নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসে সবই থাকবে। ইতিহাসে কোনটা গুরুত্বপুর্ন সেটাই হোল কথা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৪

মূঘলরা ইতিহাস, তবে ইতিহাসের অন্ধকার অংশ।
ইতিহাসে সবই থাকবে। ইতিহাসে কোনটা গুরুত্বপুর্ন সেটাই হোল কথা।

আদিম কাল থেকেই বাংলা তথা ভারত উপমহাদেশ সুজলা সুফলা স্বনির্ভর সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ ছিল।
ভারত উপমহাদেশ তথা ভারতীয়রা কখনোই বিদেশে ডাকাতি করতে দখল যায়নি। খাদ্যভাবে বিদেশে দখল লুট করতে যায়নি। ভারত নিজেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু সতর্ক না থাকায় বারবার বিদেশী জলদস্যু বা মরুভুমির ক্ষুধার্ত তষ্কর ডাকাতদল দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।
বিদেশী জলদস্যুরা মরুভূমির তস্কররা মূঘল, তূর্কী, আরবী, পারসি বকতিয়ার ডাকাতরা, চেঙ্গিশ হালাকু খুনেরা এসে ভারতের সর্বনাস করে গেছে।
জাপান এশিয়ার অন্যতম দেশ যারা কখনো বিদেশি তস্কর দ্বারা আক্রান্ত হয়নি, সমুদ্র বাধার কারনে বিদেশিরা দখল করতে পারেনি। তাই নিজেরা ধিরে ধিরে ভালোভাবে উন্নতি করতে পেরেছে।

ডাকাত তস্কর ঠেকাতে চীনারা উচু দেওয়াল নির্মাণ করেছিল। ভারতের ছিল নিজ প্রাকৃতিক দেয়াল। উচু হিমালয় কাঞ্চঞ্জঙ্ঘা হিন্দুকুশ, কারাকোরাম তোরাবোরা পাহাড় ঘিরে ছিল আর ছিলো গভীর শিন্ধু নদের বাধা। পুর্বেও পদ্মা যমুনা মেঘনার কাদা মাটির দুর্গম বাধা। সহজে বহিরাগত ডাকাতরা অনুপ্রবেশ করতে পারত না।
কলম্বাস লুটপাটের উদ্দেশ্বে সম্পদে সমৃদ্ধ ভারত আবিষ্কার করতে পথভুলে আমেরিকা মহাদেশে চলে গেছিল। পরে ভাস্কোডাগামা কালিকটে আসতে সক্ষম হয়েছিল সুদুর আফ্রিকা উত্তমাশা অন্তরিপ ঘুরে।

অনেক প্রাচীন সভ্যতা, ভারত যখন অন্যান্ন এলাকা থেকে অঙ্কশাস্ত্র জ্ঞ্যানেবিজ্ঞানে উন্নত, ভারতে যখন তক্ষশীলা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তখন ব্রিটিষ পশ্চিম ইউরোপবাসিরা তখনও সম্পুর্ন নিরক্ষর জংলি, দিগম্বর বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াতো।
ভারতীয়রা যদি চীনের মতো প্রাচীর দিয়ে পর্বত এর ফাঁক ফোকোর গুলো বন্ধ তরে বিদেশী ডাকাতদের রুখতে পারতো। তাহলে ভারত- বাংলাই জাপানের মত পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হয়ে থাকতো।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভারতীরা বিদেশে ডাকাতি করতে যায়নি ঠিক কিন্ত তারা নীম্নবর্ণ ও বৌদ্ধদের উপর যে অত্যাচার চালাচ্চিলো , তার অবধারিত ফল ছিলো বিদেশী আক্রমণ। বৌদ্ধদের তারা সম্পূর্ণ নির্মূল করে ফেলেছিলো্। এ্ ধর্ম টিকে ছিলো বাংলায় পাল আমলে। পরে সেনরা এসে তাদেরও ধ্বংস করে দেয়।
পাঠান-তুর্কিদের যারা এসব দেশে থেকে গেছে তাদের ডাকাত বলা যায় না।
ডাকাত ছিলো তৈমুর, হালাগু, নাদের, পর্তূগীজ-বৃটিশ ইউরোপীরা। অন্যরা এদশে থেকে গেছে। তবে মোগলরা না আসলেই ভালো হতো।
বাংলার সেন বংশেকে ইখতিয়ার না আসলে বাঙ্গালীরা সরাতে পারতোনা
। এরা অত্যাচার করে হিন্দুদেরনাম দিয়েছে অস্পৃশ্য -শুদ্র আর বৌদ্ধরা পালিয়েছে তিব্বত-নেপাল।
কিন্ত বাঙ্গালীদের ব্যার্থতা এটাই যে, পরশ্রীকাতরতার কারণে পাল বংশের পর কোনো বাঙ্গালী নিজেরা শাসক হতে পারেনি। এজন্যই দেশ ইংরেজরা দখল করতে পেরেছিলো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তারা নীম্নবর্ণ ও বৌদ্ধদের উপর যে অত্যাচার চালাচ্চিলো , তার অবধারিত ফল ছিলো বিদেশী আক্রমণ।

