নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মের পূর্বে আল্লাহ পাক যত ধর্ম প্রেরণ করেছিলেন সবই বাতিল--নাজিবুললাহ্

৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২৫

নাজিবুললাহ্ এখন সেলিম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। কেন? সে আমার সাথে একটি বিষয় নিয়ে লিখার জবাব, পাল্টা জবাব দেওয়া নেওয়া চলছিলো। কিন্তু সে যখন আমার প্রশ্নে জবাব দিতে পারছে না তখন রাগে আমার বিরুদ্ধে গালাগালি করে উল্টা-পাল্টা বলে বেড়াচ্ছে ব্লগের বিভিন্ন লেখায়। আমি তাকে পর পর কয়েটি কমেন্ট করেছি সে কোন উত্তর দেয় না খালি আমাকে ইহুদী, খ্রীষ্টান কাফের বলে গালাগালি করে। পাঠক বন্ধুরা আমার এই কমেন্ট কটা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।



সেলিম জাহাঙ্গীর


কমেন্ট ১। নাজিবুললাহ আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি কটা দিয়েছি আর আপনি কটা দিয়েছেন সেটা বাইরের কাউকে দিয়ে একবার দেখিয়ে বিচার করুন। আপনার মিথ্যার বেসাথি খুলে যাবে।



নাজিবুললাহ, আপনি বলেছেনঃ কোরআনের চারশত ত দূরের কথা একটি আয়াতও নষ্ট হয় নি।

আমি সেলিম জাহাঙ্গীর কোরআনরে আয়াত নষ্টের কথা বলিনাই । কোরআন সংকলনের ইতহাস যা বলে আমি সেইটা আপনাকে বলেছি। এটা কোরআন গবেষকদের কথা; সেটাকি বলা আমার দোষের? আর ধর্ম কখনো একটি জাতীর জন্য নয় সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য। যারা ইবাদত করে তাদের প্রতি যেমন আল্লাহর দৃষ্টি আছে ঠিক যারা ইবাদত করেনা তাদের প্রতিও আল্লাহর দৃষ্টি আছে। যদি বেনামাজীদের প্রতি আল্লাহর দৃষ্টি না থাকতো তাহলে তারা ভষ্ম হয়ে যেত। আরব আল্লাহর রহমতের দেশ, আর ভারত মূর্তী পূজারকদের দেশ; সেই দিক দিয়ে আল্লাহর রহমতের দৃষ্টি ভারতে থাকার কথা নয়। এবার দেখুন আরবের অনেক জায়গায় এখনো বৃষ্টি হয় না। আর ভারতের সব জায়গায় বৃষ্টি হয়। তাহলে বুঝরেন আল্লাহর রহমত বা কৃপা কার প্রতি কিষের কারনে থাকে? হুদায় অন্য ধর্মের লোকদের গালান কেন? কোরআন বলছে আহলি কিতাব ধারীরা সকলে মুসলমান, তাদের যে কোন মেয়ে কে বিবাহ করলে তাদের ধর্মান্তরিত হতে হবে না। নাজিবুললাহ্ পারলে জবাব দেন নয়তো অযথা ভন্ড ইয়াজিদের লেবাস খুলে ফেলুন। ওহাবীদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে জান্নাত মিলবে না। এর জন্য নিজেকে মুসলমান হতে হবে। আপনার দোহায় মুসলমান না হয়ে খবরদার মৃত্যু বরণ করেন না। প্লিজ পারলে আগের উত্তর গুলি দিয়েন আর না পারলে নাকে খত দেবার দরকার নেই; কেবল আল্লাহর কাছে ক্ষামা চায়বেন। আমিও আপনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রর্থণা করি। আল্লাহ যেন আপনাকে ক্ষমা করে দেন---আমেন



নাজিবুললাহ আমাকে বললেনঃ আরে আবাল পোষ্ট করেছেন আপনি তো সকল জবাব দিতে বাধ্য কে ? পোষ্ট লিখক নাকি পাঠক ? আপনি কোরআন বিকৃতির গাজাখোরী গল্প ফাদবেন আর আপনাকে পাবলিক প্রশ্ন করতে পারবে না ? আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবার অধিকার পরের ব্যাপার। যেহেতু আপনি পোষ্ট দাতা তাই আগে আপনাকে আপনার সকল কথাকে প্রমান করতে হবে। পাবলিক যত প্রশ্ন করবে সবগুলোর উত্তর দিতে আপনি বাধ্য। যদিও আমি আপনার সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিব তবে সেটা হবে পর্যায়ক্রমে। আমরা প্রতিটা প্রশ্নে উত্তরের ভিত্তি হবে আমার করা প্রশ্নের মিমাংশার উপর। আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যার্থ হলে আপনার কোন অধিকার নেই আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করার। আমি বার বার একটি কথা বলতেছি হযরত মুহাম্মদ (স (আপনি এই নামটি উচ্চারণ করার সময় একবারও সম্মান দেখিয়ে (স বলেন নি, তাই আপনিও আমার কাছে সম্মান পাবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন) এর পূর্ববর্তি ধর্ম বাতিল হয়েছে কিনা সেটা সহ ধর্মের সকল মিমাংশা হবে এক মাত্র একটি প্রশ্নে মিমাংশার উপর। তা হল কুরআন বিকৃত হয়েছে কিনা। যে কুরআন বিকৃত হয়ে গিয়েছে, যে কোরআন থেকে ৪০০ আয়াত মুছে গিয়েছে সে কুরআন দিয়ে আপনার ধর্মের সত্যতা আপনি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে। যদি কোরআন অবিকৃত না থাকে তবে বর্তমান কোরআনের একটি আয়াতেরও কানাকড়ি মূল্য নেই দেড়শ কোটি মুসলিমের কাছে। যেমন তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর সহ সকল কিতাব ও নবী রাসূল দের উপরে মুসলিমগণ পূর্ণ রুপে বিশ্বাস করে থাকলেও বর্তমান তাওরাত ইঞ্জিলের ১% ও মূল্য কোন মুসলিমের কাছে নেই। কেননা এ সকল কিতাবই এখন বিকৃত। কেননা এ কিতাবের কোন কিতাবকেই আল্লাহ পাক সংরক্ষণের ওয়াদা করেন নি। করেছেন একমাত্র কোরআনের ক্ষেত্রেই। তাই মুসলিমগণ উক্ত দুটি আয়াতের উপরে যেমন বিশ্বাস রাখে যে, কোরআনের চারশ আয়াত তো দূরের কথা একটি আয়াতও নষ্ট হয় নি। তাই আগে আমাদের নিকট ইসলাম বিরোধী ইহুদী-খৃষ্টান রচিত কোরআন বিকৃতির পাতিহাসের মিমাংশা কারার গুরুত্ব সর্ব প্রথম। এর পরে বাকী সকল আলোচনা।



কোরআন বিকৃত হয়ে থাকলে কোরআনের এ দুটি আয়াতের ও কোন মূল্য নেই আর ১৪৪টি সূরার একটি আয়াতেরও কোনই কানাকড়ি মূল্য মুসলিমদের নিকটে নেই। তাই আপনি কোরআন দিয়ে আপনার ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে চাইলে আগে প্রমাণ করুন যে, এ দুটি আয়াতের ঘোষনা মিথ্যা। আপনি রাসূলের কথা কে বিশ্বাস করেন না, সাহাবাদের কথাকে বিশ্বাস করেন না, যেই সাহাবাদের সততা ও ন্যায় পরায়নতার সাক্ষ স্বয়ং আপনার ধর্ম গ্রন্থ তাওরাতেও ছিল, যা আমাদেরকে কুরআন ই জানাচ্ছে : " মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। তাহার সাহাবাগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদরেকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তাওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরুপ এবং ইঞ্জিলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদরে দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দায়ক। এইভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। (সূরা ফাতহ - আয়াত : ২৯)"



আপনি এই সাহাবাদের কে বিশ্বাস করেন না, আপনি আসছেন কোন অজপারার কোন পাতিহাস গবেষক কোন কোন শিয়াদের কোন কোন মিথ্যা হাদীস দিয়ে কোরআনের ৪০০ আয়াত নষ্টের কোন ঠাকুর মার ঝুলি বানিয়েছে সে বিষয় নিয়ে। আপনার কোরআনে বিশ্বাস নেই, রাসূল এর কথায় বিশ্বাস নেই, সাহাবাদের কথায় বিশ্বাস নেই বিশ্বাস আছে ঐ সকল পাতিহাসের দলের উপর। জ্ঞাণীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। এত কথা বলার প্রয়োজন ছিলনা। আর আপনি ব্লগে দালল গিরী করে দু চার টা পয়সা কামতে চাইলে আরেকটু পড়াশোনা কইরেন। তা না হলেতো সবসময় এমন লুঙ্গি খুলে দৌড়াতেই হবে। আরবী ভাষাটা একটু শিখার চেষ্টা কইরেন। ইসলাম অর্থ কি সেটা এখনই একটু শিখে নিয়েন আপনার গুরু দের কাছ থেকে। আপনার গুরুরা তো লন্ডনে মাদ্রাসা পর্যন্ত তৈরী করেছে। আপনাদের মত কুরআনের স্কলার্স তৈরী করার জন্য। যারা কোরআন বিকৃতির কাহিনী শুনাবে মিডিয়ায় মিডিয়ায়। কিন্তু তাদের জ্ঞানের দৈণ্যতা যদি এমন করুন হয় তাহলেতো তাদেরকে পয়সা দিয়ে পালাই বৃথা যাবে। আশা করি আপনার প্রভুরা এ ব্যাপারে আরেকটু সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। যে কারা কারা তাদের গোলামী করার যোগ্যতা রাখে। আর কারা কারা রাখেনা।



সেলিম জাহাঙ্গীর

কমেন্ট ২। আপনাকে প্রকাশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। আপনি ইসলাম মানেন এবং জানেন তার পরীক্ষা শত শত মানুষের সামনে হবে। দু-চারটা আলেম নিয়েন আপনার সহযোগি হিসাবে; আর আপনার যতসব নথি পত্র আছে সঙ্গে রাইখেন। আমি কেবল খালি,আমার এই শরীরটা সাথে নিবো। কোন নথি সাথে লাগবে না। দেখি কার কত জ্ঞান আছে সেটা মানুষ বলবে। খেয়াল রেখেন নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জানা যায় না। পচুর পড়তে হয়। না পড়লে বাহাসে আপনার লেংটি খুলে যাবে। ইসলামী চিন্তাবিদ সেজেছেন মাগার ইসলাম জীবনেও পড়েন নাই। আমি বলি কোরআন গবেষকদের কথা আর উনি বলে আমি নাকি চার শত আয়াত অস্বীকার করছি। যারা গবেষক তারা সকলেই ইসলামী জান্তা,এটা তাদের কথা এটা সেলিমের কথা নয়। সেলিম কোরআন কে ১০০% বিশ্বাস করে। আর পূর্বের কিতাব সম্পর্কে আমার লিখাতেই আছে পড়ে দেখেন। পূর্বের কিতাব সম্পের্কে কোরআনের সাক্ষি যথেষ্ট, তারপরেও ইবনে কাসির, ইবনে তাবারী ইনাদের বক্তব্য দেইখেন। বেশী চিল্লা-ফাল্লা করে জ্ঞান প্রকাশ হয় না। যে জ্ঞানি তার লেখাতেই বোঝা যায়। আর আপনি কেবল বলছেন আগে আপনার উত্তর টা বলেন এটা কেমন কথা আমি লিখেছি আপনি কমেন্ট করেছেন; আমি তার পাল্টা জবাব দিয়েছি। কিন্তু আপনি আর তার জবাব দেন নাই। এই জবাব না দেওয়াটাও একটা নাপারার লক্ষনের প্রথম মনোভাব। ভাই নাজিবুললাহ্ কোরআন আরও মনোযোগ দিয়ে পড়েন। ইসলামরে তেশ মেরে আসছে আপনাদের মত আলেমরা যুগে যুগে থেকে। ধর্মের লেবাস থাকলেই ধার্মীক হওয়া যায় না। ধর্ম অন্তরের ব্যাপর এটা প্রকাশ্যে দেখানো যায় না। আপনার উপরে জুব্বা,মাথায় টুপি আর দাড়ী থাকলেই সে ধার্মীক নয়। ধার্মীক হতে হলে অন্তরে কেবল থাকতে হবে আল্লাহর তাকুয়া; যাকে বলে "হানিফান" । আপনার লিখায় আপনি নিজেই কোরআন বিরুদ্ধ অনেক কথা বলেছেন। এবং বলেই যাচ্ছেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান । আল্লাহ্ যেন আপনায় ক্ষমা করেন---আমেন



পাঠক নাজিবুললাহ্ এবার আমায় কমেন্ট করলো সেটা তুলে দিলামঃ

খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে। ছাগালের বাচ্চা ইবনে কাসির, তাবারির নামই শুনছেন খালি কোনদিন চোখে দেখেন নাই। ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি সহ যত মুসলিম ঐতিহাসিক যত ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন সকল কিছুই কোরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করে এবং সবাই প্রমাণ করেছেন কোরআনের একটি আয়াতও বিকৃত হয়নি, যেভাবে আল্লাহ পাক কোরআন অবতীর্ণ করেছেন হুবহু অবিকল সে রুপই বর্তমান আছে । আর ছাগলের বাচ্চায় কোরআন বিকৃতির পাতিহাস নিয়ে আসছে শিয়াদের রচিত মিথ্যা হাদীসের উপর ভিত্তি করে তার প্রভূ খৃষ্টানদের রচিত ঠাকুর মার ঝুলির পাতিহাস নিয়ে। নিজে হাদীস বিশ্বাস করে না, আবার শিয়াদের মিথ্যা হাদীস দিয়ে প্রমাণ করতে আসছে কোরআন বিকৃত হইছে। ছাগল জানি কোথাকার।



এবার আমি সেলিম জাহাঙ্গীর ৩য় কমেন্টে তার জবাব দিলাম

কমেন্ট ৩। নাজিবুললাহ্ কুকুরের মত ঘেঁউ ঘেঁউ না করে সঠিক পথে আসুন। আপনার লিখাপড়ার যে কত জোর তা দেখতাম। ধর্ম নিয়ে ভন্ডামির দিন শেষ। মানুষ এখন লেখাপড়া করে;সত্য দেরীতে হলেও জানবে। আপনার আচর'ই বলে দিচ্ছে আপনি শান্তির ধর্মের মানুষ মটেও নন। আপনার আদর্শ ইসলাম নয়। খারিজি ও ওহাবী মতবাদ আপনার কাঁধে ভর করেছে। এক কথায় আপনার সভাবে জঙ্গী আচরণ ধর্মের দাওয়াত দেয় না, হিংসাত্বক কথা। আপনাকে আবারো আমি

প্রকাশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। সৎসাহস ও সৎ উদ্দেশ্য থাকলে আওয়াজ দিয়েন, আর না থাকলে এই ব্লগে আমাকে দু-চারটা গালি দিয়ে ইয়াজিদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করুন ও অশেষ ছোয়াব হাসীল করুন। আপনি ইসলাম মানেন এবং জানেন তার পরীক্ষা শত শত মানুষের সামনে হবে। দু-চারটা আলেম নিয়েন আপনার সহযোগি হিসাবে; আর আপনার যতসব নথি পত্র আছে সঙ্গে রাইখেন। আমি কেবল খালি,আমার এই শরীরটা সাথে নিবো। কোন নথি সাথে লাগবে না। দেখি কার কত জ্ঞান আছে সেটা মানুষ বলবে। খালি চিল্লা-চিল্লিা আর চেচামেচি করে জেতা যায় না। খেয়াল রেখেন নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জানা যায় না। পচুর পড়তে হয়। না পড়লে বাহাসে আপনার লেংটি খুলে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।



নাজিবুললাহ্ এবার আমায় আবারো কমেন্ট করলো



খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে। ছাগালের বাচ্চা ইবনে কাসির, তাবারির নামই শুনছেন খালি কোনদিন চোখে দেখেন নাই। ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি সহ যত মুসলিম ঐতিহাসিক যত ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন সকল কিছুই কোরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করে এবং সবাই প্রমাণ করেছেন কোরআনের একটি আয়াতও বিকৃত হয়নি, যেভাবে আল্লাহ পাক কোরআন অবতীর্ণ করেছেন হুবহু অবিকল সে রুপই বর্তমান আছে । আর ছাগলের বাচ্চায় কোরআন বিকৃতির পাতিহাস নিয়ে আসছে শিয়াদের রচিত মিথ্যা হাদীসের উপর ভিত্তি করে তার প্রভূ খৃষ্টানদের রচিত ঠাকুর মার ঝুলির পাতিহাস নিয়ে। নিজে হাদীস বিশ্বাস করে না, আবার শিয়াদের মিথ্যা হাদীস দিয়ে প্রমাণ করতে আসছে কোরআন বিকৃত হইছে। ছাগল জানি কোথাকার



কোরআন বিকৃত হইছে প্রমাণ না করতে পারলে সামু থেকে গেট আউট হও বাছাধন। তোমার মত ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী খৃষ্টান মুশরেকের সাথে টাইম নষ্ট করার মত টাইম কোন মুসলিমের নেই।



আমি সেলিম জাহাঙ্গীর আবারো তার জবাব দিলাম

কমেন্ট ৪। নাজিবুললাহ্ আমি ইবনে কাসির ও তাবারির কথা বলেছি নিজের জ্ঞান জাহিরী করতে নয়। এরা আহলে কিতাব ও কিতাবধারী ধর্ম গুলি নিয়ে কিছু ভালো কথা বলেছে যা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনারা বলেছে আসমানী কোন কিতাব বিকৃত হয় নাই বা পরিবর্তন হয় নাই, কেবল মানুষ সেগুলির তাহরিফের পরিবর্তন করেছে। আর আপনি ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি এদর নাম বলা শুরু করলেন। আপনি এর আগেও একই কমেন্ট করেছেন আবারো এই কমেন্ট কপি পেস্ট করেছেন। আপনার মাথা সত্যি'ই খারাপ হয়েছে।



নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে।



সেলিম জাহাঙ্গীর, আমি বললামঃ আমার মত সৎ সহাস থাকলে না, আপনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন। নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জেনেছেন; আর জেনেছেন মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদ এর অনুসারীদের কাছে বয়ান শুনে। আপনি কি বাহাস করতে পারেন? যদি পারেন আসুন। এত উত্তেজিত হবার কি আছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা হবে শান্ত-সিষ্ট ভাবে। এত গালাগালি করে খ্রীষ্টিয়ান ইহুদী বলে চিল্লা ফাল্লা করে লাভ কি? আপনার আমার আলোচনা দশেমিলে শুনে রায় দিবে; আপনি জিতলে আমি আপনার গোলায় ফুলের মালা দিবো। আর আমি জিতলে এককাপ আদা চা খাওয়ালে'ই চলবে। ইসলামে এত রাগ আল্লাহ পছন্দ করে না। আমার অনুরোধ আপনি আরবের ইতিহাস পড়বেন, ইরাক-ইরান,ইয়েমেন এই গুলির ইতিহাস জানবেন; তাহলে ইসলাম এর অনেক কিছু জানতে পারবেন। নাজিবুললাহ্ আপনি কোন দেশ কে জানতে চায়লে আগে সেই দেশের ইতিহাস জানতে হয়। ধরুন আপনি চীন দেশ সম্পর্কে জানবেন, কিন্তু কিভাবে জানবেন? ইতিহাস পড়ে নাকি হাদীস পড়ে? চীনাদেরতো কোন হাদীস নাই। আপনি হয়তো বলবেন আরবের ইতিহাস ভুলণ্ঠিত। যদি আরবের ইতিহাস ভুল থাকে তাহলে আপনার ধর্মীয় বাবাদের বলেন সঠিক ইসহাস প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে। আমার কথার উত্তর আপনার জানা নাই বিধায় আপনি ঘুরিয়ে একই কমেন্ট দুইবার দিলেন; এটা পাগলামী নাকি স্মৃতিভ্রম? যাই হোক আল্লাহ আপনার সুমতি দান করুন---আমেন

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫১

মানহুস বলেছেন: রেসলিং দেখতে আপনাদের কেমন লাগে??

