়া কোথাও ইন্ডিভিজুয়ালি প্লেইজারিজম চেক হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল পরিক্ষার সময় থিসিস। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রির লেখা ইউনিক হতে হয়, কপি পেষ্ট তো দুরের কথা একটি প্যারাগ্রাফও নকল করা যাবে না।

ক্লাস সিক্স -সেভেনে্র বইতে কিসের প্লেইজারিজম? কিসের রেফারেন্স?
স্কুল পর্যায়ের বিজ্ঞান বইতে কোথাও কোনো দিন কোন কৃতজ্ঞতা স্বীকার বা রেফারেন্স দেখি নি।

আর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার প্রয়জনও নেই।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি 'ওপেন সোর্স নলেজ সাইট'। এবং এর জন্য কোন অনুমতি বা রেফারেন্স দরকার হয় না।




৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

চারাগাছ বলেছেন:
কপি পেষ্টের ব্যাপারটা আরো একটু পরিষ্কার করলে মন্তব্য করতে সহজ হতো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আলোচিত বিজ্ঞানের এই বইতে কোন কপি-পেষ্ট করা হয় নি।
বইএর একটি পাতার লেখা একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাইট থেকে নেয়া হয়েছে। এটি একটি 'ওপেন সোর্স নলেজ সাইট' এবং এর জন্য রেফারেন্স বা কৃতজ্ঞতা স্বীকারের দরকার হয় না।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করা হয়েছে।
গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করাতে আমি কোন সমস্যা দেখি না। টুলস ব্যাবহার করে যদি সবটা অর্থ সুন্দর ভাবে বোধগম্য হয় তাহলে আমি কোন সমস্যা দেখি না।
সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ মেকানাইজড হচ্ছে। মেসিন ব্যাবহার করছে। কম্পিউটার, ক্যালকুলেটর এক্সেল ... মেশিনের কাজই হচ্ছে মানুষের কাজের বোঝা কমানো। বইটির অনুবাদগুলো মানহীন হয়নি মোটেও। বইটি পড়ে দেখুন , সাবলিল অনুবাদ। তেমন কোন অসংগতি নেই। ভুল নেই।

আমিও গুগল ট্রান্সলেটর সহ সব টুলস ব্যাবহার করি।
এতে অনুবাদ করে প্রয়জনে কিছু এডিট করা হলে আরো পার্ফেক্ট অনুবাদ হয়।
এসব করাকে যারা চৌর্যবৃতি বলছে তাদেরকে থাবরানো উচিত।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

নতুন বলেছেন: এইসব চিহ্নিত ডক্টর, প্রফেসরদের নুন্যতম জ্ঞ্যান নেই যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি 'ওপেন সোর্স নলেজ সাইট' এবং এর জন্য রেফারেন্স দরকার হয় না।
আসলে উনি তো এ বই লিখেন নাই। উনি শুধু বইগুলো সম্পাদনা করেছেন। এখন বইটির একটি পাতার কিছু লেখা ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নেওয়া হলেও হুবহুতো নেওয়া হয়নি অনুবাদ করে নেওয়া হয়েছে। একটা অনুবাদ ক্রস চেক করে দেখা কারো পক্ষেই কোনভাবেই অনুমান করা সম্ভব না।
করতে হবেই বা কেন? যদি ইংলিশটা নিতো তাইলে না হয় কিছু বলা যেত। ধিক্কার জানাই প্রথম আলোকে। প্রথম আলোর লেখককে।
.

যদি উনি না পারেন তবে তার নাম ব্যবহার করতে নিষেধ করবেন।

কিন্তু গুগুল ট্রান্সেসন করে বই লেখার সাথে তার নাম ব্যবহার করতে দেওয়াই তার অক্ষমতা।

যেটা হচ্ছে সেটা বাড়াবাড়ী কিন্তু এটা যে ভুল সেটা মেনে নিতে হবে, আর এর পক্ষে আপনার সাফাই গাওয়া ও ঠিক না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

গুগল ট্রান্সলেট ব্যাবহার করাতে আমি কোন সমস্যা দেখি না।
সপ্তম শ্রেনীর বইয়ের একটি পাতা যদি ইংরেজি থেকে বাংলায় গুগল ট্রান্সলেটও করা হয় এবং তাতে যদি সবটা সুন্দর ভাবে বোধগম্য হয় তাহলে আমি কোন সমস্যা দেখি না।
সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ মেকানাইজড হচ্ছে। মেসিন ব্যাবহার করছে। কম্পিউটার, ক্যালকুলেটর ... মেশিনের কাজই হচ্ছে মানুষের কাজের বোঝা কমানো। অনুবাদগুলো মানহীন হয়নি মোটেও। বইটি পড়ে দেখুন , সাবলিল অনুবাদ। তেমন কোন অসংগতি নেই। ভুল নেই।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

চারাগাছ বলেছেন:
অনুবাদ বা অনুবাদক জিনিসটা কি?
আগে বিভিন্ন জার্নাল, তথ্য ইত্যাদিতে লেখা দেখতাম অনুবাদ এবং অনুবাদকের নাম। পরিস্কারভাবে সুত্র দেয়া থাকতো।
তারা ঐভাবে কেন প্রকাশ করতো।

আবার কোন ভাষা থেকে সরাসরি অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ লেখা থাকতো।

কথা হচ্ছে, সেই গুলো কেন উল্লেখ করা থাকতো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিচার মানি তালগাছ আমার সঠিকভাবে ব্যাখা করেছেন:
যুগ যুগ ধরে যেসব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বই আমাদেরকে পড়িয়েছে, সেগুলোও কেউ না কেউ ইংরেজি বই থেকেই কপি বা অনুবাদ করেছে। ফরাসি জার্মান রুশ ভাষা থেকেও অনেক বিজ্ঞান বই অজস্র অনুবাদ হয়ে টেক্টস বইতে এসেছে।
বিজ্ঞানের জ্ঞান অলওয়েজ ওপেন সোর্স।
একারনেই স্কুল কলেজ এর বইগুলোতে অনুবাদ এবং অনুবাদকের নাম থাকে না,
মাদ্রাসার বইতেও থাকে না।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

নতুন বলেছেন: সমস্যা টা হইলো আপনারা সমস্যাটা কোথায় সেটাই বুঝতে পারছেন না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে 'অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল'।
তিনি এই বইয়ের সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন। তাই কোনকালে ইহকালে কোন স্কুল বইয়ে রেফারেন্স প্রথা উল্লেখের উদাহরন না থাকলেও এই সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান বইয়ে কেন সেটা নেই সেটা একটা বিশল ইস্যু হয়ে গেছে।
মানে বিশাল ইসু পেয়ে গেছে।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

চারাগাছ বলেছেন:
মেকানাইজের মাধ্যমে কি মানুষ আদর্শকে বিসর্জন দিচ্ছে?
ভদ্রতা ভুলে যাচ্ছে?

