![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
✔ কারও উপকার করতে না পারি, কিন্তু ক্ষতি করার চিন্তা আমার নেই..... ✔ সহজ সরল ছেলে। তবে যখন ভদ্রতার মুখে চপেটাঘাত করা হয় তখন আর ভদ্রতা দেখায় না। :D
সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠেছে লাবিব। উঠে প্রথমে দৌড় দিল নামায পড়তে। নামায পড়ে বাড়ি ফিরবে এমন সময় দেখতে পেল মসজিদের এক কোণায় রাফিন কি যেন চিন্তা করছিল। লাবিব তার কাছে গেল এবং জিজ্ঞাসা করল কি সমস্যা। তখন সে বলল, তার পরীক্ষার জন্য বাড়ি থেকে মা টাকা দিতে পারছে না। আগামীকালই টাকা দেওয়ার শেষ দিন, না হয় পরীক্ষা দিতে পারবে না। কারণ তার বাবা নেই। মা বাড়ি বাড়ি কাজ করে। কোনমতে সংসার চলে। লাবিব বলল, ঠিক আছে তুমি আমার সাথে বিকালে আসরের নামায পড়ে যোগাযোগ কর।
লাবিব বাড়িতে গেল। তারপর কোরআন ও হাদীস অর্থ সহ পাঠ করে। তারপর মা তাকে ডাক দেয় লাবিব নাস্তা করতে আয়। লাবিব নাস্তা করছিল আর তার মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছিল কিভাবে রাফিনের পরীক্ষার টাকা যোগাড় করা যায়। তারও পরীক্ষা ফি দেওয়ার জন্য স্কুল থেকে নোটিশ দিয়েছে। সে স্কুলে যাবার সময় মায়ের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি নিয়ে যায়। পথে ছোট বড় যত ছেলের সাথে দেখা হয় সবাইকে সে সালাম দেয়। কুশলাদি জিজ্ঞেস করে। পড়ালেখা কেমন চলছে, নামায পড়ে কিনা, ঠিকমত রিপোর্ট রাখে কিনা ইত্যাদি।
সব ক্লাসেই লাবিব ভালভাবে পড়া আদায় করে। স্যার কোন কিছু কাউকে জিজ্ঞাস করতেই সেই দাড়িয়ে তার উত্তর দেই। দুপুরে টিফিনের ছুটি হলে সে নামায পড়তে বন্ধুদের এবং ছোট বড় সবাইকে ডাকে। ক্লাস শেষ হয় যথাসময়ে। সে আজ পরীক্ষার ফি দেয়নি। বাড়ি ফিরে আসরের নামায তাদের মসজিদে পড়ে লাবিব। রাফিনও নামায পড়তে আসে। লাবিব নিজের পরীক্ষার টাকা রাফিনকে দিয়ে দেয়। নামায পড়ে লাবিব খেলার মাঠের দিকে গেছে। কিন্তু লাবিব হাতে কিশোর কন্ঠ নিয়ে বসে বসে পড়ছে। তার পাশে দুইজন এসে বসলে সে তাদেরকে সালাম বিনিময় করে। এবং তাদের কুশলাদি জানল।
মাগরিবের আযান দেওয়ার সময় হয়েছে। তাই সে উঠে পড়ল। তার পাশে বসা দুইজনকেও নামায পড়তে ডেকে নিয়ে গেল সে। যে ছেলে গুলো কোনদিন মসজিদে যায় না সে ছেলে গুলো আজ লাবিবের কথায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মাগরিবের নামায আদায় করল!
মাগরিবের নামাযের পর লাবিব বাসায় গিয়ে তার স্কুলের পড়া রেডি করতে থাকে। এশার আযান হলে আশে পাশের বন্ধুদেরকে ডেকে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করে আসল। নামায পড়ে আবার পড়তে বসল। রাত ১০টায় পড়া শেষ করে রাতের খাবার সেরে নেয়। তারপর সে অযু করে আসে তার রুমে আসে। রুমে এসে সে পশ্চিম মুখি হয়ে নামাযে বসার মত করে চোখ বন্ধ করে বসে পড়ল। আর ভাবেত লাগল সকালে ঘুম থেকে উঠার পর সে কি কি করেছে আজ। ভাল কাজ গুলোর জন্য আল্লাহর কাছে শুকুরিয়া জানাল। আর খারাপ কাজের জন্য চোখের পানি ফেলতে ফেলতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইল। অতঃপর ঘুমিয়ে পড়ল।
আবার ফজরের আযান দিল। আর লাবিব ঘুম থেকে উঠে গেল। অযু করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ডাকতে লাগল....... সালাত.................. সালাত..................... সালাত.......................
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
নির্জন শাহরিয়ার বলেছেন: না বড় অন্যায় মোটেও হয়নি। তার বয়সের অন্য ছেলেরা স্কুলের জন্য বলে খারাপ কাজে ব্যয় করছে। তার টাকা দেওয়ার কারণে যে মানবতার বড় একটা উপকার হবে! আর লাবিবের তো বাবা আছে। কোনমতে যোগাড় করতে পারবে। কিন্তু রাফিনের তো মা ছাড়া কেউ নেই। মা ও আবার বাড়ি বাড়ি কাজ করে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
চারশবিশ বলেছেন: ভাল গল্প
কিন্তু লাবিব তার মাকে না জানিয়ে নিজের পরীক্ষার টাকা অন্যকে দিয়ে খুব বড় অন্যায় করেছে