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫৫

পাতিকাক বলেছেন: গ্যালারি তে বসলাম। পপকর্ণ কে দিবেন, আপনে নাকি নাজিবুললাহ্।।

এলা শুরু করেন, !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:২৪

নজিবুল্লাহ বলেছেন: প্রাচীন কাল থেকে আজ অবধী ইসলামী শত শত প্রখ্যাত বিদগ্ধ ঐতিহাসিকের মধ্যে যে দুজন ঐতিহাসিক সবচাইতে বেশি বিতর্কিত সে দুজনই হল আপনার উল্যেখিত তাবারী ও ইবনে কাসীর। তারা তাদের ইতিহাস গ্রন্থে দেদারছে শিয়াদের মিথ্যা বর্ণণা, ইহুদী, খৃষ্টানদের মিথ্যা বর্ণণা এবং ইহুদী-খৃষ্টান থেকে যে সমস্ত সাহাবী নও মুসলিম হয়েছিলেন এবং যাদের ইমান তখনও পরিপূর্ণতা লাভ করেনি সেই নওমুসলিমরা তাদের প্রাথমিক অবস্থায় তারা কোরআন-হাদীসের ব্যাখ্যায় অনেক তাওরাত, ইঞ্জিলের বর্ণণা ছড়াতেন। আর এ সমস্ত ইসরাঈলী বর্ণণা দেদারছে গ্রহণ করেছেন তাবারী ও ইবনে কাসীর তাদের ইতিহাস গ্রন্থে, যার কোন ভিত্তিই নেই। তাই বাকী সকল ঐতিহাসিকই এই দুজন ঐতিহাসিকে চরম সমালোচনা করেছেন তাদের বইতে মিথ্যা ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার জন্য। আর আপনাদের মত খৃষ্টানদের জন্য এ দুজনের ইতিহাস ই এখন হয়েছে সোনার হরিণ পাপ্তির মত এক জবরদস্ত দলীল। ইনশাআল্লাহ অচিরই এ দুজন ঐতিহাসিকের ইতিহাস কতটা গ্রহণযোগ্য সে বিষয়ে বিস্তারিত ঐতিহাসিক বর্ণনা পাবেন। অপেক্ষা করেন।

তার আগে আপনি বলুন ইসলাম অর্থ শান্তি এ গাজাখোরী অভিধান আবিষ্কারক কি আপনাদের আব্বাজানেরা নাকি আপনাদের মত মূর্খরাই ?

কোরআন এর চারশত আয়াত বিকৃত হয়েছে এর স্বপক্ষ্যে এখনো কোন দলীল উপস্থাপন করতে পারেন নি। আর কোরআন বিকৃত হবেনা মর্মে যে দুটি আয়াত উপস্থাপন করেছিলাম তারও কোন উত্তর দেন নি এখনো।

ইনশাআল্লাহ অচিরেই সকল জবাব পাবেন। ইসলাম ই একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম কিনা ? পূর্ববর্তী ধর্ম বাতিল হয়েছে কিনা, হাদীস শাস্ত্র সত্য কিনা, কোরআন অবিকৃত কিন। সব কিছুরই কোরআন, হাদীস ও ঐতিহাসিক দলীল দেয়া হবে। আগে আমার প্রশ্নে জবাব গুলো দিন।

৩০ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আবারো কি বললো দেখুন পাঠক সমাজ।

তারা তাদের ইতিহাস গ্রন্থে দেদারছে শিয়াদের মিথ্যা বর্ণণা, ইহুদী, খৃষ্টানদের মিথ্যা বর্ণণা এবং ইহুদী-খৃষ্টান থেকে যে সমস্ত সাহাবী নও মুসলিম হয়েছিলেন এবং যাদের ইমান তখনও পরিপূর্ণতা লাভ করেনি সেই নওমুসলিমরা তাদের প্রাথমিক অবস্থায় তারা কোরআন-হাদীসের ব্যাখ্যায় অনেক তাওরাত, ইঞ্জিলের বর্ণণা ছড়াতেন। আর এ সমস্ত ইসরাঈলী বর্ণণা দেদারছে গ্রহণ করেছেন তাবারী ও ইবনে কাসীর তাদের ইতিহাস গ্রন্থে, যার কোন ভিত্তিই নেই।

নাজিবুললাহ ইবনে কাসির সম্বন্ধে আপনার ধারনা আছে? নাই। আপনি একটা জ্ঞানহীন কথা বললেন। আচ্ছা ইবনে কাসির কিংবা তাবারী ইনাদের কথা আমরা বই পড়ে জানলাম। আর আপনি যাতের কথা বলছেন তাদের কথাও আপনি বই পড়ে জেনেছেন নাকি সেই সময় আপনি নিজে উপস্থিত ছিলেন? নিশ্চয় সেই সময়ের ঘটনা জানার মাধ্যম হচ্ছে বই। কিন্তু আপনার জানা ব্যাক্তি গুলি সত্য বলেছে আর আমার জানা ব্যাক্তি গুলি মিথ্যা বলেছে। এটা প্রমান করলেন কি ভাবে? বাংলাদেশের সম্পর্কে জানলে আপনাকে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়তেই হবে। ঠিক তেমনী আরব সম্পর্কে জানলে, হাশেমী বংশ সম্পর্কে জানলে, ইসলাম সম্বন্ধে জানলে ইতিহাস পড়তে হবে। তার পর ধর্মীয় বিশ্বাস এর যত বই আছে তা পড়ুন আপনার বিশ্বাস থেকে। এবং আপনি মানুন কেউ আপনকে বাধা দিবে না। কিন্তু দোহায় আপনার মিথ্যা বলেন না। অমুক কিতাব বাতিল আগের সব ধর্ম বাতিল এই গুলি ঠিক কথা নয়। সারা পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে তার মধ্যে সব ধর্ম বাতিল কেবল ইসলাম বাদে, এই কথা বলার অর্থ কি? অন্য ধর্মকে খাটো করা। কোরআন কি তায় বলে? আপনার কথা মত আল্লাহ কেবল ইসলাম ধর্মের মানুষের প্রতি সু-দৃষ্টি দেয় এবং তাদের দেখে। তাহলে অন্য ধর্মের মানুষদের কোন আল্লাহ্ দেখে?

নাজিবুললাহ আপনি বলেছেনঃ তার আগে আপনি বলুন ইসলাম অর্থ শান্তি এ গাজাখোরী অভিধান আবিষ্কারক কি আপনাদের আব্বাজানেরা নাকি আপনাদের মত মূর্খরাই ?

ভাই নাজিবুললাহ্ ইসলাম আরবী শব্দ। ইসলামের বাংলা শব্দ কি আপনার জানা আছে। আমি সেলিম জাহাঙ্গীর আবারো বলছি ইসলাম মানে শান্তি। আপনি কি বলেন?

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:০৬

নজিবুল্লাহ বলেছেন: আর শুধু মাত্র শেষের কয়েকটি কমেন্ট তুললেন কেন ? বাকী গুলো সবাই দেখলি কি আপনার মূর্খতার পরিচয় সবাই পেয়ে যাবে, এই জন্যে ? পুরো পোষ্টটিতে আমার মোট ১৭ টি কমেন্ট আছে, পাঠকগণ তা পড়লেও অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া সামনে আরো দলীলাদিল্লাদি তো আসছেই ইনশাআল্লাহ। Click This Link

৩০ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫০

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন:

ইনশাআল্লাহ অচিরেই সকল জবাব পাবেন। ইসলাম ই একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম কিনা ? পূর্ববর্তী ধর্ম বাতিল হয়েছে কিনা, হাদীস শাস্ত্র সত্য কিনা, কোরআন অবিকৃত কিন। সব কিছুরই কোরআন, হাদীস ও ঐতিহাসিক দলীল দেয়া হবে।

নাজিবুললাহ আপনার কথা মতে ইসলাম ই একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম। তো অন্য ধর্মগুলি কি আল্লাহ বর্জন করেছেন? পূর্বের সকল কিতাবকে আল্লাহ কোরআনে সে সন্মান করেছে সেই সন্মান আপনারো করা উচিত।
আপনি বলেছেন আমার উত্তর গুলি দিবেন। কবে দিবেন? এই পর্যন্ত আমার একটি প্রশ্নেরও জবাব দেন নাই। কেবল বলে চলেছেন কোরআন এর চারশত আয়াত বিকৃত হয়েছে এর স্বপক্ষ্যে এখনো কোন দলীল উপস্থাপন করতে পারেন নি। আপনার এই প্রশ্নে কোন জবাব দিবো না ভেবে ছিলাম তবুও আপনার ফালপাড়া দেখে ভাবলাম উত্তরটা দেয়। আমি আপনার উত্তর দিবো আর আপনি দিবেন না, তাকি হয়? এবার আসুন ঐতিহাসিক উত্তোরের দিকে।

১। আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্বারীগণ কোরানের আয়াতের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন: কুফীদের মতে: ৬,২৩৬টি আয়াত; বসরাবাসীদের মতে: ৬,২১৬টি আয়াত; সিরীয়াবাসীদের মতে: ৬,২৫০টি আয়াত; ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে: ৬,২১৪টি আয়াত; মক্কীদের মতে: ৬,২১৮টি আয়াত; হযরত আয়শার মতে: ৬,৬৬৬টি আয়াত”। [দ্র: সং. ইসলামী বিশ্বকোষ,১ম খ. ৩য় মুদ্রণ ‘আয়াত’ অধ্যায়; পৃ: ৭০; ই. ফা.

২। বেশি দিনের কথা নয়, প্রায় ৫০ বৎসর পূর্বের অনুদিত ও প্রকাশিত যে কোন কোরানের প্রারম্ভে কয়টি সুরা, কয়টি পারা, মনজিল, রুকু, সেজদা ও আয়াত, শব্দ, জের, জবর, পেশ, তাসদিদ সংখ্যার হিসাবসহ একটি স্বতন্ত্র তালিকা থাকতো এবং তাতে আয়াতের সংখ্যা ৬,৬৬৬টি উল্লেখ থাকতো। কিন’ আধুনিক প্রকাশিত কোরানে সবই থাকে কিন’ আয়াত সংখ্যা থাকে না। উদাহরণ স্বরূপ বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত কোরান অন্যতম। এর কারণ অজ্ঞাত ও রহস্যজনক বটে! বলাবাহুল্য, মোবারক করীম জওহর অনুদিত কোরানে আজও ৬,৬৬৬টি আয়াত লেখা আছে; লেখা আছে আশরাফ আলী থানভীর অনুদিত কোরানসহ অধিকাংশ কোরানে। কিন’ কোরানখানির আয়াত সংখ্যা একুন করলে পাওয়া যায় মাত্র ৬,২৩৬টি; অর্থাৎ ৪৩০ টি আয়াত কম! বিবি আয়শার মতে আয়াত সংখ্যা ৬,৬৬৬টি। তার স্ব-পক্ষে একটি ঐতিহাসিক দুর্দান্ত- প্রমাণ রয়েছে:
৩। তৎকালে তুরস্কের শাষণকর্তা আরবের খলিফা নামে রাজা-বাদশাদের শুভ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কোরানের ৬,৬৬৬টি আয়াতের প্রমাণ ও প্রতীক স্বরূপ ৬,৬৬৬টি স্বর্ণের মোমবাতি সংবলিত মহা মূল্যবান একটি বাতিদানী তৈরী করেন কাবা ঘরে উপহার দেয়ার জন্য। কিন্তু’ বিধি বাম, হঠাৎ মুসলিম বীর কামাল আতাতুর্কের আগমণে তুর্কী মৌলবাদ লন্ড-ভন্ড হওয়ার ফলে সে পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। অতঃপর কামাল পাশা তোপকাপী মিউজিয়ামে ঐ বাতিদানীটি রক্ষণ করেন, যা আজও সেখানে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, হযরত ওসমানের লিখিত কোরানও সেখানে রয়েছে। [ দ্র: সরাসরি তোপকাপী মিউজিয়াম অথবা এ্যাম্বেসীতে খোঁজ নিতে পারেন।

নাজিবুললাহ্ আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম। উত্তর না দিতে পারলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েন। আল্লাহ আপনার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করুক। এবং কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন---আমেন

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৫৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সবাইকে হ্যাপী মাহে রমজান। রমজান উপলক্ষে আমি একটি বানী দিছি। সবাইকে পড়ার আহবান। আশা করি ভালো লাগবে।

Click This Link

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৫

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ভাই আমাকে তো আমার হালাল রিযিকের জন্য পরিশ্রম করতে হয়, আমিতো আর আপনার মত ব্লগে লিখা লেখি করে কারো পেট চালাই না, তাই আপনার মত আমার এতো টাইম নেই। ইনশাআল্লাহ আপনাকে যে সকল বুলি শিখানো হয়েছে তার সকল উত্তরই অচিরেই পাবেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি ঠিকি বলেছেন আমি লিখা লেখি করে পেট চালায়, এটা আমার পেশা। আমার ছোট্ট একটা পেশার নাম সাংবাদিকতা । আমি একটি জাতীয় পত্রিকায় কাজ করি। কিন্তু ইয়াজিদ-মোয়াবিয়া ও মাওলানা ইলিয়াশের আদর্শে চলি না। আল্লাহ্ আমার রব ও রাসুল আমার সব।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১০

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ওয়েল, আপনার জ্ঞানের যে পরিচয় পেলাম তাতে আর আমার তাবারী, ইবনে কাসীরের ইতিহাস তুলে ধরার কোন প্রয়োজন দেখছি না । পিচ্চি পোলাপানকে যেভাবে বুঝাতে হয় আপনাকেও আমার এখন সেভাবে বুঝাতে হবে দেখছি। :(

আপনার সাথে পয়েন্ট টু পয়েন্ট আলোচনা হবে। এত দললি দস্তাবেদের কোনই প্রয়োজন নেই। প্রথামেই আপনা রউল্লেখিত কোরআনের আয়াত সম্পর্কে ইসলামী বিশ্বকোষের তথ্যটার রহস্যটা বলি। এর পরে আপনাকে অ, আ, ক, খ শিখাতে বসব।

তথ্যটা খেয়াল করুন : "আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্বারীগণ কোরানের আয়াতের নির্ধারণ করেছেন: কুফীদের মতে: ৬,২৩৬টি আয়াত; বসরাবাসীদের মতে: ৬,২১৬টি আয়াত; সিরীয়াবাসীদের মতে: ৬,২৫০টি আয়াত; ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে: ৬,২১৪টি আয়াত; মক্কীদের মতে: ৬,২১৮টি আয়াত; হযরত আয়শার মতে: ৬,৬৬৬টি আয়াত”। [দ্র: সং. ইসলামী বিশ্বকোষ,১ম খ. ৩য় মুদ্রণ ‘আয়াত’ অধ্যায়; পৃ: ৭০; ই. ফা."

