নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাব

nothing special

মইণ

মইণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাসের ব্যাপারে কয়েকটা কথা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

আমরা পৃথিবীর মানুষরা সবাই কোননা কোণ সৃষ্টিকর্তাকে মানি। আমরা বিশ্বাস করি একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। কিন্তু এই ব্যাপারে একটু গভিরভাবে আমরা কেউ ভাবিনা। আর ভাবিনা বলেই পৃথিবীতে এতো ধর্মযুদ্ধ, রক্তপাত, এতো হানাহানি আর মানব সভ্যতার হয়রানি।



বিশ্বাস কাকে বলে? বিশ্বাস তাকে বলে যার উপর কোণ সন্দেহের অবকাষ নাই।



অন্ধবিশ্বাস কাকে বলে? তথাকথিত সব ধর্মের আজগুবি কল্প-কাহিনিতে বিশ্বাস করা কেই অন্ধ বিশ্বাস বলে। এটা আমার ব্যাক্তিগত সংজ্ঞা। কিন্তু পুস্তকে হয়ত বলবে, যে বিশ্বাস কোন প্রমান ব্যাতিত বা যৌক্তিকতা ও নৈতিকতার কোনোরূপ ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ আযৌক্তিক ও অণৈতিকভাবে ধারন ও পালন করা হয় তাকেই অন্ধবিশ্বাস বলে। ঘুইরা ফিরা একি কথা।



নাস্তিকরা বলে, কোণ সৃষ্টিকর্তা নেই। ...এটা বিশ্বাস করা ভুল।

আবার ধার্মিকরা বলে, আজগুবি কিচ্ছা-কাহিনি......আর ওগুলা বিশ্বাস করা মহাভুল।



একটা নাস্তিক যখন একটা আস্তিককে প্রশ্ন করে, আচ্ছা ভাই আপনি তো খোদা কে বিশ্বাস করেন, কিন্তু তাকে দেখেছেন কখনও? তার কথা শুনেছেন কখনও? না। তাহলে কেন তাকে বিশ্বাস করেন? কোন প্রমানাদি ছারাই?



তখন, সেই আস্তিকের মাথার ঘাম পায়ে পরে। উত্তেজনায় ফেটে যায়। কিন্তু কোন সদুত্তর দিতে পারেনা। অথচ, এটার উত্তর খুবি সোজা। সে বললেই পারে যে, একটা পটে দশ রকম রঙ গুলিয়ে একটা পোষ্টারে ছুরে মাড়লেই একটা ছবি তৈরি হয়না। রং যেটাই ঢালো না কেন, যত কৌসলেই তুমি মারোনা কেন, চিত্র তৈরি করতে হলে অবশ্যই একজন চিত্রকর আবস্যক। যে কোণ মেশিনের একজন অপারেটর অবস্যক। তাই, বিশ্ব জগতের মতো মেশিনের অপারেটিংকে এবং এর অন্তর্ভুক্ত সকল জীব ও জড় বস্তুর সৃষ্টির এতো নিখুঁত শিল্পকেও Co-Incidence বলা, একমাত্র কোন পাগলের পক্ষেই সম্ভব।



অনেক বিজ্ঞানী ডারউইনের বিবর্তনবাদের উপর মানুষের আস্থা আনার জন্য অনেক ভুজুং-ভাজুং দিয়ে থাকেন। কিন্তু তেমন কেউকে আমি সামনে পাইনি। পেলে একটা প্রশ্ন করতাম- ডারউইনের যে বান্দরগুলা বিবর্তিত হলো তাদের মধ্যে কিছু ব্রুস লি, জেকি চেনের মতো চোখ ঊঠা হলো কেন?, (এদের বিবর্তনের পয়লা প্রানিটার এককালে চোখ উঠছিলো কিনা?) আর তারপরের বাঁদরগুলা এতো সুন্দর টম ক্রুজ আর স্কারলেট জনসন হয়ে গেলো, আর বাকি বান্দরগুলা থেকে কিছু আবার ৫০ পয়সা (50 cent) আর আকুনের (Akon) মতো কালা গরিলা হয়ে গেল কেনো? আর কিছু আবার ভারতবর্ষের পাচ-মিসালি হয়ে গেলো কেনো ? সেই প্রশ্ন না হয় না ই করলাম...



