নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদী হাসান৭৫

মেহেদী হাসান৭৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যায় অবিচারকারীদের ক্ষমার মানে .........

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

মেহেদী হাসান, ২২/১০/২০১৩

বেগম জিয়া যদি ক্ষমতায় যাওয়ার পর ক্ষমার এ ঘোষনা দিতেন তাহলে তার এক রকম মানে এবং অর্থ দাড়াত যাকে পূর্ণ মহানুভবতা, পূর্ণ উদারতা বলা যেতে পারত। কিন্তু ক্ষমতায় যাবার আগে ক্ষমার এ ঘোষনার মানে হল ক্ষমতায় যাবার জন্য এক প্রকার দাসখত প্রদান- অন্যায়, অবিচারকারী, উৎপীড়ক নিপীড়কদের কাছে।

কেন দাসখত? কারণ তিনি বা তার দল মনে করেন তাদের প্রতি নিপীড়ক শ্রেণী এখনো প্রতিশোধের ভয়ে শঙ্কিত, আতঙ্কিত; যেভাবে আতঙ্কিত ছিল ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে। যে আতঙ্ক থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় নিপীড়ক গোষ্ঠী আপনাদের ক্ষমতায় আসার পথে সর্বপ্রকার বাঁধা সৃষ্টি করেছে যাতে কোন অবস্থাতেই আপনারা ক্ষমতায় আসতে না পারেন এবং তাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে না পারেন। বিএনপির আশঙ্কা ওই উৎপীড়ক শ্রেণী এখনো সমভাবে প্রতিশোধের ভয়ে আতঙ্কিত, শঙ্কিত, ভীত এবং তারা এখনো আগের মতই তাদের ক্ষমতার পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে, বাঁধা সৃষ্টির অবস্থায় রয়েছে। সেই কারনেই সম্ভবদ আমরা বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে আগেও বারবার তাদেরকে অভয় প্রদানের কথা শুনেছি। সর্বশেষ সোমবার ২১/১০/২০১৩ তিনি পরিষ্কার করে বললেন- তার এবং তার পরিবারের প্রতি অতীতে যারা অন্যায় অবিচার করেছে তাদের তিনি ক্ষমা করে দিলেন। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে তিনি তাদের ওপর কোন ধরনের প্রতিশোধ নেবেননা।



ক্ষমতায় যাবার আগেই উৎপীড়কদের এভাবে ক্ষমার ঘোষনার মানে তাদেরকে এখনো ক্ষমতার পথে বাঁধা মনে করা এবং সে বাঁধা দূরকল্পে অবিচারকারী, দুরাচার, উৎপীড়কদের কাছে ক্ষমতায় যাবার জন্য দাসখত প্রদান করা; এমন অর্থ যদি করা হয় তাহলে কি তা ভুল হবে?



বেগম জিয়া আপনি এবং আপনার পরিবার অত্যাচার নির্যাতনের কথা ভুলে যেতে পারেন এবং পারবেনও হয়ত কারণ আপনারা ক্ষমতার এক অপূর্ব স্বাদ গ্রহণ করবেন ক্ষমতার মসনদে বসে। সব সম্ভবের আলাদিনের চেরাগ হাতে পাবেন, সোনার হরিণ পাবেন আপনারা। আপনার দলেরও যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদেরও অনেকের জন্য ¯¦র্ণ দুয়ার খুলে যেতে পারে ক্ষমতায় গেলে অতীতের মত। কিন্তু যাদের জন্য ¯¦র্ণ দুয়ার খুলবেনা, যারা হাতে আলাদিনের চেরাগ পাবেনা, সোনার হরিণ পাবেনা অথচ উপীড়িত তাদের কি হবে? আর এভাবে ক্ষমতায় যাবার ম্যানেজ গেমের গলি দিয়ে কতকাল অত্যাচারীরা পার পেয়ে যাবে?



বলছি কারণ, আপনি একা একজন কোন ব্যক্তিমাত্র নন। আপনি অগনিত মানুসের প্রতিনিধি। অগনিত মানুষের প্রতিনিধি নিজে যখন জুলুমের শিকার হয় তখন সাথে সাথে অগনিত মানুষও মজলুম হয়। আপনার এটা মনে রাখা উচিত।



বর্তমান সরকার অতীতের উৎপীড়কদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কারণ আপনারাই অভিযোগ করেছেন ওই উৎপড়ীকদের করুনায়ই এরা ক্ষমতায় এসেছে। ওরাই এদের ক্ষমতায় বসিয়েছে এবং আপনাদের ক্ষমতার পথে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। সেই কারনে বর্তমান সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি যদিও ক্ষমতাসীনদেরও অনেকে তখন উৎপীড়িত হয়েছিল। প্রাণনাসের ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ করেছিল। এখন আপনি আবার অতীতের এবং বর্তমানের উৎপীড়ক, দুরাচার শ্রেণীকে অগ্রিম ক্ষমার ঘোষনা দিয়েছেন যাতে ওরা এবার আপনাকে ক্ষমতায় আসতে কোন বাঁধা সৃষ্টি না করে। আপনিও ক্ষমতায় গেলে তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করবেননা। তাহলে পার্থক্যটা কোথায়?



গত ২৩টি বছর ধরে মাঝে কিছু ব্যতিক্রম বাদে আপনারা দুটি দল এ দেশ শাসন করেছেন। একে অপরের দুর্নীতি লুটপাটের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বারবার । মাঝে মধ্যে দেখেছি শ্বেতপত্রও প্রকাশ করা হয়েছে দুর্নীতির। কিন্তু কারো কিছু হয়নি। কারণ আপনরা উভয়ে সমান অপরাধে অপরাধী। কার বিচার কে করবে? এভাবেই অপরাধীরা পার পেয়ে গেছে বারবার। ভবিষ্যতেও পার করার আগাম ঘোষনা দেয়া হল।



আমরা দেখেছি বিগত প্রায় পাঁচটি বছর আপনারা অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও বারবার চেষ্টা করেছেন ম্যানেজ গেমের মাধ্যমে সমস্যার একটা সুরাহা করতে এবং ক্ষমতায় যাবার পথ মসৃন করতে। জনগনকে কখনো আপনরা তেমন একটা আমলে নেননি, প্রয়োজনও মনে করেননি। এখনো ক্ষমতায় কে আসবে তার সবকিছুই আগে থেকে বিদেশী প্রভুদের সহাতায় ম্যানেজ গেমের মাধ্যমে ঠিকঠাক করে একটি লোক দেখানো নির্বাচন হবে বলেই মনে হচ্ছে। কারা ক্ষমতায় আসবে সে বিষয়ে পেছনে বসে সব কিছু ঠিকঠাক হলে পরেই একটি ভোটের নাটক মঞ্চস্ত হবে হয়ত। জনগনের সাথে এমন তামাশা বরদাশত করা যায়না। কিন্তু করছি কারণ আমরা মজলুম। উপায় নেই।



জানি আপনার এ ক্ষমার ঘোসনায় চারিদিকে প্রশংসার স্তুতির শেষ নেই। কিন্তু আমি শঙ্কিত আপনার এ ক্ষমার ঘোষনায় উল্লসিত উৎপীড়কের হিংস্র দাতাল হাসিতে।



আপনি আপনার অবস্থানে দৃঢ় থেকে জনগনের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে ক্ষমতায় গিয়ে যদি অপরাধীদের ক্ষমার ঘোষনা দিতেন তাহলে আমি তাকে সাধুবাদ জানাতাম এবং একে সত্যিকার মহানুভবতা বলে স্বীকৃতি দেয়া যেত। কিন্তু এখন পারছিনা বলে দু:খিত।























মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আলাপচারী বলেছেন: প্রতিশ্রুতি দেয়াই হয় প্রতিশ্রুতি ভাঙার জন্য।

দু দলেরই কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের শ্রেনী চরিত্র একই।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: শ্রেনীচরিত্র একই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.