নীম্নবর্ণ ও নতুন আবির্ভুত ভিন্নধর্মিরা সব শাসনের আমলেই নির্জাতিত হয় আদী যুগ বলেন আর বর্তমান যুগে।
এর সাথে বহিরাগত মরুভুমি থেকে আসা ডাকাতদের কোন সম্পর্ক নেই।
এইসব লুটেরার দল কখনোই নীম্নবর্ণ ও বৌদ্ধদের দুঃখ্যে মোচনে হাজির হয় নি, বরং দেখা যায় নালন্দায় বৌধ্য পুরহিতদের উপর নির্মম গণহত্যা চালিয়ে ছিল বকতেয়ার রা।

০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

অশোক, পাল , সেন, মারাঠারা গৃহবিবাদ করেছে।
এধরনের গৃহবিবাদ মরুভুমির দেশে হাজারগুন বেশি হয়েছে। মোগলদের ভেতরই বেশী হয়েছে পিতা ভাইকে জবাই অন্ধকার ঘরে আটকে নাখাইয়ে মেরেফেলা হয়েছে।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলা-ভারত- এখনো পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।
কিন্ত আগে দুর্নীতি-লুটপাট করতো বিদেশীরা আার এখন লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করছে দেশী লোকজন।
সুতরাং সাধারণ মানুষ্যের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে কি করে ???

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলা-ভারত হাজার বছরে বিদেশে লুন্ঠন ডাকাতি না করেও পৃথিবীতে শিক্ষায় যোগ্যতায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: @ অ,চৌ ;লেখক বাংলার ইতিহাস বলে নাই,বলেছে ভারতের ইতিহাস।বহিরাগতরা কেউ থেকে যায় নি,থেকে গেছে তাদের লেজ।তাদের যাবার কোন যায়গাই ছিলো না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মরুভুমি থেকে আগত বহিরাগতরা কেউ থেকে যায় নি, বা দেশের অবকাঠামো বা শিক্ষদিক্ষা উন্নতি করে নি ।
কেউ থেকেও যায় নি, তবে বিনা বেতনে কিছু গোলাম রেখে গেছে বন্দনা করার জন্য।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



সামন্তবাদর সনয়, ও রেনেসাঁর সময় ভারত পেছনে পড়েছিলো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রেনেসাঁর সময় ভারত ডকাতের কবলে ছিল। পরাধীন ছিল।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

বিটপি বলেছেন: মুঘলদের সম্পর্কে আপনার ধারণা দেখি বলিউডের মতলববাজ সিনেমাওয়ালাদের মত। তারা দোষটা করল কোথায়? আগেই প্রতিষ্ঠিত দিল্লী সালতানাতকে পরাজিত করে তারা দীল্লির ক্ষমতা দখল করেছে। কোন স্থানীয় হিন্দু রাজার সাথে বিরোধে যায়নি, তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক করেছে, তাদেরকে দরবারে উচ্চ স্থান দিয়েছে। তাদের সমালোচনা করলে মুসলিমরা করবে "হিন্দুদেরকে এত আশকারা দিচ্ছে কেন?" আপনি কেন তাদের উপর ক্ষেপা?

