নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোলাকার

এসো বৃত্ত ভেঙ্গে স্বপ্ন গড়ি...

মো. মইন উদ্দীন

গণমাধ্যম কর্মী ও শিক্ষার্থী- আইন বিভাগ।

মো. মইন উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি স্বপ্নের প্রাঙ্গণ!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২


রুহী মেহনাজ :::::
https://www.facebook.com/ma.soul.prouds.lyk.ful.moon?fref=ufi
একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে যখন আমাদের সমবয়সীদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের চিন্তা ভাবনা মাথায় কাজ করছিল তখনও ঢাকা চট্টগ্রামকেই সবাই আদর্শ স্থান হিসেবে গণ্য করতো। কেননা তখন সরকারি কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গড়ে উঠছিল একে একে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সেশন জট এড়ানোর জন্য সবার মতো আমিও বেছে নিয়েছিলাম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে। বাড়ি ছেড়ে প্রথম যখন হোস্টেলে উঠলাম তখন মনে হচ্ছিল কিভাবে থাকবো এই নতুন পরিবেশে, পুরো পরিবারকে দূরে কক্সবাজারে রেখে। কত না চড়াই উৎরাই পার করে সম্পন্ন হয়েছিল স্নাতকোত্তর পড়াশুনা। ফাঁকে ফাঁকে যখন চাকুরির ঝামেলাও বহন করছিলাম তখনও ছুটাছুটি করছিলাম ঢাকা চট্টগ্রামেই। কিন্তু পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়া কষ্টকর হয়ে উঠায় ফিরে এলাম আপন নিড়ে। প্রাণপ্রিয় বাবা, যিনি কখনও আমার উপর তাঁর স্বপ্নকে বোঝা বানাতে চাননি, হঠাৎ আমার কাছে ইচ্ছে পোষণ করেন যে, আমাকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করতে দেখতে চান। আমি খুবই অবাক হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন বিশ্ববিদ্যালয়? বাবা বললেন, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সেদিন যা শুনে অবাক হয়েছিলাম আজকে সেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আমার নিত্য নৈমত্তিক আনাগোনা হচ্ছে। অবাক হওয়ার পাশাপাশি আফসোস ও করেছি এটা বলে যে, আমাদের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেনি কেন? তাহলে তো এতো কষ্ট করে দূর পরবাসে গিয়ে লেখাপড়া করতে হতোনা! এখন বলি কেনই বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গটা এলো? অবশ্যই এটা চাকরি শুধু সূত্রে নয়। তবে চাকরি করতে করতে একটা বিষয় উপলব্ধি করলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয় কতটুকু বিশাল একটা প্রয়োজন ছিল কক্সবাজারের শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্ন থেকেই দেখেছি যেসব শিক্ষার্থী কোন না কোন সমস্যার দরুণ পড়ালেখা হতে দূরে ছিল, তারা কম বেশি সবাই আবার পুরোদ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মধ্য দিয়ে নিজেদের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন কে পুনরূজ্জীবিত করেছেন। শুধু এই একটাই পরিবর্তন এসেছে তা কিন্তু নয়। পরিবর্তন দেখেছি শিক্ষার্থীদের আচরণে, চলাফেরায়, চরিত্রে, অভিব্যক্তিতে। পরিবর্তন দেখেছি কথা বার্তায়। একটি সেমিস্টার যেতে না যেতেই দেখা যায়, যারা কথা বলতে জড়তা অনুভব করতো তারাই এখন বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষে মনোরঞ্জনকারী। কি করছেনা এসব শিক্ষার্থীরা! পড়ালেখা করছে, খেলাধুলা করছে, বিজ্ঞান মেলায় যাচ্ছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছে, মঞ্চ নাটক করছে। কতই না উচ্ছাস, উদ্যমতা, প্রানোচ্ছলতা তাদের মাঝে। আর তাইতো তারা বাংলা বর্ষবরণ ১৪২২অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করে প্রমাণ করে দিলো তারাই পারে হাওয়া বদল করতে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে একটি মাত্র কারণে সেটা হলো কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। শত প্রাণে নতুন স্পন্দন জাগিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। নতুন আশা, নতুন ভালোবাসার অপর নাম এখন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

লেখক : সেকশন অফিসার, রেজিস্ট্রার অফিস, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.