নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধা কোটা ব্যাবস্থা কাউকে বঞ্চিত করছে না।

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৩:৩২

কোটা ব্যাবস্থা কাউকে বঞ্চিত করছে না।
সকল যোগ্যতা জিপিএ-্র প্রমান দিয়ে, এরপর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, সেকেন্ডারি।
এরপর ভাইবা দিয়ে ৬ লাখ চাকুরি প্রার্থি থেকে বাছাই হয়ে ১০০ জন প্রাথমিক নির্বাচিত।

ধরুন ১০০ জন সবাই জিপিএ ৫, এমসিকিউ তে ১০০ তে ১০০ নম্বর পাওয়া প্রত্যেকেই সমান। চাকুরি হবে ৪৫ জনের।
ধরেন এই ১০০ জনের ভেতর১৫ জন পঙ্গু, ৩জন আদীবাসি, ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তা এই ২৫ জনকে অমেধাবী বলা যাবে না কোনভাবেই।
এলফাবেটিক্যাল একটা তালিকা থাকলেও স্কোর নম্বর ও স্ট্যাটাসে সবাই সমান। কেউ কাউকে বঞ্চিত করছে না। এই প্যানেল থাকে যোগ্য তালিকার মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার মাত্র ৩০%, অন্যান্ন উন্নত দেশে প্রায়োরিটি (অর্থাৎ পঙ্গু, আদীবাসী, প্রাক্তন যোদ্ধা ইত্যাদি) কোটা ১০০% ভাগ।

সেই তরুন কৃষক মজুরদের কেউ যুদ্ধে যেতে বলেনি,
এরপরও তরুণ যোদ্ধারা যুদ্ধে গেছিলো এক কাপড়ে। মুক্তিযুদ্ধে।
বাপ কে না বলে, মা কে ঘুমে রেখে। পায়ে হেটে সীমান্ত পাড়ি। বিনা বেতনে। যুদ্ধকালিন সময়ে ওরা কখনোই কোন বেতন দাবী করে নাই।
(যুদ্ধশেষের দিকে অল্পকিছু হাতখরচ দেয়া হচ্ছিল)। যুদ্ধে যাওয়ার অপরাধে রাজাকাররা ওদের ঘরবাড়ী জালিয়ে দিয়েছিল। পরিবারের উপর মারপিট অত্যাচার হয়েছিল।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন একটি দেশ উপহার দেয়ার পরও ওরা কোন পুরষ্কার, চাকুরী বা বকেয়া বেতন দাবি করেনি। পরে ভিক্কা করে রিকশা চালিয়ে জীবনপার করেগেছে। কোন ভাতা কোন সুবিধা কখনোই দাবী করেনি। ৩০ বছর বন্দুকের নলের মুখে মুক্তিযুদ্ধা বা বঙ্গবন্ধু শব্দটি টিভিতে কেউ উচ্চারন করতে পারেনি।

৩০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধপক্ষ ক্ষমতায়। এরপরও কোন মুক্তিযোদ্ধা কোটা ভা ভাতার জন্য দাবী জানায় নি। এসে প্রতিদান দেয়ার ইচ্ছে থাকার পরও কিছু দিতে পারেনি। রাষ্ট্র তখনো আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করে উঠতে পারে নি।
এই ৩০ বছর বন্ধুকের নলের মুখে টিভি ও পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধা বা বঙ্গবন্ধু শব্দটি কেউ উচ্চারন করতে পারেনি।

পরে আরো। ৩৪ বছর পরে রাষ্ট্র আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করলে সামান্য ভাতা, কিছু সম্মান, আর সরকারী চাকুরিতে অগ্রাধিকার দেয়া শুরু করে। কিন্তু তাদের ও সন্তানদের বয়স ৩০ পার হয়ে গেছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষিত প্রার্থি না পাওয়ায় কেউওই চাকুরি পায়নি।
তাই ৩য় জেনারেশন পর্যাপ্ত শিক্ষিত হলে, পরিক্ষার সকল ধাপ পার হতে পারলেই সুধু বিবেচনা করা হচ্ছিল।
তবে ৩০% কখনোই পায় নি।
৩০% তো দুরের কথা, সুধু বেশিরভাগ ৩% মাঝে মাঝে ৫% শুধু একবার মাত্র সর্বচ্চ ৭% পেয়েছিল।

কোটা ব্যাবস্থা পৃথিবীর সকল সভ্য দেশে চালু আছে, আছে।
আমার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রতেও আছে। কানাডা অষ্ট্রেলিয়াতেও আছে, পাসের দেশ ভারতেও ...
অনেকে বলে জনসংখ্যার ১% মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০% কেন?


