![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকাল এই কথাটি মাঝে মাঝে শোনা যায়। সৌদী আরবের সাথে মিলিয়ে সকল দেশে একই সাথে রোজা-ঈদের প্রচলন।
তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম আমারা সকল দেশে একই সাথে রোজা-ঈদ করবো।
সৌদিআরবের সাথে কানাডা-আমেরিকার সময়ের পার্থক্য সম্ভবত ১৩-১৪ ঘন্টা। সৌদী আরবে ঈদের দিনে ঈদের নামাজ পড়বে তখন কানাডায় এশার নামাজ পড়ার সময়। তখন কি তারা ঈদ পালন করবে? নাকি পরেরদিন সকালে করবে? যদি পরের দিন সকালে করতে হয় ততক্ষনে সৌদিদে ঈদ শেষ। তো যেই লাউ সেই কদুই হইলো। একই সাথে কেমনে সম্ভব কেউ কি একটু বুঝায়া বলবেন?
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
মদন বলেছেন:
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: “আজকাল এই কথাটি মাঝে মাঝে শোনা যায়। সৌদী আরবের সাথে মিলিয়ে সকল দেশে একই সাথে রোজা-ঈদের প্রচলন।”-বিগত ১৪০০ বছরে যেটা প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি তা আর কখনও সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।টাইম জোনের পার্থক্যের জন্য এখনও চাঁদের উপর ভরসা করাই শ্রেয়।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
মদন বলেছেন: একই দিনে রোজা বা একই দিনে ঈদের বিষয়টি কতটুকু অসম্ভব তা বুঝতে হলে খুবই সামান্য ভৌগলিক জ্ঞান এবং সামান্য শরীয়াতের জ্ঞান থাকলেই চলবে তাকে মহা পন্ডিত হতে হবে না। শুধু এতটুকু জ্ঞান থাকতে হবে যে দুরুত্বের কারনে সময়ের হেরফের হয়।
পুরো মুসলিম বিশ্ব যদি ঠিক করে যে আমরা একই সাথে রোজা করবো এবং একই সাথে ঈদ করবো তাহলে আমাদেরকে একটি সিস্টেমের আওতায় আসতে হবে। চান্দ্র দিন শুরু হয় সুর্য ডোবার সময় থেকে, কাজেই সৌদিতে যখন চাদ উঠে তখন পুরো বিশ্বেই চাদ দেখা যায় না। যে দেশের সাথে সৌদির সময়ের পার্থক্য ১২ ঘন্টা সেখানে তখন সকাল হলো। অর্থাত সৌদিরা যখন সেহরী খাবে, অপর দেশটি তখন আসরের নামাজ পড়বে। সৌদিতে যখন ইফতারি খাবে অপর দেশ তখন সেহরী খেয়ে ফজরের নামাজ পড়বে। এভাবে রোজার মাস শেষ করে সৌদিতে যখন ঈদের চাদ দেখা যাবে অপর দেশ তখন তাদের সর্বশেষ রোজার দিন হবে। অর্থাত সৌদিতে ঈদের চাদে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ঈদ শুরু হলেও অপর দেশে তাদের সর্বশেষ রোজাটি চলবে। অর্থাত মুসলিম বিশ্বের ঈদের দিনেও তাদের অবস্থানের কারনে ঈদের দিনে রোজা রাখতে হবে। যা হারাম।
একটি অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ৫৬০ মাইল পর্যন্ত(আকাশপথে) একই দিনে একই সাথে চাদ দেখা সম্ভব এর বেশি সম্ভব নয়। সেই হিসেবে একটি শহর বা সর্বোচ্চ একটি দেশ একই চাদে একই দিনে ঈদ করা সম্ভব। কিন্তু এর বেশি হলে চান্দ্র দিনের পার্থক্য তৈরী হতে পারে।
চান্দ্র মাসের জন্য সৌদিআরব আইডিয়াল নয়। সৌদি আরবের পশ্চিমেও আরো দেশ রয়েছে যেখানে সৌদি আরবেরও আগে চাদ দেখা যায় যেমন ২০১৩তে উত্তর আমেরকিাতে চাদ দেখা গেছে ৮ই জুলাই এবং ৯ই জুলাই থেকে রোজা শুরু হয়েছিলো অপরদিকে সৌদিতে চাদ দেখা গিয়েছিলো ৯ই জুলাই এবং ১০ইজুলাই থেকে রোজা শুরু হয়েছিলো।
আমেরিকার সাথে কোরিয়ার সময়ের পার্থক্য ১৫ ঘন্টা।