এই ক্বারীগণ কারা ? আপনাকে আগে সে সম্পর্কে জানতে হবে। আর এ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে ইসলামের আরেকটি দীর্ঘ শাস্ত্র এর সাথে পরিচিত হতে হবে। সেটা হল "ইলমে ক্বিরাত" বা কোরআন পঠন পদ্ধতির বিদ্যা" সোজা কথায় কোরআন তেলাওয়াতের নিয়ম পদ্ধতির এলেম। এই ক্বারী গণের মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন মোট ৭ জন ক্বারী। আর কোরআনও অবতীর্ণ হয়েছিল মোট সাত ক্বেরাতে তথা সাত ভাবে তেলাওয়াতের পদ্ধতিতে। যেমন জিব্রাইল (আ:) যখন কোরআন পড়ে শুনাতেন তখন কোন শব্দের শেষে কখনো যবর পড়তেন আবার কখনো যের পড়তেন আবার কখনো পেশ পড়তেন, একি শব্দের ক্ষেত্রে। আবার দেখা গেছে কোন শব্দের মাঝে ইয়া অক্ষর আছে আবার কখানো আইয়া শব্ধটি আছে আর ইয়া এবং আইয়া উভয়েরই অর্থ হল "হে"। এভাবে সাত রকম তেলাওয়াতের পদ্ধতিতে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এর কারণ ছিল আরবের বিভিন্ন গোত্রের বিভিন্ন ভাষা রীতি। যেমন আমাদের চিটাগাঙ্গের ভাষা একরকম আবার নোয়াখালির ভাষা এক রকম আবার ছিলেটের ভাষা একরকম। তা্ই সকল গোত্রই যাতে পূর্ণাঙ্গরুপে কোরআনের অর্থ বুঝতে পারে তা্ই এ সাত ক্বেরাতে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু সকল কেরাতের অর্থ এক। তেলাওয়াতের মাঝে পার্থক্য ছিল কিন্তু অর্থের মাঝে কোন পার্থক্য ছিল না। এ জন্যে এ ক্বেরাতের বিদ্যায়ও বিভিন্ন ক্বারীগণ তৈরী হয়েছিলেন। যাদের ক্বেরাত এর মাঝে কিছুটা পার্থক্য থাকত। কিন্তু যে যেভাবেই তেলাওয়াত করতেন না কেন অর্থের মাঝে কোন পার্থক্য আর থাকত না। সব কেরাতের অর্থ ছিল একই। এখন কথা হল একেক ক্বারী আয়াত সংখ্যা একেক রকম বলার কারণ কি? কারনও এই কেরাতের ভিন্নতা। যেমন একজন দুটি আয়াত মিলে একটি আয়াত ধরতেন এবং দু আয়াতের পরে তিনি তার নিশ্বা:স ছাড়তেন তথা কেরাতকে পূর্ণ করতেন ও দু আয়াত পড়ে ওয়াকফ বা বিরাম চিহৃ ব্যাবহার করতেন। আবার কেহ এক আয়াতের পড়ে ওয়াকফ ব্যাবহার করতেন। তাই তাদের এ পঠন রীতরি বা কেরাতের ভিন্নতার কারনে স্বাভাবিক ভাবেই একেক জনের নিকট আয়াত সংখ্যা একেক রকম ছিল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোরআন থেকে কোন আয়াত বাদ পড়ে গেছে। বরং এর তাৎপর্য হল কেহ দু আয়াত মিলে এক আয়াত গুনেছেন আাবার কেহ এক আয়াত কে এক আয়াত ধরেই হিসেব করেছেন।

আরো বিস্তারিত জানতে হলে পড়ুন :
http://www.shodalap.org/bngsadat/13479
Click This Link

এবার আসা যাক আপনার জ্ঞানের দৈন্যতার ব্যাপারে। আপনি লিখেছেন,

"বাংলাদেশের সম্পর্কে জানলে আপনাকে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়তেই হবে। ঠিক তেমনী আরব সম্পর্কে জানলে, হাশেমী বংশ সম্পর্কে জানলে, ইসলাম সম্বন্ধে জানলে ইতিহাস পড়তে হবে।"

ভাই আপনার বয়স কত আমি জানিনা। আপনি যদি বিএনপির আমলে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়েন তাহলে এক রকম পাবেন, যে জিয়াই ছিল স্বাধীনতার ঘোষক আবার আওয়ালিগ আমলে দেখবেন আগের ইতিহাস ১০০% বিপরীত মেরুতে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ তখন আপনি ইতিহাস পাবেন জিয়া ছিল মুজিব হত্যাকারীর মূল হোতা। স্বাধিনতার ঘোষক নয়। স্বাধিনতার ঘোষনা মুজিবই দিয়ে ছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এ কথার মাধ্যমে। আবার যদি কখনো জামাত ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হবে বর্তমান ইতিহাসের ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত মেরুতে। তখন আপনি ইতিহাসে পাবেন যে, শেখ মুজিব মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চান নি, তিনি চেয়েছিলেন স্বয়ত্বশাসন তথা পূর্ব পাকিস্থানের নেতৃত্ব। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এটা তার অনিচ্ছা বশত পরে তার বক্তব্যের শেষে সংযোজন করেছিলেন আরেক জনের জোড়া জোড়িতে ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে যে সরকার যখন ক্ষমতায় আসবে সে সরকার তাদের নিজস্ব ইতিহাস রচিত করবে। তাহলে আপনাকে কি করতে হবে ? সঠিক ইতিহাস জানতে হলে সবার কথাই শুনতে হবে, যে কার কি অভিমত। তাই আপনি কোন একক ইতিহাস দিয়ে যেমন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবেন না ঠিক তদ্রুপ উমাইয়া আমলের ইতিহাস দিয়ে আব্বাসীযদেরকে সঠিকভাবে জানতে পারবেন না আবার আব্বাসীয় আমল রচিত ইতিহাস দিয়ে উমাইয়াদের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন না। কারন তা্রা উভয়েই ছিল উভয়ের শত্র ঠিক আমাদরে বিএনপি আর আওয়ামিলীগের মতই। তাই আপনাকে উমাইয়া আমলের ইতিহাসও জানতে হবে আবার আব্বাসীয় আমলের ইতিহাসও জানতে হবে।

এটা গেল কোন দেশ, সরকার, ব্যাক্তি বা কোন দলের সঠিক ইতিহাস জানার পদ্ধতি। কিন্তু ধর্ম ? ধর্ম কি মানুষের রচিত ইতিহাস দিয়ে সঠিক ভাবে জানা যাবে ? নাকি ধর্মের যে মূল মূল গ্রন্থ গুলো আছে সেগুলো পড়তে হবে ? আপনাকে হিন্দু ধর্ম বুঝতে হলে পড়েত হবে গীত, বেদ, মাহভারত, উপনিষদ ইত্যাদি খৃষ্টান ধর্ম বুঝতে হলে পড়তে হবে বাইবেল আর ইসলাম ধর্ম বুঝতে হলে পড়তে হবে কোরআন তারপরে কোন দেশেরে কোন দলের কোন ঐতিহাসিক কে কি বলল সেগুলোর হিসাব আসবে পড়ে। কারন ইতিহাস রচনার মাল মসলা গুলো কতটুকু সঠিক, কতটুকু নিরপেক্ষ, কার রচিত ইতিহাস কতটুকু সত্য এটা জানতে পারবেন আপনি যদি সকল দলের সকল পক্ষের সকল যুগে রচিত সকল ইতিহাস পড়েন। তা না হলে দেখবেন আপনার দলের রাশাদ খলিফার লিখিত ইতিহাস একরকম আর দুনিয়ার অন্য তাবত মুসলিম ঐতিহাসিকদের ইতিহাস আরেকরকম। ভাই আমি জানিনা আপনি কতটুকু নিরপেক্ষ মন নিয়ে, সত্য জানার সদইচ্ছায় ইতিহাস জানতে চাচ্ছেন। আপনি সবার লিখিত ইতহাস না পড়েই কি করে নিজেকে বিরাট জানলেওয়ালা দাবী করে বাহাসের চ্যালেন্জ দিচ্ছেন ? আপনি কয় জনের ইতিহাস পড়েছেন ? একমাত্র রাশাদ খলীফাই হাদীস কে অস্বিকার করেছে আর নিজেকে নবী দারী করেছে। ইসলামের প্রথম ইতিহাস কারা কারা লিখেছেন ? তারা কাদের কাদের কাছ থেকে তথ্যগুলো নিয়েছেন এগুলো আপনাকে জানতে হবে। তা হলে ইসলামের কিছুটা ইতিহাস জানতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যে বাচ্চাদের মত কথা বললেন যে, ধর্ম জানতে আগে ইতিহাস জানতে হবে তারপরে ধর্ম গ্রন্থ। এ রকম মূর্থতামূলক কথা কয়জন সাপোর্ট করে দেখেনতো। হযরত ওসমান (রা:) এর শাহাদাতের পর থেকেই শিয়া, খারিজী, মুতাজিলা সহ ইসলামের মধ্যে নানান দল উপদল তৈরী হয়ে যায়, আর তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজেদের খেয়াল খুশি মত ইতিহাস রচনা করে তাহলে আপনি তাদের ইতিহাস পড়ে কিভাবে ধর্ম শিখবেন ? আপনাকে আগে ধর্ম গ্রন্থ পড়তে হবে।

কোরআন বলছে কোরআন এ কোন বিকৃত হয়নি, আল্লাহ পাক বলছেন আমি এর হেফাজতকারী। অতএব আপনি যদি আল্লাহপাকে কথায় বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে এ সকল দল উপদলের কথায় বিশ্বাস করতেছেন কেন ? আল্লাহ নিজে যেখানে বলতেছেন কোরআন বিকৃত হয়নি আর আপনি বলতেছেন এটা জানতে ইতিহাস জানতে হবে। তাহলে আপনি আল্লাহর কাথার চাইতে ঐ সকল ইতিহাসের দাম কি বেশি দিলেন না ? মানুষ রচিত ইতিহাসের দাম কি বেশি নাকি আল্লাহর কথার মূল্য বেশী ?

আপনি কি করে কোরআনে বিশ্বাসী থাকেন ? যদি আপনি কোরআনের আয়াতে বিশ্বাস না করে ইতিহাসের উপরে বিশ্বাস করেন ? আর তাবারী বলেন আর ইবনে কাসীর বলেন আর ইবনে খালদুন বলেন কে হাদীস কে আস্বিকার করেছে ? তারাতো কেউ ই হাদীসে কে অস্বিকার করে নি। তাহলে আপনি কিভাবে তাদের ইতিহাস দিয়ে হাদীস কে অস্বিকার করতেছেন ?

ইবনে হিসাম, তাবারী, ইবনে কাসীর প্রত্যেকের ইতিহাস লেখার উপাদান ছিল হয় কোরআনের আয়াত নয়তো রাসূলের হাদীস নয়ত সাহাবাদের উক্তি নয়ত তাবেয়ীদের উক্তি। তাহলে তাদের ইতিহাস দিয়ে আপনি কিভাবে হাদীসকে অস্বিকার করতে পারেন ? আর বলেন যে, কোরআনের চারশ তিরিশটি আয়াত নষ্ট করা হয়েছে। আপনাকে বার বার বরতেছি যে, কোন ঐতিহাসিক বলেছেন যে, কোরআনের চারশ তিরিশটি আয়াত নষ্ট করা হয়েছে তা দেখান। বাংলাদেশের বাজারের বাংলা কোরআন শরীফের ভুমিকায় কি লেখা আছে না আছে এই যদি হয় আপনার ঐতিহাসিক দলীল তাহলে আর আপনার সাতে কি কথা বলব ? আপনি এখনো ইসলামের ক, খ ই জানেন না । ইসলাম জানতে হলে আগে পুরো কুরআন পড়ৃন, নির্দিষ্ট দল কর্তৃক নির্বাচিত কতিপয় আয়াত এর দ্বারা তা ও আবার অর্থের বিকৃতি ঘটিয়ে আপনি কি প্রচার করতে নেমেছেন তা কি আর কারো অজানা আছে ?

আপনি এখনো ইসলামের সঠিক অর্থই জানেন না। কিভাবে জানবেন আপনি তো তাদের বানিয়ে দেয়া কিছু নির্দিষ্ট বুলিই মুখস্থ করেছেন । ইসলামের আভিধানিক অর্থ কি তা আগে শিখে তার পরে আমার সাথে কথা বলতে আসাবেন।

আপনার যদি সত্য জানার সদিচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি হেদায়েত পাবেন ইনশাআল্লাহ, এটা আল্লাহর ওয়াদা, আর ইচ্ছা করে মিথ্যার দালালী করে দোযখে যেতে চাইলে তাও আপনার ইচ্ছাধীন। আপনার জন্যে একটি লিংক : Click This Link

৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেন। আপনার জ্ঞানের যে পরিচয় পেলাম তাতে আর আমার তাবারী, ইবনে কাসীরের ইতিহাস তুলে ধরার কোন প্রয়োজন দেখছি না । পিচ্চি পোলাপানকে যেভাবে বুঝাতে হয় আপনাকেও আমার এখন সেভাবে বুঝাতে হবে দেখছি।

নাজিবুললাহ্ আমি খুব জ্ঞানী এই কথা আপনাকে কখনো বলি নাই। আমি জানি আপনি এই লাইনের প্রধান শিক্ষক; আমি একজন কৌতুহলী ছাত্র। আমার জানার জন্য জানতেছি, তর্কের জন্য নয়, অহংকার করার জন্য নয়। আমি আপনাকে আক্রমণ করে কথা বলতে পারি না। কিন্ত আপনি শুরু থেকে আমাকে গালা-গালি গন্ড,মূখ্য কত কথা'ইতো বললেন। আপনর জ্ঞানের পরিধী দেখে বোঝা যায় আপনি কোন স্তরের মানুষ; কতটা আপনার স্ট্যাডি। যাহোক এই উক্তি আমি ছাত্র হিসাবে আপনাকে করতে পারি না। এটার ভার ব্লগের পাঠকের কাছে দিলাম। আপনি বলেছেনঃ পিচ্চি পোলাপানকে যেভাবে বুঝাতে হয় আমাকেও আপনার এখন সেভাবে বুঝাতে হবে অ, আ, ক, খ দিয়ে। নাজিবুললাহ্ এমনতো হতে পারে, আমি যে জ্ঞান অর্জন করেছি সেই জায়গায় আপনি এখনো পৌছাতে পারেন নাই বলে আমার কথা আপনি বুঝতে পারছেন না? হয়তো বুঝতে পারবেন, যে দিন আপনার জ্ঞান অর্জন আমার মত হবে। কি ঠিক বললাম? আমার ভুলও হতে পারে। এবার বলুনতো আপনি আমার কোন প্রশ্নের উত্তর নাদিয়ে আবল তাবল বলছেন কেন। আপনি এই পর্যন্ত কোন কথার কোন রেফারেন্সে তার দলিল দিয়েছেন? নাকি নাই? আল্লাহ কোরআনে বলছে।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৮ আয়াতঃ وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ
অর্থঃ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্ সমন্ধে বিতন্ডা করে, তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে দলিল, না আছে কোন দ্বীপ্তিময় গ্রন্থ।

আপনার রেফারেন্স দিলে তার দ্বীপ্তিময় গ্রন্থ থাকতে হবে।

নাজিবুললাহ্ আপনি বললেনঃ আপনি যদি বিএনপির আমলে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়েন তাহলে এক রকম পাবেন, যে জিয়াই ছিল স্বাধীনতার ঘোষক আবার আওয়ালিগ আমলে দেখবেন আগের ইতিহাস ১০০% বিপরীত মেরুতে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ তখন আপনি ইতিহাস পাবেন জিয়া ছিল মুজিব হত্যাকারীর মূল হোতা। স্বাধিনতার ঘোষক নয়। স্বাধিনতার ঘোষনা মুজিবই দিয়ে ছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এ কথার মাধ্যমে। আবার যদি কখনো জামাত ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হবে বর্তমান ইতিহাসের ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত মেরুতে। তখন আপনি ইতিহাসে পাবেন যে, শেখ মুজিব মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চান নি, তিনি চেয়েছিলেন স্বয়ত্বশাসন তথা পূর্ব পাকিস্থানের নেতৃত্ব। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এটা তার অনিচ্ছা বশত পরে তার বক্তব্যের শেষে সংযোজন করেছিলেন আরেক জনের জোড়া জোড়িতে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আপনার কি ধারণা এই ভাবে দেশের ইতিহাস লিখা হয়? যে দল আসলো সে তার মত করে লিখলো আর সেটাই ইতিহাস! বরং এটা বলুন দেশে যে যার মত করে ইতিহাস লিখাক না কেন, খারাপ ভালো এই সব গুলি'ই কিন্তু একদিন ইতিহাস। ইতিহাস যে যার মত করে লিখবে বা চেরা-ফাটা করবে সেই বিষয়টিও হয়ে যাবে একদিন ইতিহাস। কারন ইতিহাস সে তার নিজের গতিতে চলে। শোভিয়েত ইউনিয়নের ইতি হাস বিকৃত হয়েছিলো সে আবারও দেড়'শ থেকে দুই'শ বছর পর আবার সোজা হয়ে গেছে। ইতিহাস কে জোর করে বিকৃত করা যায়,বাকা করা যায় কিন্তু সেই ইতিহাস আবারো সোজা হয়ে যায় এটাই ইতিহাস। আপনার নিজের বুঝে যা এসেছে তায়তো বোঝাবেন এটা'ই সাভাবিক। অ,আ,ক,খ শিখলাম এবার চ,ছ,জ,ঝ শিখান। নাজানলে আগে আজুন তারপর লিখুন অযথা ধর্ম নিয়া না জাইনা প্যাচার পাড়েন ক্যান। আপনি আসলে কি করেন? আপনি কি তাবলীগ করা মানুষ? হ্যাঁ বার বার পাস কাটিয়ে যাচ্ছেন। ইসলাম মানে শান্তি এটা আমি বলেছি। কিন্তু আপনি বলেছেন ইসলাম মানে শান্তি নয়। তবে নাজিবুললাহ্ ইসলাম মানে কি এটা অবশ্যই জানাবেন। আর এই বিষয়ে না জানলে আমার লেজ ধরে টানতে হবে এটা কে বলেছে? অনিক আহসান এর জবাব দিতে'ইতো আপনি হিমশিম খাচ্ছেন এর উপর আমি আপনাকে প্রশ্ন ছুড়লাম কি জালা মায়েরী। নাজিবুল্লাহ্ অনিক আহসান আপনাকে যে কথা বলতে চেয়েছে সেটা আমলে নিয়ে কিছু জানার চেষ্ট করুন। অনিক আহসান বলেছেঃ ঠিক ১৭০০০ না তবে অসংখ্য আয়াত ওসমানের আমলে ধংশ করে ফেলা হয়। এমন কি হয়রত আলীরও নিজেস্ব একটা ভার্সন ছিলো। কথাটা ভালো করে জানার চেষ্টা করুন নাজিবুললাহ্ । কোরআন সংকলোনের ইতিহাস পড়ুন,আরবের ইতিহাস পড়ুন দেখুন কি আছে তাতে। আপনাকে আর একটি কথা বলি কিতাব কোরআন ও কোরআনুন নাতেক সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা আছে? থাকলে অবশ্যই জানাবেন। আর নাজানলে জানতে চেষ্টা করুন।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:২৯

অনিক আহসান বলেছেন: যে জিনিস লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত তা নিয়ে এত বিতর্ক ক্যানো?

