![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিন টি ছিল রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার। সকালেই সিন্ধান্ত হলো ঘাগড়া ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার একে একে চলে আসলো সবাই। আমরা যখন যাত্রা শুরু করলাম তখন ঘড়ির কাটা বেলা এগারোটা। রাউজান থেকে যেহেতু যাত্রা শুরু করেছি তাই আমাদের পৌছাতে সময় লাগলো পৌনে এক ঘণ্টার মতো।
পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটির প্রবেশ দ্বার কাউখালী উপজেলা। চট্টগ্রামের রাউজান সীমানা পেরুলেই কাউখালীর অবস্থান। ভৌগোলিক দিক থেকে রাউজান ও রাঙ্গুনীয়ার সীমান্ত ঘেঁষা কাউখালী বেশ বৈচিত্র্যময়। পাহাড়ি বাঙ্গালির সহ-অবস্থানে গড়ে উঠা এ উপজেলার মানুষের উপার্জনের একমাত্র পথ গাছ, বাঁশ ও কৃষি।
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া সেনাক্যাম্প পেরুলেই কলাবাগান। মূল সড়ক থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে অন্তত পাঁচটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা। ঝর্ণাগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমতল থেকে স্তরে স্তরে অন্তত দেড় থেকে দু শ’ ফিট উঁচুতে পর্যন্ত বহমান। প্রতিটি ঝর্ণারই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। সৌন্দর্যের দিক থেকে কেউ কাউকে ইঞ্চি পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি নয়। যা স্বচক্ষে না দেখলে কারো বিশ্বাসই হবে না। এ ঝর্ণাগুলো পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটির সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ঘাগড়ার কলাবাগান থেকে বয়ে চলা ছোট্ট একটি ছড়ার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য পাথরের ওপর দিয়ে হেঁটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এগোতে হয় মূল ঝর্ণার দিকে। যেতে যেতে অসংখ্য ছোট ছোট ঝর্ণা ছুটে চলা পর্যটকদের নজর কেড়ে নেবে। দেড় কিলোমিটার হেঁটে গেলেই দৃষ্টিনন্দন প্রথম ঝর্ণাটি স্বমহিমায় আগত ভ্রমণ পিপাষুদের স্বাগত জানাবে। এরপর আরেকটু সামনে গেলে তার থেকে আরো উঁচুতে অপর ঝর্ণাটি পর্যটকদের কান্তি দূর করে বিমোহিত করবে। এভাবে একের পর এক যত উঁচুতে উঠবে মানুষ ততই বিমুগ্ধ হতে থাকবে। সবশেষে আকাশচুম্বী যে ঝর্ণাটি রয়েছে তার উচ্চতা এত বেশি যেকোনো পর্যটক ভয়ে তার কাছে ঘেঁষতে চাবে না।
অপার সম্ভাবনাময় প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া অপরূপ দৃশ্য ও সৌন্দর্যের সমারোহ উপভোগ করতে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দৈনিক অসংখ্য পর্যটকের পদচারণায় নির্জন কলাবাগান এলাকার নীরবতাকে জাগিয়েতোলে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সবচেয়ে বড় দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক এ ঝর্ণাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠতে পারে এখানে বিশাল পর্যটন স্পট। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তার ব্যবস্থা করা গেলে গড়ে উঠতে পারে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে, বদলে দেবে কাউখালীর চিত্র।
তবে এতো সৌন্দর্য্যের মাঝে সবকিছু ছাপিয়ে যে ব্যাপার টি পর্যটকদের মনে উদ্ভেগের কারন হয়ে উঠে সেটা হলো নিরাপত্তা। কেমন যেন এক অজানা এক ভয় বিরাজ করে মনে। সরকারিভাবে যদি একটু নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে পর্যটকদের ভ্রমণ আরো বেশী সুন্দর হতো।
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন, শুধু নিরাপত্তার কারনেই এই প্রকৃতির লীলাভূমি পর্যটকদের আস্থা হারাচ্ছে দিনে দিনে। আপনাকেও অনিঃশেষ ধন্যবাদ
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: খুব ভালো লাগল ভ্রমণ পোষ্ট। ধন্যবাদ
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: আপনার ভালোলাগা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে। ধন্যবাদ @প্রামাণিক ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: খুব খুউব ভাল লাগল আপনার এই ভ্রমণ পোষ্ট!!!
যেতে ইচ্ছে করছে, তবে আপনার লেখায় উঠে এসেছে নিরাপত্তাহীনতার ইংগিত!!
এমন অনেক দৃষ্টিনন্দন স্পট আছে, যেখানে আমরাই যেতে পারি না, আর বিদেশী পর্যটক-এর কথাতো ভাবাই যায় না।
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!