![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম আগমনের প্রথম দিককার কথা।
গাঙেয় ব-দ্বীপ এলাকার এক গ্রামে এক টুপি-বিক্রেতা বাস করতেন, দিনমান টুপি তৈরি করে তিনি পাশের গাঁয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন। একদিন টুপি তৈরি করে পাশের গাঁয়ে যাচ্ছেন, পথিমধ্যে এক বিশাল বন পড়লো, আর আকাশে সেদিন ছিল টুপি-ফাটা রোদ। তো সেই টুপিওয়ালা কি করলেন, টুপির ঝুড়িটা পাশে রেখে একটা গাছের গুড়িতে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। টানা অনেকৰণ ঘুম দিয়ে উঠে কানত্দি দূর করলেন কিন্তু ঘুম থেকে জেগে দেখেন পাশে ঝুড়ি পড়ে আছে কিন্তু টুপিগুলো নেই। লোকটার তো তখন হাহাকার অবস্থা, তার রম্নটিরম্নজি বলে কথা।
যাই হোক লোকটা হতভম্ভের মতো আশেপাশে তাকাতে লাগলেন। দেখলেন গাছের ওপর একদল বানর বসে আছে এবং প্রত্যেকের মাথায় তার সেই সুন্দর টুপিগুলো শোভা পাচ্ছে। লোকটি মরিয়া হয়ে চিনত্দা করতে লাগলেন কি করা যায়, কি করা যায়। শেষে কি ভেবে নিজের মাথা থেকে টুপিটা খুলে ছুড়ে ফেলে দিলেন। টুপি বিক্রেতা জানতেন যে বানরেরা অনুকরণ প্রিয়, তাই সঙ্গে সঙ্গে তারাও মাথা থেকে টুপিগুলো ফেলে দিলো এবং টুপি বিক্রেতা টুপিগুলো কুড়িয়ে ঝুড়ি ভরে নিয়ে মহানন্দে বিক্রি করে এলেন পাশের গাঁয়ে।
দিন যায়, কালের চাকা ঘোরে। টুপিওয়ালা বৃদ্ধ হলেন, তার ছেলেও বৃদ্ধ হলো, নতুন যুগ এলো, টুপির চাহিদা যেনো আগের থেকে বেড়েই যাচ্ছে বেড়েই যাচ্ছে, তাই বৃদ্ধর নাতিও টুপি ব্যবসাতেই নেমে পড়লো। বাড়ির সবাই টুপি বানায়, আর বৃদ্ধর উনিশ বছরের নাতি গিয়ে বিক্রি করে আসে আশেপাশের হাটে।
এখন আর সেই দীর্ঘ বনশ্রী নেই, কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ সরকারের বনরৰা প্রকল্পের কারণে বেশ একটু বন এখনও টিকে আছে। আর ঘর থেকে বেরিয়ে কিছুদূর বসে করে গিয়ে সেই বনের ভেতর দিয়েই হেঁটে অন্য একটি জায়গায় যেতে হবে বৃদ্ধর নাতিকে টুপি বিক্রি করতে।
বৃদ্ধ তার নাতিকে ডেকে বললেন, "দাদু তোমাকে তো যেতে হবে ওই জঙ্গল পেরিয়ে। জানো তো ওই জঙ্গলে বেশ কিছু শাখামৃগ বাস করে। একবার তারা আমার সব টুপি নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বুদ্ধিবলে আমি সেগুলো উদ্ধার করি। যদি তারা তোমার টুপিগুলিও নিয়ে যায়, তাহলে তুমিও আমার মতো মাথা থেকে টুপি খুলে ছুঁড়ে ফেলে দেবে আর দেখবে সঙ্গে সঙ্গে ওরাও তোমাকে অনুকরণ করছে আর তখনই তুমি সেগুলো কুড়িয়ে সেখান থেকে ঝটপট চলে আসবে, কেমন?"
