![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা, মতবিনিময়, আলোচনা শুনতে, করতে, পড়তে ভালোলাগে। নতুন নতুন ভাবনার সাথে পরিচিতি হতে পছন্দ। পছন্দ বন্ধুত্ব।
মনের আয়নায়
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
সাহিত্যম্ কলিকাতা-৭৩
প্রথম প্রকাশ: ১৩৮৩ বাংলা
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের “মনের আয়নায়” বইটি পড়লাম। আত্মজীবনীমূলক এ বইতে লেখক তার নিজের দেশ-গ্রামের কথা, সময়ের কথা, নিজের বেড়ে উঠার কথা- ভিতর বাহির পূর্বাপর ইত্যাদি আপাতবিচ্ছিন্ন খন্ডচিত্রের মত করে বর্ণনা করেছেন। তারপরও তা পড়তে গিয়ে বেশ একটা সম্পূর্ণ ক্যানভাস বলে মনে হতে বাধা নেই। এতে লেখক নিজের মনের গতি প্রকৃতি নিবিষ্ট পটুয়ার একাগ্রতা ও দক্ষতায় পটস্থিত করেছেন। পাঠককেও টেনে নিয়ে গেছেন মনোজগত মন্থনের আগ্রহের দিকে। এতে এসেছে তার নিজের যুগের ভ্রান্তি, অজ্ঞানতা, অবিচার, অন্ধত্বের কথা। তেমনি আবার সেসব কিছুকেই যে তিনি ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে বা ঘৃণ্যবস্তুর মত পায়ে ঠেলেছেন তা নয়। ওসবকে তিনি যুগের বাস্তবতা হিসেবেই জ্ঞান করেছেন। অন্যদিকে তার নিজের যুগের হাওয়ার বিপরীতে যুগান্তরের নতুন হাওয়াকে সর্বান্তকরণে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে সবকিছুর ওপরে মানুষের মানব হয়ে উঠার সাধনাকে মূল্য দিয়েছেন। সকল ভ্রান্তি, নতুন বা পুরাতন, সমস্তকিছুর মধ্যেই প্রকৃত রসগ্রাহীর মনে বয়ে চলেছে চিরন্তন সর্বময় শক্তির মহাপ্রতিষ্ঠার সাধনরস। সকল বৈপরীত্য, মতভেদ, আর তত্ত্বের কচকচির খটোমটো খোলসের অন্তরে যে বীজমন্ত্র তাকেই তিনি বড় করে সর্বব্যাপী আকারে প্রত্যক্ষ করার আবেদন রেখেছেন পাঠকের কাছে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০
মহাজাগতিক বলেছেন: আপনি "শেষ তারা"। তারাশঙ্কর পড়তে আপনার দাঁত ভাঙার প্রশ্নই নেই। তারায় তারায় মিল না হলে কিসে কী?
যাহোক লেখাটা আমার একটু কঠিন হয়ে থাকলে কী আর করা। আপনি যে তবু দুকলম (থুক্কু, দুই স্পেস) লিখেছেন তাতেই নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পরবর্তীতে সহজ স্টাইলে লিখতে চেষ্টা করব।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭
শেষ তারা বলেছেন: বড্ড কঠিন করে লিখেছেন!!! তারাশঙ্করের লেখা পড়তে গেলেও এমন দাঁত ভাঙ্গে না!!