গুগল অনুবাদ ব্যবহার করে কোন আর্টিকেল নিজের নামে চালিয়ে দেখা কে আমি আদবের বরখেলাপ হিসেবেই মনে করি।
আপনার তাতে সমস্যা হয় না সেটা আপনার সমস্যা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বইএর কিছু অংশ ফ্রী 'ওপেন সোর্স বিজ্ঞান ও ভুগোল নলেজ সাইট' থেকেই নেয়া হয়েছে, একটা এডুকেশন সাইট, অনেক দেশেই বই বা লেখার জন্য নিচ্ছে।
জীববৈচিত্র্য বা বিজ্ঞানের সংজ্ঞা গুলো তো প্রতিষ্ঠিত।
একটি প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের সংজ্ঞা যখন শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য বইতে উল্লেখ করা হবে তখন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞাটিই হুবুহু তুলে ধরতেই হবে। হওয়া উচিত।
তাহলে এসবকে আদবের বরখেলাপ, চৌর্যবৃত্তি বলা হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে?

আপনাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে 'অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল'।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: সমালোচনা সম্ভবত নিউটন গ্যালিলিও নিয়ে না, অন্য বিষয়ে।
আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, জাফর ইকবালের কাপড় খুলে গেছে, তাই এক শেনীর লোক ছাল বাঁকল দিয়ে তার শরীর ঢাকার চেষ্টা করছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সমালোচনা সম্ভবত নিউটন গ্যালিলিও নিয়ে না, অন্য বিষয়ে।
আপনার এই কথায় একমত।

আসল কারন হচ্ছে এখন ২০২৩ এর পাঠ্যপুস্তকে অতি সংবেদনশীল বিবর্তনবাদ, এলজিবিটি, জেন্ডার ইস্যু থেকে শুরু করে ইতিহাস, সমাজ বইয়ে এমন বহু কিছু আছে যা আমাদের দেশের অনেক মডারেট মুসলমান থেকে মোল্লাগ্রুপ থেকে শুরু করে জংগিবাদি মুসলমান কারোই পছন্দ না।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
তিনি এই বইয়ের সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন। তাই কোনকালে ইহকালে কোন স্কুল বইয়ে রেফারেন্স প্রথা উল্লেখের উদাহরন না থাকলেও এই সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান বইয়ে কেন নাই সেটা একটা বিশল ইস্যু হয়ে গেছে।
মানে ইসু পেয়ে গেছে।

১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার সমর্থকদের মাঝে ড: জাফর ইকবাল সাহেবই সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি, যাঁর সামাজিক অবদান আছে। উনি শেখ হাসিনাকে সমর্থন করার কারণে সব সময় হাসিনা-বিরোধীদের সমালোচনার সন্মুখীন হবেন, এবং তিনি নিজকে ডিফেন্ড করতে সমর্থ হবেন; কিন্তু আপনি উনাকে ডিফেসন্ড করতে গেলে ভুল হবে; কারণ, আপনি উনার মতো জ্ঞানী নন, আপনি উনার ভুলও বুঝতে পারার কথা নয়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ড: জাফর ইকবাল সাহেবই জ্ঞানী ব্যক্তি, নিঃসন্দেহে।

কিন্তু ওনেকে নিয়ে লিখতে হলে ওনার সমকক্ষ হতে হবে কেন? যেকেউ লিখতে পারে।

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যুগ যুগ ধরে যেসব বিজ্ঞান বই আমাদের স্কুল-কলেজে পড়িয়েছে, সেগুলোও কেউ না কেউ ইংরেজি বই থেকেই কপি বা অনুবাদ করেছে। আসলে উনাকে নিয়ে এই প্রতিবাদ বা ট্রলিং শুধুমাত্র এই ঘটনা বের হওয়ার কারণে হয়নি। এর সাথে আরো অনেক কিছু জড়িত। উনি হলেন, victim of the circumstance.
অনেক কারণেই তা হতে পারে -
১. মুক্তিযুদ্ধে না গিয়েও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি করা, ঢালাওভাবে আওয়ামী বিরোধীদের স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি মনে করা
২. উনি ধর্মহীন বা নাস্তিক যা আমাদের মুসলিম সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়
৩. উনি ছাত্রলীগের প্রশংসা করে কলাম লিখেছেন
৪. উনি মাদ্রাসা বিরোধী
৫. উনি কট্টর আওয়ামী বুদ্ধিজীবি যিনি আজীবন ইসলামোফোবিয়ায় ভুগেন
৬. উনার বিজ্ঞান কল্পকাহিনীগুলোও বিদেশী অনেক গল্প, সিনেমা থেকে কপি করা
৭. উনি ড্রোন প্রকল্প, পিপিলিকা প্রকল্প ইত্যাদিতে ক্রেডিট নিয়েছেন অতীতে যা আদতে উনার পাওয়ার কথা ছিল না
৮. উনি বিতির্কিত ইভিএম-এর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

যুক্তিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
একজন আওয়ামী বিরোধী হয়েও অযথা বিরোধীতা না করে সুন্দর সুন্দর পার্ফেক্ট যুক্তি তুলে ধরেছেন।
ব্লগের অন্ধ জাতীয়তাবাদি গণ আপনার উপর ক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২০

কামাল১৮ বলেছেন: প্রথম আলোর একটা মিশন আছে।সেটাই সে করে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটাই।

জীববৈচিত্র্য বা বিজ্ঞানের সংজ্ঞা গুলো বহু প্রাচীন। সতাব্দি আগে থেকে প্রতিষ্ঠিত।
যুগ যুগ ধরে যেসব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বই আমাদেরকে পড়িয়েছে, সেগুলোও কেউ না কেউ ইংরেজি ফরাসি জার্মান রুশ ভাষা বই থেকেই কপি বা অনুবাদ করেছে।
বিজ্ঞান বই অজস্র অনুবাদ হয়ে টেক্টস বইতে এসেছে।
বিজ্ঞানের জ্ঞান অলওয়েজ ওপেন সোর্স। এসবকে চুরি বলাটা মতলবি কথা।
একারনেই স্কুল কলেজ এর বইগুলোতে অনুবাদ এবং অনুবাদকের নাম থাকে না,

একটি প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের সংজ্ঞা যখন শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য বইতে উল্লেখ করা হবে তখন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞাটিই হুবুহু তুলে ধরতেই হবে। হওয়া উচিত। এটা চুরি নয়। এটাই নিয়ম। শুধু স্কুল না একাডেমিক সব বইতেই এভাবেই আছে।
তাহলে এসবকে নকল চৌর্যবৃত্তি বলা হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে?

বিজ্ঞান বইয়ের একটি পাতা ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করা হয়েছে।
গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করলে সমস্যা টা কি শুনি?।
একটি টুলস ব্যাবহার করে যদি সবটা অর্থ বাংলায় সুন্দর ভাবে বোধগম্য হয় তাহলে কোথায় সমস্যা ?
আসলে ওদের মূল সমস্যাটা মুহম্মদ জাফর ইকবাল!

প্রথম আলোতে লিখেছে - "চিলে কান নিয়ে গেছে"
কানে হাত নাদিয়েই চিৎকার করতে করতে দরজা খুলে ছুটছে ছাগলের দল ... ..

১৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগে জামাতি ব্লগার রা ভেক ধরে থাকে আর সময় মত গর্ত থেকে উকি মারে কোন ইস্যু পেলেই

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: এক্সজ্যাক্টলি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

"মুহাম্মদ জাফর ইকবাল l প্রথমত একজন শিক্ষক এবং পরে একজন লেখক l
তিনি শিক্ষক হিসাবেও জনপ্রিয় ছিলেন এবং লেখক হিসাবেও অত্যন্ত জনপ্রিয় l লেখালেখি করেন মূলত শিশু কিশোর ও তরুণদের জন্য l
বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সাথে ওনার সম্পৃক্ততা নেই,
টিভি টক শোতে গিয়ে কোন দলের পক্ষে বিপক্ষে সত্য মিথ্যা গাল গল্প করেন না l তিনি একজন ব্যক্তি মানুষ l একজন উচ্চশিক্ষিত অত্যন্ত মেধাবী অধ্যাপক l বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিধারী l তিনি ধর্মবিরোধী বা ইসলাম বিরোধীও নন।

তাহলে এই সামান্য একজন দল বিহীন নিরীহ ছাপোষা নিরস্ত্র বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকের প্রতি উগ্র ধর্মান্ধ ও ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের সব সমর্থকের এত বিদ্ধেষ কেন? কেন এই সাধারণ নিরস্ত্র মানুষটির পিছনে বার বার আততায়ী লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ?
কী তাঁর অপরাধ ?
উনি ওনার লেখনি দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের কথা জারাকার-আলবদরদের নৃসংসতা যুদ্ধাপরাধ ছাত্রদের শিশু কিশোরদের সহজ ভাষায় তুলে ধরেন।
তার সবচেয়ে বড় অপরাধ উনি ৮০র দশকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় শিশুকিশোরদের পাতায় একটি আর্টিকেল 'তোমরা যারা শিবির কর' লিখে শিবিরদের চক্ষুশুলে পরিনত হন। তিনি এমন খারাপ কিছু লিখেন নি।
একমাত্র জামাত শিবির আলবদরের ছানাপোনারা তার বিরুদ্ধে ক্ষেপতে পারে, আর অন্যকেহ নহে অন্য কেহ নয়।

১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এটা সত্য নাকি মিথ্যা। আপনি কী মনে করেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ওনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এটা সম্পর্ন মিথ্যা।
তিনি এ বই টি লেখেন নি, তিনি এই বই সহ বাংলাদেশের সকল স্কুল টেক্টসবুক সম্পাদনা পরিষদের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়াও আলোচিত বিজ্ঞানের এই বইটিতে কোন কপি-পেষ্ট করা হয় নি।
বইএর একটি পাতার লেখা একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-ভুগোল সাইট থেকে নেয়া হয়েছে। সেটাও সরাসরি নেয় হয় নি।
অনুবাদ করে। সেটা এটি একটি ফ্রী 'ওপেন সোর্স বিজ্ঞান ও ভুগোল নলেজ সাইট' এবং এর জন্য রেফারেন্স বা কৃতজ্ঞতা স্বীকারের দরকার হয় না।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করা হয়েছে।
গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করলে সমস্যা টা কি শুনি?। একটি টুলস ব্যাবহার করে যদি সবটা অর্থ বাংলায় সুন্দর ভাবে বোধগম্য হয় তাহলে কোথায় সমস্যা ?

সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ মেকানাইজড হচ্ছে। মেসিন ব্যাবহার করছে। কম্পিউটার, ক্যালকুলেটর এক্সেল ...
মেশিনের কাজই হচ্ছে মানুষের কাজের বোঝা কমানো। বইটির অনুবাদগুলো মানহীন হয়নি মোটেও। বইটি পড়ে দেখুন , সাবলিল অনুবাদ। তেমন কোন অসংগতি নেই। ভুল নেই।
আমিও গুগল ট্রান্সলেটর সহ সব টুলস ব্যাবহার করি।
এতে অনুবাদ করে প্রয়জনে কিছু এডিট করা হলে আরো পার্ফেক্ট অনুবাদ হয়।
এসব করাকে যারা চৌর্যবৃতি বলছে এরা উচ্চশক্ষিত হলেও এরা ঘাপটিমারা ধুর্ত শয়তান।

১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

কলাবাগান১ বলেছেন: শামীম আহমেদ:
আমাদের সময়
সপ্তম শ্রেণির জীববিজ্ঞানের (অনুসন্ধানী পাঠ) একটি বই নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচনা হচ্ছে তার মূল কারণ প্রথম আলো একজনের ব্যক্তিগত মতামতকে ‘সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই : হুবহু চুরি আর গুগলের অনুবাদে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে?’

নামক আপত্তিকর শিরোনামে তাদের পত্রিকায় ছেপে দিয়েছে। বই নিয়ে মূল সমালোচনা হচ্ছে জীববিজ্ঞানের এই বইটির অনেক ধারণা ইংরেজি উৎস থেকে সরাসরি গুগল ট্রান্সলেটে অনুবাদ করে বইটিতে ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে মূল উৎস বা লেখকের কোনো রেফারেন্স দেওয়া হয়নি। জীববৈচিত্র্য কি এই বিষয়টির সংজ্ঞা তো প্রতিষ্ঠিত। সেটি যখন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বইতে উল্লেখ করা হবে তখন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞাটিই তুলে ধরা হবে। আমাদের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে কখনোই কোনো রেফারেন্স দেওয়া হয় না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসাইনমেন্ট লেখার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের রেফারেন্স লেখা শেখানোর প্রচলন পৃথিবীর কোথাও আছে এমনটাও শুনিনি।

সমালোচকদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য কী এই ধরনের বিষয়ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আবার নতুন করে অথবা ভাষা পরিবর্তন করে লিখতে হবে। যা অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য একটি ভাবনা। বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলো যেমন আছে, যতোটুকু সত্যÑ শিক্ষাবিদরা সেটিই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য তুলে দেবেন। তাতে পরিবর্তন, পরিবর্ধন বরঞ্চ পরিত্যাজ্য। এখন রেফারেন্স দেয়ার দাবি যদি আসে, তাহলে বইয়ের শেষে সেটি ভবিষ্যতে সংযুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু সারা বিশ্বের প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আমিও মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে তার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে অনুবাদের বিষয়টি তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হতো যদি সেটি নিম্নমানের হতো। অনুবাদও গ্রহণযোগ্যই মনে হয়েছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গুণগত পরিবর্তন আশা করেছিলাম গত ১৪ বছরে তার সবটুকু বাস্তবায়িত হয়নি। সৃজনশীলতার নামে এমন সব প্রশ্ন করা হয় যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের উন্মেষে কোনো ভূমিকা রাখে না। আমি আশা করেছিলাম আওয়ামী লীগের ১৪ বছরে ইংরেজি মাধ্যম, বাংলা মাধ্যম, মাদ্রাসা মাধ্যম ইত্যাদিতে আরও সমন্বয় আসবে, ততটা এখনও আসেনি। কিন্তু এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে মুখস্তবিদ্যার প্রকোপ কমেছে। বিবর্তনবাদ, নারীর অধিকার, ধর্ম নিরপেক্ষতা নানা বিষয়ের সংশ্লেষ ঘটছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়।

