![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যতদূর মনে পড়ে জগন্নাথ হলের দেয়ালে পড়েছিলাম এ লিখনটি। দেয়াল লিখনটি লিখেছিল বাম কোন একটি ছাত্রসংগঠন বা দল । সংগঠনটির নাম এতদিন পর মনে নেই। বুঝতে অসুবিধা হয়নি বামদেরই একটি শ্রেণিকে লক্ষ্য করে লেখা হয়েছিল তীব্র কষাঘাতপূর্ণ এ কথাটি। দেয়াললিখনকারীদের দৃষ্টিতে আদর্শের সংগ্রামে পরাজিত হয়ে শেষ পর্যন্ত একটি শ্রেণি ক্ষমতা আর হালুয়া রুটির জন্য অপরের দালালি আর লেজুড়বৃত্তি করছে । দেয়াল লিখনটি আমার বেশ মনে ধরেছিল । এরপর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময় মনে পড়েছে এ দেয়াল লিখনের কথা। ১৫/১৬/ বছর হয়ে গেলেও আজো কথাটি ভুলতে পারিনি। গত কয়েক বছর কথাটি বারবার মনে পড়ছে। বামদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মন্তব্যের পর আবার মনে পড়ল কথাটি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পাকা পাকা বামগুলোকে তিনি নিয়ে নিয়েছেন। পচাগুলা পড়ে আছে। এরপর ফেবুতে একজনের স্টাটাস দেখলাম- বামরা পাকলে হয় আওয়ামী লীগ আর কাচা থাকলে হয় পচা।
বাম আন্দোলন এক সময় এদেশের মেধাবী তরুন যবুকদের তীব্রভাবে আকর্ষণ করে। তাদের কাছে এটা ছিল একটি আদর্শিক সংগ্রাম। এটা তাদের কাছে এতটাই আদর্শিক ছিল যে জোশের চোটে কেউ কেউ সার্টিফিকেটও নাকি ছিড়ে ফেলেছিল বলে শুনেছি। কিসের ছাতার রুটি রুজি আর গোলামীর চাকরি। গোল্লায় যাক। লুটেরা রাজনীতি আর শোষন বঞ্চনা থেকে মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করতে হবে এই ছিল তাদের ব্রত। যেসব নেতার নীতিকথায় উৎসাহিত হয়ে তরুনরা জীবন বাজি রেখেছিল পরে তারা দেখতে থাকল তাদের গুরুদের অনেকের পদস্খলন, রুটি রুজি এর ক্ষমতার জন্য নোংরামি আর দালালি। মোহ ভাঙ্গতে শুরু করে অনেকের। প্রেসকাবে একটি এসাইনমেন্টে গিয়েছিলাম। এক বাম নেতার মুখেই অন্য বামদের লক্ষ্য করে এমন একটি গালি দিতে শুনলাম যা লেখার যোগ্য নয়। অনেকে আহত হতে পারেন। বামদের মধ্যে তীব্র দলাদলি, গ্রপিংয়ে যারপর নেই অতিষ্ট ছিলেন তিনি। গত ৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারে ডজনখানিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সবাই এক সময় কোন না কোন বামদলের সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের নিয়ে টিভিতে বিশেষ করে পীর হাবিবুর রহমান সাহেবের তীব্র সমালোচনা শুনেছি অসংখ্যবার। অনেকের মুখে বলতে শুনেছি বঙ্গবন্ধুকে ডোবানোর জন্য দায়ী ছিল বামরা। এখনো আওয়ামী লীগকে ডোবাচ্ছে এরা। বামদের মুখে সুন্দর সুন্দর নীতি আদর্শমূলক কথা, গত ৫ বছরে তাদের কর্মকান্ড এবং সর্বশেষ তামাশার নির্বাচনে তাদের ভূমিকা দেখে আমার কেবলই মনে পড়ছে জগন্নাথ হলের দেয়াল লিখনের কথা।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: যেই তরুণ বয়সে আপনি দেয়াল লিখন দেখেছিলেন, সেই তরুণ বয়সে আপনি আটকা পড়ে 'বির তরুণ' হয়ে আছেন; আপনার ভাবনা শক্তি অপক্ক: এনালাইটিক্যাল নয়!
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: উপরে টাইপো ছিলো: বির তরুণ ---> চির তরুণ
যেই তরুণ বয়সে আপনি দেয়াল লিখন দেখেছিলেন, সেই তরুণ বয়সে আপনি আটকা পড়ে চির তরুণ' হয়ে আছেন; আপনার ভাবনা শক্তি অপক্ক: এনালাইটিক্যাল নয়!
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
মুখপোড়া বলেছেন:
আপনার বিশ্লেষণ আমার ভালো লেগেছে।
আচ্ছা- মা,র,মান্না সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন??
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল হয়েছে ভাই, ধন্যবাদ।উপরের এই পাঠক-বাল (বিএএল)টা কি সর্ববিষয়ে জ্ঞানী?! এর সম্পর্কে যদি কলম ধরতেন! খুব ডির্ষ্টাবিং!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মেহেদী হাসান৭৫ বলেছেন: Thanks
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০১
মদন বলেছেন: হাসিনা যদি কয় গোবর খাও, তো ইনু গোবর খাবে। কিসের নীতি কিসের কি? ক্ষমতা হইলো আসল।
আমার কাছে বিষয়টি তেমন মনে হয়নি, যেমনটি আপনি ভাবছেন। আমার মনে হয়েছে হাসিনা নিচ্ছে প্রতিশোধ, বামরা তার বাবাকে জালিয়েছে, সেই বামেরা এখন গনতন্ত্রের নাম ভাংগিয়ে জীবনবাজি দিচ্ছে, হাসিনার বুদ্ধির চালে তারা তাদের নীতির পথ ছেড়ে হাসিনার দেখানো পথেই চলতেছে। দেশে এখন দল একটাই।
বাংলাদেশ জনগোষ্ঠি ওরফে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
(বাংলা, ইংরজী এবং উর্দু শব্দের সমন্বয়ে গঠিত নাম)