নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩০



পৃথিবীর কোন ভাষা কোন সংস্কৃতি একক মহান বা স্বতন্ত্র দাবী করতে পারে না।
মানব কুল বিবর্তনে উদ্ভব হয়ে আফ্রিকায় জাম্বেজি অববাহিকার দক্ষিণের বতসোয়ানা আফ্রিকার বিশাল হ্রদ অববাহিকায় বসতি হয়ে এক পর্যায়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছিল। হয়েছিল বিচ্ছিন্ন ভাষা বিচ্ছিন্ন সংস্কৃতি হয়েছিল বহুমুখি ডাইভারশান।
ইসলামী সংস্কৃতি বলে কোনো সংস্কৃতি নেই। কোন কিতাবেই নেই।
ছোট্ট আরব- পারস্য গন্ডির ভেতরেই মুসলিমদের সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন। এদেশে জামাতি শ্রেণীর ধর্ম ব্যাবসায়ী টাউট বাটপার ইসলামী সংস্কৃতির নামে মরুভূমির যাযাবরদের বর্বর সংস্কৃতি চালু করতে চায়।
তারা রাষ্ট্রীয় কিছু আমলা পৃষ্ঠপোষকতায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা কখনোই সফল হতে পারবেনা।

সময়ের প্রেক্ষাপট বা দাবীতে মানবসমাজ এক একটা আচার তৈরী করে, যেটা সর্বজনপ্রিয়-সমাদৃত হয়ে মানুষের প্রাত্যহিক বা বাৎসরিক বা নির্দিষ্ট কোনো উপলক্ষ্যে পালিত হয় এবং নিয়মিত পালনে তা কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে সংযুক্ত হয়।
সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ কোনকিছুই রেডি পায়নি বা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ভেদে আচার আচরণ, কৃষ্টি-সংস্কৃতি সৃষ্টির প্রথমদিনেই তৈরী হয়নি-করেনি। হয়েছে করেছে সমাজবদ্ধতার চাহিদায় নিজেদের প্রয়োজনে ও সময়ের দাবী বা প্রেক্ষাপটে, এবং ধাপে ধাপে হয়েছে। কখনো তা পরিবর্তিত হয়েছে বা পরিবর্ধিত হয়েছে বা পরিমার্জিত হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়ে নতুন কিছু সংযজন হয়েছে।
ফসল সমৃদ্ধ পশ্চিম ভারত, পান্জাবে বৈদিক যুগ থেকে চলমান এই উৎসব আরও স্মরণীয় বরণীয় হয়ে উঠে আরেক ভিন্নতায় মোগল আকবরের আমলে মিশ্রধর্মের প্রভাবে।

১৯৮৯ সালে ঠিক সেভাবেই পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মাধ্যমে জনপ্রিয়-সমাদৃত হয়ে তা এখনো চলমান আছে, বাংলা নববর্ষ পালনের একটি মাধ্যম হিসেবে টিকে গেছে এবং ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সাংস্কৃতিক আচারের তালিকাভুক্ত হয়েছে।


বাংলা নববর্ষ উৎসব উদযাপন শুধু বাঙালীর নয়, এই অঞ্চলের বাঙালী ছাড়াও আরও বহু জাতির মানুষ একইসময়ে নতুন বছর উদযাপন করেন; সেজন্য এটাই হচ্ছে একমাত্র উৎসব যাতে এই অঞ্চলের গ্রাম-শহরের বহু জাতি, ভাষা, লিঙ্গ, ধর্ম ও মতের মানুষ নানাভাবে- জমিতে, হাঁড়িতে, ফুলে, বৃক্ষে, নদীতে, পোশাকে, খাদ্যে, গানে, নৃত্যে, প্রার্থনায়, আনন্দে এবং সহমর্মিতায় গা ভাষিয়ে দেয়। এই অঞ্চলের প্রাণবৈচিত্র নির্ভর এই উৎসবে আড়ম্বর কম, কম ব্যয়বহুল, কিন্তু প্রাণবন্ত। এই উৎসব সর্বজনের, তাই পাহাড়ে সমতলে সকল বৈষম্য- নিপীড়ন, ইসলামের নামে নামে প্রাণবিনাশী সব অপতৎপরতা বন্ধের দাবি এই উৎসবের অনিবার্য উচ্চারণ।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে ছাগু জামাইত্যা বালকায়দারা এক প্রকার ব্যবসায়ী। এরা যুগ যুগ ধরে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে আসছে। নিজেদের সুবিধা মতো হাদীস বানিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মনে ভয় ঢুকিয়ে নিজেদের হীণ স্বার্থ চরিতার্থ করছে। বাংলা সালের প্রচলন করছে কিন্তু মুসলিমরাই। হিন্দুরা করেনি। মনগড়া উদ্ভট ফাও ফতোয়াবাজী করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে নিজেদের ধর্মীয় গুরু বানানোর জন্য। ভণ্ড ধর্মগুরু দের মূর্খ অনুসারীরা রোজা রাখার চেয়েও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ব্যর্থ করার জন্য বেধী তৎপর ছিল এপ্রিলের শুরু থেকে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে আগামীকাল মঙ্গল শোভা যাত্রা সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মনগড়া উদ্ভট ফাও ফতোয়াবাজী সোশাল মিডিয়াতে করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ব্যর্থ করার জন্য তৎপর ছিল এপ্রিলের শুরু থেকে।
সবকিছুই ইনিয়ে বিনিয়ে। চিপা দিয়া করেছে, কেউ সামনাসামনি মিডিয়ার সামনে বলার সাহস হয় নি।