সপ্তম শ্রেণীর বইটি নিয়ে এই অতি উৎসাহীদের কর্মকাণ্ডের মূল কারণ আমার মনে হয়েছে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সংশ্লিষ্টতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তিদের একত্রিত করে দীর্ঘদিন পরে ক্ষমতায় আসা, মুক্তিযুদ্ধের ধারণাকে প্রাধান্য দেওয়া এইসব বিষয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। শাহবাগ আন্দোলনে বাংলাদেশের মিষ্টি কথা বলা উপরের তলার সুশীলদের আমরা কখনোই যেতে দেখিনি যেখানে স্যার দিনের পর দিন উপস্থিত থেকেছেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিতে ভিজেছেন।

আজকের বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ভূমিকা অনন্য এবং জীববৈচিত্র্য বিষয়ক আলোচনায় যারা তাকে ‘ভিকটিম’ বানানোর চেষ্টা করছেন তাদের মূল আপত্তির জায়গা মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সাথে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল ভাবনার সংশ্লিষ্টতা। তাদের রাগের কারণ দেশের লাখ লাখ কিশোর ও তরুণদের মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের বই পড়ে, তার কথা শুনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া নিয়ে। এখানে সপ্তম শ্রেণীর বইয়ের বিষয়টি মুখ্য নয়। এটি যে একটি অমূলক অভিযোগ সেটি বোঝার ক্ষমতা কিংবা ইচ্ছাও এদের অধিকাংশেরই নেই। তবে প্রথম আলোর এই ভিত্তিহীন বিষয়টিকে ‘লাইমলাইটে’ আনা আমার কাছে উদ্দেশ্যমূলক ও বিরক্তিকর মনে হয়েছে। লেখক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞশামীম আহমেদ: সপ্তম শ্রেণির জীববিজ্ঞানের (অনুসন্ধানী পাঠ) একটি বই নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচনা হচ্ছে তার মূল কারণ প্রথম আলো একজনের ব্যক্তিগত মতামতকে ‘সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই : হুবহু চুরি আর গুগলের অনুবাদে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে?’

নামক আপত্তিকর শিরোনামে তাদের পত্রিকায় ছেপে দিয়েছে। বই নিয়ে মূল সমালোচনা হচ্ছে জীববিজ্ঞানের এই বইটির অনেক ধারণা ইংরেজি উৎস থেকে সরাসরি গুগল ট্রান্সলেটে অনুবাদ করে বইটিতে ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে মূল উৎস বা লেখকের কোনো রেফারেন্স দেওয়া হয়নি। জীববৈচিত্র্য কি এই বিষয়টির সংজ্ঞা তো প্রতিষ্ঠিত। সেটি যখন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বইতে উল্লেখ করা হবে তখন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞাটিই তুলে ধরা হবে। আমাদের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে কখনোই কোনো রেফারেন্স দেওয়া হয় না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসাইনমেন্ট লেখার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের রেফারেন্স লেখা শেখানোর প্রচলন পৃথিবীর কোথাও আছে এমনটাও শুনিনি।

সমালোচকদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য কী এই ধরনের বিষয়ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আবার নতুন করে অথবা ভাষা পরিবর্তন করে লিখতে হবে। যা অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য একটি ভাবনা। বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলো যেমন আছে, যতোটুকু সত্যÑ শিক্ষাবিদরা সেটিই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য তুলে দেবেন। তাতে পরিবর্তন, পরিবর্ধন বরঞ্চ পরিত্যাজ্য। এখন রেফারেন্স দেয়ার দাবি যদি আসে, তাহলে বইয়ের শেষে সেটি ভবিষ্যতে সংযুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু সারা বিশ্বের প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আমিও মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে তার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে অনুবাদের বিষয়টি তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হতো যদি সেটি নিম্নমানের হতো। অনুবাদও গ্রহণযোগ্যই মনে হয়েছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গুণগত পরিবর্তন আশা করেছিলাম গত ১৪ বছরে তার সবটুকু বাস্তবায়িত হয়নি। সৃজনশীলতার নামে এমন সব প্রশ্ন করা হয় যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের উন্মেষে কোনো ভূমিকা রাখে না। আমি আশা করেছিলাম আওয়ামী লীগের ১৪ বছরে ইংরেজি মাধ্যম, বাংলা মাধ্যম, মাদ্রাসা মাধ্যম ইত্যাদিতে আরও সমন্বয় আসবে, ততটা এখনও আসেনি। কিন্তু এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে মুখস্তবিদ্যার প্রকোপ কমেছে। বিবর্তনবাদ, নারীর অধিকার, ধর্ম নিরপেক্ষতা নানা বিষয়ের সংশ্লেষ ঘটছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়।

সপ্তম শ্রেণীর বইটি নিয়ে এই অতি উৎসাহীদের কর্মকাণ্ডের মূল কারণ আমার মনে হয়েছে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সংশ্লিষ্টতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তিদের একত্রিত করে দীর্ঘদিন পরে ক্ষমতায় আসা, মুক্তিযুদ্ধের ধারণাকে প্রাধান্য দেওয়া এইসব বিষয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। শাহবাগ আন্দোলনে বাংলাদেশের মিষ্টি কথা বলা উপরের তলার সুশীলদের আমরা কখনোই যেতে দেখিনি যেখানে স্যার দিনের পর দিন উপস্থিত থেকেছেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিতে ভিজেছেন।

আজকের বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ভূমিকা অনন্য এবং জীববৈচিত্র্য বিষয়ক আলোচনায় যারা তাকে ‘ভিকটিম’ বানানোর চেষ্টা করছেন তাদের মূল আপত্তির জায়গা মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সাথে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল ভাবনার সংশ্লিষ্টতা। তাদের রাগের কারণ দেশের লাখ লাখ কিশোর ও তরুণদের মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের বই পড়ে, তার কথা শুনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া নিয়ে। এখানে সপ্তম শ্রেণীর বইয়ের বিষয়টি মুখ্য নয়। এটি যে একটি অমূলক অভিযোগ সেটি বোঝার ক্ষমতা কিংবা ইচ্ছাও এদের অধিকাংশেরই নেই। তবে প্রথম আলোর এই ভিত্তিহীন বিষয়টিকে ‘লাইমলাইটে’ আনা আমার কাছে উদ্দেশ্যমূলক ও বিরক্তিকর মনে হয়েছে। লেখক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"মুহাম্মদ জাফর ইকবাল l প্রথমত একজন শিক্ষক এবং পরে একজন লেখক l
তিনি শিক্ষক হিসাবেও জনপ্রিয় ছিলেন এবং লেখক হিসাবেও অত্যন্ত জনপ্রিয় l লেখালেখি করেন মূলত শিশু কিশোর ও তরুণদের জন্য l
বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সাথে ওনার সম্পৃক্ততা নেই,
টিভি টক শোতে গিয়ে কোন দলের পক্ষে বিপক্ষে সত্য মিথ্যা গাল গল্প করেন না l তিনি একজন ব্যক্তি মানুষ l একজন উচ্চশিক্ষিত অত্যন্ত মেধাবী অধ্যাপক l বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিধারী l তিনি ধর্মবিরোধী বা ইসলাম বিরোধীও নন।