মুঘলরা ভারত শাসন না করলে অখন্ড ভারত বলে কোন কিছু দেখতেন না। বর্তমান ভারতের জায়গায় অন্তত তেরো চৌদ্দটি রাষ্ট্র হত। আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যে চিরস্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে - এর পেছনেও মুঘল শাসকদের পরোক্ষ ভূমিকা আছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বহিরাগত লুন্ঠনকারিরা কখনোই আমাদের উপকার করতে আসে নি। দেশ অখন্ডতা বজায় রাখতেও আসে নি। ধর্ম প্রচার করতেও আসে নি। শ্রেফ ডাকাতি করতেই এসেছিল।
এদেশে ইসলাম এসেছে পায়ে হেটে আসা সুফি দরবেশ এর মাধ্যমে।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: ভারত উপমহাদেশ ও ভারতীয় বলতে আপনি কতদুর ও কাদের বোঝাতে চাইছেন? আফগানীরা কি ভারতীয়?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ভারত উপমহাদেশ ও ভারতীয় বলতে -
বর্তমান ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান শ্রিলংকা নেপাল ভুটান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ। তৎকালিন কাবুল কান্দাহার সমৃদ্ধ থাকলেও ভারতের বাইরেই বলা যায়।
যদিও আমার অতটা জানা নেই।

পোষ্টে আমি কাউকে ইতিহাস সেখাতে আসিনি।
ফেবুতে একজনের পোষ্টে মেজাজ খারাপ করে একটা কমেন্ট করেছিলাম। কমেন্টটা লম্বা হয়ে গেছিল। পরে ভাবলাম কমেন্টটা সামুতেই দিয়ে দেই। আলোচনা হোক। ধন্যবাদ তপন ভাই।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

নতুন বলেছেন: হাকা ভাই বাংলাদেশের আয়ামী সম্রাজ্য কি ধরনের ইতিহাস হিসেবে থাকেবে? :|

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২

এম ডি মুসা বলেছেন: সুনদর কথা

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: কামাল ১৮, ইতিহাসে এমএ ডিগ্রীধারী গবেষককে ইতিহাস শেখানোর চেষ্টা না করাই বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।

যেসব আফগান,তুর্কি আর মোগল ভারত শাসন করেছিলো,তারা কেউ আর নিজের দেশে ফিরে যায়নি। সবাই থেকে
গেছে।
বিটপি,মোগলরা বাংলা দখল করে চরম ক্ষতি করেছে। সুলতান বা ১২ ভূইয়ারা ক্ষমতায় থাকলে পর্তূগীজ মগ মারাঠা বা ইংরেজ-কেউই বাংলাদেশের জনগণের উপর অত‍্যাচার বা দখল করতে পারতো না।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমার একজন প্রিয় ব্লগার।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধন্যবাদ রাজীব নুর।
আমি আপনাকে অনেক আগে থেকেই লাইক করি।

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হাজার বছর ধরে লড়াই করে যারা জিতেছে তারাই ইতিহাস লিখেছে। পরাজীতরা ইতিহাস লিখলে আরও অনেক কিছু বেড়িয়ে আসতো।

০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জি, মাইদুল ভাই।
বিজয়ী বা দখলদাররাই ইতিহাস লিখে। পরাজিতরাও লিখে। যেমন পাকিস্তানি ইতিহাস বইতে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা নিরবিচার গণহত্যার কোন কোন উল্লেখ নেই, কিন্তু মূল তদন্তে জেনারেলের ডায়েরিতে হত্যার জন্য তালিকা। হামিদুর রহমান কমিশন রেকর্ডে ঠিকই উল্লেখ আছে।