এক মামুনুল নারী নিয়ে ধরা খাওয়ার পর সব অনান্য শিক্ষিত নামধারি আলিম জালিম সবগুলা মানসিকভাবে পঙ্গু বিকলাংগ হয়ে গেছে।
এরা চিপা দিয়াই মিন মিন করে যাবে। বাকি ৬৪ বছরেও আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কলকাতায় বিতর্ক চলছে 'শশাঙ্ক বনাম আকবর।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা ইসলাম সম্মত হলে মুসলমান রা সতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। হিন্দু ধর্মে এ বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। হিন্দু ভাইদের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ এটাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারে । কার ও কাছে ইসলাম সম্মত মনে না হলে মঙ্গলশোভাযাত্রা করবে না। নববর্ষে আমরা রমনায় যাই স্বপরিবারে মেলা দেখি আনন্দ করি ভালো খাওয়ার চেষ্টা করি ব্যাস। শুভ নববর্ষ মেসেজ পাঠাই। পুরোনো ঝগড়া ঝাটি মিটিয়ে সুন্দর শুরু করার চেষ্টা করি। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। রমজান মাসের পবিত্র তা রক্ষা করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। ইসলাম বিরোধী কোন কিছু করা মুসলমানের কাজ নয় সেটাও ভাবতে হবে। চাপিয়ে দেয়া ফর্মূলা মানুষের জন্য নয়। দাঙ্গার প্রশ্নই ওঠে না। শুভ নববর্ষ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই।
মঙ্গল শোভাযাত্রা ইসলাম সম্মত হলে মুসলমান রা অংশগ্রহণ করতে পারবে। ইসলাম সম্মত না হলে, পারবে না


যেহেতু এটা কিতাবে লেখা নেই তাই ইসলাম সম্মত না ইসলাম বিরোধী এটা কে ডিসাইড করবে?

হিন্দুরা এটা পালন করে তাই করা যাবে না? হিন্দুরা মুড়ি খায়, তাই খাওয়া যাবে না।

রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। এটা কি নিজের রোজা পালন করা নাকি অন্যরা রোজা না করলে মারধর করতে হবে?

ইসলাম বিরোধী কোন কিছু করা মুসলমানের কাজ নয়।
রমজান মাসে ইসলামী লেবাসধারী ব্যাবসায়ীরা কি করছে সবাই তো দেখছে।
রমজান মাসে একজন বিখ্যাত আলেম মামুনুল নারী নিয়ে একটি রিসোর্টে রাত্রিজাপন করছিল।

মুখোষ, পাপেট, পুতুল, জামা কাপড়ের ডিসপ্লেতে ডল মুর্তি ভাষ্কর্য মুরাল, ফসলের মাঠে কাক তাড়ুয়া, ফটোগ্রাফি, ভিডিও টিভি মোবাইল পাসপোর্টে ছবি ইত্যাদি কোন জিনিষটা মুসলমান রা ব্যাবহার করছে না?