১৭০০০ আয়াতের মধ্যে টিকে আছে ৬৬৬৬ বাকি গুলি গেলো কোই?
নবী কন্যার সংকলন ক্যানো আমলে নেয়া হয় নাই?
হজরত আলীর কোরান তা’হলে কোনটা?

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪১

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১৭০০০ আয়াতের তথ্য আপনি কোথায় পেলেন ভাই ?

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৮

নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনার কাছে মুনয় হকিং বা ডারউইন (আ:) ওহী পাঠায় ?

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৩

অনিক আহসান বলেছেন: ঠিক ১৭০০০ না তবে অসংখ্য আয়াত ওসমানের আমলে ধংশ করে ফেলা হয়। এমন কি হয়রত আলীরও নিজেস্ব একটা ভার্সন ছিলো।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৭

অনিক আহসান বলেছেন: নাজিবুল্‌লাহ মানুষরে আন্ধা ভাবার কোন কারন নাই। অন্তত এই যুগে নাই। হুদাই প্যাঁচায়েন না কোরান সংকলনের সময় কি কি ঘটছে তা নিয়া বহু তথ্য আছে। রমজান মাসে এগুলি দিলে ধর্ম ভীরু মানুষ খামাখা উত্তেজিত হবে ..আঘাত পাবে।

৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: খুব সুন্দর প্রশ্ন কিন্তু নাজিবুললাহ্ উত্তর দিবে কোথথেকে সেতো এই বিষয় কিছু পড়ে নাই।

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৩

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ওহী টা কে পাঠাইল আপনারে কইলেন না ভাই ? রেফারেন্স ছাড়া কথা বলা তো মগাচিপের বৈশিষ্ট জানতাম , তাইলে কি আপনে তার তালত ভাই নি ? ;) ;)

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৬

নজিবুল্লাহ বলেছেন: মগাচিপ বাহিনির ঠাকুরমার ঝুলির ল্যাদানী মুসলমানরা পুছেও না। রেফারেন্স ছাড়া আমার সাথে কোন কথা বলতে আসবেন না। হেডাম থাকলে দলিলাদিল্লাহ নিয়াই নামবেন আমার সাথে।

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২৭

অনিক আহসান বলেছেন: ওহে ইউসুফ আল কারজাভীর সামু ব্লগীয় ভার্ষন..ব্লগে আমার কাছে আপনার চাইতে অনেক প্রিয় মানুষ আছেন যারা ধার্মিক । এই মাসে তাদের আঘাত করবো না।তাই একটু সবুর করার কস্ট আপনাকে নিতেই হবে।অপেক্ষা করেন হেডাম সহ অনেক কিছু দেখবেন। গ্যারেন্টিড :D :D :D

১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪২

নজিবুল্লাহ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ স্রষ্টায় অবিশ্বাসীর কাছে স্বাভাবিকভাবেই তার লজিক অনুসারেই ধর্ম হল সকল খারাপের মূল। তারা আবার এই ধর্মের অনুসারী আর ধর্মের মাসকেও আঘাত করে না ! =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ যাদের চব্বিশ ঘন্টা কাটে কিভাবে আল্লাহ-নবীর চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করা যায় সেই গবেষনায় তারা আবার ধর্মের মাসকে আঘাত করতে চায়না ! =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ ওরে বিনোদন রে !

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৩০

নজিবুল্লাহ বলেছেন: শুনেন ভাই, রোযা রাইখা মুখটারে খারাপ বানাইয়েন না। আবাল গিরীর একটা সীমা আছে । কিন্তু আপনি আবাল গিরীর সকল সীমাই অতিক্রম করে ফেলতেছেন। আমি আর আপনার মত আবালের সাথে সময় নষ্ট করতে চাচ্ছিনা এই রোযার দিনে আমার ইবাদাত বন্দেগী ফেলে রেখে। আমি তাবলিগ করি না কি করি তা দিয়ে আপনার কি দরকার ? আর অনিক বা মগাচিপরা আপনার পীর হতে পারে। কিন্তু আমার মত মুসলমানরা ঐ অনিক ফনিক আর মগাচিপদের টয়লেট পেপার হিসেবেও ইউছ করি না, যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না ও আল্লাহ নবীর প্রতি অন্ধ আক্রোশে চব্বিশ ঘন্টা পড়ে থাকে। আল্লাহ পাক কোরআনে এ সকল মানুষকে বলেছেন, "বাল হুম আবাল" অর্থাৎ ওরা হল চতুষ্টদ জন্তুর চাইতেও নিকৃষ্ট। আর আল্লাহর কাছে যারা কুকুর শুকরের চাইতেও নিকৃষ্ট আপনার কাছে তারা বিরাট কিছু মর্যাদাবান হতেই পারে, যেহেতু আপনিও তাদের সমগোত্রীয়। তা না হলে আপানার পিছে আমি এত সময় নষ্ট করে এত কিছু বুঝালাম তার পরেও আপনার আবলামী কমে না। ইসলামের ইতিহাস শেষ করে রেখেছি আরো দশ বছর আগে। আর আপনার সাথে আর কি আলাপ করব ? আপননি এক কাজ করেন। ক্লাস স্কুলের ক্লাস থ্রি/ফোরের একটা পিচ্চি ছেলেকে জিজ্ঞেস কইরেন বাবা ইসলাম শব্দের অর্থটা কি ? ওরা আাপনাকে শিখিয়ে দিবে। ওদের কাছ থেকে শিখে তারপরে ব্লগে আবলামী করতে আইসেন। আপনার পেমেন্ট কিন্তু বন্ধ হয়ে যেতে পারে এত আবলামী করলে। আপনি আবাল হলেও আপনার প্রভুরা কিন্তু আবাল নয়। তারা অনিক হাসান আর মগাচিপ দের মতই ধুরন্ধর। বাট আপনি হলেন তাদের পা চাটা আবাল। আপনি কোরআনে আয়াতে বিশ্বাস করেন না, বিশ্বাস করেন আপনার ঐ সকল প্রভুদের ঠাকুরমার ঝুলির পাতিহাসকে। কোরআন সংকলন এর ইতিহাসে তাবারী আর ইবনে কাসীর কি লিখেছে তা তাদের কাছ থেকে জেনে তারপরে এখানে দিয়েন। আমার আর ধৈর্য হচ্ছেনা আপনার মত আবালের সাথে সময় নষ্ট করতে।

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৩৭

নজিবুল্লাহ বলেছেন: সূরা হাজ্জ্ব ২২:৮ আয়াতঃ وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ
অর্থঃ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্ সমন্ধে বিতন্ডা করে, তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে দলিল, না আছে কোন দ্বীপ্তিময় গ্রন্থ।

আপনার রেফারেন্স দিলে তার দ্বীপ্তিময় গ্রন্থ থাকতে হবে।




১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)

২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)


এই যে দিলাম দ্বীপ্তিময় গ্রন্থের দলীল। এবার আপনার দলীল পেশ করুন, নচেত নিজেকে কাফের হিসেবে ঘোষনা দিন।

৩১ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)

নাজিবুললাহ্ আপনি উপরে যে আয়াতটি দিয়েছেন তার মানে বুঝেন? মনে হয় না। কারন আল্লাহ্ কোরআনের সূরা ইমরান ৩:৭ আয়াত এ বলছেঃ
هُوَ الَّذِيَ أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ فَأَمَّا الَّذِينَ في قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاء الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاء تَأْوِيلِهِ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلاَّ اللّهُ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الألْبَابِ
অর্থঃ তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।

এই রুপক কঅর্থ গুলি জানান চেষ্টা করুন। কোরআনে এই আয়াতে দেখুন দুটি শব্দ আছে, একটি মোতাশাবেহাত আর একটি মোহকামাত। এই দুটি শব্দের তাতপর্য বোঝার চেষ্ট করুন।

আল্লাহ বলছেঃ আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। সেটা কোন কোরআন? জানেন। চলুদ দেখি সূরা আহযাব এর ৭২ আয়েঅতে আল্লাহ্ কি বলেন।
সূরা আহযাব ৩৩:৭২ আয়াতঃ
إِنَّا عَرَضْنَا الْأَمَانَةَ عَلَى السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ أَن يَحْمِلْنَهَا وَأَشْفَقْنَ مِنْهَا وَحَمَلَهَا الْإِنسَانُ إِنَّهُ كَانَ ظَلُومًا جَهُولًا
অর্থঃ আমি আকাশ পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই (কোরআন) আমানত পেশ করেছিলাম, অতঃপর তারা একে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা বহণ করল। নিশ্চয় সে জালেম-অজ্ঞ।

আল্লাহ্ এই কোরআন প্রথমে আকাশকে দিতে চায়লো কিন্তু আকাশ নিলো না। সে নিতে অস্বীকার করলো। আপনার কি ধারনা মাবুদ এই কিতাব কোরআনের কথা বলেছে । ধরুন আকাশ এই কোরআন নিলো। আচ্ছা আকাশ এই কোরআন নিয়ে কি করবে? সেকি আপনারে আমাকে পড়ে শোনাবে? নিশ্চয় না। এর পর পৃথিবী কে কোরআন দিতে চায়লো; কিন্তু সেও নিতে অস্বীকার করলো, কেন? পৃথিবী এই কোরআন কি করবে? সেকি আমাদের পড়ে নির্দেশ দেবে, না পড়ে শোনাবে? সেও নিলো না। এবার পর্বতমালার সামনে এই কোরআন আমানত পেশ করলো অতঃপর সেও একে বহন করতে অস্বীকার করল । কেন অস্বীকার করলো? এই কোরআন আসলে কোন কোরআন? কেনই বা পর্বত এই কোরআন নিলো না আর নিলেইবা সেই কোরআন পাহাড়-পর্বত কি করবে। সেকি আমাদের পড়ে শোনাতো? এর উত্তর জানা আছে আপনার? এই কথাটি আল্লাহ কোরআনে বলছে সূরা ইমরান এর ৭ আয়াতে। এই কথাটি মোহকামাত। এই মোহকামাত আপনাকে জানতে হবে। জানলে বলবেন না জানলে আমার কাছে জানবেন। জানতে কোন লজ্জা নাই।

এই জন্য আমি আপনাকে বলেছিলাম আপনি কিতাব কোরআন ও কোরআনুন নাতেক বোঝেন কি না? সামন্য পড়ে আল্লাহর কথার কিংবা কোরআনের ভেক জানতে পারবেন না। আমি আপনার সাথে কি কথা বলবো বলেন। আপনি অতিরিক্ত রগচটা মানুষ। আলোচনা না করে কেবল গালাগালি পাড়ছেন। কিন্তু কেন? আপনি হয়তো যা জানেন তা আমি জানি না। আর আমি যা জানি আপনি তা জানেন না। তবে মানুষ কে না জেনে ইহুদী,খ্রীষ্টিয়ান,কাদিয়ানী বলতে নেই। ইতিহাস দেখলে জানা যায় ঠিক এমন ভাবে যুগে যুগে অনেক নবী,রাসুল,ওলী-আউলিয়,মুরশিদ দের নাজেহাল হতে হয়েছে আপনাদের মত আলেমদের কাছে। তারা যখন সত্য প্রকাশ করেছে ঠিক তখনী আলেমরা তাদের তাচ্ছিল্ল করেছে। অপমান করেছে,মুশরেক কাফের বলে গালাগালি পেড়েছে। আপনি গালাগালি দিলে আমার কিছু যায় আসে না। কেবল উনি বিষয় গুলি দেখছেন, উনি আপনাকে ক্ষমা করুন। আপনার সেই বোধশক্তি হলে আপনি এই ভাবে আমার সাথে গালাগালি পাড়তেন না। যাহোক আপনি আরও বলেছেনঃ অনিক বা মগাচিপরা আপনার পীর হতে পারে। কিন্তু আমার মত মুসলমানরা ঐ অনিক ফনিক আর মগাচিপদের টয়লেট পেপার হিসেবেও ইউছ করি না, যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না ও আল্লাহ নবীর প্রতি অন্ধ আক্রোশে চব্বিশ ঘন্টা পড়ে থাকে। আপনি আরও বলেছেনঃ
আর আল্লাহর কাছে যারা কুকুর শুকরের চাইতেও নিকৃষ্ট আপনার কাছে তারা বিরাট কিছু মর্যাদাবান হতেই পারে, যেহেতু আপনিও তাদের সমগোত্রীয়। তা না হলে আপানার পিছে আমি এত সময় নষ্ট করে এত কিছু বুঝালাম তার পরেও আপনার আবলামী কমে না। ইসলামের ইতিহাস শেষ করে রেখেছি আরো দশ বছর আগে। আর আপনার সাথে আর কি আলাপ করব ? আপননি এক কাজ করেন। ক্লাস স্কুলের ক্লাস থ্রি/ফোরের একটা পিচ্চি ছেলেকে জিজ্ঞেস কইরেন বাবা ইসলাম শব্দের অর্থটা কি ?

নাজিবুললাহ্ ইসলাম শব্দের অর্থটা কি এটা আপনার বললে অসুবিধা কোথায়। ইসলাম মানে কি এটা কিন্তু আপনি বলেন নাই। কেন বলেন না?

২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)

ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আল্লাহর। এটা বলতে তিনি কি বুঝিয়েছে জানেন? তিনি সংরক্ষণ করে ও পাঠ করান। যদি তায় হয় তাহলে তিনি পাঠ করার দায়ত্বি নিয়ে সারা পৃথিবীর কতটা দেশের কত পার্সন মানুষকে তা পাঠ করাচ্ছেন? মাত্র কিছু লোককে পাঠ করাচ্ছে। তাহলে কি বলবো আল্লাহ নিজে পাঠ করানোর দায়ীত্ব নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। (নাউজুবিল্লা) আসলে এই আয়াতটির মোহকামাত জানতে হবে। আপনি না পারলে জানান চেষ্টা করুন। এত সহজ ভাবে কোরআন বোঝা যায়? তাহলে আল্লাহ্ ইমরান এর ৭ আয়াতে বলতেন নাঃ
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, (মোতাশাবেহাত) সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। (মোহকামাত) সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর।

আপনি বলছেন আপনি আমার পিছে অনেক সময় নষ্ট করেছেন। কেমন করে সময় নষ্ট করলেন? আপনার পিছে আমার সময় নষ্ট হয় নাই? আমি আলোচনার মাঝে প্রায় রেফারেন্স দিয়েছি। কিন্তু আপনি এই পর্যন্ত কোন রেফারেন্স দেন নাই। আপনি আমার কথা শুনে রাগ করছেন? এই আলোচনার কোন লিখাতো আমি মুছে ফেলিনাই পাঠককে বলেন তারা দেখে বলুক আপনি আমার কোন প্রশ্নে উত্তর দিয়েছেন। এইযে এখন যে প্রশ্ন গুলি করলাম এই উত্তর ও আপনি দিবে না বরং উল্টে আবারো আমাকে গালা-গালি করবেন। কেন ভাই উত্তর কেন দেন না? আপনার সমস্যটা কোথায়? প্লিজ, শান্তির ধর্মের মানুষ হিসাবে গালা-গালি না করে উত্তর দিয়েন।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৫৭

পাউডার বলেছেন:
@সেলিম জাহাঙ্গীর - আপ্নে বাহাসে গু হারা হার্ছেন! রেফারেন্স কই?

রুজা আইলেই নাস্তিকগো গুয়া জ্বলতে থাকে।
হাস্তে হাস্তে শেষ!

৩১ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কৃতিম পাউডার, রেফারেন্স বহুত দিয়েছি। এটাতো ২য় লেখা। প্রথম টা দেখুন সে কটা উত্তর দিয়েছে। লিংক খুলে দেখুন।
Click This Link

২০| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ উপরের কমেন্ট এ এবার বেশ কিছু বানান ভুল আছে কিছু মনে করেন না। সঠিক করে পড়ে নিয়েন।

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৪

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আল্লাহর। এটা বলতে তিনি কি বুঝিয়েছে জানেন? তিনি সংরক্ষণ করে ও পাঠ করান। যদি তায় হয় তাহলে তিনি পাঠ করার দায়ত্বি নিয়ে সারা পৃথিবীর কতটা দেশের কত পার্সন মানুষকে তা পাঠ করাচ্ছেন? মাত্র কিছু লোককে পাঠ করাচ্ছে। তাহলে কি বলবো আল্লাহ নিজে পাঠ করানোর দায়ীত্ব নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। (নাউজুবিল্লা) আসলে এই আয়াতটির মোহকামাত জানতে হবে। আপনি না পারলে জানান চেষ্টা করুন। এত সহজ ভাবে কোরআন বোঝা যায়?