তবে আমি এই পোস্টে কাউকে ইতিহাস শেখাতে আসিনি, হঠাৎ কিছু কথা মনে পড়লো, ফেবুতে মন্তব্য। তাই কিছু লিখলাম।
এদেশের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছে।
এরা ইতিহাস পড়ে ঠিকই, কিন্তু লক্ষ্য রাখে, দেখে হিন্দু কোন দিকে মুসলমান কোন দিকে। ইহুদি খ্রিষ্টানও এতটা এলার্জি না।
কোনটা চোর কোনটা ডাকাত এসব দেখেনা। দেখে কোনটা মুসলমান কোনটা হিন্দু। কি কোন হত্যা করল করলো কি অন্যায় করল এসব ভাবারও টাইম নাই। এরা ক্রিকেট খেলা দেখে ঠিকই কিন্তু ক্রিকেট খেলার মজাটা নিতে পারে না শুধু প্লেয়ার গুনে কয়টা হিন্দু কয়টা মুসলমান।
এদেরকে ইতিহাস বলেন আর বিজ্ঞান বলেন কখনো কিছু বোঝাতে পারবেন না।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার ব্লগ বড়ই অবাক, কত বড় বড় উপসংহার। কখনো কি মনে হয় না, কেন থাই, মালয়, ইন্দোনেশীয় সংস্কৃতিতে ভারতীয় পুরাণের প্রভাব। প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের ছোট্ট একটি উদাহরণ:

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Chola_dynasty

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কেন থাই, মালয়, ইন্দোনেশীয় সংস্কৃতিতে ভারতীয় পুরাণের প্রভাব?

ভারতীয়রা তলোয়ার কামান নিয়ে সুবর্ন, সুমাত্রা, স্যামদেশে ডাকাতি করতে যায় নি। দখল করতেও যায় নি। এটা প্রাকৃতিক মাইগ্রেশান।
ভারতীয় সওদাগর, মার্চেন্ট শীপ, আমদানী রফতানীর মাঝে নাবিক লস্কর খালাসী ইত্যাদি কর্মক্ষেত্র প্রসার হয়ে ধিরে ধিরে ছড়িয়ে গেছে। একদম সুদুর সাউত প্যাসিফিক দ্বিপপুঞ্জ নিউ ক্যালিডোনিয়া ছাড়ীয়ে ফিজি পর্যন্ত। আর পশ্চিমে কেপ্টাউন থেকে জাঞ্জিবার।




১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভারতের যেসব মনীষীদের কারণে মনে করা হয় ভারত জ্ঞানেগুণে এক সেরা সভ্যতার অংশ ছিল তারা সবাই আর্য পরবর্তী । এই আর্যরাই কিন্তু পারস্যের , এছাড়া যে শকদের কারণে ভারত বর্ষে সাল গণনা শুরু হয় সেই শকরাও পারস্যের । তো পারস্যের ডাকাতদের হাত ধরেই তো ভারতের এত উন্নতি তাই না ? ভারত যদি চীনের প্রাচীরের মত একটা বাধা তৈরী করতো তবে এই ভারত বর্ষ কখনওই এত সমৃদ্ধ হতে পারতো না ! ভারতে নৃতত্ত্বের যে মিশেল পাওয়া যায় তাতে বোঝাই যায় একদম পূর্ব থেকেই এখানে জাতি মিশ্রণ ঘটেছে । তাই এখানে কেবল মোগলকে দোষারোপ করে কোন লাভ নেই !

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমি তো প্রাকৃতিক মাইগ্রেশানের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি।
আর্য পার্শি দ্রাবিড় তো আসবেই । আদী পার্শিরা অনেক কালচারালি অনেক সমৃদ্ধ ছিল, ভারতীয়দের শাড়ী পড়া মুর্তি পুজা করা পার্শিরাই শিখিয়েছে। সবাই সেভাবে এসেছে। নৃত্যাত্তিক ভাবে হোমো সেপিয়েন্স মধ্য আফ্রিদকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে।

