নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মদন

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

মদন

মদন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আউটসোর্সিং ব্যবসায় করারোপের প্রস্তাব এফআইসিসিআই’র

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

বাংলাদেশে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনায় করারোপের প্রস্তাব করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।



বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।



প্রতি বছর আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন (২ কোটি মার্কিন ডলার) ডলার আয় করছে বাংলাদেশ। এ খাত থেকে বছরে একশ’ মিলিয়ন ডলার আয় নির্ধারণ করেছে সরকার।



সংগঠনের সমন্বয়ক আবদুল খালেক বলেন, দেশে আউটসোর্সিং ব্যবসার পরিধী বাড়ছে। আয়কর অধ্যাদেশে আউটসোর্সিং অ্যাক্টিভিটির কোনো সংঙ্গা নেই। বিশ্বায়নের সঙ্গে মিল রেখে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে আউটসোর্সিং ব্যবসায় করারোপের দাবি জানান তিনি।



বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে অফশোর এবং অনশোর ব্যাংকিংয়ে কর কমানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের বড় একটি অংশে বিনিয়োগ করেন বিদেশিরা। বিনিয়োগের অন্যতম একটি মাধ্যম অফশোর ব্যাংকিং। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ০-২০ শতাংশ কর নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে ৪২.৫ শতাংশ কর নেওয়া হয়। কর ২০ শতাংশ করা হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হবেন।



বাংলাদেশে বর্তমানে করদাতার অতিরিক্ত পারিতোষিক ও পারিতোষিক ব্যয় ২ ল‍াখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ আছে। কিন্তু জীবন যাত্রা, মূল্যস্ফীতি এবং বর্তমান বাজার মূল্য পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত এ হার কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিবেচনায় এনে করদাতার ব্যয় সীমা চার লাখ করার প্রস্তাব করেন আবদুল খালেক।



করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি, জীবন যাত্রার ব্যয়, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় এনে করমুক্ত আয় সীমা দুই ল‍াখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন তিনি।



একই সঙ্গে করযোগ্য আয়ের সীমা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ, ব্যক্তি শ্রেণীর কর হার ২০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।



ম‍ুনাফার অর্থ প্রেরণে উইথহোল্ডিং কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আবদুল খালেক বলেন, মুনাফার অর্থ কোনো ডেভিডেন্ট নয়। মুনাফাকে ডেভিডেন্ট বিবেচনা করে করারোপ প্রযোজ্য নয়।



বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংক/কোম্পানির মুনাফার অর্থ প্রধান কার্যালয়ের প্রেরণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ উইথহোল্ডিং কর দিতে হয়। কর পরবর্তী মুনাফা নির্ধারণের পর তা বিদেশে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। ফলে ২০ শতাংশ উইথহোল্ডিং কর প্রত্যাহার জরুরি বলে দাবি করেন তিনি।



বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে লেনদেনের ওপর ধার্যকৃত অতিরিক্ত কর বিনিয়োগে বাধা প্রদান করেন। এ কর প্রত্যাহারসহ লভ্যাংশের ওপর ধার্যকৃত ০.০৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।



এছাড়া সব ধরনের ঋণ হিসেবের ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভ‍ুক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ওপর কর রেয়াত বাড়ানো, নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির কর্পোরেট কর ৩২.৫ শতাংশ করা, সব সেবা খাতের জন্য অভিন্ন মূসক পদ্ধতি প্রবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়।



পরিবেশকদের উৎসে কর ৫ শতাংশ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড’র ট্যাক্সসেশন ম্যানেজার সৈয়দ আহমেদ খান বলেন, পরিবেশকদের ৫ শতাংশ উৎসে কর আদায় আয়কর আইনের মূলধারার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এটা পরিবেশকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ।



তিনি ৫ শতাংশ উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।



তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। ভ্যাট আইনে মূল্য ঘোষণা সংক্রান্ত জটিলতাসহ বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এসব জটিলতা নিরসনের দাবি জানান তিনি।



প্রাক বাজেট আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য, এফআইসিসিআই সভাপতি রুপালী চৌধুরীসহ সংগঠনের নেতারা।







Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরো কর চাই অস্ত্র কিনতে হবে!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১০

মদন বলেছেন: চাপাতি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.