তাহলে এই সামান্য একজন দল বিহীন নিরীহ ছাপোষা নিরস্ত্র বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকের প্রতি উগ্র ধর্মান্ধ ও ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের সব সমর্থকের এত বিদ্ধেষ কেন? কেন এই সাধারণ নিরস্ত্র মানুষটির পিছনে বার বার আততায়ী লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ?
কী তাঁর অপরাধ ?
তার সবচেয়ে বড় অপরাধ উনি ৮০র দশকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় শিশুকিশোরদের পাতায় একটি আর্টিকেল 'তোমরা যারা শিবির কর'। এমন খারাপ কিছু লিখেন নি।
একমাত্র জামাত শিবির তার বিরুদ্ধে ক্ষেপতে পারে, অন্য কেহ নয়।
উনি বিএনপির রাজনীতির বিরুদ্ধে কখনো লেখা তো দুরের কথা কিছু বলেনও নি।

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখে গেলাম।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: গুড।

১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমরা যে যখনই কোন কাজের সাথে সম্পর্কিত থাকি তখন সে কাজের দায় কিছুটা হলেও জড়িত ব্যক্তির উপর বর্তায়। সে হিসাবে জাফর ইকবাল পাঠ্য বইয়ের সম্পাদনায় সম্পাদক সদস্য হিসাবে থাকাকালিন এর ভূল-ত্রুটির দায় শতভাগ এড়াতে পারেন বলে মনে হয়না। আবার, উনার একারই যে শতভাগ দায় এমনটাও নয়।

আলোচ্য বইয়ের সম্পাদনায় উনি ছাড়াও আরও অনেকই হয়ত ছিল তবে উনি যেহেতু পরিচিত মুখ এবং দেশে উনার একটা আলাদা পরিচয় আছে তাই হয়ত তাকে নিয়েই বেশি বেশি সমালোচনা হচছে।

আর ক্ষমা চেয়ে উনি উদারতার পরিচয় দিয়েছেন এবং এটাই হওয়া উচিত।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি বুঝলাম না এখানে ভূল-ত্রুটি কোথায়?
জীববৈচিত্র্য কী? নিউটনের মাথায় আপেল পরা ইত্যাদির তথ্য একটি বিজ্ঞ্যান-ভুগোল NG এন্সাইক্লোপেডিয়া সাইট থেকে নিয়ে মহা অন্যায় করে ফেলেছে।
তা হলে এসব বিজ্ঞান সুত্র কোথা থেকে নিতে বলছেন? কিসে থেকে নিতে হবে?
নাকি আবার সব বিজ্ঞান সুত্র নতুন ভাবে আবিষ্কার করে তারপর লিখতে হবে?
আর দায় কেন নিতে হবে?

গুগল ট্রান্সলেটর ব্যাবহার করাটা মহা অন্যায় হয়ে গেছে?
আর ক্ষমা কার কাছে চাইবে? গুগলের কাছে?
কদিন পরে বলবেন ক্যালকুলেটর ব্যাবহার করাটাও অন্যায়।

১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২১

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শিশু-কিশোরদের জন্য বই লেখায় আবার চিন্তাভাবনা শ্রমের কী আছে, গুগল অনুবাদই শ্রেষ্ঠ। সমালোচনা করলে জামাত-শিবির, দেশবিরোধী, জাফর ইকবালবিদ্বেষী ট্যাগ তো হাতের মুঠোয়। সৌভাগ্য আমেরিকার, সব প্রফেসরই দলান্ধ নয়, এজন্যই দেশটা প্রযুক্তিতে এখনও এগিয়ে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



বিজ্ঞান বইয়ের একটি পাতা ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করা হয়েছে।
গুগল ট্রান্সলেটর টুলস ব্যাবহার করলে সমস্যা টা কি শুনি?।
একটি টুলস ব্যাবহার করে যদি সবটা অর্থ বাংলায় সুন্দর ভাবে বোধগম্য হয় তাহলে কোথায় সমস্যা ?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল?

জীববৈচিত্র্য বা বিজ্ঞানের সংজ্ঞা গুলো তো বহু প্রাচীন। সতাব্দি আগে থেকে প্রতিষ্ঠিত।
একটি প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের সংজ্ঞা যখন শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য বইতে উল্লেখ করা হবে তখন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞাটিই হুবুহু তুলে ধরতেই হবে। হওয়া উচিত। শুধু স্কুল না একাডেমিক সব বইতেই এভাবেই আছে।
তাহলে এসবকে চৌর্যবৃত্তি বলা হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে?

প্রথম আলোতে লিখেছে - "চিলে কান নিয়ে গেছে"
কানে হাত নাদিয়েই চিৎকার করতে করতে দরজা খুলে ছুটছে ছাগলের দল ... ..

২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: "মুহাম্মদ জাফর ইকবাল l প্রথমত একজন শিক্ষক এবং পরে একজন লেখক l
তিনি শিক্ষক হিসাবেও জনপ্রিয় ছিলেন এবং লেখক হিসাবেও অত্যন্ত জনপ্রিয় l লেখালেখি করেন মূলত শিশু কিশোর ও তরুণদের জন্য l
বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সাথে ওনার সম্পৃক্ততা নেই,
টিভি টক শোতে গিয়ে কোন দলের পক্ষে বিপক্ষে সত্য মিথ্যা গাল গল্প করেন না l তিনি একজন ব্যক্তি মানুষ l একজন অত্যন্ত মেধাবী অধ্যাপক l বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিধারী l বিদেশেই থেকে গিয়ে আর দশজন মেধাবী ভালো ছাত্রের মত তিনি সেখানেই তাঁর ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারতেন l আরাম আয়েশ প্রাচুর্য্যে ভরা নিশ্চিন্ত নিরাপদ জীবন বেঁছে নিতে পারতেন l কিন্তু তিনি বিদেশের সম্ভাবনাময় উচ্চ বেতন টাকা পয়সার ক্যারিয়ারের প্রলোভন উপেক্ষা তাঁর পরিবার সহ দেশেই ফিরে আসলেন এবং দেশেরই একটা সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশের তুলনায় নিতান্তই কম বেতনের একটা অধ্যাপকের চাকুরী বেঁছে নিলেন তাঁর স্ত্রী সহ l একমাত্র মেধাবী কন্যাটিকে বিদেশে না পড়িয়ে তিনি বাংলাদেশের সাধারনের স্কুল কলেজেই লেখা পড়া করালেন l এমন তো নয় যে তিনি কিছু দিন এদেশে অধ্যাপনা করে লোক দেখিয়ে উদ্দেশ্য আদায় তারপর আবার বিদেশ চলে গেলেন l তিনি এখানেই শুরু করেছেন এবং এখান থেকেই চাকুরী থেকে অবসরে গেছেন l
কিন্তু তবুও এই সামান্য একজন দল বিহীন নিরীহ ছাপোষা নিরস্ত্র বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকের প্রতি বাংলাদেশের উগ্র ধর্মান্ধ ও ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সব সমর্থকের এত বিদ্ধেষ কেন ? কেন এই সাধারণ, নিরাপরাধ ও নিরস্ত্র মানুষটির পিছনে আততায়ী লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ?
কী তাঁর অপরাধ ?
অপরাধ তিনি ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যক্তি শক্তিতে অবিরাম লড়াই করে চলেছেন তাঁর লেখনী দিয়ে l অপরাধ তিনি এদেশের শিশু কিশোর তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান মনষ্ক আধুনিক যুক্তিবাদী উদার মানবিক মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করছেন l তিনি হ্যামিলনের সেই বংশী বাদকের মত l যেখানেই যান হাজার হাজার শিশু, তরুণ, কিশোর - যুবা তাঁর পিছে পিছে ছুটতে শুরু করে l
এনসিটিবির পাঠ্য পুস্তকে প্ল্যাজারিজম নিয়ে যে বিতর্ক সম্প্রতি শুরু হয়েছে সেই ভুল নিয়ে সংশিষ্ট বইয়ের অন্যতম সম্পাদক হিসাবে তিনি তাঁর দায় স্বীকার করেছেন l

