![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুকে ঘিরে বিশ্বের অনেক বড় বড় সংঘ ও সংস্থার অনেক বিবৃতি দেখলাম গত ছয়/সাত বছর ধরে। কত গরম গরম বিষয়ে কত কড়া কড়া বিবৃতি তারা দিল কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সেসবের প্রতি থোড়াই কেয়ার করল। কিন্তু তারপরও এদের কোন হায়া হলনা। এরা খালি বিবৃতি দিয়েই চলছে। গণতন্ত্র, নির্বাচন, মানবাধিকার, গুম খুন, নিয়ে গত কয়েক বছরে বিশ্বের কত সংঘ আর সংস্থার কত শত হাজারো বিবৃতি দেখলাম। কিন্তু তাদের কোন বিবৃতির কোন মর্যাদা কি রক্ষিত হয়েছে এদেশে? আমাদের এলাকার ভাষায় ‘চাইর আনারও দাম নেই’ এসবের । তারপরও হায়াহীনভাবে নিরলস বিবৃতি দিয়ে চলছে এরা। আজো দেখলাম জরুরি ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আহবান জানিয়ে একটি সংঘ ও সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এর আগেও একটি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার বিষয়ে আরো কঠোর ভাষায় এরা বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু কোন ঘোড়ার কচু হয়েছে? তারপরও কেন চলছে বিবৃতি?
বিবৃতি দেয়া মনে হয় তাদের চাকরি। ভাল কথা; তাদের চাকরি তারা করুক কিন্তু আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া আবার ভক্কর চক্কর সেইসব বিবৃতি ক্রমাগতভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করেই যাচ্ছে।
হুমায়ূন আহমেদের তত্ত্বমতে আমার মনে হয় এসব বিবৃতিওয়ালারা আসলে এক ধরনের মিচকা শয়তান। মিচকা শয়তানরা সহজে রাগটাগ করেনা। পাছায় লাথি মারলেও তারা দাত বের করে হাসে আর মহা বিনয়ের ভাব দেখায়। মিচকা শয়তনারা রাগ করেনা কারণ রাগ করলে তাদের স্বার্থ আদায়ের পথটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই অপমানিত হয়েও তারা রাগ না করে মহাধৈর্য্য আর বিনয়ের সাথে অপমান, রাগ হজম করে।
কিছুদিন আগে একটি সংস্থার বিবৃতি দিয়ে কান্নাকাট করতে দেখলাম বাংলাদেশের বিপন্ন গণতন্ত্র নিয়ে। দুই দিন পরই একই সংস্থা একজন ব্লগার হত্যার পর বিবৃতি দিয়ে লিখল বাংলাদেশে ব্লগার হত্যায় গণতন্ত্র বিপন্ন। বাংলাদেশের গত কয়েক বছরের সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরে তারা লিখল বাংলাদেশের গনতন্ত্র বিপন্ন। আবার একজন ব্লগার হত্যার পরও লিখল গণতন্ত্র বিপন্ন। তাহলে ব্লগার হত্যার আগে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে কান্নাকাটি করে তাদের দেয়া বিবৃতিটির মান কতুটুকু রইল এবার বুঝুন।
আবার দুই দিন আগে একটি সংঘ বিবৃতি দিয়ে বলল তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। এ বিবৃতি দেয়ার মাত্র কয়েকদিন পর আবার তারা বিবৃতি দিয়ে বলল বাংলাদেশের সিটি নির্বাচন তারা সুষ্ঠু দেখতে চায়। দুইদিন পরপর এ সংস্থার মুখপাত্র বাংলাদেশ বিষয়ে নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা আর কান্নাকাটি করে যাচ্ছে। কিন্তু যখন দেখলাম তারা এখন সিটি নির্বাচন নিয়েও বিবৃতি দিয়ে বলছে তারা সুষ্ঠু সিটি নির্বাচন চায় তখনই বোঝা হয়ে গেল বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাদের দেয়া বিবৃতির ওজন আসলে কতটুকু। একটি দেশের সিটি নির্বাচন নিয়ে কথা বলা কি এতবড় সংঘের কাজ? তাহলে দেশের জাতীয় ইস্যু নিয়ে তারা যেসব কথাবার্তা বলে তার মান রইল কোথায়?
এদেরই এসব বিবৃতি পেলে আমাদের দেশের সরকার বিরোধী বিভিন্ন দল আবার বিরাট খুসী হয়। আসালে তারা বুঝতে পারছেনা যে, এসব মিচকা শয়তানরা এদেরকে ব্যবহার করছে তাদের স্বার্থ আদায়ের জন্য। যতবার এসব মিচকা শয়তানরা বিরোধী নেতার সাথে সাক্ষাৎ করে ততবারই সরকারের কাছে তাদের বার্গেনিং পাওয়ার বাড়ে এবং স্বার্থ আদায়ের পরিমানও বাড়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৫
ডিজ৪০৩ বলেছেন: ভাই তাদের বিবৃতির জন্য ভাতা পায় , এই জন্য এত বিবৃতি দেন ।