নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মদন

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

মদন

মদন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদত্যাগপত্র দিলেই মন্ত্রীরা অবৈধ

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর মন্ত্রীদের কোন বৈধতা থাকতে পারে না। এটা একদমই অসাংবিধানিক। আওয়ামী লীগ

নিজেদের সংবিধান নিজেরাই লঙ্ঘন করে একটা লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি করেছে। সংবিধান অনুসারেই পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তারা অবৈধ। একটা স্পষ্ট সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি করে ফেলেছেন তারা। যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলছেন, তারা সত্যের অপলাপ করছেন। সরকারের মন্ত্রীরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া হিসাবে পদত্যাগ করেছেন বলে উল্লেখ করছেন। নিজেদের মত অনুসারে সংসদীয় গণতন্ত্র চালালে তো হবে না। তারা যদি ইচ্ছামতো গণতন্ত্র চালান তাহলে এটাকে বলতে হবে ‘সংসদীয় গণতন্ত্র (আওয়ামী লীগ)’।



মন্ত্রীদের পতদ্যাগ বিতর্কে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের কথা বলছেন অনেকেই। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সেসব দেশের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় সংসদ ভাঙার পর। আমাদের এখানে মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেন অথচ সংসদই ভাঙলো না- এটা অবৈধ। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে একটা নিয়ম আছে। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর একদিনের মধ্যে এমপিদেরকে তাদের দপ্তর থেকে ব্যক্তিগত কাগজপত্র সরিয়ে নিতে হয়। তারপর সংসদে তালা ঝোলানো হয়। সেখানে এমপিরা কোনভাবেই তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ পান না। ভারতেও অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নিম্নকক্ষ (লোকসভা) ভেঙে যায়। শুধু উচ্চকক্ষ থাকে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডেও সংসদ ভেঙে দেয়া হয়। তারপর প্রেসিডেন্ট একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী ছোট একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেন রুটিন কাজ চালানোর জন্য। অথচ আমাদের এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন পদ-পদবি নিয়েই। নির্বাচনী আইনে রয়েছে, সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারবেন না। অথচ ২৭ তারিখের পর প্রতিদিনই সবাই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের নিজেদের সংবিধান অনুসারে ২৭শে অক্টোবরই সংসদ ভেঙে যাওয়ার কথা ছিল। অথচ সংসদ চলছে। অবশ্য আরও কিছুদিন সংসদ সচল রাখার সুযোগ তাদের আছে। কিন্তু সংসদ ভেঙে না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কিভাবে হয়? অন্তর্বর্তী সরকার থাকলে সংসদ থাকবে না। দেশে এরই মধ্যে একটি সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। সংসদ বহাল থাকতেই এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে। কিন্তু তারা সেদিকে এগোচ্ছেন না। সংসদ বহাল থাকতে সমাধান করতে না পারলে ইমার্জেন্সি ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। সংবিধান তৈরি হয় একটা ডিসিপ্লিন মেনে চলার জন্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটাই উড়িয়ে দিচ্ছে, তাহলে কিভাবে চলবে গণতন্ত্র? তাছাড়া মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছেন। কিন্তু উপদেষ্টারা কি করবেন তা তো স্পষ্ট নয়? উপদেষ্টাদের তো অন্তর্বর্তী সরকারে থাকার কোন সুযোগ নেই। তারা তো সবসময় দেখি অদৃশ্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভূমিকা রাখছেন। আমরা তাদের কর্মকাণ্ড দেখি না। পেছন থেকে তারা কলকাঠি নাড়েন। তাদের পদত্যাগ নিয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য দেয়া প্রয়োজন।





দিলারা চৌধুরী:মানবজমিন

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

ফয়সাল মাহাদী বলেছেন: অনেক মজা পাইলাম

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

িফল্ড মার্শাল বলেছেন: পাবলিক কিন্তু বোদাই না । সব বুঝে ।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

অ্যানোনিমাস বলেছেন: হাম্বা বলে কথা :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

মদন বলেছেন: :)

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

মদন বলেছেন: ‘৫৮(১)...মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি—
(ক) তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’



ব পদে বা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুবিধার্থে একটু ব্যাখ্যা করার প্রয়াস গ্রহণ করি!
৫৮ অনুচ্ছেদের শুরুটা হলো এই বলে যে মন্ত্রীর পদ কীভাবে শূন্য হবে। প্রথম উপদফায় অর্থাৎ (ক) উপদফায় বলা হলো—প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র ‘প্রদান করিলে’। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী মন্ত্রীরা সবাই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র ‘প্রদান করেছেন’। এই ‘প্রদানে’র মাধ্যমে সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ কার্যকর হয়ে গেছে। গ্রহণ করা বা না করার কোনো সুযোগ সংবিধান রাখেনি।

সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র প্রদান না করেও পদত্যাগী হতে পারেন। এই ৫৮ অনুচ্ছেদের ৪ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে—

‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিলে...মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে...।’

অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে মন্ত্রীদের আলাদা করে পদত্যাগপত্র লিখতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ পদত্যাগপত্র না পেশ করেও পদত্যাগ করা যায়। আর এ ক্ষেত্রে যেহেতু পদত্যাগপত্র পেশই করতে হয় না, সেহেতু গ্রহণ করা বা না করার প্রশ্ন অবান্তর।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