পৃথিবীতে কোথাও জনসংখার অনুপাতে কোথাও কোটা রাখা হয় না, কোটার কোন নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজও থাকে না। সবসময় সবর্চ্চ অগ্রাধিকার। সেটা ১০০% ভাগ। অর্থাৎ পদ খালী, যোগ্যতা, ড্রাগটেষ্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক আর নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তির্ন হলেই প্যানেলে ১০ জন উত্তির্ন প্রার্থির ভেতর ৩-৪ জন প্রায়োরিটি(অর্থাৎ পঙ্গু, আদীবাসী, প্রাক্তন যোদ্ধা ইত্যাদি) থাকলে এই ৩-৪ জন প্রায়োরিটি প্রার্থি অগ্রাধিকার পাবে ।
তবে সব পরীক্ষায় উত্তির্ন হতে হবে। পরীক্ষায় পাস নেই তো কোটাও নেই।

আমাদের দেশে লাখ লাখ আবেদনকারি। কোটা ননকোটা একই প্রশ্নপত্র। অভিন্ন মুল্যায়ন পদ্ধতি।
আবেদনের যোগ্যতা জিপিএ-৫, এরপর প্রিলিমিনারি পরিক্ষা, সেকেন্ডারি।
এরপর ভাইবা দিয়ে ৬ লাখ থেকে বাছাই হয়ে ১০০ জন প্রাথমিক নির্বাচিত।

এই ১০০ জন সবাই জিপিএ ৫, এমসিকিউ তে ১০০ তে ১০০ নম্বর পাওয়া প্রত্যেকেই সমান। চাকুরি হবে ৪৫ জনের।
ধরেন এই ১০০ জনের ভেতর১৫ জন মেয়ে, ৭ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। হিসেবে সবাই সমান মেধাবী
এলফাবেটিক্যাল একটা তালিকা থাকলেও নম্বর ও স্ট্যাটাসে সবাই সমান। কেউ কাউকে বঞ্চিত করছে না। মুক্তিযোদ্ধাদের মাত্র ৩০% দেয়া হচ্ছে, যেখানে অন্যান্ন উন্নত দেশে ১০০% অগ্রাধিকার।


কোটা রাখা হয় সাধারনত পিছিয়ে পরা, আদিবাসি জনগোষ্ঠির জন্য, অনুন্নত রিমোট এলাকার জন্য। পঙ্গু ডিসএবেলদের জন্য তো আছেই। আর প্রাক্তন যুদ্ধফেরত যোদ্ধাদের (ভেটারেনস) জন্য।
চাকুরি বাজারে এসব বেনিফিসারিরা সংখায় ১% হলেও এদের কোটা ১০০%, চাহিবা মাত্র চাকুরি।
ধরেন ১০টা পদ খালী, বিভিন্ন পরিক্ষায় ১০ জন নির্বাচিত। এদের ভেতর ২ জন ভেট্রেন ১ জন রেডইন্ডিয়ান, ১জন ডিসেবেল।
কম্পানী নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তির্ন এই ৪জনকেই আগে নিবে, ১০০% অগ্রাধিকার। না নিলে কম্পানীর লাইসেন্স বাতিল হবে।
সরকারি বেসরকারি সব সেক্টরেই। যে কোন আদিবাসি, পঙ্গু বা প্রাক্তন যোদ্ধা পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকলে এই ৪ জনের চাকুরি আগে হবে ১০০% ভাগ কোটা। উন্নত বিশ্বে এভাবেই চলছে।