কিন্তু বাকি যে অর্ধেক বান্দর ছিল, তারা বিবর্তন হইলনা কেন? বিবর্তন শুধু একটা অর্ধেক বান্দরের হইল, আর বাকি অর্ধেকের দোষ কি ছিল? আমি যদি Washing Machine এ কাপর দেই, তাহলে কি অর্ধেক ধোয়া হবে আর অর্ধেক তেমনই থাকবে? এটা কি অবাস্তব না? বিবর্তন একটা পর্যায়ের মধ্যে ঠাস করে আটকে গেল কেন? বাকি যে পর্যায় বা শ্রেণীগুলো ছিল, তাদের আদৌ কোন বিবর্তন কেন হলনা? আর মানুষ জাতি হওয়ার পর, Homo Sapien আসার পর এই পুরো শ্রেণীর বিবর্তন বন্ধ হয়ে গেল কেন? মানুষ কেনো আর বিবর্তীত হচ্ছেনা?



তাহলে কি বাকি বান্দর গুলান জঙ্গলে হারায় গেসিলো?



এখানে আমার একটা থিউরি আছে, যেই অর্ধেক বান্দর জঙ্গলে হারায় গেসিলো বিবর্তনের মাঝখান দিয়া, তারা মনে হয় আম্মাজান জঙ্গলে প্রাকৃতির ডাকে সারা দিতে গেসিলো। আসার সময় দেখলো এক নবী দজ্জালকে দৌরানি দিছে, দজ্জালের তীব্র অগমনের বেগ দেখে ভয় পেয়ে, সেই বান্দরদলের কইলজার পানি হুগিয়ে টাসটাস (বাষ্পীভূত) হয়ে গিয়েছিল। তাই তারা কালা পাহারের চিপায় ঝরনার নিচে কইলযায় পানি ঢালার জন্য অবস্থান করেছিল। মাননীয় দজ্জাল ততক্ষণে কালা পাহারের চিপায় চলে আসে, আর ঠীক সেই মুহূর্তেই হয়ত আল্লা রাব্বুল আলামিন কিংবা তার নবী দুই কালা পাহারকে চিপ মাইরা, জিপ লাগায় দিছে। ফলে কয়েক মিলিওন বছর ধরে দজ্জালের সাথে কালা পাহারের চিপায় আটকা পরছিলো “বিচ্ছিন্ন বান্দর দলের সদস্যরা” (বিবাদস), সেইখান থেকে গণেশের সাহায্য উদ্ধার পায় বিবাদস। কিন্তু আয়তনের কারনে আটকা পরে থাকে দজ্জাল। উদ্ধার পেয়ে এমন এক দৌর দেয় বিবাদস এর প্রধান, যে দৌড়ের চোটে তার জিপিএস ট্রেকিং ডিভাইস পরে যায়। পরে তাদের পরিবারের বাকি অর্ধেক কে খুজে পেতে চলে যায় আর প্রায় ৩৫০০ বছর। তারপর হটাত হয়ত একদিন তারা দেখে তাদের চাচাত ভাইদেরই একজন বিবর্তনের ধারায় চলায় হয়ে গেছে ইন্ডিয়ানা জোন্সের হ্যরিসন ফোরড। তারপর শুটুং চলাকালে একদিন সাহস করে এক বিবাদসের সদস্য ফোরডের সামনে গিয়ে বলেই ফেল্লো-



হ্যালো, ঘোরা মজিদ। কেমন আছিস?



শুনে হ্যারীসন লঙ্গি ফেলে দিলো ভোঁদৌড়। একদৌরে Atlantic এর পারে এসে দেখে বাদশাহ আলোমগির নামাজ পরছে। তিনি তখন আবার জায়নামাজে উরাউরি করতেন। ফোরড তখন বাদশাহ আলোমগীর কে তিনশ আমেরিকান ১০০% হালাল ‘বেটিইন্ত’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাএরিকা আসে। আসার সময় দারদিনের (ডারউইনের) বাসার চালে বাদশাহ আলমগিরের জায়নামাজের কোনা বাইজ্জা যায়। ফলে ডারউইনের বাসার চালে বাধ্যতামুলকভাবে তপাত-ধরনিতল হইয়া যায়। সেইখান থেকেই হইত, ডারউইন প্রথম জন্তু২মানব তত্ত্ব সম্পর্কে অবগত হন। এটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত থিউরি। কারো ভালো না লাগলে.........মুরি খান।



আর স্টিফেন হকিংস আঙ্কেলের কাছে আমার প্রশ্ন, বিগ ব্যাঙ্গের বোমটা ফুটার পরে না হয় বিশ্বচরাচর সৃষ্টি হইল, কিন্তু প্রশ্ন হইল এতো তেজী বোমটা যে ফূটলো, এইটা একটা বিন্দুর মইদ্ধে ঢুকাইলো কে? আর কেমনে ঢুকাইল? আর কেমনেই বা এইটা ফুটলো?