জাফর ইকবাল এই বই লিখেন নি, অনুবাদও করেন নি। অন্যান্ন লেখরা যা লিখেছে উনি চেক করেছেন, বইটিতে কোন ভুল নেই অনুবাদেও অসংগতি নেই। গুগোলের সুন্দর অনুবাদ। সবকিছু সংশ্লিষ্ঠ লেখক/লেখিকা করেছেন l সম্পাদকও তিনি একা ছিলেন না আরো একজন অধ্যাপক ছিলেন তাঁর সঙ্গে l কিন্তু তবুও একা একজন 'মুহাম্মদ জাফর ইকবাল' সব আক্রমনের একমাত্র লক্ষ্যবস্তু কেন ?
এই ধর্মান্ধ টোকাই ফোকাইরা কি জানে? বইটির অন্য সম্পাদক কারা বা বইটির লেখকগন কে কে তাঁদের নাম কী? এসব কিছুই কি ধর্মান্ধ টোকাই ফোকাইরা জানে? লেখক গণের একজনের নামও কী বলতে পারবে ?" প্লাজারিজম সব্দটা বানানও বলতে পারবে না।

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে উনার মত অন্তত একজন স্যার থাকা দরকার।
উনাকে মূল্যায়ান করার মত যথেষ্ট বুদ্ধিমত্বা এখনো এই জাতির হয়ে উঠেনি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এক্সজ্যাক্টলি। উনাকে মূল্যায়ান করার মত যথেষ্ট বুদ্ধিমত্বা এখনো এই জাতির হয়ে উঠেনি।


এখন সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইটিতে তৃতীয় পৃষ্ঠার প্লেজারিজমে অভিযুক্ত প্রথম অংশটির দিকে তাকানো যাক।

‘জীববৈচিত্র্য বা Biodiversity শব্দ দ্বারা পৃথিবীতে জীবনের বিপুল বৈচিত্র্য বর্ণনা করা হয়। জীববৈচিত্র্য বলতে উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীবসহ সকল জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে বোঝায়। পৃথিবীতে ঠিক কত সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন জীব আছে, তা নিশ্চিত করে এখনো আমাদের জানা নেই। তবে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে, প্রায় ৮-১৪ মিলিয়ন (৮০ থেকে ১৪০ লক্ষ) বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে। কারও কারও ধারণা মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। তবে সংখ্যা যা–ই হোক না কেন, এসব জীবের বেশির ভাগই আমাদের অজানা।এখন পর্যন্ত মাত্র ১.২ মিলিয়ন (১২ লক্ষ) প্রজাতি শনাক্ত এবং বর্ণনা করা হয়েছে, যার অধিকাংশই অবশ্য পোকামাকড়। এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, কোটি কোটি অন্যান্য জীব এখনো আমাদের কাছে রহস্যময়, অজানা’।

ধরুন কেউ লিখেছে ‘সুন্দরবনে বাঘ, হরিণ, মহিষ, বানর, কুমীর, সাপ, বেজি, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও পোকামাকড়সহ সহস্রাধিক প্রাণির বাস’। অথবা লিখেছে ‘বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৪ লক্ষ’ অথবা ‘পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা ৭.৯ বিলিয়ন’। এই তথ্যগুলো স্কুলের বিজ্ঞান বইতে লিখতে গেলে কি তথ্যসূত্রের উল্লেখ করতে হয়েছে, হয়, বা হবে? এই তথ্যটি জানার জন্য আমাকে কি পিএইচডি বা পোস্ট-ডক্টরাল জ্ঞান থাকতে হবে? উত্তর হচ্ছে, না। স্কুলে যাবার সুযোগ বঞ্চিত ও অক্ষরজ্ঞানহীন এক মৌয়ালি, জেলে বা কাঠুরের কাছেও সুন্দরবন সম্পর্কিত তথ্যটি একটি সাধারণ জ্ঞান। একই বিচারে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইটিতে যা লেখা হয়েছে তা আমাদের সাধারণ জ্ঞান, যা কখনো গভীর গবেষণা করে কারও দ্বারা অর্জিত এবং মেধাস্বত্ব হয়ে থাকলেও আজ আমাদের সাধারণ জ্ঞান। তাহলে তথ্যসূত্র উল্লেখ না করেও প্লেজারিজমের সংজ্ঞা অনুযায়ী অভিযোগে উদ্ধৃত অংশগুলো চৌর্যবৃত্তি হতে পারে না।

নিজ নামে চালিয়ে দেয়া: প্লেজারিজমের দ্বিতীয় বিশেষত্ব হচ্ছে অন্যের লেখা বা বক্তব্য নিজ নামে চালিয়ে দেয়া। আলোচ্য বইটিতে কেউ কি কোনো তথ্য নিজ নামে চালিয়ে দিয়েছেন? পাঁচজন লেখকের যেই লিখে থাকুন, তিনি কি বইয়ের অভিযুক্ত অংশগুলোর সাথে নিজ নাম জুড়ে দিয়েছেন? একটি পৃষ্ঠায় পাঁচজন লেখকের নাম মুদ্রিত ছাড়া আমি আর কোথাও আলাদাভাবে কারও নামোল্লেখ দেখিনি। তাহলে কেউ যদি অন্যের লেখাকে নিজের বলে দাবি না-ই করলেন তবে কি কাজটিকে প্লেজারিজম বলা যায়?