আমার কথা সেটা না।
আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে - আদী ভারতীয়রা কখনো ডাকাতদল গঠন করেনি, ভিন দেশে লুটপাট ডাকাতি করতে যায় নি।
কিছু ভুলের কারনে বার বার ভিনদেশী তষ্কর মরুভুমির ডাকাত দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।

১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @মোঃ মাইদুল সরকার , দারুণ বলেছেন । যদি দ্রাবিড়রা ইতিহাস লিখত তবে জানা যেত সমৃদ্ধ ভারত বর্ষে আসলে সবাই উড়ে এসে জুড়ে বসা পথিক ! কেউই এই মৃত্তিকার সন্তান না !!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

শুধু ভারত বর্ষে সবাই উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।
সারা বিশ্বেই এভাবে ছড়িয়েছে।
আদী বনমানুষ হোমো সেপিয়েন্স মধ্য আফ্রিদকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে।

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বাণভট্টের হর্ষচরিত আর চৈনিক সন্ন্যাসী হিউয়েন সাঙের Great Tang Records on the Western Regions পড়ে দেখবেন, স্বাধীন বাংলার প্রথম শাসক শশাঙ্কের চরিত্র আর প্রাচীন বাংলা-ভারতের সাম্রাজ্যবাদিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আধুনিক ভারতের ব্যাপারে:


The Indian Empire and its Colonial Practices in South Asia

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: এতো গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস নিয়ে লেখার আগে এ বিষয়ে অন্তত ২০ বছর পড়াশোনা করা উচিত। না হলে জঙ্গী-বজরর্ঙ্গীদের বানানো ইতিহাস লিখতে হবে, যেটা এখানে লিখেছেন। পানিপথ-দ্য গ্রেট বিট্রেয়াল: ধর্মান্ধতা,ধর্মীয় উগ্রবাদ ও ইতিহাস বিকৃতির এক জঘণ্য নিদর্শন
আগে জানেন, আর্য-অনার্য আর ভারতীয় কারা
ঘোরীর আক্রমণের পর থেকে হিন্দুদের ক্ষমতার অবসান হয়েছিলো। কিন্ত পরে তারাও ভারতীয় হয়েছিলো। মোগল জাহাঙ্গীর রাজপূত মাতার সন্তান, যার আমলে বাংলা তাদের দখলে যায়। এখন কি তাকেও মরুর ডাকাত বলবেন!!!
তাদের সবার বংশধররা এখনো ভারতে আছে। নিজের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেন। ১০০% তুর্কি বা আফগান বংশধর।
ভারত উপমহাদেশ ও ভারতীয় বলতে -বর্তমান ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান শ্রিলংকা নেপাল ভুটান ও আফগানিস্তানের কিছু অংশ।-এই আজব সংজ্ঞা কোথায় পেয়েছেন??
বাঙ্গালীরা কবে ভারতীয় হলো !!!!! শ্রীলংকা নেপাল ভুটান কিভাবে ভারত !!!!
ডাকাত আর শাসকের পার্থক্যটা আগে জেনে নেন।
ডাকাতরা লুট করে চলে যায়। কিন্ত শাসক একটা দেশ দখল করে প্রজাদের কল্যানের দিকে মনোযোগ দেয়, যেটা প্রায় সব মুসলমান আক্রমণকারী করেছিলো। তারা সবাই বিদেশে পালিয়ে যায়নি। পর্তূগীজ, মগ-মারাঠা আর ইংরেজদরে সাথে দিল্লি আর বাংলার সুলতানদের শাসনের পার্থক্যটা না বুঝলে আর তর্ক চলেনা।
এরশাদ-খালেদা-তারেক মার্কা লোকজন দেশী হওয়ার পরও ডাকাত। নিজ দেশে ডাকাতি করেছে কিন্ত উন্নত দেশের লোকজন সেটা করেনা।
তবে বিনা বেতনে কিছু গোলাম রেখে গেছে বন্দনা করার জন্য।- নিজে একটা দলে পক্ষে যেভাবে ওকালতি করেন,তাতে আপনার সম্পর্কও অনেকের ধারণা, কেউ বিনা বেতনে কিছু গোলাম রেখে গেছে বন্দনা করার জন্য।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হিন্দু কোশ পর্বতমালা থেকে আসাম নেপাল ভুটান চট্টগ্রাম সিংহল পর্যন্ত ভারত।
তথা ভারতীয় উপমহাদেশ। আরবরা বলতো হিন্দ, বা হিন্দুস্থান। পার্শিরা বলতো সিন্ধ, ইউরোপিয়রা বলতো ইন্দ বা ইন্ডিয়া