জ্বি, এত সহজেই কোরআন বুঝা যায়। যদি পূর্ণ কোরআন পড়েন, তবেই। আর কোন দলের নির্দিষ্ট কিছু আয়াত পড়লে কি ভাবে বুঝবেন ? কোন দলের বিভ্রান্তিতে না পরে আপনি যদি পুরো কোরআন পড়তেন তবেই আপনি ইসলাম বুঝতেন। তার প্রমাণ এ আম একটি বাক্যও বলব না, যাষ্ট এ আয়াতের আগের আয়েতটি তুলে দিব। তাহলেই প্রমাণ হযে যাবে যে, কোরআন বুঝতে পুরো কোরআন পড়াই যথেষ্ট। কোন নির্দিষ্ট দলের গোলামী না করলেই হয়। দেখুন এ আয়তের আগের আয়াত ও এ আয়াত দুটি আয়াত আমি একত্রে দিচ্ছি, তাহলেই পানির মত সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

"তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করিবার জন্য আপনি আপনার জিহ্বাকে উহার সঙ্গে সঞ্চালন করিবেন না (আয়াত নং-১৬), ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই।(আয়াত নং-১৭)

দেখলেন তো আপনার প্রশ্নের জবাব এসে গেল ? আমার কোন কথাই বলতে হল না ! আপনি কোরআন পড়েন নি, দেখেই আমার উপস্থাপিত ১৭ নং আয়াত আপনি বুঝতে ব্যার্থ হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তাহলে দুনিয়ার সব লোক তো কুরআন পড়তে পারে না, তাহলে এ আয়াত সত্য হল কি করে, এর উত্তর তার আগের আয়াতেই রয়েছে যে, এটা দুনিয়ার সকল মানুষর ক্ষেত্রে বলা হয় নি, বলা হয়েছে কেবলমাত্র নবী করীম (স:) কে উদ্দেশ্য করে। কারণ কোরআন যখন অবতীর্ণ হত তখন তিনি যাতে ভুলে না যান এই আশংকায় জিহ্বাকে দ্রুত সঞ্চালন করে তাড়াতাড়ি করে বার বার আবৃতি করে মুখস্ত করার জন্য কষ্ট করা শুরু করে দিয়েছিলেন, তখন আল্লাহ বলেন যে, আপনাকে মুখস্ত ও পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই, সুতরাং আপনাকে অযথা কষ্ট করতে হবে না, তাই পাঠ করার ব্যাপারটাতে দুনিয়ার সব মানুষকে বুঝানো হয় নি।

তাই আপনাকে কোরআন বুঝতে হলে, সঠিক ইসলাম বুঝতে হলে পূর্ণ কোরআন পড়তে হবে। মূলত ইসলামের সকল পথভ্রষ্ট দলগলোই এভাবে পূর্বাপর আয়াত উল্লেখ না করে মাঝখান থেকে একটি আয়াত তুলে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ও করতেছে। এমনকি বাংলা ব্লগের যত নাস্তিককূল রয়েছে তাড়াও বিভ্রান্ত ছড়ায় এভাবেই। এককে জায়গা থেকে একেক প্রসংগ বিহীন আয়াত তুলে দিয়ে তথ্যো বিকৃতি ঘটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্ট করে।

তাই বলব ভাই, আপনি পূর্ণ কোরআন পড়েন, তারপরে হাদীস পড়েন দেখবেন ইসলাম কত সহজ, কত সরল কত মধূর আর যদি অন্তরে মুনাফিকী থাকে আর এ মুনাফিকী নিয়েই যদি দোযখে যেতে চান তবে এ সকল মুনাফেক দলগুলোর খপ্পর থেকে কোন দিনই বের হতে পারবেন না।
আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন। আমিন। আর না ভাই, অনেক হয়েছে আমার সময়ের অনেক দাম। ফালতু আলোচনায় সময় নষ্ট করা ইসলামে জায়েজ নেই। আ্ল্লাহ হাফেজ।

০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি আমার আগের একটা প্রশ্নেরও জবাব দেন নাই। আমার প্রশ্ন যুক্ত লিখাটি আবারো পেস্ট করলাম।

নাজিবুল্‌লাহ আপনি বলছেন প্রথমে হাদীস লিখতে বারন করেছিলেন কোরআনের সাথে মিশে যাবার আশাংকায়, যেহেতু তখনও কোরআন লিপিব্ধ করা হয় নি।

হাদীস দিয়ে ধর্ম চলছে সেই ক্ষেত্রে কোরআনের সাথে হাদীস মিসলে অসুবিধা কোথায়? যেমন নামাজ কিভাবে পড়বেন, যাকাত কিভাবে দিবেন, কতভাগ দিবেন এই গুলিতো কোরআনে নাই তায় এ্যাড হলো কোরআন আপনাদের ভাষায় পূর্ণাঙ্গতা পেতো। নাকি কোরআনের সাথে হাদীস মিশলে অসুবিধা আছে? নাকি হাদীস লিখা রিষেধ ছিলো কোন টি?

১। হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?

২।আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।

উপরের হাদীস গুলি কি মিন করে? একটু চিন্তা করে জবাব দিবেন।

২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২

কিছু লোক ছিলো যারা এইভাবে চিন্তা করতো,আমার কথা বা ধারনা যদি সত্য ও ভালো হয়,তবে সেই কথা বা ধারণা আরও বিস্তারিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা মিত্যা হাদীস বানানোর অসুবিধা কি? যেমনঃ
‍''আকীলি, মোহাম্মদ এবনে ছইদ হইতে রেওয়ায়েত করিয়াছেন বাক্যটি যদি সৎ হয়, তবে তজ্জন্য একটা সূত্র-পরম্পরা গড়িয়া লওয়াতে, অর্থাৎ মিত্যা করিয়া তাহাকে হাদীসে পরিণত করাতে কোন দোষ নাই।তিমমিজি বলেন, আবু মোকাতেল খোরাছানী লোকমান হাকিমের উপদেশ সম্বন্ধে আওন-এবনে-শাদ্দাদ হইতে বহু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেন। ইহাতে তাঁহার ভ্রাতুস্পুত্র তাঁহাকে বলিলেন, আপনি আওন আমাকে বলিয়াছেন এরুপ কথা বলিবেন না। কারণ আওনের নিকট হইতে আপনি ঐ সকল হাদীস শ্রবণ করেন নাই। ভ্রাতুস্পুত্ত্রের কথা শ্রবণ করিয়া আবু মোকাতেল বলিলেন, ইহাতে দোষ কি বাবা? এই কথাগুলি তো খুবই ভালো।----চরকাশী-আমাদের গুরু ও 'মাফহুম' রচয়ীতা আব আব্বাহ্ যাহা বলিয়াছেন, তাহা আরও বিস্ময়জনক। তাঁহারা বলেন,কিয়াছবাদী ফেকাওয়ালাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বলেন যে, কিয়াছের দ্বারা কোন কথা প্রমাণিত হইয়া গেলে, সেই কথাকে হাদীসে পরিণত করার জন্য, হজরতের নামে অর্থাৎ হজরত বলিয়াছেন বা করিয়াছেন এইরুপ বলিয়া একটা মিথ্যা সনদ গড়িয়া লওয়া জায়েজ।
---(মোস্তফা চরিত, পৃষ্ঠা ৯১-৯২)
উপরের উদ্ধৃতি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, অনেক লোকের ধারণা অনুযায়ী, কোন ভালো বা যুক্তিসংগত বিষয় মানব সমাজের মধ্যে উপস্থাপন করতে গেরে সেই বিষয় সম্পর্কে মিথ্যা সনদসহ জাল হাদীস করার কোন অসুবিধা নেই বরং জায়েজ।

লোকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে হাজার হাজার নয় বরং লক্ষ লক্ষ জাল হাদীস তৈরী করিয়াছে। হাম্মাদ বিন যায়েদের বর্ণনামতে একমাত্র যানাদুকারাই চৌদ্দ হাজার জাল হাদীস রচনা করিয়াছিল। ইহাদের মধ্যে আব্দুল করিম অজ্জা নিজেই স্বীকার করিয়াছে যে, সে চার হাজার জাল হাদীস রচনা কারিয়াছিল। অনেক নির্ভরযোগ্য দরবেশ শ্রেণীর লোকও মানুষকে ধর্মের প্রতি উৎসাহিত করিবার সৎ উদ্দেশ্য নিয়া ফাযায়েল মূলক হাদীস তৈরী করিয়াছিল। হাফেজ যয়নুদ্দীন ইরাকী লিখিয়াছেন- এই সমস্ত দরবেশের তৈরী হাদীসই সব চাইেতে বেশী ক্ষতিকর হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। কারণ সাধারন্যে তাহাদের লেবাছ, পোশাক ও চাল চলন দেখিয়া মনে করার উপায় ছিল না যে, এই সমস্ত লোকও ভূয়া হাদীস তৈরী করিতে পারে। সুতরাং সাধারণ লোক তাহাদের তৈরী হাদীস গুলিকেই সহীহ্ হাদীস বলিয়াই ধরিয়া লইয়াছিল।''-----(আবু হানিফা, পৃষ্ঠা ২১৮)

আপনাকে অনেক বলা যায় হাদীস সম্পর্কে কিন্তু লাভ কি বলে আপনাকে। আপনর হৃদয় ও চুক্ষুতে আল্লাহ্ শীল মোহর এটে দিয়েছেন। আপনারা চোখে ভালো কিছু দেখবেন না। কোরআনের সঠিক আয়োত দেখবেন না। আসুন দেখি হাদীস লিখতে কোরআন স্বীকৃতি দেয় নাকি।

১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।

(ক) রাসুল কে আকড়ে ধরতে বললো 'কোরআন' তাকে ছাড়া আশ্রয় পাবে না। আপনি কোরআন ছাড়া আশ্রয় পাবেন?

২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।

(খ) এই খানে, আল্লাহ রাসুল কে বলছে সে তাঁকে কবিতা শিক্ষা দেয় নাই। রাসুলকে কবিতা শিক্ষা দিলে সে কি হত নিশ্চয় কবি হত, কিংবা কবিতা রচানা করতো কাব্য রচনা করতো। অথচ তাঁকে আল্লাহ্ বলছে স্পষ্ট উপদেশের কথা, তা হচ্ছে কোরআন।

৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।

(গ) এই সূরাতে আল্লাহ্ বলছে কোরআনের পূর্বে রাসুল কোন কিতাব পাঠ করেননি। এবং তার ডান হাত দিয়ে কোন কিতাব লিখেনী, যদি সে কিতাব লিখতো তাহলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করতো। এই আয়াতে কি বোঝা যায় না যে, রাসুল হাদীস লিখলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত! এই কথাই আল্ল্হ্ বলেছে? এই কারনে রাসুল এমনকি তার খলিপারাও হাদীস লিকে নাই।

কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না তা জানতে হবে; তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন কিবলে চলুন দেখি

৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।

উপরের এই আয়াতে কি বুঝলেন? যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে। এরা কারা যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের কি বলে চলুন দেখি।

৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।

আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।

৬। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

উপরের এই আয়াতে কিন্তু আল্লাহ্ হাদীস দিয়ে ফয়সালা করতে বলেন নাই। বলেছে সকল কিছু কোরআন দিয়ে ফয়সালা করতে। টিভি চ্যালেন গুলিতে আজ আর কোরআন দিয়ে ফয়সালা হয় না, হয় হাদীস দিয়ে।

৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।

আসলে মানুষ তর্ক প্রিয় যেমন আপনি করছেন না জেনে। হাসীদ চরনা করাকে কোরআন ও হাদীস কেউ সমর্থন করে না। নাজিবুল্‌লাহ আসুন দোয়া করি যেন আল্লাহ্ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার জ্ঞান দান করেন---আমেন
৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩
নাজিবুল্‌লাহ
আপনি নিজেকে জ্ঞানি ভাবছেন খুব ভালো আল্লাহ্ আপনাকে আরও জ্ঞান দান করুন--আমেন
কথাহলো আমি যদি কোন দেশ সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে আমার সর্ব প্রথম কি করতে হবে। সেই দেশের ইতিহান, নাকি হাদীস? নিশ্চয় সেই দেশের ইতিহাস। ইসলামকে জানলে আগে আরবের ইতিহাস জানুন, কারবালার ইতিহাস জানুন;তারপর হাদীস পড়েন কারন হাদীস গুলিও গল্পের মত মানুষের মুখে মুখে ছিলো। মুয়াবিয়া ইয়াজিদের অনুসারী হয়ে বসে ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রাম করছেন? ভালো কিন্তু আপনার জানা দরকার যে কারবালা যুদ্ধে কি হয়েছিলো। আদো জানেন নাকি জানার প্রয়োজন মেন করেন নাই। আমি কোন কথা শুনে বলি না। পড়ে বলি। কারবালা যুদ্ধের পর ইসলামের ইতিহাস যে ভুলণ্ঠিত তা জানতে হবে।
ইসলামের ইতিহাস রক্তের ইতিহাস। খেলাফত মাওলাইয়াতকে ধ্বংস করার জন্য যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল তাহাই ইসলামের ইতিহাসকে রক্তের ইতিহাসে পরিনত করেছে। উমাইয়া এবং আব্বাসীয় রাজতন্ত্রের যুগে কোরআন তাফসীরের সকল পরিবর্তন ঘটেছে তাহার সংশোধন করে নেয়া তেমন কঠিন কাজ নয়। স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ মন নিয়া জ্ঞানী ওয়াকিবহাল ব্যক্তিগণ হতে প্রকৃত ত্ফসীর উদ্ধার করল্ইে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু মাওলাইয়েতকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে পার্থিব খেলাফত কোরআন প্রকাশের উপর যেই সকল অপকীর্তি করেছে তাহা বিশেষ ভাবে দ্রষ্টব্য। এক শ্রেণীর জালেম, আলেম বেশ ধরে নায়েবে রাসুল সেজে ইয়াজিদ এর মতবাদ তথা শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্মকে মুহাম্মাদী ইসলাম বলে সমাজে চালাচ্ছে। তাদের দল সমাজে অনেক বেশী, যেমন ছিল কারবালায় ইয়াজিদ পন্থী মুসলমান এবং হুসাইন (রাঃ) পন্থী তথা মোহাম্মাদী ইসলাম পন্থী মুসলমান। কারবালায় ইয়াজিদের লোকসংখ্যা ৩০ হাজার। এরা সবাই কলেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত পালন করতো। ইমামতি করতো, খুৎবাহ্ দিত। ঐ ৩০ হাজার ইয়াজিদদের সৈন্যদের মধ্যে আড়াইশত কোরআনের হাফেজ ছিল, তাফসিরকারকও ছিল। অপর পক্ষে হুসাই (রাঃ) এর পক্ষে ছিল মাত্র ৭২ জন। অথচ ইমাম হুসাইন (রাঃ) তাদেরকে মুসলমান বলে স্বীকার করেননাই। তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেনঃ ”আলাইছা ফি মুসলিমুন?” তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই? সেনাপতি হুর তার ভাই, গোলামসহ ত্রিশ জন অনুচর নিয়ে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর পক্ষে এসেযোগদান করলেন। এখানেই আসল ও নকল মুসলমানের পরিচয় করিয়ে দিলেন ইমাম হুসাইন (রাঃ)। ইমাম হুসাইন (রাঃ) শহীদ হবার পর ইয়াজিদ এবং তার সহযোগিরা ইসলামের মূল শিক্ষা বর্জন করে তাদের মতবাদ তাদেরর স্বার্থের অনুকুল্যে ব্যবহার এবং প্রচার করেছিল, প্রয়োজনে হাদীস তৈরী করতো। ফতোয়া দিত তার স্বার্থ ও তারপ্রচারিত মতবাদের পক্ষে। ঐ শিক্ষাই অদ্যাবধি অধিকাংশ মানুষ দিচ্ছে এবং গ্রহণ করছে আজও অবধি। কারণ ইয়াজিদ ও তার সতীর্থরা মৃত্যুর করাল গ্রাসে পতিত হলেও তাদেরপ্রেতাত্মাগুলো সহস্র-লক্ষ ভাগে বিস্তার লাভ করে আছে মুসলিম সমাজে। শুধু বাহ্যিক আচার নিষ্ঠা নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত ও কলেমা ইত্যাদিই ইসলাম এ কথা ইয়াজিদ ও তার অনুসারীগণ প্রচার করছে। উমাইয়া বংশের মালিক ইবনে মারওয়ান মদীনায় গিয়ে নবীজির রওজা মোবারকে থাকতো আর সর্বদা তাসবীহ্ তাহলীল ও কোরআন তেলওয়াত করতো। কিন্তু মূলে তার উদ্দেশ্য ছিল মসজিদে নব্বীতে উমাইয়া শয়তানির বিরুদ্ধে মদীনা লোকেরা কি বলে সে দিকে নজর রাখা এবং গোপনে তা দামেস্কে উমাইয়া রাজ দরবারে পাঠিয়ে দেয়া। এর মুনাফিকীর কারণে মদীনার বার হাজার চারশত সাতানব্বই জন লোক মারা যায়। তার মধ্যে ৭০০ জন ছিলো কোরআনের হাফেজ। শধু তায় নয় অবলিলায় অনেক মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয় ফলে এক হাজার মহিলা অবৈধ সন্তান প্রসব করেছিল। এরাই প্রবর্তন করেছিল জপ-তপ, হাজার বার, লক্ষ বার অজিফা জপ করার রীতি। তাদের দ্বারা এবং তাদের অনুসাররী মোল্লা-মৌলবীদের দ্বারা মোহাম্মাদী ইসলামের যে ক্ষতি হয়েছে তা জ্ঞানীগণ মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করছে এবং তার কারণে আজও মুসলমানগণ বিশ্বেও অন্যাণ্য জাতীর পিছনে পড়ে আছে। এই ফিরিস্তি অনেক বড় এত অল্প সময়ে আপনাকে বোঝানো যাবে না। আর একটি কথা জেনে রাখবেন যে ব্যাক্তি স্ব-ধর্মে কিতাব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করে, ধর্মের গভিরে যেতে চায় এবং ধর্ম তার কাছে বেশী পাবেন। সে ধর্মের আত্ম সমালোচনা করে তার অর্থ এই নয় সে রাশেদ খলিফার অনুসারী। আপনারাই কোরআন নিয়ে রাদেশ খরিফার ১৯ সংখ্যার মিরাকলের কথা বয়ান করে থাকেন। আপনাদের মত ধর্ম জান্তারাই যুগে যুগে ইসলামের নেতাদের নবীদের মানে নাই; তাদের মুশরেক কাফের উপাদী দিয়েছে। যখনি কোন নবী এসছে কোন মুরশিদ এসেছে তখন তাকে বলেছে ভন্ড। তার কথা শুনতে চায়নি। ঈশা (আঃ) যখন আসলো তখন আপনারা বললেন তুই কেরে ব্যাটা, সে বললো আমি আল্লাহ্ রাসুল। ইমামরা হেসেছে তার কথা শুনে, তাকে ঠাট্টা করেছে,উপহাস করেছে। আর আমি সেলিম জাহাঙ্গীর তাদের কাছে ধুলিকণা। আমি ধর্ম জানি না কেবল ছাত্র। আর আপনারা হলেন মাস্টার। কিন্তু মাস্টারদের আচরণ এমন হওয়াটা ঠিক, সেই সব ভন্ড আলেমদের মত? তারা কেবলী নিজেদের জাহির করতো। তাদের কাজ ছিলো ধর্ম তাদের মত করে প্রচার করা। কেউ তাদের ভালো কথা বললেই তাদের উপাধী দেওয়া হত মুশরেখ,কাফের,মুরতাদ। আল্লাহ একটি মানুষের কি দেখবেন অনুষ্ঠান সর্বস্ব নামাজ,রোজা,জাকাত নাকি মনে তাকুয়া? ধর্ম কি সেটা আগে ভালো করে জানুন। সেই জন্য আপনাকে অনেক বই পড়তে হবে। কেবল দুটো হাদীসরে বই পড়ে লেকচার দিলে হবে না। প্রথমে বেদ,শ্রী-মত ভগবত গীতা, ত্রীপিটক গীতা, তৌরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল এগুলিও পড়তে হবে। আপনার ধারনা নিয়ে কেবল বসে থাকলে হবে না। আল্লাহর বিধান যুগে যুগে এসছে সেগুলিকে জানুন। কোরআনের সকল ঘটনাকে আল্লাহ দুই ভাবে প্রকাশ করেছে,এক মোতাশাহাত আর একটি হচ্ছে মোহকামাত। এই মোতাশাহাত আর মোহকামাত যে দিন বুঝবেন সেই দিন কিন্তু আপনি প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব পালন করবেন আর আমি সেলিম আপনার ছাত্র থাকবো। ধর্ম জানা ভালো তবে অহংকার ভালো না।
এবার বলুন আপনি কাদিয়ানীদের ১০০% কাফের বলেছেন। আমার প্রশ্ন এই রমজান মাসে একটি সত্যি কথা বলবেন আপনার আল্লাহ্ র কসম আপনি বলুনতো আপনি কাদিয়ানীদের সম্পর্কে যে কমেন্ট করলেন তাদের কয়টা বই পড়েছেন। কিসের ভিত্তিতে তাদের কাফের বলরেন? আপনি হিন্দুদের কয় টা বই পড়েছেন, খ্রীষ্টিয়ান দের কয়টা বই পড়েছেন, ইহুদিদের কয়টা বই পড়েছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে আগে সেগুলি জানুন। পৃথিবীতে সকল মানুষের প্রতি আল্লাহর রমতের সু-দৃষ্টি আছে এটা আপনি বিশ্বাস করেন? অনেক জানুন এবং জানান কারনে অহংকার করুন। অহংকার করা ভালো কিন্তু অহংকার থাকা ভালো না। আল্লাহ অহংকারী পছন্দ করে না। আমি চায় আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন

এই গুলি কেন দিলাম। এর উত্তর কিন্তু আপনি এখনো দেন নাই। কেবল গুচি মাছের মত পিছলাচ্ছেন।

২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৬

নজিবুল্লাহ বলেছেন: সরি, কমেন্টের প্রথমাংশ বাদ পড়ে গেছে। আবার পূর্ণ কমেন্টি দিলাম।

০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৩৭

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ইসলাম ধর্মের পূর্বে আল্লাহ পাক যত ধর্ম প্রেরণ করেছিলেন সবই বাতিল
এর কোন দলিল আপনি এখনো দেন নাই। ধর্মগুলি যে বাতিল তা কোরআনের আয়াত দিয়ে দেখাতে হবে।

২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৭

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ভাই, আপনার যদি সত্যকে জানার সদিচ্ছা থাকে তাহলে এখন আমার কাছে আপনি যেই ধরা টা খাবেন এর পরে আর কোন দলের দালালী না করে দয়া করে কোরআন হাদীস পড়বেন। তাহলেই আপনি সৎ পথ পাবেন। দেখেন আল্লাহ পাক সত্যের কাছে মিথ্যাকে কিভাবে পর্যদস্তু করেন। আপনি কোরআন অনলী গ্রুপ থেকে যা কিছু জেনেছেন তাই আপনার সম্বল। এর বাহিরে আপনি ইসলামের একটি অক্ষরও জানেন না। দেখেন আপনার কথা দ্বারাই আপনি কিভাবে ধরাটা খান।

আপনি যেই আয়াতটি উল্লেখ করলেন, তাতেই স্পষ্টভাবে আপনি হাতেনাতে ধরাটা খেলেন। দেখেন আয়াত টিতে কি আছে। আপনার উদৃতিটাই আমি কপি পেষ্ট করছি-

" তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।"

দেখেন ভাই এ আয়াতে আল্লাহ পাক স্পষ্ট বলতেছেন, যে যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে তারাই শুধু ফেতনা তৈরী করার জন্য এ সকল আয়াতের ব্যাখ্যা খুজতে যায়। কিন্তু এ সকল আয়াতের ব্যাখ্যা একমাত্র আল্লাহ ব্যাতিত আর কেহই জানেনা। আর যারা মুমিন তারা শুধু এ সকল আয়াতের উপরে ইমান আনে আর বলে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, আমারা তার উপর ইমান আনলাম। কিন্তু তারা এ সকল আয়াতের ব্যাখ্যা খুজতে যায় না।

তাহলে আপনি কেন বললেন, "

এই রুপক কঅর্থ গুলি জানান চেষ্টা করুন।]

যেখানে আল্লাহ স্পষ্ট বলতেছেন যাদের অন্তরে বক্রতা রয়েছে তারাই এ সকল রুপক আয়াতের ব্যাখ্যা খুজতে যায়। আর আপনি যে দলের বেকুব তোতা পাখি তাদেরও অন্তরেও বক্রতা রয়েছে, এ জন্যেই আপনিও আমাকে এ সকল রুপক আয়াতের অর্থ জানার জন্য বলতেছেন।

এবার বলুন নিজের কথা দ্বারাই এমন রাম ধরা খাবার পরও কি আপনার কোন লজ্জা শরম হবে না ?

এবার আসি উক্ত আয়াতের তাফসীরে। উক্ত আয়াতে স্পষ্ট ভাবেই বলা হচ্ছে যে, কোরআনের অধিকাংশ আয়াত হল স্পষ্ট আর কিছু আয়াত হল রুপক। এখন কথা হল উক্ত রুপক আয়াতগুলো কোন গুলো ?

আ্ল্লাহ পাক কোরআন কে সংরক্ষন করবেন এটা কখনো বিকৃত হবে না, এই যে আল্লাহ পাকের ওয়াদা সম্বলিত দুটি আয়াত, এ দুটি আয়াতটি উক্ত রুপক আয়াতসমূহের অন্তর্গত, নাকি এ দুটি আয়াত অধিকাংশ স্পষ্ট আয়াতের অন্তভূক্ত।

আপনি নাকি সাম্বাদিক মানুষ। আমি জানিনা আপনি বাংলা ভাষা বুঝেন কিনা। বাংলায় আপনি স্কুলে কোন পর্যন্ত পড়া লেখা করেছেন আমি জানি না। তবে আপনার উক্তিতে বলে যে আপনি মেট্রিক পাশও করেন নি। কারন যে রুপক শব্দ এর অর্থ বুঝে না, তাকে কি করে মেট্রিক পাশ বলা যায় ? রুপক হল যার অর্থ স্পষ্ট নয়। বরং তা একটি ঘোলাটে অর্থ। এখন আপনি বললেন যে, উক্ত দুটি আয়াত রুপক আয়াতের অন্তর্ভূ্ক্ত। কেন ? উক্ত আয়াত দুটির অর্থ বুঝতে কি কারো কোন সমস্যা হচ্ছে ? যে কোন মেট্রিক পাশ মানুষই উক্ত আয়াতদুটির অর্থ বুঝবে। আমি আবাও আয়াতদুটি উল্লেখ করছি।

১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)

২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)


একেবারে স্পষ্ট দুটি আয়াত। এখন কেহ যদি বলে যে, এগুলো হল রুপক আয়াত তাহলে কি করে তাকে মেট্রিক পাশ শিক্ষিত বলা যায় ?

মূলত আল্লাহ পাক রুপক আয়াত বলতে যে সমস্ত আয়াতের কথা বলেছেন, তা হল আল্লাহ পাকের যাত বা সত্ত্বা সম্পর্কিত আয়াত সমূহ। যেমন আল্লাহ পাক কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহর হাত, পা, আল্লাহর শ্রবন, আল্লাহ আরশ এগুলোর উল্ল্যেখ করেছেন। এগুলো হল কোরআনের রুপক আয়াত। কারন আল্লাহর হাত-পা কেমন আল্লাহর আরশ কেমন এগুলো কোন মানুষ কল্পনা করতে পারবে না ।তাই আল্লাহ পাক এগুলোকে রুপক আয়াত বলেছ্নে, আর বলে দিয়েছেন যে, যাদের অন্তরে বক্রতা রয়েছে তারাই এ সকল রুপক আয়াতের ব্যাখ্যা খুজতে যায়। আর যারা ইমানদ্বার তারা এ সকল আয়তের কোন ব্যাখ্যা খুজতে যায়না । বরং তারা বলে আমরা এ সকল আয়তের উপর বিশ্বাস করলাম। কিন্তু এ সকল আয়াতের সঠিক অর্থ অর্থাৎ আল্লাহ পাকে হাত পা কেমন, আরশ কেমন এগুলো একমাত্র আ্ল্লাহ পাকই জানেন্ আর কেহ জানেন না।

অথচ আপনি আমাকে এই রুপক আয়াতগুলো ব্যাখ্যা জানতে বলতেছেন। যে্ই কাজকে আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় মুনফিকদের কাজ বলেছেন। মুলত ইসলামের মূল দল থেকে বিচ্ছিন যত দল গুলো যুগে যুগে উদ্ভব হয়েছিল প্রত্যকটি দলই মূলত এসকল রুপক আয়াতের অর্থ-ব্যাখ্যা খুজতে গিয়েই হয়েছিল। যেমন মুতাজিলারা। আর আপনিও আমাকে সেরকম মুনাফিক হয়ে এ সকল রুপক আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে বলতেছেন। যেহেতু আপনি যে দল দ্বারা বিভ্রান্ত, সেই কোরআন অনলি গ্রুপও এ রুপক আয়তের অর্থ খুজতে গিয়েই পথভ্রষ্ট হয়েছে। তাই আপনিও সে পথেই হাটছেন। এ জন্যেই নবী কোন আয়াতের কি অর্থ করেছেন, নবীর সাহাবাগণ কি অর্থ করেছেন, তা জানতে হবে, এ জন্যেই কুরআন বুঝতে হলে হাদীস এ বিশ্বাস রাখা আবশ্যক। নচেত এমন বিভ্রান্তর অর্থের পিছনে পড়ে পথভ্রষ্ট হতে হয়।

এবার আমি এমন একটি প্রমান দেখাচ্ছি, যা দ্বার পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, আপনি ইসলাম বা আরবীর ক, খ ও পারেনা। আপনি শুধুই কোরআন অনলী গ্রুপের ওয়েব ছাইট থেকে যা শিখেছেন, তাই তোতা পাখির মত আওড়িয়ে যাচ্ছেন।

আপনি লিখেছেন ,
তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, (মোতাশাবেহাত) সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। (মোহকামাত)


দেখেন আপনি কত বড় মূর্খ তোতা পাখি ! মুহকামাত অর্থ হল সুস্পষ্ট আর মুতাশাবিহাত অর্থ হল রুপক। অথচ আপনি না জানার কারনে সম্পূর্ণ উল্টিযে ফেলেছেন। যেহেতু আপনি আলিফ, বা, তা ছা ও পারেন না, শুধু তাদের ওয়েব ছাইটের তোতা পাখিই আপনি।


ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আল্লাহর। এটা বলতে তিনি কি বুঝিয়েছে জানেন? তিনি সংরক্ষণ করে ও পাঠ করান। যদি তায় হয় তাহলে তিনি পাঠ করার দায়ত্বি নিয়ে সারা পৃথিবীর কতটা দেশের কত পার্সন মানুষকে তা পাঠ করাচ্ছেন? মাত্র কিছু লোককে পাঠ করাচ্ছে। তাহলে কি বলবো আল্লাহ নিজে পাঠ করানোর দায়ীত্ব নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। (নাউজুবিল্লা) আসলে এই আয়াতটির মোহকামাত জানতে হবে। আপনি না পারলে জানান চেষ্টা করুন। এত সহজ ভাবে কোরআন বোঝা যায়?

জ্বি, এত সহজেই কোরআন বুঝা যায়। যদি পূর্ণ কোরআন পড়েন, তবেই। আর কোন দলের নির্দিষ্ট কিছু আয়াত পড়লে কি ভাবে বুঝবেন ? কোন দলের বিভ্রান্তিতে না পরে আপনি যদি পুরো কোরআন পড়তেন তবেই আপনি ইসলাম বুঝতেন। তার প্রমাণ এ আম একটি বাক্যও বলব না, যাষ্ট এ আয়াতের আগের আয়েতটি তুলে দিব। তাহলেই প্রমাণ হযে যাবে যে, কোরআন বুঝতে পুরো কোরআন পড়াই যথেষ্ট। কোন নির্দিষ্ট দলের গোলামী না করলেই হয়। দেখুন এ আয়তের আগের আয়াত ও এ আয়াত দুটি আয়াত আমি একত্রে দিচ্ছি, তাহলেই পানির মত সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

"তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করিবার জন্য আপনি আপনার জিহ্বাকে উহার সঙ্গে সঞ্চালন করিবেন না (আয়াত নং-১৬), ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই।(আয়াত নং-১৭)

দেখলেন তো আপনার প্রশ্নের জবাব এসে গেল ? আমার কোন কথাই বলতে হল না ! আপনি কোরআন পড়েন নি, দেখেই আমার উপস্থাপিত ১৭ নং আয়াত আপনি বুঝতে ব্যার্থ হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তাহলে দুনিয়ার সব লোক তো কুরআন পড়তে পারে না, তাহলে এ আয়াত সত্য হল কি করে, এর উত্তর তার আগের আয়াতেই রয়েছে যে, এটা দুনিয়ার সকল মানুষর ক্ষেত্রে বলা হয় নি, বলা হয়েছে কেবলমাত্র নবী করীম (স কে উদ্দেশ্য করে। কারণ কোরআন যখন অবতীর্ণ হত তখন তিনি যাতে ভুলে না যান এই আশংকায় জিহ্বাকে দ্রুত সঞ্চালন করে তাড়াতাড়ি করে বার বার আবৃতি করে মুখস্ত করার জন্য কষ্ট করা শুরু করে দিয়েছিলেন, তখন আল্লাহ বলেন যে, আপনাকে মুখস্ত ও পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই, সুতরাং আপনাকে অযথা কষ্ট করতে হবে না, তাই পাঠ করার ব্যাপারটাতে দুনিয়ার সব মানুষকে বুঝানো হয় নি।

তাই আপনাকে কোরআন বুঝতে হলে, সঠিক ইসলাম বুঝতে হলে পূর্ণ কোরআন পড়তে হবে। মূলত ইসলামের সকল পথভ্রষ্ট দলগলোই এভাবে পূর্বাপর আয়াত উল্লেখ না করে মাঝখান থেকে একটি আয়াত তুলে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ও করতেছে। এমনকি বাংলা ব্লগের যত নাস্তিককূল রয়েছে তাড়াও বিভ্রান্ত ছড়ায় এভাবেই। এককে জায়গা থেকে একেক প্রসংগ বিহীন আয়াত তুলে দিয়ে তথ্যো বিকৃতি ঘটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্ট করে।

তাই বলব ভাই, আপনি পূর্ণ কোরআন পড়েন, তারপরে হাদীস পড়েন দেখবেন ইসলাম কত সহজ, কত সরল কত মধূর আর যদি অন্তরে মুনাফিকী থাকে আর এ মুনাফিকী নিয়েই যদি দোযখে যেতে চান তবে এ সকল মুনাফেক দলগুলোর খপ্পর থেকে কোন দিনই বের হতে পারবেন না।
আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন। আমিন। আর না ভাই, অনেক হয়েছে আমার সময়ের অনেক দাম। ফালতু আলোচনায় সময় নষ্ট করা ইসলামে জায়েজ নেই। আ্ল্লাহ হাফেজ।