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম এই পাঁচজনই অন্যের লেখা খুব সাধারণ কয়েকটি বাক্য চুরি করে নিজ নামে চালিয়ে দিয়েছেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত কারও পক্ষে খুব সাধারণ কয়েকটি বাক্য চুরি করতে যাওয়া কি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য? এই পাঁচজন একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে যদি তা কোনো গবেষণা জার্নালে প্রকাশের জন্য পাঠাতেন, তবে সম্পাদকের কাছে উদ্ধৃত অংশগুলো সাধারণ জ্ঞান বলেই প্রতীয়মান হতো। ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা জার্নালের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক থাকার অভিজ্ঞতা থেকেই তা বলছি। অত্যুৎসাহী কোনো সম্পাদক তাতে তথ্যসূত্র উল্লেখ করার পরামর্শ দিলেও দিতে পারতেন। কিন্তু আমি নিশ্চিন্ত যে লেখাটিকে চৌর্যবৃত্তির ফসল বলতেন না।

সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিজ্ঞান বই থেকে অভিযুক্ত এবং ওপরে উদ্ধৃত অংশটুকুর পর অভিযোগটিতে বলা হয়েছে ‘আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলে, এটি যেখান থেকে লেখকেরা তুলে এনেছেন, তার সূত্র মূল লেখায় উল্লেখ না করা হলেও, কয়েক মিনিটে গুগোলে বলে দিচ্ছে, এই কয়েকটি বাক্য হুবহু ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডট ওআরজি ((https://education. nationalgeographic. org/resource/biodiversity) থেকে নেওয়া হয়েছে। ইংরেজিতে সেখানে লেখা রয়েছে, Biodiversity refers to every living thing, including plants, bacteria, animals, and humans. Scientists have estimated that there are around 8.7 million species of plants and animals in existence. However, only around 1.2 million species have been identified and described so far, most of which are insects. This means that millions of other organisms remain a complete mystery’.

পাঠকরা আপতত অভিযোগকারীর ‘হুবহু’ শব্দটিকে গুরুত্ব না দিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর ওয়েবসাইট থেকে উদ্ধৃত ইংরেজি বাক্যগুলোর দিকে লক্ষ করুন। প্রথম এবং শেষ বাক্য দুটি ছাড়া সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে অভিযোগকারীর উপরোক্ত উদ্ধৃত অংশ এবং ওপরে একই ব্যক্তির উদ্ধৃত ইংরেজি বাক্য বিন্যাসের মাঝে যে যথেষ্ট মিল রয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিজ্ঞান বইটির কিয়দংশ রচনায় লেখকরা যে এই ওয়েবসাইটটিই ব্যবহার করেছেন তাও অতি স্পষ্ট। তাই বলে কি বাংলা বইয়ের উদ্ধৃত বিজ্ঞান (তর্কের খাতিরে) অংশটিকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ইংরেজি উদ্ধৃতিগুলোর ‘হুবহ মেরে দেওয়া’ বা অনুবাদ বলা যায়?

আমার বক্তব্যকে পরিষ্কার করার জন্য অভিযোগে আলোচ্য যে প্যারাগ্রাফটিকে ‘হুবহু চুরি’ বলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এর (ক) ও (খ) ব্যতীত) ইংরেজি বাক্যগুলো উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেগুলোকে আলাদা আলাদা করে বাংলা উদ্ধৃতির পরে ইংরেজি উদ্ধৃতিগুলো সাজিয়েছি।

(ক) জীববৈচিত্র্য বা Biodiversity শব্দ দ্বারা পৃথিবীতে জীবনের বিপুল বৈচিত্র্য বর্ণনা করা হয়। Biodiversity is a term used to describe the enormous variety of life on Earth. (ইংরেজি এই বাক্যটি প্রথম আলোতে উদ্ধৃত না থাকলেও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটে আছে।)

(খ) জীববৈচিত্র্য বলতে উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীবসহ সকল জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে বোঝায়। It can be used more specifically to refer to all of the species in one region or ecosystem. (আগেরটির মতো ইংরেজি এই বাক্যটিও প্রথম আলোতে উদ্ধৃত নেই, কিন্তু ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটে আছে।)

(গ) পৃথিবীতে ঠিক কত সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন জীব আছে, তা নিশ্চিত করে এখনো আমাদের জানা নেই। Biodiversity refers to every living thing, including plants, bacteria, animals, and humans.

(ঘ) তবে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে, প্রায় ৮-১৪ মিলিয়ন (৮০ থেকে ১৪০ লক্ষ) বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে। Scientists have estimated that there are around 8.7 million species of plants and animals in existence.

(ঙ) কারও কারও ধারণা মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি।

(চ) তবে সংখ্যা যা–ই হোক না কেন, এসব জীবের বেশির ভাগই আমাদের অজানা। এখন পর্যন্ত মাত্র ১.২ মিলিয়ন (১২ লক্ষ) প্রজাতি শনাক্ত এবং বর্ণনা করা হয়েছে, যার অধিকাংশই অবশ্য পোকামাকড়। However, only around 1.2 million species have been identified and described so far, most of which are insects.

(ছ) এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, কোটি কোটি অন্যান্য জীব এখনো আমাদের কাছে রহস্যময়, অজানা’। This means that millions of other organisms remain a complete mystery.

দেখা যাচ্ছে, এই আলোচনার শুরুর দিকে প্লেজারিজমের ইংরেজি সংজ্ঞাকে বাংলায় আমার রূপান্তরগুলো যেমন হুবহু হয়নি, শুধু ভাবটিই অনুদিত হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইতে উপরে (ক) এবং (ছ) ছাড়া বাকি বাক্যগুলোর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলা উদ্ধৃতি (ঙ) এর সমকক্ষ অভিযুক্ত ইংরেজি উদ্ধৃতিতে নেই।

যারা ভাষা অনুবাদের কাজে নিয়োজিত তারা নিশ্চয়ই হুবহু অনুবাদ এবং ভাবানুবাদের পার্থক্য সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, বাংলায় উদ্ধৃত প্রথম (ক) (অভিযোগকারী ইংরেজি বাক্যটি দেননি) এবং শেষ (ছ), অতি সাধারণ দুটি বাক্য, ইংরেজির হুবহু অনুবাদ বলা গেলেও তাকে কি ‘মেরে দেয়া’ বা ‘চুরি’র অপবাদ দেয়া সমীচীন? সাধারণ বিজ্ঞানে যাদের সম্যক জ্ঞান আছে তারা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না যে এই বাক্যগুলো পূর্বে উল্লিখিত ‘আমি ভাত খাই’ বা ‘মানুষ মরণশীল’ এর মতোই সাধারণ জ্ঞান। তাই 'হবহু চুরি'র বদলে 'হুবহু অনুবাদ' লিখলে তা অধিক অর্থবহ হতো, যদিও সত্যিকার অর্থে অভিযুক্ত অধিকাংশ উদ্ধৃতাংশ ভাবান্তর বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। হুবহু অনুবাদ, আক্ষরিক অনুবাদ বা ভাবান্তর, কোনটির মূল্য কি, তার কিছুটা ধারণা অনুবাদ সাহিত্য সৃষ্টিতে নিয়োজিত ‘যুক্তস্বর’ নামের সম্প্রতিক সাময়িকীতে পাওয়া যেতে পারে।