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: সংস্কৃতি একটি জাতিয় বিষয়।ধর্ম কোন জাতিয় বিষয় না।ধর্মের কোন জাতি নাই।বাংঙ্গালী ইসলাম বা আরবী উসলাম বলে কোন কিছু নাই । সারা বিশ্বের ইসলাম একটাই।কিন্তু সারা বিশ্বের লোকের জাতিয় পরিচয় একটা না।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,



মোটামুটি সুন্দর এবং সত্যকথন।
লিখেছেন - "সময়ের প্রেক্ষাপট বা দাবীতে মানবসমাজ এক একটা আচার তৈরী করে, যেটা সর্বজনপ্রিয়-সমাদৃত হয়ে মানুষের প্রাত্যহিক বা বাৎসরিক বা নির্দিষ্ট কোনো উপলক্ষ্যে পালিত হয় এবং নিয়মিত পালনে তা কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে সংযুক্ত হয়।"
একটা জাতির কৃষ্টি-সংস্কৃতি যুগে যুগে এভাবেই গড়ে ওঠে এবং ওঠার কথাও তাই।
কিন্তু এটাও ভেবে দেখার আছে যে, একটা সংস্কৃতিতে সুচতুরতার সাথে অন্য জাতির বা অন্য এলাকার বিজাতীয় সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দিয়ে "চানাচুর সংস্কৃতি" বানানোর অপচেষ্টা আছে কিনা। যেমনটা হয়েছে, পান্তার সাথে ইলিশ মাছের সংস্কৃতি। এই বঙ্গদেশের কৃষক, কুলি-কামিনরা কবে থেকে জম্পেশ করে প্রাত্যহিক পান্তার সাথে ইলিশ খেয়ে এসেছে ?
সার্বজনীন আনন্দ উৎসবের সাথে ধর্মের কোন যোগাযোগ না থাকাই সবার জন্যে হিতকর, হিতকর কোনও সংস্কৃতির জন্যে। তাই বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে আরবদের সংস্কৃতি ঢুকানোর যেমন সুযোগ নেই তেমনি ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতিরও নেই প্রবেশাধিকার।

নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধন্যবাদ। মুছে দিয়েছি।

অপনি সুন্দর লিখেছেন। আমার জবাব একটু পরেই দিচ্ছি - খুব ব্যস্ত তেমন না, এরপরেও সময় পাই না।
ধন্যবাদ।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,



দুঃখিত....... ৬ নম্বর মন্তব্যটি অনুগ্রহ করে মুছে দিন। আপনার লেখা থেকে কপি করে আনতে একদম শুরু থেকে কপি করে এনে ( এটা সামুর দীর্ঘদিনের একটা টেকনিক্যাল দূর্বলতা ) পেস্ট করতে হয়েছে কিন্তু যেটুকু উল্লেখ করতে চাইনি সেটুকু আর মুছে ফেলা হয়নি তাড়াহুড়োতে। :((

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নতুন বছরে প্রখর রদ্দুরে পুরে যাক সব ব্যর্থতার আবর্জনা।
শুভ নববর্ষ।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

নিমো বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন:তাই বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে আরবদের সংস্কৃতি ঢুকানোর যেমন সুযোগ নেই তেমনি ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতিরও নেই প্রবেশাধিকার।
আরবদের সংস্কৃতি ও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি বলতে ঠিক কী কী যদি একটু বলতেন ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসলাম মহান ধর্ম। প্রকৃত ইসলামে পহেলা বৈশাখ বা মঙ্গল শোভাযাত্রা কোন সমস্যাই না।
কিন্তু জামাতে ইসলাম তথা কট্টরপন্থি টাইপ পলিটিক্যাল ইসলামে পৃথিবীর সবকিছুতেই সমস্যা,,,
এদের কাছে সবই হারাম। নিজেদের বেলায় সব আরাম।