পঙ্গুরা পর্যাপ্ত আউটপুট দিতে পারেনা এরপরও তাকে ডেকে চাকুরি দেয়া হয়, কেন দেয়? প্রথমত নিয়োগ পরিক্ষায় পাস করেছে। কম্পানীর কিছু সুবিধাও এম্পয়েআর ট্যাক্স রেয়াত পায়, কানাডাতে কোন পঙ্গু নিয়োগ হলে সেই কম্পানীর পঙ্গুর ৯০% বেতন সরকার দেয়। আমেরিকাতেও স্টেট ভেদে কমবেশী রেয়াত দিচ্ছে।
কম্পানীরা উম্মুখ হয়ে থাকে কোটা বেনিফিসারিদের চাকুরি দিতে।

কেউ তো কখনো বলে না জনসংখার ১-২% মানুষ দেশের ৯৮% মেধাবী নাগরিকদের চাকুরি সব লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে!
কেউ তো বলে না বিশেষ অংশকে সুবিধা দিতে গিয়ে বৃহত্তর অংশকে বঞ্চিত করে দেশের সর্বনাশ করা হচ্ছে!

ভেটারেনসরা আমেরিকায় অত্যন্ত সম্মানি নাগরিক।
আমি নিজে দেখে যাচ্ছি
তাদের ক্যাপে ও গাড়ীতে লেখা থাকে "প্রাউড ভেটারেন"
আমেরিকায় ২য় মহাযুদ্ধ ফেরত সৈনিক, ভিয়েতনাম ফেরত যোদ্ধাদের ও তাদের পোষ্যদের উচ্চহারে কোটা ও অন্যান্ন সুবিধা চালু আছে। ভেটরেনসদের জন্য থাকে আলাদা কাউন্টার আলাদা লাইন। পার্কিং স্পেস, সরকারি পার্কিং চার্জ ফ্রী। রেশন, বাস কন্সেশন, ট্রেনভাড়া ফ্রী! বুড়ো হয়েগেলেও তাদের পরিচর্যার জন্য লোক রাখা হয়।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বীর গুর্খা সৈনিকদের ৩য় ৪র্থ প্রজন্মদের এখনো বিশেষ সুবিধা, ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বৃটেন সরকার।

আর আমাদের দেশে কিছু অসভ্যরা নিজেদের বেশী মেধবী দাবি করে হতভাগ্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য অধিকার বঞ্চিত করতে রাস্তায় লাফালাফি করছে।

মুক্তিযোদ্ধার কোটার পরিধি আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করি।
নিহত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বেসরকারি খাতেও মুক্তিযুদ্ধ কোটা আরোপ করতে হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৪৪

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: আপনার অসাধারণ, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্যসমৃদ্ধ লেখা নিয়ে একটা পিএইচডি থিসিস হয়ে যেতে পারে হাসান সাহেব।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
সেই মুক্তিযোদ্ধাদের বঞ্চিত করে আপনাদের কি লাভ?
মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ব্যবস্থা তো কারো ক্ষতি করছে না। কাউকে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত করছে না।
পর্যাপ্ত জিপিএ এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এরপর তো কোটা বিবেচনা।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের উচিত ছিল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল করার জন্য কথা বলা।

যারা ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপর্যুপরি ট্রল করা জাতির জন্য সুরুচির পরিচায়ক নয়, একটা স্বাধীন জাতির জন্য নির্মম ট্রাজেডি।

১৪ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক লোকের ধারণা কথাবার্তা শুনলে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের সন্তানেরা কোনো যোগ্যতা ও পরীক্ষা ছাড়াই ৩০% কোটায় চাকুরি পেয়ে মেধাহীন জাতী তৈরি হচ্ছে।। অনেক শিক্ষিত বুদ্ধিজীবি সব জেনেশুনেও অনর্গল মিথ্যা বলেই যাচ্ছে।
এই আন্দোলন যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে তাই অনেকেই শুধু বিরোধিতা করার জন্যই এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