আচ্ছা জাইহোক, বিন্দুর মইদ্দে ঠাইসা ঢুকাইতে যাওয়ার সময় চাপ লাইগা মনে হয় ফুইট্টা গেছে কিংবা...কিংবা, কেউ সুইসাইড বম্বিং করছিল সেটা না হয় বুঝলাম। কিন্তু সব আবার এতো সুন্দর কইরা ঘুরে কেন? বোম ফূটলে তো কোনদিন বোমের গুরাগারি উরাউরি করতে দেখিনাই স্যার??



আমি জানি হকিংস আঙ্কেল এটা খুব সুন্দর করে মহাকর্ষ-অভিকর্ষ নিয়ে গুছায় বলতে পারবে। কিন্তু আমি গুছায়া বুঝতে পারবো কিনা এই ব্যাপারে সন্দেহ 100/100.



যাইহোক, এখন আমার মতামত দেই। পৃথিবী শূন্য থেকে ঠাস কইরা তৈরি হয়নাই। যদি বলি পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তা নাই, তাহলে সেটা কুমারি মরিয়মের গর্ভে ইসা নবীর জন্মের মতই অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর। কিংবা আমি কোন ঔরোস থেকে জন্ম হইনাই বলার মতো। যা কিছু সৃষ্ট তার অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন।



কিন্তু কথা হইল, ধর্মজগতের আল্লাহ-ভগভান-ঈশ্বর-যীশু-উঙ্কুলুন নামের পাখি......এরকম ৪২ হাজার ধর্মের, ৪২ হাজার সৃষ্টিকর্তার, ৪২ হাজার রকমে পৃথিবী সৃষ্টি হয়নাই। আর ভজং-নৃত্য–পূজা–পাঠ–তজবি–তাওয়াফ, পশু হত্যা, না খেয়ে থাকা এসব করে কখনই সৃষ্টিকর্তা তাকে খুশি করতে বলে নাই। তার এসবের কিছুরই দরকার নাই।



পৃথিবী সৃষ্টি হইছে একভাবে। কিন্তু কিভাবে, তাহা আমার জানা নাই। আর আমার জানার দরকারও নাই। আমার জানা দরকার, আমাদের বানানোর Purpose কি? I’m still working on it. I’m yet to figure it out. But so far, আমার মনে হয়, আমরা মানবরা যাতে তাদের Built in/ জন্মগত স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলো যেমন ক্রোধ, ঘৃণা, রাগ ইত্যাদির মতো ভয়ংকর যে প্রবনতাগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন করে মানবতার দৃষ্টান্ত তৈরি করে পৃথিবীর সকল মানুষ Chain/শিকলের মতো সবাই হাতে হাত ধরে সবাই একসাথে উন্নত হতে পারি, শুখি সমৃদ্ধির একটা পৃথিবী গড়তে পারি, যেখানে মানুষ শুধু মানুষকে না গোটা পৃথিবীটার সব প্রানীকে, সবকিছুকে ঘৃণা না করে ভালোবাসবে। আর প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে পৃথিবীকে আগামি প্রজন্মের জন্য আরও সুন্দর করবে, এই রকম একটা টেস্ট দিয়ে আমাদের পাঠানো হইছে Planet Earth এ। আপাতত, এটাই আমি বিশ্বাস করি। যদিও এটাকে প্রমান করার কোন ব্যবস্থা আমার নাই। কিন্তু ধর্মজগতের CowDung (Bulshit) শুনতে শুনতে আর ভাল লাগেনা। তাই নিজেই থিউরি বানায়া নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছি।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

কাকপাখি ২ বলেছেন: একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প (১ম ও ২য় পর্ব একত্রে)

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনি ক্রমাগতভাবে ফ্লাডিং করছেন...নির্দিষ্ট সময় পর পর পোষ্ট করুন। দয়া করে প্রথম পাতায় বাকীদেরও সুযোগ দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.