১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় না ইতিহাসে সব থাকে কারন বিজয়ী পক্ষেই ইতিহাস লেখে। পরাজিতের ইতিহাস নিয়ে কারো কোন আগ্রহ নাই। বিশ্ব ইতিহাসে অনেক বড় একটা অংশ কখনোই লেখা হয় নাই। আমরা সবাই নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কে চিনি কিন্তু সে যাদের হত্যা করেছে যাদের যুদ্ধে পরাজিত করে নিজের সাম্রাজ্য বাড়িয়েছে তাদের ইতিহাস কোথায় লেখা আছে?

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মন্তব্যে পিছলামি শুরু করলেন। প্রথমে তো ভারতীয় কলোনি বলেই কিছু নেই, তা দিয়ে শুরু করেন। যাহোক, চোলারা সামরিক ছিল, এ জিনিস বোধহয় পড়েননি। ব্যাপার না।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

শিয়া মোগলরা কিছু দুর্গ আর মসজিদ আর ব্রীটিষরা রেল সহ কিছু অবকাঠামো করেছিল, সেটি তশকরদের হাতে পরাধীন হওয়ার পর।
কিন্তু প্রাচিন ৫ হাজার বছর আগে থেকেই ভারত অঙ্কশাস্ত্র জ্ঞ্যানেবিজ্ঞানে উন্নত, ভারতে যখন হরোপ্পা ময়েনজোদারো, তক্ষশীলা ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তখন ইসলাম তো দুরের কথা খৃষ্ট ও ইহুদি ধর্মেরও জন্ম হয় নি।

বহিরাগত লুন্ঠনকারিরা কখনোই আমাদের উপকার করতে আসে নি। দেশ অখন্ডতা বজায় রাখতেও আসে নি। ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেও আসে নি। শ্রেফ ডাকাতি করতেই এসেছিল।
এদেশে ইসলাম এসেছে পায়ে হেটে আসা কিছু মহান সুফি দরবেশ এর মাধ্যমে।
মরুভুমি থেকে আগত বহিরাগত ডাকাতরা কেউ থেকে যায় নি, স্থানীয় ভাষা পর্যন্ত শিখার চেষ্টা করে নি। বা দেশের অবকাঠামো বা শিক্ষদিক্ষা উন্নতি করে নি ।
কেউ ভারতবর্ষে থেকেও যায় নি, তবে বিনা বেতনে কিছু গোলাম রেখে গেছে বন্দনা করার জন্য।

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি তো প্রাকৃতিক মাইগ্রেশানের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি।

আর্যদের আগমন প্রাকৃতিক অভিবাসন সেটা আপনাকে কে বলল ? আর প্রাকৃতিক অভিবাসন কথাটা তো প্রাগৈতিহাসিক যুগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটা আর্যদের ক্ষেত্রে বলাটাই তো ভুল ।

আদি ভারতীয়রা ডাকাত দল গঠন করেনি।

এই কথার নূন্যতম ভিত্তি নেই । আর্যরা কী প্রকার ডাকাতি কাজ করেছে তা তো তাদের গঙ্গারীডি মানুষদের প্রতি তাদের ঘৃণ্যতা দেখেই বোঝা যায় । আর্যরা তো কোনভাবে আশ্রয়প্রার্থী ছিল না বরঞ্চ ওরাও ছিল সাম্রাজ্যবাদী ! মোগলদের আমরা ডাকাত বললে তাদের সাম্রাজ্যবাদীতার জন্য কেন তাদের ডাকাত বলব না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.