নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক পথহারা পথিক

মহানন্দ মোহন

মহানন্দ মোহন

আমি একা শুধু একা আমার আপন কেউ নাই...

মহানন্দ মোহন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষীণ দৃষ্টি (LowVision)

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩২







যখন কোন ব্যক্তির সামান্য হলেও দৃষ্টি শক্তি আছে অর্থাৎ নূন্যতম আলো বুঝতে পারে কিন্তু সাধারণ চশমা দ্বারা তা সংশোধন বা উন্নতি করা যায় না, আবার অন্য কোন বিশেষ চিকিৎসাও নেই এরূপ অবস্থাকে ক্ষীণ দৃষ্টি বলে। ইংরেজীতে যাকে বলে লো-ভিশন (Low Vision) । অন্য কথায় যখন কোন ব্যক্তি আলো বুঝতে পারে কিন্তু তার দৃষ্টি চশমা দিয়েও ৬/১৮ এর নীচে তখন তাকে ক্ষীণ দৃষ্টি বলে।



বিশ্বে প্রায় ৩৬ মিলিয়ন (৩কোটি ৫০ লক্ষ) লোক ক্ষীণ দৃষ্টিতে ভূগছে যাদের দৃষ্টি সহায়ক বস্তু তথা পুনর্বাসন প্রয়োজন। এসব রোগীর শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ আছে উন্নয়নশীল দেশসমূহে। শিশুদের মধ্যে ক্ষীণ দৃষ্টির প্রভাব খুব কম। বয়স্করাই ক্ষীণ দৃষ্টিতে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে।



কারণ :

১)জন্মগত - যেমন গর্ভাবস্থায় মায়ের হাম হলে শিশু ক্ষীণ দৃষ্টি তথা ক্ষুদ্র চক্ষু নিয়ে জন্মাতে পারে।

২) কারণগত - বিভিন্ন কারণ।



লক্ষণ :



- দৃষ্টি ক্ষমতা কম অর্থাৎ কম দেখতে পাবে।

-দৃষ্টির পরিধি অর্থাৎ দৃষ্টির সীমানা কম হবে।

- দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে সময় বেশি লাগবে।

- স্বক্রীয়ভাবে ( নিজে নিজে) কাজ করতে অসুবিধা বোধ করবে।

- সময় ধরে কাজ করতে ক্লান্তি বোধ করবে এবং মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিবে।





চিকিৎসা :



এই রোগের চিকিৎসা মূলত পুনর্বাসনমূলক। রোগীদের প্রয়োজনমত বিভিন্ন প্রকার দৃষ্টি সহায়ক বস্তু দিয়ে রোগীর যে দৃষ্টি অবশিষ্ট আছে তা সংশোধিত ও পরিবর্ধন করে তাকে জীবন যাপনে সহায়তা করা। তার যেটুকু দৃষ্টি অবশিষ্ট আছে তা যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কমে না যায় তার ব্যবস্থা করা।



ক্ষীণ দৃষ্টি রোগীদের যে সব দৃষ্টি সহায়ক বস্তু দেওয়া হয় তা নিম্নরূপ --



দূরে দেখার জন্য -



টেলিস্কোপ :





-মনোঅকুলার টেলিস্কোপ





-বাইনোকুলার টেলিস্কোপ





-হ্যান্ডহোল্ড টেলিস্কোপ







কাছে দেখার জন্য ম্যাগনিফায়ার :







- হ্যান্ড হোল্ড ম্যাগনিফায়ার-আলো সহ, আলো ছাড়া

-স্ট্যান্ড ম্যাগনিফায়ার

-বার ম্যাগনিফায়ার

-ডোম এন্ড বার ম্যাগনিফায়ার

-ফোল্ডেবল ম্যাগনিফায়ার

-পকেট ম্যাগনিফায়ার

-ভিডিও ম্যাগনিফায়ার



সি.সি টিভি -সাদাকালো ও রঙ্গিন



ক্ষীণ দৃষ্টি রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ কাজে হচ্ছে দৃষ্টি ত্রুটি ও ক্ষীণ দৃষ্টি রোগীদের খুঁজে বের করা এবং তাদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা। এ বিষয়ে জন সাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে মাঠ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন তারা এসব রোগীদের সনাক্ত করতে পারেন এবং রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও পুণর্বাসনের জন্য সঠিক জায়গায় রেফার করতে পারে।





মহানন্দ মোহন

অপ্টোমেট্রিস্ট

ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতাল

ফার্মগেট ঢাকা -1215

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.