আর যদি ধরে নেই বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যাগুলো মেরে দেয়া হয়েছে, তবে আপনি গুগোলে ইংরেজিতে ‘পৃথিবীতে জীবিত প্রজাতির সংখ্যা কত’ লিখে অনুসন্ধান দিন, যা আমি করেছিলাম। পাঁচজন গবেষকের ফলাফল ২০১১ সালে ‘প্লোস বায়োলজি’ নামের জার্নালে (PLoSBiology9:e1001727 (2011)) প্রকাশিত হবার পর পর পৃথিবীর প্রায় সবকয়টি বিজ্ঞান এবং সংবাদ সংস্থা সংবাদ আকারে প্রজাতির উল্লিখিত সংখ্যা ও বিবরণগুলো প্রকাশ করে। এরপর থেকে এই তথ্যগুলো আর বিশেষ জ্ঞান না থেকে সাধারণ জ্ঞানে পরিণত হয়। এর প্রায় ১১ বছর পর, ২০২২ সালে, তথ্যসূত্র উল্লেখ না করেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি সংখ্যাগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবন্ধের মাঝে জুড়ে দেয়। অর্থাৎ এই সংখ্যাগুলোও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এর নয়! অর্থাৎ সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইতেও মেরে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। একই সাথে, একই তথ্য সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের সংশ্লিষ্ট লেখক যদি এমনভাবে পরিবেশন করতেন যে তা যেন পৃথিবীতে পূর্বপ্রকাশিত কোনো রচনার সাথেই মিল না থাকে, তবে সেটিই সবচেয়ে ভাল, আদর্শ হতো, এই কথাও সত্য। তাতে অভিযোগকারীরা বিভ্রান্ত হতেন না। অভিসন্ধর্ভ রচনায় বা গবেষণায় প্লেজারিজমে সম্প্রতি অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সাথে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই রচয়িতাদের মূল পার্থক্য হচ্ছে উক্ত শিক্ষক অন্যের লেখা নিজ নামে প্রকাশ করেছিলেন।

প্রথম আলোতে প্রকাশিত অভিযোগে বিজ্ঞান বইটির আরও কয়েকটি স্থানে ‘চুরি’ করা অংশ উদ্ধৃত করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি মিলগুলো আরও প্রকট! সেগুলোকেও ওপরে দেয়া যুক্তির আলোকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। শুধু কলেবরই বৃদ্ধি হবে বলে আমি আর বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না। বইটির কিছু কিছু অংশ অন্য বইয়ের ভাষান্তরিত রূপ হলেও তাকে চুরি করা বলা যে সমীচীন নয়, তা পরবর্তী আলোচনায় আরও স্পষ্ট হবে।

তথ্যসূত্রের উল্লেখ: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটের প্রবন্ধ শুরুর প্রথমেই লেখা আছে ‘পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি বিষয় বায়োলজি ও ইকোলজি’ (GRADES 5 – 8 SUBJECTS Biology, Ecology) Biodiversity | National Geographic Society। অর্থাৎ লেখাটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যেই রচিত হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম পৃষ্ঠার একটি বাক্যের দিকে লক্ষ করুন। ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৭৮ প্রজাতির পাখি, ১৫৪ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ১৯প্রজাতির উভচর জীব শনাক্ত করা হয়েছে’। এই বাক্যটি কারও সাধারণ জ্ঞান নয়, আমার তো নয়ই। পুরো বই জুড়ে এরকম আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যায়। বাক্যটিতে চারটি বিশেষ তথ্য রয়েছে যা কোনো এক ব্যক্তি বা দল দীর্ঘদিনের গবেষণা করে পেয়েছেন। ব্যক্তিগত জ্ঞান থেকে এবং অন্তর্জাল খুঁজে যা পেয়েছি, তাতে ধারণা করি সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের লেখকদের কেউই এই চার প্রজাতি প্রাণির বিশেষজ্ঞ নন। অথচ এই বাক্যটি অথবা বাক্যের তথ্যগুলো কোথা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, বইতে তার উল্লেখ নেই! আমরা কি একে প্লেজারিজম বলব?

একে আমরা প্লেজারিজম বলব না, বলিও না। কারণ প্রতিটি তথ্যসূত্রের উল্লেখ থাকলে কোমল বয়সের শিক্ষার্থীদের ওপর অযথা বোঝা চাপানো হবে, অবিচার করা হবে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, আমেরিকাতে আমার ছেলেদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বইতে এ ধরনের তথ্যসূত্রের উল্লেখ ছিল বলে মনে পড়ছে না। একই ভাবে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইতে কোনো তথ্যসূত্রের সংযোজন না থাকাতে তা ব্যবহারিক দুনিয়ায় কোনোভাবেই প্লেজারিজমের আওতায় পড়তে পারে না। বাংলাদেশে রচিত বইয়ের কথা জানি না, কিন্তু পাশ্চাত্যের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ানো অধিকাংশ বইতেই তথ্যসূত্র থাকাটা বাধ্যতামূলক না হলেও বহুল প্রচলিত একটি চাওয়া।

সর্বোপরি যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে সেই পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের উদ্দেশ্যে লেখা প্রবন্ধটিতেই তো কোনো তথ্যের সূত্র উল্লেখ নেই! তদুপরি প্রথম আলোতে প্রকাশিত অভিযোগে বলা হয়েছে ‘এমনকি যে ওয়েবসাইট থেকে আমাদের পাঠ্যপুস্তকের অংশগুলো নেওয়া হয়েছে, সেই ওয়েবসাইটই বলেছে, তা ব্যবহার করার জন্য অনুমতি এবং উপযুক্ত ক্রেডিট দিতে’। উদ্ধৃত শব্দগুলোর পর অসাবধানতাবসত সেই পেইজের ‘যদি না তা শিক্ষার প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়’ জাতীয় শব্দগুলো (unless such use is an Educational Use of Content as specified in these Terms) অভিযোগে উল্লেখ করা হয়নি! এ সংক্রান্ত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এর পুরো বাক্যটি ছিল ‘Not to reproduce, distribute, modify, re-post on another Service (regardless of the server on which the Content is stored), or sell any Content without specific written authorization from the Society, unless such use is an Educational Use of Content as specified in these Terms’.

অর্থাৎ, প্রবন্ধটি শিক্ষার উদ্দেশ্যে পুরো বা আংশিক, বিনা অনুমতিতেই ব্যবহার করতে সুস্পষ্টভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বিশ্বে জ্ঞান ও শিক্ষা প্রসারে নিয়োজিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির মতো উঁচুমানের ও নন্দিত প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংযোজন করে আমাদের সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের লেখকগণ খুব অন্যায় করেছেন বলে মনে হয় না। শুধু নিজের জানা বা জ্ঞানের ওপর ভরসা না করে এ ধরনের পুস্তক রচনায় অন্য প্রকাশিত বই বা সূত্র ব্যবহার করাই উচিৎ।

প্রথম আলোতে প্রকাশিত অভিযোগে ‘হ্যাঁ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডট ওআরজি যে টপিকটি লিখেছে, তারা বিভিন্ন জার্নাল, পত্রপত্রিকা থেকে কেবল তথ্য নিয়ে নিজের ভাষায় লিখেছে এবং ক্রেডিটও দিয়েছে’ বক্তব্যটির পক্ষে আমি কোনো প্রমাণ পাইনি। ২০২২ সালের ২০ মে নবায়ন বা আপডেট করা ক্রেডিট শিরোনামে যাদের নাম বা কথা উল্লেখ আছে তারা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিরই লোক, তারা কোন জার্নাল বা কোন পত্রপত্রিকা থেকে তথ্য নিয়েছে তার কোনো উল্লেখ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.