এদের কাছে -
গণতন্ত্র ও প্রচলিত সভ্যতা হারাম
সমাজতন্ত্র, হারাম
জাতীয়তাবাদ, হারাম
কমিউনিজম, হারাম
ক্যাপিটালিজম, হারাম,
প্রচলিত অর্থনীতি, ব্যাঙ্কিং সিষ্টেম হারাম
সেকুলারিজম, হারাম
ভাষা দিবস, হারাম
স্বাধীনতা দিবস, হারাম
বিজয় দিবস, হারাম
সঙ্গিত গান, নাচ, বাদ্যযন্ত্র হারাম
কবিতা, সাহিত্য। কার্টুন হারাম
ফটোগ্রাফি, টিভি, ভিডিও, ফোন হারাম
ভাস্কর্য, মুর্তি, চিত্রাঙ্কন, হারাম
নববর্ষ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পোশাক, হারাম
খাবার, হারাম। ফুলও হারাম
ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রতিবেশিদের শুভেচ্ছা জানানো, হারাম
নারী, সবটাই হারাম, সবটাই নাপাক। নারীদের শিক্ষা, নারীদের কর্ম, নারীদের পোশাক, নারীদের একা রাস্তায় চলা, একা বিদেশ ট্রাভেল। সব হারাম
সর্বক্ষেত্রেই সমস্যা এমন কোন জায়গা নেই যেখানে বালকায়দা টাইপ জামাতি ভাইদের সমস্যা হয়না।
শুধু সমস্যা নেই নারী সহবতে,
সহবত দ্বারা ইফতার সাহারি সমস্যা নেই, দাসী সহবতেও সমস্যা নেই, পবিত্র রমজান মাসে ৫০১ নং রুমে নারী নিয়ে ফুর্তি করতেও সমস্যা নেই।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

অর্ক বলেছেন: পৃথিবীর সব সংস্কৃতিতেই ধর্মের প্রভাব আছে। স্থানীয়দের মেনে চলার ক্ষেত্রে স্থানভেদে পার্থক্য দেখা যায়। আমাদের উপমহাদেশে ধর্মের প্রভাব বরং বিরাট। ধর্ম ছাড়া এখানে ভাবাই যায় না। যেমন এ দেশে মানুষ নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, নারীরা পোশাকআশাকে তুলনামূলক পর্দানশীল। এরকম আরও বেশকিছু অভ্যাস অনুষ্ঠান আছে, যা ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। তেমনি সীমানা পেরিয়ে ওপার বাংলায় গেলে সবখানে অল্পবিস্তর ধূপের গন্ধ পাবেন। (আমি তো প্রথমবার যেয়ে ছিপি খুলে একটা কোকের বোতলেও ধূপের গন্ধ পেয়েছিলাম। হা হা হা।) তিলক লাগানো পুরুষ পাবেন। মোরে মোরে বার পাবেন। মদের দোকান পাবেন। লাইন ধরে মদ কিনছে। নির্দিষ্ট অঞ্চলের সংস্কৃতিতে ধর্মের প্রভাব অবশ্যই আছে। কতোটা আছে সেটা অঞ্চলভেদে ভিন্নরকম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে হ্যা, আজকের আধুনিক মানুষের জীবন প্রণালী এক ও অভিন্ন। জন্মগ্রহণ, কর্মসংস্থান, জীবিকানির্বাহ, গৃহে বসবাস, পরিণত বয়সে সংসার পাতা, সন্তান জন্মদান, লালনপালন, মৃত্যু।

ধন্যবাদ।
(আগের মন্তব্যে ভুল আছে। দয়া করে ওটা মুছে দিন।)

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

অর্ক বলেছেন: দুঃখিত, মদের উদাহরণটা এখানে এভাবে উল্লেখ করা ঠিক শোভন হয়নি হয়তোবা। তবে বড্ড প্রাসঙ্গিক উদাহরণ আমার বক্তব্যের সপক্ষে। শুধুমাত্র ধর্মের কারণেই পশ্চিম বাংলার মতো অমন অবাধ মদের ব্যবহার আমাদের দেশে সম্ভব নয় কিছুতে।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: যে কোনো বিষয়ে ধর্মে ঢুকে গেলেই ক্যাচাল লেগে যায়। হোক সেটা জাকাত, হোক সেটা বৈশাখ।

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পয়লা বৈশাখকে এখন বিজাতীয় সংস্কৃতি আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে না জানি এর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। সবকিছুকে ধর্মের মোড়কে ঢাকার চেষ্টা করছে কিছু মানুষ।

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: পহেলা বৈশাখ বাগালীর উৎসব যে উৎসবে সকল ধর্মের , সকল গোত্রের মানুষের মিলেমিশে উদযাপন করার কথা। কিন্ত আমাদের দেশে যেসব মুর্তি, মুখোশ সহকারে এই উতসব জাতীয়ভাবে পালন করা হয় , তাতে এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের যোগদান কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের এই দেশে যে শোভাযাত্রা আমরা দেখছি, তাতে শুধু এতূকুই বলতে পারি, মুখ খোলার সাহস কারো নাই কিন্ত অন্তরে জমা হচ্ছে পুঞ্জীভুত ক্ষোভ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.