![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার: উর্বর (!) মস্তিক্ব থেকে সাহিত্য রচনা বা কিছু লিখার মত কোন গুণ মহান স্রষ্টা দিয়েছে বলে মনে হয় না। পৃথিবীতে ৩টা জিনিস বড় প্রিয়: ঘুম, দিবাস্বপ্ন, রোমান্টিকঘুম আমার প্রিয় বই: এডভ্যান্স কোয়ান্টাম মেকানিকস। (যেই বই ধরলে, কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুম আসে। প্রিয় ব্যক্তি: রিপ ভ্যান আংকেল। কারণ আংকেল একটানা ২০বছর ঘুমাইয়া কাটাইছে। প্রিয় খাবার: ভাত। আল্লাহর কি রহমত ভাত খাবার পরই একটা ঘুমের আমেজ আসে। প্রিয় কাংখিত মুহুর্ত: সূর্যোদয়; যা এখনো দেখিনি। https://www.facebook.com/monzurul.shohel
ইহা মনে হয় একমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব যেখানে প্রজারা আন্দোলন করে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাওয়ার দাবিতে 'নিরাপদ সড়ক চাই' বলে। গতবছর হয়ে উঠা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বত্সফুর্ত আন্দোলন দামাচাপা পড়ে গেছে। এবার শুরুর আগেই শেষ।
* ২০১৮ এ মারা যায় ৭,২২১ জন
* ২০১৭ এ সংখ্যা ৭,৩৭১ জন
* ২০১৬ তে ৬,০৫৫ জন
* ২০১৫ তে ৮,৬৬৪জন
বাংলাদেশের সড়ক দূর্ঘটনার চিত্র মোটামুটি ভয়াবহ, আতংকিত হওয়ার মত।
অন্য একটা পাবলিকেশনে দেখলাম, ১৯৯৮ থেকে ২০১০ সালে মারা মোট ৫৭,১৮৬ জন (সাতান্ন হাজার একশত ছিয়াশিজন আদম)
ডেইলী সান এর এক প্রতিবেদনে, WHO এর রিপোর্ট অনুসারে, অনেকগুলো কারণ তুলে ধরছে (
এক : ড্রাইভারদের অমনোযোগীতা
দুই: মাদকাসক্ত ড্রাইভ্রার
তিন: speeding (প্রতিযোগীতা)
WHO বা বিভিন্ন সংস্থাগুলো চোখে আঙ্গল দিয়ে দেখায় দেয়, কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করবে তারা থাকে 'গরু-ছাগল' নিয়ে অথবা বাংলাদেশ কবে কখন Los Angles হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে.
যারা বাইরের দেশে থাকে তারা জানে কত অল্পকারনেই ড্রাইভিং লাইসেন্স সাসপেন্ড, বাতিল বা বড় অংকের জরিমানা হয়।
আমার জীবনের প্রথম লাইসেন্স পেতে একবছর অপেক্ষা করতে হইছে, লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হ্ওয়ার পরও। রোড টেস্টের আগে নিজের পকেটের টাকায় করতে হইছে ট্রেনিং, এক্সট্রা ট্রেনিং, যেকোন কোর্স পরীক্ষার মতই ট্রাফিক আইন আর নিয়ম-কানুন নিয়ে রাত জেগে পড়তে হইছে। কারন একবার ফেল করলেই প্রায় ২০০ ডলারের মত এত গচ্চা যায়।
আমি এক ভাইকে জানি যে জানামতে অ-নে-কবার রোড টেস্টে ফেল করছে যদিও বাংলাদেশে দীর্ঘদিন উনি গাড়ি ড্রাইভ করতো। উনার চালানোতে কোন ভুল ছিলনা, শুধু ট্রাফিক আইনগুলো ঠিকমত ফলো করতে পারতো না (মনে হয় অবচেতন মনে দেশের অভ্যাস রয়ে গেছিল)।
দেশে এককেটা দূর্ঘটনা ঘটে, আর সবার রক্ত গরম হয়ে যায়, কিবোর্ডে ঝড় উঠে, রাস্তায় সুন্দর সুন্দর প্ল্যাকার্ড প্রদর্শণ হয়। তারপর মহামাণ্য কারো আগমন হ্য়, উনি শোনান আশার বাণী। বীর-বাঙালী'র রক্ত ঠান্ডা হয়ে আসে। সব পাখি ফিরে যায়, থাকে শুধু অন্ধকার।
-----পুরাতন কৌতুক-----
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত মন্ত্রী খান সাহেবের ড্রাইভারকে পুলিশের জেরা।
পুলিশ: কিরে কেমনে এক্সডিন্ট করলি খুইলা বল
ড্রাইভার: স্যার রাইতে গাড়ি নিয়ে আসতিছে, অন্ধকার রাস্তার সামনে পরলো ইয়া বড় এক ছাগল
পুলিশ: তারপর?
ড্রাইভার: মন্ত্রী স্যারের নির্দেশ ছাগল দেখে গাড়ি চালাতে হবে, তাই সাবধানে তারে 'সাইড' দিলাম।
পুলিশ: তারপর?
ড্রাইভার: তারপর স্যার কিছুদূর গিয়া সামনে পড়লো ইয়াবড় এক গরু। তারেও দিলাম সাইড।
পুলিশ: তারপর কি হারামী?
ড্রাইভার: তারপর সামনে পড়লো ইয়াবড় এক ব্রীজ
পুলিশ: তুই তারেও সাইড দিলি!!!!!!
----------------------------------
©somewhere in net ltd.