নিমো বলেছেন: হাসান সাহেব এখন থেকে ব্লগের যারাই আপনাকে একপেশে, এক চোখা বলবে তাদেরই ব্লগের নতুন সাহবের বলা নিন্মোক্ত মূল্যবান বাণীটি দিবেন।

"আপনাদের যা ইচ্ছা সেটা ভাবতে পাবেন, সমস্যা নাই তো। ;)

আমি আমার নিজের অভিঙ্গতার আলোকে বলেছি।

আপনাদের পছন্দ না হইলে কিছুই করার নাই। "

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এই ব্লগেই আমি একাধিকবার বলেছি আমি নিরপেক্ষ নই। এক চোখা।
ন্যায় এর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আমি এক চোখা। প্রচন্ডভাবে এক চোখা

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪

নতুন বলেছেন: জনগন কি ভাববে সেটা যদি আমি ভাবি তাইলে জনগন কি করবে বলেন? ভাবনাটা জনগনকে ই ভাবতে দেওয়া উচিত।

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিঃসন্দেহে জনগণের বেশিরভাগ অংশ প্রায় ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জয় বাংলার পক্ষে তথা স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে।
এটা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে।
শাহবাগ আন্দোলনে সরকার তো মানবতা বিরোধীদের এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছিল গদির রক্ষার জন্য।
কিন্তু বিপুল জনমত সেটা হতে দেয়নি। সরকারকে বাধ্য করেছে আইন পরিবর্তন করে, এমনকি আইন কে ভূতাপেক্ষ ভাবে কার্যকর করে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছে।
আর জনমত পক্ষে আছে বলেই এই সরকার এখনো টিকে আছে।

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কোটা অবশ্যই থাকা উচিত, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও আদিবাসী কোটা। একই সাথে, এই কোটার কোনো অসৎ ব্যবহার যাতে না হয়, বিশেষ করে কোটার সুযোগ নেয়ার জন্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বনে যাওয়া, সেটাও সমান গুরুত্ব দিয়ে নিশ্চিত করা উচিত।

আমার বোঝ মতে, সাধারণ কোটা যদি ৬০% হয়, তবে শুরুতেই এই ৬০% কোটা পূরণ করা হয়, এই ৬০% হবে মেধার ভিত্তিতে, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী, পঙ্গু, ইত্যাদি চলে আসতে পারে। এরপর বাকি কোটাগুলো যথানিয়মে পূরণ করা হয়।

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।
আপনি অত্যন্ত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।

বর্তমানে এনআইডি, জন্মসনদ, ম্যাট্রিক সার্টিফিকেট চেক করে ভুয়া সনাক্ত সহজ হয়ে গেছে। হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনাক্ত করে চাকুরি থেকে বর্খাস্ত করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে।


৩০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধপক্ষ ক্ষমতায় আসে। বংগবন্ধু হত্যাকারি পাকিস্তান পন্থিরা ৩০ বছর কিছুই করে নি।
মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ এরপর এসে প্রতিদান দেয়ার ইচ্ছে থাকার পরও কিছু দিতে পারেনি। তবে ১০০ টাকা ভাতা দেয়া শুরু করে রাষ্ট্র তখনো আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করে উঠতে পারে নি। ৩০ বছর ধরে বন্ধুকের নলের মুখে টিভি ও পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধা বা বঙ্গবন্ধু শব্দটি কেউ উচ্চারন করতে পারেনি। কোটা দাবী তো তখন অনেক দূরের ব্যাপার।
পরে আরো ৫ বছর পরে মুক্তিযুদ্ধপক্ষ আবার ক্ষমতায়। রাষ্ট্র আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছে করলে সামান্য কিছু ভাতা, কিছু সম্মান, আর সরকারী চাকুরিতে অগ্রাধিকার দেয়া শুরু করে। কিন্তু তত দিনে তাদের ও সন্তানদের বয়স ৩০ পার হয়ে গেছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষিত প্রার্থি না পাওয়ায় কেউই চাকুরি পায়নি।
তাই ৩য় জেনারেশন কে প্রতিদান দেয়া রাষ্ট্রের জন্য ওয়াজিব হয়ে দাড়িয়েছিল। পর্যাপ্ত শিক্ষিত হলে, পরিক্ষার সকল ধাপ পার হতে পারলেই সুধু বিবেচনা করা হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধারা ৩০ বছর বঞ্চিত ছিল, এখন থেকে ১৫ বছর পর কোটা বাদ দেয়া যেতে পারে। তার আগে নয়।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রেখে বাকি সব তুলে ফেলা উচিত। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তি উঠে আসার সম্ভাবনা আছে। মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী (তারা চট্টগ্রামের পাহাড়ের আদিবাসী হতে পারে কিন্তু সমতলের আদিবাসী বাঙালীরাই), বাংগালী, হিন্দু, মুসলিম ট্যাগ না যোগ করাই শ্রেয়।
দেশে সংকটময় হলে আবারো সত্যিকারের দেশপ্রেমীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। তারা নিজেরা নিজ স্বার্থের লোভে থাকবে না। তবে আফসোস, একটি সুন্দর গাছে সব ফল ভাল হয় না।