নাতি বললো, "আচ্ছা দাদু, ভাববেন না, আমি আপনার কথা মতোই কাজ করবো"।
সকালে খেয়ে-দেয়ে বেরম্নতে বেরম্নতে নাতির প্রায় দুপুর হয়ে গেলো আর বাসে করে বেশ কিছুৰণ গিয়ে সেই জঙ্গল পেরম্ননোর সময় নাতির এতোটাই কানত্দি লাগতে লাগলো যে, সেও একটি গাছের পাশে ঝুড়িটি রেখে খানিকটা ঘুমিয়ে নেওয়ার সিদ্ধানত্দ নিলো।
কিছুৰণের মধ্যেই নাতি ঘুমিয়ে গেলো। বেশ খানিকৰণ ঘুম শেষে জেগে দেখলো তার দাদুর মতো তার টুপিগুলোও উধাও এবং ওপরে গাছের দিকে তাকিয়ে দেখলো একদল বানর সেগুলো পরে হুঁটোপুটি করছে। নাতি আর চিনত্দিত হলো না, সঙ্গে সঙ্গে সে দাদুর শিখিয়ে দেওয়া কথা মতো তার নিজের মাথা থেকে টুপিটা ফেলে দিলো। কিন্তু কি আশ্চর্য কোনও বানরই তাকে অনুকরণ করে মাথা থেকে টুপি ফেলছে না। উপরন্তু একটি টুপিছাড়া বানর অন্য গাছ থেকে নেমে এসে নাতির ফেলে দেওয়া টুপিটা মাথায় পরে লাফ দিয়ে গাছে ওঠার সময় নাতির কানের কাছে মুখ এনে বললো, "দাদা কি তোমার একলাই আছে"।
(এর অল্প কিছুকালের মধ্যেই বাংলাদেশ অতি দ্রম্নত ছেয়ে গেলো টুপিতে এবং আধুনিক টুপি পরিহিত শাখামৃগগণ হাতে বেসবল ব্যাট নিয়ে নেমে গেলো মানুষকে টুপি পরানোর কাজে)।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ১২:০৩
অতিথি বলেছেন:
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ২:০৩
অতিথি বলেছেন: মহুয়া পুরষ্কারের ব্যয়ভার আমার। কিন্তু পুরষ্কার কে পাবে তাতো আমি নির্ধারণ করতে পারি না। প্রথম স্থানের জন্য জোর লড়াই চলছে।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ২:০৩
অতিথি বলেছেন: নাহে শোমচৌ, আমি জায়গা ছেড়ে দিয়েছি মুখফোড়কে, আহা কি দারুণ লিখেছেন, ওরকম লিখতে আমায় জন্মাতে হবে আবার।
তারপরও আমার লেখাটাকে ফেলে দেবেন না যেনো...অভাজনের নিবেদন ইতি....
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ২:০৩
অতিথি বলেছেন: নাহ ফেলতে কি পারি। দেখি প্রতিযোগিতা কি পরিমাণ সাড়া জাগায়। পুরষ্কারের সংখ্যা নাহয় বাড়ানো হবে।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ২:০৩
অতিথি বলেছেন: শাড়ার কথা কি বুইলছেন ভাই, এতো শাড়া নহে শাড়া একেবারে শাঁড়াশি বাহে!!
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ২:০৩
অতিথি বলেছেন: মহুয়ার গল্প খেয়ে একটু মাতাল হলাম। তবে গল্পটা আগে অনেকবার শুনেছি।
যাই হোক, ভেবেছিলাম মহুয়াকে আমার প্রিয় ফুল, ঝাড়বালা দেবো একটা। কিন্তু এক শ্রেয়সী বসুকে রজনীগন্ধার ডাঁটা শুঁকতে দিয়েছিলাম, ওটা বগলে নিয়ে বেডি কোথায় যে লাপাত্তা হলো ... এমনিতেই এখানে সুস্থা নারীর বড় আকাল, মহুয়াকে ফুল দিয়ে পাড়াছাড়া করতে চাই না। নাকি গালে একটা পাপিপ দিয়ে দেবো?
৮| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ মুখফোড়, সে কারণেই তো প্রথম স্থান ছেড়ে দিলাম। কিন্তু যা শুরু হলো তাতে এই বলগই ছাড়তে হয় কি না কে জানে?
অর্বাচীনদের লীলা-শখ হয়েছে, আর কি জানেন নাকি এই বলগে একদল কুকুর বেরিয়েছে, গায়ে তাদের থিঁকথিঁকে র্যাবিস, তাড়া করে ফিরছে সুস্থ মানুষকে - সাবধান!!!
খুব সাবধান।
৯| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: আমিও হালকা একটা পোষ্ট দিছিলাম, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনটাই বড়ো কথা পুরস্কার পাওয়া নয় এ বোধ থেকে।
১০| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: দেখেছি রাসেল খুব ভালো হয়েছে।
রাসেল সাবধান, এখানে কুকুরুষ(কুকুর + পুরুষ) দল বেরিয়েছে, তারা এট্টু এট্টু শিক্ষিত মনে হয়, দু'এক কলম লিখতেও জানে। কিন্তু র্যাবিসাক্রান্ত করতে চাইছে আমাদের। সাবধান রাসেল, রাসেল বাহে সাবধান।
সবাইরে সাবধান করে দেন। আচ্ছা কুকুরুষ নিধন যজ্ঞ করবেন নাকি রাসেল, আসুন না দয়া করে, আমরা কুকুরুষ নিধন যজ্ঞ করি।
১১| ১৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: ভাই আপনাদের কাছে অভাজনের নিবেদন
কুকুরুষ-নিধন যজ্ঞে যে যেভাবে পারুন সামিল হোন। বসে থাকবেন না, র্যাবিসাক্রান্ত হওয়ার আগেই নিধনযজ্ঞ-এ আসুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ১২:০৩
অতিথি বলেছেন: ভাইরে আপনার লিখা খুব মন দিয়া পড়বো, আফটার অল প্রথম স্থানের দাবী কিনা
তাহসানের একটা ফানি ফাইল রাসেল কইতাছিল আপলোড করতে কিন্ত করবো কিনা ভাবছি...। বেশিরভাগই টয়লেটের বর্ণনা...। রাসেলটা একটা ফাউল হালার মামুর বেটা :-)