০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনার কথা আমি বুঝি না এটা ঠিক নয়। এবং আল্লাহ্ আমাকে কোরআন পুরোটা জানার ও মানার তৌফিক দিয়েছে। আমি আপনার দুটি আয়অত আবারো দিলাম। কে ভুল করেছে। দেখুনঃ

১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)

২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)

এই আয়াত আপনি পুরোটা লেখেননী। এটা আমার কাধে ফেলছেন কেন। আপনি সেই কোরআনের ভাষায় ফেৎনা সৃষ্টি কারী। আয়াত লিখলে পুরো টায় লিখবেন।

আর আমার প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনি সেই শুরু থেকে একটার দেন নাই। দিয়েছেন কি? আবারো প্রশ্ন করলাম
১। ইসলাম মানে কি?
২। কিতাব কোরআন বোঝেন? কিতাব কোরআন কাকে বলে।
৩। কোরআনুন নাতেক কি?
৪। সূরা আহযাব ৩৩:৭২ আয়াতঃ
إِنَّا عَرَضْنَا الْأَمَانَةَ عَلَى السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ أَن يَحْمِلْنَهَا وَأَشْفَقْنَ مِنْهَا وَحَمَلَهَا الْإِنسَانُ إِنَّهُ كَانَ ظَلُومًا جَهُولًا
অর্থঃ আমি আকাশ পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই (কোরআন) আমানত পেশ করেছিলাম, অতঃপর তারা একে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা বহণ করল। নিশ্চয় সে জালেম-অজ্ঞ।

আল্লাহ্ এই কোরআন প্রথমে আকাশকে দিতে চায়লো কিন্তু আকাশ নিলো না। সে নিতে অস্বীকার করলো। আপনার কি ধারনা মাবুদ এই কিতাব কোরআনের কথা বলেছে । ধরুন আকাশ এই কোরআন নিলো। আচ্ছা আকাশ এই কোরআন নিয়ে কি করবে? সেকি আপনারে আমাকে পড়ে শোনাবে? নিশ্চয় না। এর পর পৃথিবী কে কোরআন দিতে চায়লো; কিন্তু সেও নিতে অস্বীকার করলো, কেন? পৃথিবী এই কোরআন কি করবে? সেকি আমাদের পড়ে নির্দেশ দেবে, না পড়ে শোনাবে? সেও নিলো না। এবার পর্বতমালার সামনে এই কোরআন আমানত পেশ করলো অতঃপর সেও একে বহন করতে অস্বীকার করল । কেন অস্বীকার করলো? এই কোরআন আসলে কোন কোরআন? কেনই বা পর্বত এই কোরআন নিলো না আর নিলেইবা সেই কোরআন পাহাড়-পর্বত কি করবে। সেকি আমাদের পড়ে শোনাতো? এর উত্তর জানা আছে আপনার?

এই চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলে আপনার সাথে বাহাস হবে আর নয়তো এখানেই বিদায়। এর আগেও আমার কোন প্রশ্নের উত্তর দেন নাই। আমি জানি আবারো আপনি উত্তর দিবেন না। এই কথাটা আপনাকে অনেকবার বললাম। আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর নাদিয়ে কেবল প্রশ্নগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:১২

নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনার প্রতিটি প্রশ্নের আমি উত্তর দিয়েছিলাম কিন্তু হয় আপনি বাংলা বুঝেন না, নয়ত একটা বাচ্চা ছেলেরও যেই জ্ঞান ধারণ ক্ষমাত সম্পন্ন ব্রেন আছে আপনার তা নেই অথবা আপনি সত্যিই বুদ্ধি প্রতিপবন্ধি বা কমনসেন্স বিহীন কোরআন অনলীদের অন্ধ অনুগত । আপনি যেমন কপি পেষ্ট করে প্রশ্নগুলো আবার করলেন আমিও আগে যেই যেই উত্তর গুলো দিয়েছিলাম তাই আবার কপি পেষ্ট করলাম। আপনার বুঝ ক্ষমতার স্বল্পতার দরুন হয়ত আমাকে দু চারটি কথা আরেকটু বেশী বলতে হবে। ওয়েল। নো প্রবলেম ।আমার নবী বলেছেন মানুষের বুঝ ক্ষমতা অনুযায়ী তাকে দ্বীন বুঝাও। আমি আবারও আপনাকে অ, আ বুঝাতে বসলাম।আপনার প্রতিটি পশ্নের উত্তর আমি আলাদা আলাদ কমেন্ট করে দিচ্ছি।

১নং প্রশ্ন : হাদীসকে কেন কোরআনের সাথে মিশানো হল না :


কোরআন হল ওহী মাতলু (যার ভাব ও ভাষা উভয়টাই আল্লাহর)। আর হাদীস হল ওহী গায়রে মাতলু। (যার ভাব আল্লাহর ভাষা নবীর (স। ওহী মাতলু দিয়ে নামাজ পড়া যায়। কিন্তু ওহী গায়রে মাতলু দিয়ে নামাজ পড়া যায় না্ তাই একটার সাথে আরেকটার মিশ্রন ছিল দোষনীয় এবং এ জন্যেই লিখতে বারণ করা হযেছিল। তবে উভয়টাই ওহী এবং ওহীর উপরে পরিপূর্ণ বিশ্বাস না আনলে সে মুমিন নয়।

(আরেকটু সংযোজন করি) : যারা কোরআন-হাদীস উভয়টিই পড়েছেন তারা ভাল করেই জানেন যে, দুটির ভাষার বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদা। কোরআনের ভাষা একটি অলৌকিক ভাষা যে ভাষার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কোরআনের ক্ষুদ্র একটি সূরা রচনা করতে অক্ষম হয়েছে তৎকালীন সব বড় বড় কবি-সাহিত্যিকগণ এবং দেড় হাজার বছরের আরবী ভাষা পন্ডিত গণ। এটি কোরআনের একটি আলাদ মুজিজা। এর ভাষা শৈলী এক অনন্য রুপমায় রুপায়িত। নবী হলেন একজন মানুষ। তার ভাষা আর আল্লাহ যে ভাষায় কোরআন পাঠিয়েছেন এ দু ভাষার কাঠামো কখনোই এক হতে পারে না। এখন যদি ৩০ পারার ১৪৪ টি সূরা আর সিহাহ সিত্তার লক্ষ লক্ষ হাদীস এ দুটিকে যদি সরবত বানানোর মত একেবারে এক করে ফেলা হয় একটার সাথে আরেকটাকে মিলিয়ে তাহলেও যে কোন মাদ্রাসার ছাত্র এ দুটিকে আবার আলাদা করে ফেলতে পারবে। কারন দুটির ভাষার মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে সেটা তারা ভাল করেই যানে। তাই কোরআনের ভাষা আর নবীর ভাষা কখনোই এক হওয়া সম্ভব নয়।

দ্বিতীয় কথা হল কোরআন এ সর্বশেষ ধর্ম ইসলাম ধর্মের পূর্নাঙ্গ বিধান পুংখানুপুঙ্খ রুপে সবিস্তারে বর্ণিত হয়নি। বরং কোরআনে ইসলাম ধর্মের মূল নীতি গুলো আলোচিত হয়েছে। যেমন দেশের সংবিধানে সব কিছু থাকে না, যাষ্ট মূলনীতি গুলো থাকে। আর কোরআনের এ মূলনীতিগুলোকে বাস্তবে আমল করিয়ে উম্মতকে শিখিয়ে দেবার জন্য নবীকে আদেশ দেয়া হয়েছে। নবী তার বাস্তব আমল দিয়ে নামজ কিভাবে পড়তে হবে, যাকাত কতটুকু দিতে হবে, রোযা কিভাবে রাখতে হবে, প্রতিবেশির সাথ কি আচরণ করতে হবে, বাবা হিসেবে, স্বামী হিসাবে, সমাজ সংস্কারক হিসেবে, যুদ্ধের সেনাপতি হিসেবে, রাখাল হিসাবে, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কার কি দায়িত্ব-কর্তব্য তা তিনি নিজে প্রতিটি সেক্টরে আমল করে করে উম্মতকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আর আমরা তা পেয়েছি হাদীসের মাধ্যমে। আল্লাহ যে সকল আয়াতে নবীকে নিজে বাস্তব আমল করে কেয়ামত পর্যন্ত সকল মানবজাতিকে কোরআন বুঝিয়ে দেবার জন্য যে সকল আয়াত নাযিল করেছেন তা হল :

১. আপনার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, মানুষকে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝাইয়া দেয়ার জন্য (আপনার আমল দ্বারা)যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল। (সুরা নাহল, আয়াত : ৪৪)।

২. আমিতো আপনার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য (আপনার হাদীস দ্বারা)(সূরা নাহল, আয়াত : ৬৪)

৩. তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর যাহাতে তোমরা অনুগ্রহ লাভ করিতে পার (সূরা ইমরান , আয়াত : ১৩২)

৪. হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাহাদের যাহারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী; কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটিলে উহা উপস্থাপণ কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট। ইহাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর। (সূরা নিসা, আয়াত : ৫৯)

৫. তোমাদের মধ্যে যাহারা আল্লাহ ও আখিরাতে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাহাদের জন্য তো রাসূলুল্লাহ (স এর মধ্যে রহিয়াছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব, আয়াত : ২১)

৬. বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। (সূরা ইমরান, আয়াত : ৩২)।

৭. রাসূল এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করিয়াছি যে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তাহার আনুগত্য করা হইবে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৪)

৮. কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তাহারা মুমিন হইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের নিজেদের বিাবদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৫)

৯. বলুন, 'হে মানব জাতি ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রাসূল, যিনি আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তিনি ব্যাতীত অন্য কোন ইলাহ নেই; তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ইমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাহার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তাহার বানীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তাহার (রাসূলের)অনুসরণ কর, যাহাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।(সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)

১০. বলুন, হে মানুষ! আমি তো তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা হাজ্জ, আয়াত : ৪৯)

১১. হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪৫)

১২. আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করিয়াছেন যে, তিনি তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে তাহাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন, যে তাহার আয়াতসমূহ তাহাদের নিকট তিলাওয়াত করে, তাহাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও তাহারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল। (সূরা ইমরান, আয়াত : ১৬৪, সূরা জুমা, আয়াত : ০২)।

১৩. যেমন আমি তোমাদরে মধ্য হইতে তোমাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছি, যে আমার আয়াত সমূহ তোমাদরে নিকট তিলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয় আর তোমরা যাহা জানিতে না তাহা শিক্ষা দেয়। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৫১)

১৪. আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট হতে তাহার রাসূলকে যে ফায় দিয়াছেন তাহা আল্লাহর, তাহার রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের, যাহাতে তোমাদের মধ্যে যাহারা বিত্তবান কেবল তাহাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল তোমাদেরকে যাহা দেন তাহা তোমরা গ্রহণ কর এবং যাহা হইতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তাহা হইতে বিরত থাক। (সূরা হাশর, আয়াত : ০৭)

১৫. যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)

আরেকটি ব্যাপার হল কেয়ামত পর্যন্ত যাতে কেহ কোরআনের মধ্যে কোন রকম হেরফের করতে না পারে, কোন রাকম বিকৃতি ঘটাতে না পারে, যেহেতু এটা সংরক্ষণ এর দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজে নিয়েছেন, তাই আল্লাহ পাক পূর্ণ কোরআনকে এক জটিল গানিতিক অংকে সাজিয়ে রেখেছেন, কেহ একটি আয়াত কমালে বা কোন আয়াত এদিক ওদিক করলেই সে ধরা পড়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমি পরে বিস্তারিত আরেকটি পোষ্ট দিব।

২৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩২

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ২ নং প্রশ্ন : আপনার উল্লেখিত দুটি হাদীসে হাদীসকে লিপিব্ধ করতে নিষেধ করার পরও কেন হাদীস লিপিবদ্ধ হল :

আংশিক উত্তর আগেই দিয়েছি। যখন নবী (স:) এ হাদীস বলেছেন তখনও কোরআনকে পুর্ণাঙ্গরুপে লিপিবদ্ধ করা কমপ্লিট হয় নি। তাই সাহাবারা কোনটা লিখবেন ? যেহেতু এখনো কোরআন লিখাই কমপ্লিট হয় নি। তাই হাদীস লিখতে নিষেধ করা হয়েছে যে, আগে কোরআন লিখা ষেশ হউক। আর আদম (আ:) থেকে আজ অবধি আল্লহ যত যুগে যত জাতি পাঠিয়েছিলেন তাদের মধ্যে এই তখনকার যুগের এই আরব জাতিটির মুখস্ত শক্তিই ছিল সব চাইতে বেশী। এটা তাদের এক বিশেষ প্রশংসনীয় আলাদা এক বিশেষ বৈশিষ্ট। তারা প্রত্যেকেই তাদের বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষের বংশ তালিকা পর্যন্ত এক টানে বলে ফেলতে পারত। এটা সম্ভব হয়েছিল তখন কোন লিখন পদ্ধতি না থাকা সত্বেও তারা সব কিছুই মুখস্ত করে রাখতে পারত। তাই তখন হাদীসকে তারা মুখে মুখেই হেফাজত করতে পেরেছিল কোন লিখার প্রয়োজন হয় নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখুন এ পোষ্ট এ ।
http://www.shodalap.org/m_ahmed/9821
পরবর্তীতে সাহাবায় কেরামগণের ইন্তেকালের কারনে এ হাদীস শাস্ত্র হারিয়ে যাবার ভয়ে লিপিবদ্ধ করে রাখার কার্যক্রম শুরু হয়। বিস্তারিত দেখুন এ পোষ্ট এ : Click This Link

আর আপনি হাদীস দুটো দিলেন কোন কিতাব থেকে ? সহিহ মুসলিম শরীফ। এটাইতো হাদীসের কিতাব। এ কিতাব লিখাই তো হয়েছে হাদীস সংরক্ষণের জন্যে। তাহলে এ কিতাবের মাত্র এ দুটি হাদীসকে বিশ্বাস করলেন আর বাকী হাজার হাজার হাদীস অস্বিকার করলেন কোন যুক্তিতে এ আমি কেন দুনিয়ার কারোরই বোধগম্য হবে না। আপনার এ চড়ান্ত মূর্খতার কোনই জবাব নেই।

২৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৮

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ৩ নং প্রশ্ন : আপনি মাওলানা আকরাম খা আর ইমাম আবু হানিফার কিতাবের দুটি উদৃতি দিয়েছেন। আমি আগেও এর জবাব দিয়েছি। আমি আগের জবাব টাই কপি পেষ্ট করছি :

আপনি দুটি কিতাব হতে জাল হাদীসের দুটি দলিল দিয়েছেন। প্রথম টি হল মুস্তফা চরিত। এর লেখককে আপনি চিনেন ? এর লেখক হলেন মাওলানা আকরাম খা। যিনি ছিলেন ভারত উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং কট্টর আহলে হাদীস। অর্থাত তিনি হাদীস কে শুধু বিশ্বাসই করতেন না বরং আহলে হাদীস দলকেও সুসংবদ্ধ করেছেন। আর আপনারা হলেন আহলে কুরআন যারা কুরআন মানেন হাদীস মানেন না, তাহলে আপনি আহলে হাদীসের কিতাব দিয়ে কি করে হাদীস অস্বিকারের দলীল দিলেন ? দ্বিতীয় দলিলটি দিয়েছেন যে কিতাবের নাম উল্লেখ করে এমন কোন কিতাব দুনিয়তে নেই। ইমাম আবু হানিফা (রএর একটি কিতাবই এখন আমাদের কাছে আছে তা হল ফিকহুল আকবার। আর যদি ধরেও নেই আপনার উল্লেখিত কিতাবটাও ইমাম আবু হানিফার লিখিত, তাহলে এটা দ্বারা কি করে প্রমাণ হয় যে, হাদীস শাস্ত্র মিথ্যা ? ইমাম আবু হানিফা কি হাদীস অস্বিকার করতেন ? নাকি বরং হাদীসের খেদমত করেছেন ?

