নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম মিজানুর রহমান

এম মিজানুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির পাতা থেকে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

অজ পাড়া গাঁয় জন্ম । বয়স তখন আর কতই হবে । ইতিমধ্যে ১৪ বার বসন্তের বাতাস দোলা লেগেছিল মনে । তত দিনে মায়ের সাথে মামা বাড়ি , খালা বাড়ি বেড়ানোর গণ্ডি পেরিয়ে এদিক সেদিক যাওয়া শুরু করেছি মাত্র । গ্রামে ঘটে যাওয়া কতনা বিষয়ের সাক্ষী তা বর্ণনা করলে হয়ত আপনাদের বিরক্ত করা হবে বৈ কি । একা একা উপজেলা ( তৎকালের থানা ) সদর ৫ মাইল দূর গিয়ে হাট সদাই করা ( বড় হয়েছি বলে জাহির করতে ) , বিছানায় কাপড় দিয়ে বালিশ ঢেকে রেখে কাউকে না বলে জারী গান শুনতে যাওয়া , কখনও যাত্রা গানের পালা ( আলোমতি , ভাসান যাত্রা , রুপবান-রহিম বাদশার পালা , রাখাল বন্ধু , ------------- ইত্যাদি ) শুনতে যাওয়া , কারো বরই পেড়ে কলা পাতায় মেখে খেজুর কাঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে খাওয়া , শীতের সকালে পোলো দিয়ে স্ফটিক পানিতে কই মাছ ধরা , চৈত্র মাসে বিলে অবস্থিত পুকুর সেচা কাদা-মাটির মধ্যে মাছ ধরা , বর্ষায় নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে পুঁটি মাছ ধরা , শীতের রাতে খেজুর রস কাউকে না বলে ( চুরি করা ভাবতাম না ) নামিয়ে কখনও কাঁচা খাওয়া , কখনও সবার বাড়ি থেকে চাল নিয়ে পায়েস করে খাওয়া , পরীক্ষা শেষে চড়ুই ভাতি ( এখনকার পিকনিক ) উপভোগ করা , অসময়ে (সকাল দুপুর বলে কোন কথা নেই ) কাগজ দিয়ে বল বানিয়ে অথবা ঝড়ে পড়ে পাওয়া কুড়ান জাম্বুরা দিয়ে বল খেলানো , গ্রামের প্রশস্থ খালে নৌকা বাইছে অংশ নেয়া , হাডু-ডু / দাড়িয়া বান্ধা, / গোল্লাছুট ইত্যাদি খেলাগুলি উপভোগ করা , শীতের সন্ধ্যায় খেজুর গাছের চুমুর পুড়িয়ে দগদগে জ্বলন্ত ছাই কচুপাতায় পুড়িয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একধরনের শব্দ বিহীনি বাজি ফুটিয়ে নির্মল আনন্দ উপভোগ করা , হাটের দিনে হাটে গিয়ে বন্ধুদের সাথে মিলে ঘুরা ঘুরি করা ( বিনোদন মনে করা ), চৈত্র দুপুরে হুট করে ঝাঁপ দিয়ে ডুব- সাঁতার দিতে দিতে চোখ লাল হয়ে যাওয়ায় কতই না বকুনি খেতে হতো । নিশ্চয়িই এতক্ষণে আপনারা বিরক্ত হয়ে গেছেন । এখন ভাবি আমরাই ছিলাম হয়ত প্রকৃতির মাঝে বেড়ে উঠা প্রকৃতির সন্তান । এবার অন্য রকম একটা ঘটনা বলে শেষ করি । আমার এক গ্রামতুত ভাবি তাঁর কোলের সন্তান নিয়ে বুক পানিতে গোসল করছিলেন । চোখে পড়তেই জিজ্ঞাসা করলাম তোমার কোলে ছেলে না মেয়ে ? মুখে কিছু না বলে ভাবী বাচ্চাটাকে উঁচু করেই দেখিয়ে দিলেন । বুঝতে বাকি রইল না ভাবীর উত্তর কি ছিল । অর্থাৎ গর্বের সাথে আনন্দ মেশানো ( সেদিনকার সময়ে ছেলের মার একটু কদর বেশী ছিল ) অভিবেক্তি । তা হ’ল তিনি এক পুত্র সন্তানের মা ।------- আজ জীবনের ৬৩ বসন্ত পেরিয়ে বলতে ইচ্ছে করে ---------“ আমি যদি তুমি হইতাম তা হলে মনের আনন্দে কালোজাম খাইতাম “। কি অদ্ভুত একটা ভাবনা তাই না ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: স্মৃতিচারণা বেশী তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। আরো বিস্তারিত লেখা চাই। ভালো থাকবেন।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০১

এম মিজানুর রহমান বলেছেন: হয়ত অনেক লেখা যেত । সত্য বলতে কি সবার ইচ্ছে গুলো সমান যায় না । এ কারনে আপনাকে একটু অতৃপ্ত থাকতে হল । ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমার শৈশব জীবনের সাথে মিশে গিয়েছিলাম। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ মিজানুর রহমান ভাই।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

এম মিজানুর রহমান বলেছেন: প্রামানিক ভাই মাফ করবেন, আমি খন্ডকালিন ব্লগার তাই লেখা থাকে দূরের কথা কেউ প্রশংসা করলেও তার প্রশংসা করতেও কেন যেন আলসেমিতে ধরে। সত্যি বলতে বাংলা টাইপটাও ভাল রপ্ত হয় নাই। তাই দায় নিলাম। আপনি অনেক লেখেন এবং অনেক লেখেন, আপনার লেখা আমি পড়ি। বিশেষ করে কবিতা । ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.