![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুতিন মামা আসলেই কি আইএস মারছে? মনে হয়না। এটা তার বাহানা বলেই মনে হয়। সে সত্যিকার আসাদ বিরোধীদেরই মারছে বলে মনে হয়। তাছাড়া রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে তারও অন্যগেম। সিরিয়ায় পুতিন মামার আগমন এবং কাজে অনেকে বেশ উৎসাহ পাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় সত্যটা এখনো অনেকের অজানা। আমারও। তবে গভীর দু:খ এবং বেদনার মধ্যেও খেলাটা বেশ জমে উঠেছে দেখে এক ধরনের পুলকও বোধ করছি। কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাড়ায় সেটা দেখার জন্য বেশ উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছি। এটা এমন এক খেলা যেখানে একজন সত্যান্বেষী হিসেবে আমি আইএস, বাসার, ইরান, সৌদী আরব, পুতিন, মার্কিনী কাউকেই সমর্থন করিনা। ঈমান এবং মানবতার জায়গা থেকে দাড়িয়ে এদের কাউকে সমর্থন করা যায়না। কোন যুক্তি, রাজনীতি এবং কৌশল বলে এদের কারো কাজকেই সমর্থন করা যায়না। এটা এমন এক মাইনকাচিপার খেলা যেখানে সত্য খোঁজা এবং সত্যের পক্ষে কথা বলাও অনেক রিস্কি। একটুখানি ভাল দেখে একদিকে পক্ষ নিলে অন্য দিকে দোষের টান লাগে। আমি সিরিয়াকেন্দ্রিক মাইনকাচিপা গেমের খবর এবং বিশ্লেষন বর্তমানে বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়ছি। পুতিনের আগমনের পর অনেকে বেশ খুসী হয়েছে এবং তারা যে দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষন করছেন ও দেখছেন তাও এক পাক্ষিক বলেই মনে হচ্ছে। যারা এ নিয়ে লেখালেখি করছেন এবং কোন পক্ষে সমর্থন দিচ্ছেন তাদের লেখা দেখে আমার মনে হয়েছে তারা প্রায় সবাই আংশিক সত্যের ওপর দাড়িয়ে একটা মত দিচ্ছেন এবং তা প্রকাশ করছেন। আমার অনুরোধ প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করুণ তা না হলে আপনার কোন পক্ষ নেয়াটাও হয়তো একটা দোষের মধ্যে পড়ে যাবে, মানবতার বিরুদ্ধে চলে যাবে। ওবামাসহ অন্য অনেকে প্রথমে বাসারকে উৎখাতের কথা বলে লোক দেখানো হামলা শুরু করল। এরপর যখন সেখানে আইএস মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তখন আবার তিনি বললেন দুটোই খারাপ। তবে আইএস বেশি খারাপ। তাই এবার আইএসের বিরুদ্ধে তিনিসহ অনেকে আবার লোক দেখানো হামলা শুরু করলেন। আমি তো দুটো খারাপেরই ধ্বংস চাই। সেটা কি তারা করবে? করবেনা। ইরান তো আগে থেকেই অন্ধভাবে বাসারের পক্ষে ছিলেন। আইএস মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পর তারা জোর গলায় বলতে লাগল এখন তো বাসারকে রক্ষা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। আইএস দমন নাটক মঞ্চস্ত অবস্থায় যোগ দিল পুতিন মামা। ইরান-পুতিন-বাসার অক্ষ শক্তিতে অনেকে নড়ে চড়ে বসলেন। এবার সত্যিই আইএস দমন হবে। মোছলমানদের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন পুতিন মামা এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকের বুকের পাটা উচু হতে শুরু করল। তাই একজন মোছলমান কলামিস্ট বলেই বসলেন, লাঞ্ছিত নিপিড়ীত মোছলমানদের এখন ভাবতে হবে তারা কি মন্দের ভালটা নেবে না কি ভালর বন্দটা নেবে। অর্থাৎ তিনি ইরান-পুতিন-বাসার অক্ষ শক্তি কে স্বাগত জানাতে আহবান জানালেন। অনেকে আবার রাশিয়ার হারানো তেজ ফিরে পাবার দিন গুনতে লাগল। এভাবে অনেকে আংশিক সত্য এবং পার্শ্ব দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টিকে বোঝার এবং উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। এটি শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে বিপদ থেকে বাঁচতে পারবেনা। লাঞ্ছিত মোছলমানদের উদ্ধারে পুতিনের দায় কিসের নিজের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া? এ সত্যটা যেন আমাদের মাথায় থাকে। যেখানে কথিত মুসলমাননরা ঈমান এবং মানবতার জায়গা থেকে সরে এসে নিছক নিজেদের ক্ষমতা, সীমানা, ভৌগোলিক, আঞ্চলিক, সাম্প্রদায়িক আধিপত্য বজায় রাখা এবং সম্প্রসারনের জন্য একটার পর একটা দেশ ছারখার করে যাচ্ছে, অসহায় শিশু ও নারীসহ লক্ষ লক্ষ মানূষকে কোন ধরনের দয়ামায়া ছাড়া হত্যা করে চলেছে, গোটা দেশকে কবরে পরিণত করেছে সেখানে পুতিন মামারা এসে আমাদের উদ্ধার করবে এটা ভাবা কতটা ঠিক? আমি বরং এ পাপের খেলায় লিপ্তদের কঠিন পরিণতির আশঙ্কা করছি যেমনটা অতীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে বারবার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার লেখার ভিতর বলেছেন এর আগে যারা আইএস পতন নিয়ে লিখেছে তারা সবাই আংশিক সত্যর উপর দড়িয়ে লিখেছেন, তাই সবাইকে সত্যটা জানার আহ্বান ও জানিয়েছেন। লেখাটা যুক্তিযুক্ত কিন্তু আপনি যে লেখাটা দিয়েছেন তার কোন রেফারেন্স বা
যুক্তি কিছুই দেখাননি। আপনার কথা তো আপনারই বিপক্ষে চলে গেল। তবে আইএস পতন ও সিরিয়াতে শান্তি ফিরে আসা নিয়ে অনেক রেফারেন্স আছে। অন্তত কাউকে সাগরে ডুবে মরতে হচ্ছেনা, কাউকে শরণার্থী হতে গিয়ে লাশ হতে হচ্ছে না।