১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিফাত ভাই, এতটা অমানবিক হলে চলে?
যেখানে আপনি একটি উন্নত দেশে আছেন। সামরিক বাহিনীতে সম্মানজনক চাকরি করছেন।

পৃথিবীর সকল উন্নত দেশে যেমন আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া কানাডার এমনকি ভারতেও আছে আদিবাসী গোটা। আছে এলজিবিটি কোটা। প্রাক্তন যোদ্ধা কোটাও আছে। আপনি যেই দেশে আছেন সেখানেও এস্কিমো কোটা আছে। এরা তো কারো চাকরি নষ্ট করছে না। নিজের পর্যাপ্ত যোগ্যতা নিয়েই চাকরি পাচ্ছে।
যেমন ১০০ জনের মধ্যে দশজন সিলেক্টেড হল। চাকরিতে নেবে ৬ জন। সিলেক্টেড ১০ জনের ভেতর দুজন কোটাধারী। এই দুজনকে আগে নিয়ে এরপর বাকি ৪ জনকে নিবে। সারা বিশ্বে এই নিয়ম। বাংলাদেশেও এই নিয়ম।
অ মেধাবী অযোগ্য কেউ চাকরি পাচ্ছে না।

কিন্তু ব্যাপক গুজবে জনগণ মনে করছে কোন যোগ্যতা ছাড়াই ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতিদের চাকরিতে ঢোকানো হচ্ছে। সরকারের ও ভুল আছে সরকার সঠিকভাবে প্রচার করছে না। সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার করছে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা এরা জেনেশুনেই অনর্গল মিথ্যা তথ্য দিয়ে যাচ্ছে।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের একটা সমস্যা হল, নিজ দলের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে অন্য দেশের উদাহরণ টানি। কিন্তু শুধু একটা পয়েন্টের জন্য। যেমন - আপনার কথা অনুযায়ী আমেরিকাতে কোটা আছে, তাই বাংলাদেশেও থাকা যেতে পারে। তো, আমেরিকাতে গণতন্ত্র আছে, আমাদের দেশে নেই কেন? আমেরিকাতে দুর্নীতিবাজদের বিচার হয়, আমাদের দেশে হয় না কেন? আমেরিকতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকলে, আমাদের থাকে না কেন? এভাবে বিতর্ক বাড়তেই থাকবে। কোটা পদ্ধতি আর কত বছর থাকবে সেটার একটা সিদ্ধান্ত দেয়া দরকার...