নিউজিল্যান্ডের সাথে আলাস্কার সময়ের পার্থক্য প্রায় ২৪ ঘন্টা।
আলাস্কায় যখন ঈদের চাদ দেখা যাবে। নিউজিল্যান্ডে তখনও পরের রোজার প্রস্ততি নিতে হবে।
ভৌগলিক অবস্থানের কারনেই পৃথিবীতে কোনোমতেই, কখনই, কোনোভাবেই একইদিনে ঈদ পালন সম্ভব নয়। জোর করে করতে গেলে একদিকে ঈদ পালন চলবে অন্যদিকে একইদিনে রোজা চলবে শুধুমাত্র সময়ের ব্যবধানের কারনে।
আল্লাহ ইসলামকে আমাদের জন্য সহজ করেছেন আমাদের উপযোগী করেই। বিজ্ঞান ও যুক্তিদিয়ে প্রাজ্ঞময় হলো আল-কোরআন।
তাদের পক্ষেই একই দিনে ঈদ করা সম্ভব যাদের মধ্যে ভৌগলিক ও শরীয়তের জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: এটা আসলে সূর্যের সাইক্লিক অর্ডারে হবে । সউদিতে চাঁদ দেখা গেল এবং তা মুসলিম দেশগুলোতে প্রচার হল । সূর্যের শুরু হাওয়াইএর পরে অর্থাৎ জাপান দিয়ে শুরু হয় । জাপানের তাইম লাইনে যে রাষ্ট্র গুলি পড়ে তারা জামাত শুরু করলেন এবং ক্রমান্বয়ে তা সউদিতে সম্পন্ন হল । এরপর আফ্রিকা হয়ে আমেরিকা গিয়ে শেষ হল । একটি ২৪ ঘণ্টার বৃত্তকার সময়ে ইদ সম্পন্ন হবে। কেন? আমরা নামাজ কিন্তু কাবার দিকে মুখ করে পড়ি । এটা একটা ইউনিফর্মিটি এবং আমরা যে পবিত্র স্থানের বিশেষত্ব কে গন্য করি তার নিদর্শন । আমরা ইচ্ছে করলে ইচ্ছা খুশি মাফিক সিজদা দিতে পারি তাতে বাধা নেই কিন্তু একতার একটি গুরুত্ব আছে। ইদ এভাবেই পড়া ও উদযাপন করা উচিত।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩১
মদন বলেছেন: তাইলে তো সৌদি বাদ দিয়ে হাওয়াইএর চাদের হিসেব দিয়ে ইসলাম চলবে। এইটা কয়জন মানবে দেখেন। আমাদের দেশে তো এক নকশা শুরু হয়েছে সৌদির সাথে রোজা-ঈদ করা। ঈদানিং তারা সৌদি টপকে সৌদিরও আগে চলে যাচ্ছে।
যে হিসেবেই ঈদ করেন প্রায় ২৪ ঘন্টার পার্থক্য এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে এবং আপনি যেভাবে বললেন অনেকটা এভাবেই হচ্ছে। যারা পশ্চিমে আছে তারা আগে ঈদ করছে যারা পূর্বে আছে তারা পরে ঈদ করছে একে একে।
কোরআন-হাদিসে এমন সিস্টেমের কোন আভাস কি কারো চোখে পড়ে? বরং চাদ দেখে রোজা চাদ দেখে রোজা ভংগ ও ঈদের কথাই হাদিসে দেখতে পাই। চাদ দেখে করতে হলে একেক দেশে একেক সময়েই হবে। চাদ না দেখে একবারে দেখে করলেও সেই দেরীই হবে।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩৯
আরজু মুন জারিন বলেছেন: সকল দেশে একই দিনে ঈদ .....হওয়া উচিত। পোস্ট টিতে ভালবাসা শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
মদন বলেছেন: আপনি পোষ্ট না পড়েই শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছেন। আপনার শুভেচ্ছা ফেরত নিন।
ভৌগলিক অবস্থানের কারনে পৃথিবীতে কখনই একই সাথে একইদিনে ঈদ সম্ভব নয়। দয়া করে পুরো পোষ্ট আরেকবার পড়ুন।
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বৈজ্ঞানিকভাবে একই দিনে পৃথিবীর সর্বত্র ইদ হওয়া সম্ভব নয়। মূল টেকস্ট এবং ৩ নম্বর কমেন্টে সেটা খুব ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আপনার সাথে একমত।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সব ফালতু বিতর্ক না করাই উত্তম।
কোরান হাদিসের কোন সংশোধনী চলে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: