![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলেমায় ব্যবহৃত ‘ইলাহ’ শব্দের প্রকৃত অর্থ, ‘যাঁর হুকুম মানতে হবে’ (He who is to be obeyed)। শতাব্দীর পর শতাব্দীর কাল পরিক্রমায় যেভাবেই হোক এই শব্দটির অর্থ ‘হুকুম মানা বা আনুগত্য’ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘উপাসনা, বন্দনা, ভক্তি বা পূজা করা (He who is to be worshiped) হয়ে হগেছে।
বর্তমানে সারা দুনিয়ায় মাদ্রাসাগুলিতে কলেমার অর্থই শেখানো হয় – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মানে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। কোর’আনের ইংরেজি অনুবাদগুলিতেও কলেমার এই অর্থই করা হয় (There is none to be worshiped other than Allah)।
অসঙ্গতিটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার। ‘উপাস্য’ কথাটির আরবি হচ্ছে ‘মা’বুদ’, তাই “আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই” এই বাক্যটিকে আরবি করলে দাঁড়ায় “লা মা’বুদ ইল্লাল্লাহ’, যা ইসলামের কলেমা নয়। কোনো অমুসলিম এই সাক্ষ্য দিয়ে মুসলিম হতে পারবে না।
কলেমার ‘ইলাহ’ শব্দটির অর্থ ভুল বোঝার ভয়াবহ পরিণতি এই হয়েছে যে সম্পূর্ণ মুসলিম জনসংখ্যাটি মাদকাসক্তের মতো নির্জীব হয়ে আছে। শুধু তাই নয়, ‘ইলাহ’ শব্দের অর্থ পাল্টে যাওয়ায় এই মুসলিম জনসংখ্যার কলেমা সংক্রান্ত ধারণাই পাল্টে গেছে। বর্তমানে এই জাতির আকিদায় আল্লাহর হুকুম মানার তেমন কোনো গুরুত্ব নেই, আল্লাহ্ এর উপাসনাকে হুকুমের থেকে হাজার হাজার গুন বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। অথচ হুকুম মানা আসে আগে, এর পর হুকুম মোতাবেক আমল করা।
কলেমার অর্থ সম্পর্কে এই ভুল আকিদা এই জনসংখ্যার আত্মায় এবং অবচেতন মনে গভীরভাবে প্রোথিত হয়ে গেছে। ফলে সারা দুনিয়াতে এমন কোনো দল নেই, এমন কোনো রাষ্ট্র নেই যারা তাদের সামষ্টিক, জাতীয় জীবনে আল্লাহর হুকুম মেনে চলছে, যা কিনা ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মানার চেয়ে বহুগুণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য। জাতীয় জীবনে আল্লাহকে অমান্য করে তার বদলে উপাসনা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি দিয়ে আসমান জমিন ভর্তি করে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু সেই পর্বত সমান উপাসনাও বিশ্বময় তাদের করুণ দুর্দশার প্রতি দয়াময় আল্লাহর কৃপাদৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে, বিজাতির হাতে তাদের অবর্ণনীয় নিপীড়ন, লাঞ্ছনা, পরাজয়, অপমান, নিগ্রহ বন্ধ তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন আরো বেড়ে চলছে।
লেখার উৎসঃ http://bit.ly/2E31q6e
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২৭
প্রতিভাবান অলস বলেছেন:
অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত পোস্ট। ভাললাগলো।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২১
আবু তালেব শেখ বলেছেন: নতুন আরেক প্যাচাল
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪২
মহসিন আলাম বলেছেন: মোহাম্মদ (সঃ) যেই প্যাঁচাল লাগিয়ে গোটা মানব জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন সেই প্যাঁচাল আরও একবার লাগবেই, কারণ মানব জাতির আবারও মুক্তি দরকার হয়েছে।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০
এম এ মুক্তাদির বলেছেন: ফালতু কথার ঝুড়ি।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪০
মহসিন আলাম বলেছেন: কালেমার আহ্বান আবু জাহেল আর তার অনুসারীর কাছে ফালতুই লেগেছিলো, এখনও ফালতুই লাগে।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় পোষ্ট।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
মহসিন আলাম বলেছেন: আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও কারো কারো জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন।
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হয় অজ্ঞতা থেকে অথবা বিশাল দুরভিসন্ধির ফসল এই শব্ধার্থের অসঙ্গতি!
আরবি থেকে অনুবাদের সময় একটা বিষাল শূন্যতা সৃস্টি হয়েছে-যার ফল আওমরা পাচ্ছি যুগ যুগান্ত পরে!
কলেমার মুলার্থে যে স্পিরিট! যে শক্তি, যে জাগরন তা শব্দার্থের শুন্যতায় চাপা পড়ে আছে!
তাইতো কলেমা আর জাগায় না! কেবলি উচ্চারনে ঝুলে রয় ঠোটে!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
মহসিন আলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। খোলা মন সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারে, আর বদ্ধ মন পারেনা। খোলা মন নিয়ে ভাবলে, গভেষনা করলে অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন যা আমরা ভুল জেনে বড় হয়েছি।
অসঙ্গতিটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার। ‘উপাস্য’ কথাটির আরবি হচ্ছে ‘মা’বুদ’, তাই “আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই” এই বাক্যটিকে আরবি করলে দাঁড়ায় “লা মা’বুদ ইল্লাল্লাহ’, যা ইসলামের কলেমা নয়। কোনো অমুসলিম এই সাক্ষ্য দিয়ে মুসলিম হতে পারবে না।
কলেমার ‘ইলাহ’ শব্দটির অর্থ ভুল বোঝার ভয়াবহ পরিণতি এই হয়েছে যে সম্পূর্ণ মুসলিম জনসংখ্যাটি মাদকাসক্তের মতো নির্জীব হয়ে আছে। শুধু তাই নয়, ‘ইলাহ’ শব্দের অর্থ পাল্টে যাওয়ায় এই মুসলিম জনসংখ্যার কলেমা সংক্রান্ত ধারণাই পাল্টে গেছে। বর্তমানে এই জাতির আকিদায় আল্লাহর হুকুম মানার তেমন কোনো গুরুত্ব নেই, আল্লাহ্ এর উপাসনাকে হুকুমের থেকে হাজার হাজার গুন বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৪
এম এ কাশেম বলেছেন: যুক্তিসঙ্গত লেখা।
শুভ কামনা।