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকাতে দুর্নীতিবাজদের বিচার হয়, আমাদের দেশেও হচ্ছে।
কম হচ্ছে কারন প্রতিষ্ঠানঙ্গুলো শক্তিশালী নয়।


অনেকে বলে জনসংখ্যার ১% মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০% কেন?
পৃথিবীতে কোথাও জনসংখার অনুপাতে কোথাও কোটা রাখা হয় না, কোটার কোন নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজও থাকে না। সবসময় সবর্চ্চ অগ্রাধিকার। সেটা ১০০% ভাগ। অর্থাৎ পদ খালী, যোগ্যতা, ড্রাগটেষ্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক আর নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তির্ন হলেই প্রযোজ্য হবে।
ধরুন আমেরিকায় নিয়োগ হবে। প্যানেলে ১০ জন উত্তির্ন প্রার্থি, এর ভেতর ৩-৪ জন প্রায়োরিটি(অর্থাৎ পঙ্গু, আদীবাসী, প্রাক্তন যোদ্ধা ইত্যাদি)। অর্থাৎ পদ খালি থাকলে এই ৩-৪ জন প্রায়োরিটি প্রার্থি অগ্রাধিকার পাবে ।
তবে সব পরীক্ষায় উত্তির্ন হতে হবে। সব পরীক্ষায় পাস নেই তো কোটাও নেই।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
নিঃসন্দেহে জনগণের বেশিরভাগ অংশ প্রায় ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জয় বাংলার পক্ষে তথা স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে।
এটা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে।


আমার পরিচিত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারই সাটিফিকেট নাই। এবং তারাই বলেছে যে তাদের জানামতে অনেক অমুক্তিযোদ্ধা আয়ামীলীগের নেতাদের।

মুক্তিযোদ্ধাদের নাতীদের জন্য বর্তমানের কোটা না রাখলেও সমস্যা নাই। কারন বিষয়টা খুবই বিতর্কিত হয়ে গেছে বর্তমানে।

যদি সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবাররা থাকতো তখন কোটা থাকলে ভালো হতো।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যরা কখনোই ৫৬% চাকুরি পায় নি। এমনকি ৩০% ও পায় নি।
বরাদ্দ ৩০% কোটা কখনোই ব্যাবহার করতে পারে নি। অনিচ্ছুক সামরিক সরকার থাকায় বা সন্তান কোটায় পর্যাপ্ত শিক্ষিত প্রার্থি না থাকাতে।
৩০% তো দুরের কথা, সুধু বেশিরভাগ বছরে ০.৫৭% ১% ৩% খুব কম ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে ৫% শুধু একবার মাত্র ৭% পেয়েছিল।
সর্বচ্চ পেয়েছিল ১ বার মাত্র ১১% (সুত্র প্রাক্তন জবি ভিসি মিজানুর রহমান)
আন্দোলনকারিদের দাবি কোটা কমিয়ে ১৫% করা। সেই লিমিটতো কখনো অতিক্রম করে নি। তাহলে অযথা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন কেন?
কোটার নামে ভূয়া আন্দোলন না করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ উপকৃত হতো।

৯| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ কোটা, আদিবাসী কোটা এবং প্রতিবন্ধী কোটা ব্যবস্থা ভালো তো বটেই, এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে, তারা একটি দেশের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় এবং নমস্য ব্যক্তিত্ব, তাদের জন্য কোটা রাখা অত্যন্ত দরকারী। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সহ আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা রাখা একটি সুস্থ, মানবিক সমাজ বা দেশের পরিচায়ক।

কিন্তু সমস্যা হলো, মুক্তিযুদ্ধ কোটা যদি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সংরক্ষিত না থেকে হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত হয়, তাহলে এই কোটা মানবিক সমাজের পরিচায়ক না হয়ে একটি প্রবল দূর্নীতিগ্রস্ত সমাজের পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়।

জাফর ইকবাল এক লেখায় বলেছিলেন যে, যারা মুক্তিযুদ্ধ না করেও চুরি করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন, তাদের মুখে বমি করে দেওয়া উচিত। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরে ধরে এই কাজটি করতে পারলে ভালো হতো।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২১

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম তালিকা প্রণয়ন করা হয় ১৯৮০-এর দশকে। এই তালিকায় প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এরপর, বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে এবং নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। ২০১৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হালনাগাদকৃত তালিকা অনুযায়ী, মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার জন।


দেশে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। দেশে বিসিএস এর প্রশ্ন প্‌োয়া যায়্ আর মুক্তিযোদ্ধার সাটিফিকেট পাওয়া যাবে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.