ভোরের সূর্য বলেছেন: বাংলাদেশ সংবিধানের কিছু অংশ তুলে দিলাম এবিষয়ে।
মন্ত্রিগণ
৫৬। (১) একজন প্রধানমন্ত্রী থাকিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী থাকিবেন।

(২) প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদিগকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, তাঁহাদের সংখ্যার অন্যূন নয়-দশমাংশ সংসদ-সদস্যগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন এবং অনধিক এক-দশমাংশ সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইতে পারিবেন।

অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ
৫৮। (১) প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি-

(ক) তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন;

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

তাহমিদুর রহমান বলেছেন: জিনিসটা আসলে মাথায় ঢুকছে না।





http://prattohik.com/en/

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পাবলিক যে কি তা সবাই জানে ভাই ফিলমার্শাল নিক এর মন্ত্যব্য এ বলতে হল ।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

পিওর গাধা বলেছেন: রাষ্ট্রপতি সই করলে পদত্যাগপত্র কার্যকর: তথ্যমন্ত্রী
পদত্যাগপত্র জমা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: আইনমন্ত্রী।

ঝাতি আজ লুলায়িত ;)

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬

আশমএরশাদ বলেছেন: অনুচ্ছেদ ৫৮ (ক)। পরিচ্ছেদের প্রয়োগ: সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১, ২০ নং ধারা বলে বিলুপ্ত।
২ (ক) ( পরিচ্ছেদ)-[নির্দলীয় তত্বাবধায়ক] সরকার সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১, ২১ ধারা বলে বিলুপ্ত।
অনুচ্ছেদের নীচে কিছু টিকা থাকে সে গুলাও দেখার দরকার আছে।

সংবিধানে অনেক কিছু না থাকা সত্বেও আমরা সেটা দাবী করছি। সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচারের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়ে যখন বলবৎ রায় বহাল আছে সেখানে আমরা অগ্রগণ্য দাবি হিসাবে এখনো তত্ববাধায়ক সরকার চেয়ে আন্দোলন করে মানুষ মারছি। তখন কেন আইনবিদরা বলবৎ সংবিধানের দোহাই দেন না?

ট্রাম্প কার্ড -২০০৪ সালে ৩০ শে এপ্রিলকে ডেড লাইন ধরে জলিল সাহেব যখন সরকারকে হুমকি দেন তখন তৎকালীন সরকার সব এমপি মন্ত্রীদের পদত্যাগ জমা নিয়েছিলেন। সেই সময়ে কিন্তু পদত্যাগ পত্র জমা নিয়ে এত কথা উঠেনি। সাংবিধানিক কথা গুলো উঠেনি।

৫৬। (১) একজন প্রধানমন্ত্রী থাকিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী থাকিবেন।-

এখানে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দেয়া আছে পরোক্ষভাবে গ্রহণ বর্জনের।

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

ভোরের সূর্য বলেছেন: আশমএরশাদ আপনি ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

৫৬। (১) একজন প্রধানমন্ত্রী থাকিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী থাকিবেন।-

এরমানে প্রধানমন্ত্রী কোন কোন মন্ত্রনালয় নিজের কাছে রাখবেন, কোন মন্ত্রনালয়ে কতজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী নিবেন বা টোটাল মন্ত্রীর সংখ্যা কত হবে বা কাকে কোন পদ দিবেন এসব ঠিক করবেন কিনতু পদত্যাগপত্র গ্রহণ বা বর্জনের কথা বলা হয়নি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

মদন বলেছেন: সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধানকে কিভাবে ধর্ষন করতে হয় তা আরো একবার দেখা গেলো।

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

ভিটামিন সি বলেছেন: আইজকা নতুন জিনিস হুনলাম। ২০০৪ সালে নাকি তৎকালীন সরকার মন্ত্রী, এমপিদের পদত্যাগ পত্র জমা নিয়েছিলেন!!!! আবালে কয় কি??? আবালে কয় কি রে???

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

মদন বলেছেন: :)

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

পথহারা সৈকত বলেছেন: ভিটামিন সি বলেছেন: আইজকা নতুন জিনিস হুনলাম। ২০০৪ সালে নাকি তৎকালীন সরকার মন্ত্রী, এমপিদের পদত্যাগ পত্র জমা নিয়েছিলেন!!!! আবালে কয় কি??? আবালে কয় কি রে???

১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

মদন বলেছেন: তকাল পদত্যাগী আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদটি পড়ে শোনানোর অনুরোধ করলে তিনি সংবিধান হাতে নিয়ে ৫৮ অনুচ্ছেদের দফা ১-এর ‘ক’ উপ-অনুচ্ছেদটি পড়তে শুরু করেন।বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে যদি তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’......এতে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ রয়েছে যে, ‘মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র জমা দিলেই তাদের পদ শূন্য হয়ে যাবে।’ অনুচ্ছেদটি পড়ার পর মন্ত্রী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলেন, ‘আমরা যে পত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছি, এটিকে পদত্যাগপত্র বলা যাবে না। এটি সংবিধান সম্মতভাবে আমরা দিইনি।’ একজন আইনজীবী হিসেবে আপনি কীভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে এ পত্রটি জম দিলেন? সরকার পদত্যাগ নাটকের নামে জনগণের সঙ্গে সাংবিধানিক প্রতারণা করেছে।


"সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়নি"- আইনমন্ত্রীর
সংবিধান মেনেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন-তথ্যমন্ত্রী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.