তাহলে আপনি যে দুজন ব্যাক্তির দলিল দ্বারা হাদীস অস্বিকারের দলিল দিলেন উভয়েই হাদীসের জবরদস্ত দুই সমর্থক ও প্রচারক ছিলেন। দ্বিতীয় কথা হল উক্ত দুটি দলিল কি আপনি নিজে বুঝেছেন ? উক্ত দলিল দুটিতে জ্বাল হাদীসের কথা বলা হয়েছে ? আর জ্বাল হাদীসের অস্তিত্ব তো সবাই ই স্বিকার করে ? আর জ্বাল হাদীস শব্দটিই প্রমাণ করে যে, জ্বাল হাদীসে হল ঐ হাদীস যা সহীহ হাদীসের বিরোধী তথা মিথ্যা হাদীস। অতএব জ্বাল হাদীস থাকা মানেই যে কোন সহিহ হাদীসও নেই এমন মূর্খতামি করলে তো আপনার সাথে কোন কথাই চলতে পারে না। মাওলানা আকরাম খা এর মুস্তফা চরিত শেষ করেছি আরো পাচ বছর আগে। তিনি এ বইতে প্রমাণ করেছেন যে, বুখারী শরীফের মাঝেও ১০ টি জ্বাল হাদীস রয়েছে। কিন্তু বাকী সকল হাদীস যে সত্য ও সহীহ হাদীস তা শুধু তিনিই নয় তার দলের সবাই বিশ্বাস করে। জ্বাল হাদীসের কারনেই তো মুহাদ্দীসগণ লক্ষ লক্ষ হাদীস কো জাচাই বাছাই করে তন্মধ্যে তাদের স্ব স্ব কিতাবে মাত্র কয়েক হাজার হাদীসকে রেখেছেন, বাকী লক্ষ লক্ষ হাদীস সব পরিত্যাগ করেছেন্ এ জনেই তো এগুলোর নাম হয়েছে সিহাহ সিত্তাহ বা সহীহ হাদীসের কিতাব। এবং তারা সহ আরো অনেকেই মোট কতটি ও কিকি জ্বাল হাদীস কারা কারা তৈরী করেছেন তার ও ইতিহাস রচনা করে রেখেছেন্ আপনাকে আগে হাদীসের টোটাল ইতিহাস জানতে হবে।

২৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:২৮

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ৪ নং প্রশ্ন : আপনার উল্লেখিত কোরআনের আয়াত গুলোতে বলা হয়েছে কোরআনকে অনুসরন করার জন্য। এর মানি এটা নয় যে, এখানে হাদীসকে অনুসরণ করতে বারণ করা হচ্ছে। তুমি আম খাও এর মানে এটা নয় যে তুমি জাম খাইয়ো না। কেননা আগেই আমি কোরআরনর ১৫ টি আয়াত উল্লেখ করেছি যাতে স্পষ্ট বলা আছে হাদীস/নবীকে অনুসরণ করার জন্য। অত:এব এখানে কোরআনকে অনুসরণ করার নির্দেশ বলতে এটা বুঝাই যুক্তিযু্ক্ত যে, তোমরা কোরআনকে অনুসরণ কর ও এর পুর্বে আমার পাঠানো অন্য কিতাবগুলো অনুসরণ করোনা, এবং যাদের প্রতি কোন কিতাবই পাঠানো হয়নি, বা এখন আর আগের কিতাব অবিকৃত নেই যেমন হিন্দু ধর্ম, অথবা মানুষ যেসকল ধর্মগুলো নিজেরা তৈরী করেছে যেমন, বৌদ্ধ ধর্ম, শিখ ধর্ম, জৈন ধর্ম, কনফুসিয়ান ধর্ম ইত্যাদি ইত্যাদি সবাই আমার সর্বশেষ প্রেরিত এই কোরআন কেই একমাত্র অনুসরণ কর এবং এ কোরআন যে নবীর উপর পাঠানো হল সে নবীকেই একমাত্র অনুসরণ কর । আগের পাঠানো কিতাবগুলো যেহেতু বিকৃত হয়ে গিয়েছে তাই সেগুলো আর অনুসরণ করো না বা তোমরা নিজেরা নিজেদের খেয়াল খুশির অনুসরণ কর না, নিজেদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কর না, বরং একমাত্র আমার সর্বশেষ কিতাব কোরআন ও এ কোরআন যার প্রতি পাঠানো হল একমাত্র তাকেই অনুসরণ কর , এটাই আমার সর্বশেষ চুড়ান্ত ধর্ম। পূর্ববর্তী ধর্ম গুলো বাতিল ও কোরআন সমগ্র দুনিয়ার মানুষের জন, সকল ধর্মের সকল জাতির জন্য একমাত্র অনুসরনীয় কিতাব তার দলীল সমূহ :
ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্ম বাতিল :

১. যে ব্যাক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না। এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ৮৫)

২. নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)

৩. আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম পূর্ণাঙ্গ করিলাম ও তোমাদের জন্য আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমদের জন্য তোমাদের ধর্ম মনোনিত করিলাম (সূরা মায়িদা - আয়াত : ৩)

৪. আল্লাহ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ সংকীর্ণ করিয়া দেন, তাহার কাছে ইসলাম অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দু:সাধ্য হইয়া পড়ে। (সূরা আনআম - আয়াত:১২৫)

৫. আল্লাহ ইসলামের জন্য যাহার হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং যে তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরুপ নয় ? (সূরা যুমার - আয়াত : ২২)

৬. নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)

৭. তোমরাই (উম্মতে মুহাম্মদী) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগন (ইহুদী, খৃষ্টান) যদি ইমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ১১০)

৮. এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা (ইহুদীদের বাইতুল মুকাদ্দাস) অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়। (অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়।)

৯. হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। (সুরা বাবারা - আয়াত : ২০৮)

১০. তুমি তাহাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক দবি করিতেছ না। ইহাতো বিশ্বজগতের জন্য উজদেশ ব্যাতিত কিছুই নয়। (সূরা ইউসুফ - আয়াত : ১০৪)
১১. কত মহান তিনি যিনি তাহার বান্দাদের প্রতি ফুরকান (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন যাহাতে সে বিশ্বজতের জন্য সতর্ককারী হইতে পারে। (সূরা ফুরকান - আয়াত : ১)

১২. কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা কালাম - আয়াত : ৫২)

১৩. ইহাতো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা তাকভীর - আয়াত : ২৭)

সর্বশেষ ধর্ম ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও এ ইসলামকে পরিপূণৃরুপে পালনকারী ও এ ইসলাম তথা কোরআন-হাদীসকে পরিপূর্ণ রুপে অবিকৃতরুপে হেফাজতকারী সাহাবায়কেরামগণের সার্টিফিকেট, মুসলিম হতে হলে যাদেরকে অনুসরণ করা ছাড়া কোন উপায় নেই।

১. মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। তাহার সাহাবাগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদরেকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তাওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরুপ এবং ইঞ্জিলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদরে দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দায়ক। এইভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। (সূরা ফাতহ - আয়াত : ২৯)

২. সেদিন আল্লাহ লজ্জা দিবেন না নবীকে এবং তাহার মুমিন সাহাবাদেরকে, তাহাদের জ্যোতি তাহাদরে সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শে ধাবিত হইবে। তাহারা বলিবে, 'হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা তাহরীম - আয়াত : ৮)

৩. স্মরণ কর, তোমরা ছিলে স্বল্পসংখ্যক; পৃথিবীতে তোমরা দূর্বলরুপে পরিগণিত হইতে। তোমরা আশংকা করিতে যে, লোকেরা তোমাদেরকে অকস্মাৎ ধরিয়া লইয়া যাইবে। অতপর তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দেন, স্বীয় সাহায্য দ্বারা তোমাদেরকে শক্তিশালী করেন, যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও। (সূরা আনফাল - আয়াত : ২৬)

৪. যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে (মক্কা থেকে মদিনায়)ও আল্লাহর পথে জিহাদ করিয়াছে আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সহায্য করিয়াছে(মদিনার আনসার সাহাবীগণ) তাহারাই প্রকৃত মুমিন; তাহাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রহিয়াছে। (সূরা আনফাল, আয়াত : ৭৪)

৫. কিন্তু রাসূল এবং যাহারা তাহার সঙ্গে ঈমান আনিয়াছিল; উহাদের জন্যই কল্যাণ আছে এবং উহারাই সফলকাম। (সূরা তওবা - আয়াত : ৮৮)

৬. তুমি পাইবে না আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালবাসে আল্লাহ ও তাহার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদের পিতা, পুত্র, ভাই অথবা ইহাদের জ্ঞাতি গোত্র। ইহাদের অন্তরে আল্লাহ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদেরকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাহরা পক্ষ হইতে রুহ দ্বারা। তিনি তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার তলদেশে নদী প্রবাহিত; সেইখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। আল্লাহ তাহাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাহারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট, তাহারাই আল্লাহর দল। জানিয়া রাখ আল্লাহর দলই সফলকাম। (সূরা মুজাদালা - আয়াত : ২২)

৭. মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যাহারা প্রথম অগ্রগামী এবং যাহারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাহাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাহাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট। এবং তিনি তাহাদের জন্য প্রস্তুত করিয়াছেন জান্নাত। যাহার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত। যেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। ইহা মহা সাফল্য। (সূরা তওবা - আয়াত : ১০০)

২৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৫১

নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনি আপনার সকল কথার রেফারেন্স স্বরুপ এ পর্যন্ত কয় জন ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করেছেন ? ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু হানীফা, আল্লামা তাবারী, ইবনে কাসীর, মাওলানা আকরাম খা চার জন মাত্র। এর আকজনও হাদীসকে অস্বিকারকরা তো দূরের কথা বরং প্রত্যেকে্ ছিলেন প্রত্যেকের নিজ নিজ যুগের হাদীসের সবচাইতে বড় খাদেম, প্রচারক, প্রসারকারী। এ চারজন ব্যাক্তির প্রত্যেকেই কোরআন এবং হাদীসকেই কেয়ামত পর্যন্ত সকল মানব জাতির জন্য একমাত্র অনুসরণীয় গ্রন্থ বলে গেছেন। তাহলে কি করে আপনি তাদের দ্বারা আপনার ভ্রান্ত বিশ্বাসের দলীল দিলেন ? তারা হাদীসকে অস্বিকার করেছে এমন একটি মাত্র উক্তি দেখা্ন। অথবা হযরত মুহাম্মদ (স:) এর উপর অবতীর্ণ সর্বশেষ ধর্ম ইসলামকে সকল মানব জাতির জন্য একমাত্র চুড়ান্ত মনোনিত ধর্ম হিসেবে অস্বিকার করেছেন এ রমকম একটি মাত্র উক্তি উপস্থাপন করুন।

উল্লেখ্য ইসলাম অর্থ শান্তি নয়। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা, সালাম অর্থ শান্তি আর মুসলিম অর্থ আত্মসমর্পন করী। ইসলাম শব্দটি দুটি অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে কুরআনে। হযরত আদম (আ:) থেকে অদ্যবধি পেরিত সকল ধর্ম যতদিন পর্যন্ত অবিকৃত ছিল তখন তাই ছিল সে যুগে র ইসলাম ।যখনই কোন ধর্ম বিকৃত হয়ে গেছে তখনই আল্লাহ পাক নতুন নবী ও নতুন কিতাব দিয়ে নতুন ইসলাম পাঠিয়েছেন। আর কোরআনে ইসলাম অর্থ বিশেষ ভাবে হযরত মুহাম্মদ (স') এর উপর অবতীর্ণ সর্বশেষ ধর্মকে বুঝানো হয়েছে। যার প্রমান আমার উল্লেখিত আয়াতগুলো ও আরো সহস্রাধিক হাদীস। আর হযরত মুহাম্মদ (স:) থেকে অদ্যবধী এক লক্ষ চব্বিশ হাজার সাহাবী, সকল তাবেয়ী, সকল তাবে-তাবেয়ী, দেড় হাজার বছরের সকল ইমাম, সকল মুজতাহিদ, কোরআন-হাদীসের সকল স্কলার্স এক বাক্যে ঘোষনা করে গিয়েছেন কোরআন অবতীর্ণের পর পূর্ববর্তী সকল ধর্মের বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে। কিয়ামত অবধী মানব জাতির সকল সমাধানের একমাত্র চাবিকাঠি কোরআন এবং হাদীস। একমাত্র কয়েকজন নবুয়তের দাবীদার ভন্ড নবীরা ব্যাতিত সকলেই এ ব্যাপারে একমত। আর যুগে যুগে এমন ভন্ড নবীদের আবির্ভাব ঘটবে সে ভবিষ্যতবানী নবী (স:) নিজেই করে গেছেন। আর কোরআন অনলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এই রাশাদ খলীফাও সে রকম একজন নবুওয়াতের দাবীদার।

২৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৫৭

ক্লাউনবয়৮৭ বলেছেন: হনু'র বাচ্চা অনিকআহসান@টা এখানেও তার ল্যাঞ্জাটা বাইর করলো.....খাড়া তোরে কিভাবে যে তোর ল্যঞ্জা ধইরা ঘুরাইমু.....তোদের Fuckরিতিক প্রেম দেখাইয়া দিমু

৩০| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৫৭

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ৬ নং প্রশ্ন : কাদিয়ানী কাফের কেন ?

যে কোরআন-হাদীসকে অস্বিকার করবে সেই কাফের, কাদিয়নী, রাশাদ খলিফা, মুসায়লামাতুল কাজ্জাব, তালহা সহ এ পর্যন্ত যত নবী দাবীদার ছিল সবাই কোরআন হাদীসকে অস্বিকার করেছে, কেননা কোরআনে ও শত শত হাদীসে স্পষ্ট ভাবেই এসেছে যে, হযরত মুহাম্মদ (স:) এর পরে আর কোন নবী আসবেন না, তিনিই খাতামুন নাবিয়্যীন তথা শেষ নবী, যে তাকে শেষ নবী হিসেবে মানবে না, সে্ই কাফের এটাই কোরআন-হাদিসের চুড়ান্ত ফয়সালা।

৩১| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৩৭

নজিবুল্লাহ বলেছেন: কুরআনেই রয়েছে যে, পূর্ববর্তী কিতাবগুলোতে সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (স:) এর পরিচিতি ও তার ধর্মের বর্ণনা, তার সাহাবাদের বর্ণনা রয়েছে, এমনকি আল্লাহ পাক প্রত্যেক নবীগণ থেকে এ মর্মে ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, যদি তোমার নবুওয়াত কালে আমার প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদ (স:) কে পাঠাই তবে কিন্তু তোমার ধর্ম বাতিল হয়ে যাবে, এবং তোমাকেও তার ধর্ম মেনে চলতে হবে। এ ওয়াদার উপরে সকল নবীগনই একমত পোষন করেছিলেন।

"স্মরণ কর, মরইয়াম তনয় ইসা বলিয়াছিল, 'হে বনী ইসরাঈল!অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল, এবং আমার পূর্ব হইতে তোমাদরে নিকট যে তাওরাত রহিয়াছে আমি তাহার প্রত্যয়নকারী এবং আমার পরে আহমদ নামে যে আল্লাহর রাসূল আসিবেন আমি তাহার সুসংবাদ দাতা।" (সূরা সফ্, আয়াত : ০৬)।

"যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যাহার উল্যেখ তাওরাত ও ইঞ্জিল, যাহা তোমাদের নিকট আছে, তাহাতে লিপিবদ্ধ পায়, যে তাহাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজে বাধা দেয়, যে তাহাদরে জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে ও অপবিত্র বস্তু হারাম করে এবং যে মুক্ত করে তাহাদেরকে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদের উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার (মুহাম্মদ স:) এর উপর ইমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কোরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত: ১৫৭)।

৩২| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৪২

নজিবুল্লাহ বলেছেন: "বাংলাদেশের সম্পর্কে জানলে আপনাকে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়তেই হবে। ঠিক তেমনী আরব সম্পর্কে জানলে, হাশেমী বংশ সম্পর্কে জানলে, ইসলাম সম্বন্ধে জানলে ইতিহাস পড়তে হবে।"

ভাই আপনার বয়স কত আমি জানিনা। আপনি যদি বিএনপির আমলে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়েন তাহলে এক রকম পাবেন, যে জিয়াই ছিল স্বাধীনতার ঘোষক আবার আওয়ালিগ আমলে দেখবেন আগের ইতিহাস ১০০% বিপরীত মেরুতে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ তখন আপনি ইতিহাস পাবেন জিয়া ছিল মুজিব হত্যাকারীর মূল হোতা। স্বাধিনতার ঘোষক নয়। স্বাধিনতার ঘোষনা মুজিবই দিয়ে ছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এ কথার মাধ্যমে। আবার যদি কখনো জামাত ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হবে বর্তমান ইতিহাসের ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত মেরুতে। তখন আপনি ইতিহাসে পাবেন যে, শেখ মুজিব মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চান নি, তিনি চেয়েছিলেন স্বয়ত্বশাসন তথা পূর্ব পাকিস্থানের নেতৃত্ব। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এটা তার অনিচ্ছা বশত পরে তার বক্তব্যের শেষে সংযোজন করেছিলেন আরেক জনের জোড়া জোড়িতে ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে যে সরকার যখন ক্ষমতায় আসবে সে সরকার তাদের নিজস্ব ইতিহাস রচিত করবে। তাহলে আপনাকে কি করতে হবে ? সঠিক ইতিহাস জানতে হলে সবার কথাই শুনতে হবে, যে কার কি অভিমত। তাই আপনি কোন একক ইতিহাস দিয়ে যেমন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবেন না ঠিক তদ্রুপ উমাইয়া আমলের ইতিহাস দিয়ে আব্বাসীযদেরকে সঠিকভাবে জানতে পারবেন না আবার আব্বাসীয় আমল রচিত ইতিহাস দিয়ে উমাইয়াদের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন না। কারন তা্রা উভয়েই ছিল উভয়ের শত্র ঠিক আমাদরে বিএনপি আর আওয়ামিলীগের মতই। তাই আপনাকে উমাইয়া আমলের ইতিহাসও জানতে হবে আবার আব্বাসীয় আমলের ইতিহাসও জানতে হবে।

এটা গেল কোন দেশ, সরকার, ব্যাক্তি বা কোন দলের সঠিক ইতিহাস জানার পদ্ধতি। কিন্তু ধর্ম ? ধর্ম কি মানুষের রচিত ইতিহাস দিয়ে সঠিক ভাবে জানা যাবে ? নাকি ধর্মের যে মূল মূল গ্রন্থ গুলো আছে সেগুলো পড়তে হবে ? আপনাকে হিন্দু ধর্ম বুঝতে হলে পড়েত হবে গীত, বেদ, মাহভারত, উপনিষদ ইত্যাদি খৃষ্টান ধর্ম বুঝতে হলে পড়তে হবে বাইবেল আর ইসলাম ধর্ম বুঝতে হলে পড়তে হবে কোরআন তারপরে কোন দেশেরে কোন দলের কোন ঐতিহাসিক কে কি বলল সেগুলোর হিসাব আসবে পড়ে। কারন ইতিহাস রচনার মাল মসলা গুলো কতটুকু সঠিক, কতটুকু নিরপেক্ষ, কার রচিত ইতিহাস কতটুকু সত্য এটা জানতে পারবেন আপনি যদি সকল দলের সকল পক্ষের সকল যুগে রচিত সকল ইতিহাস পড়েন। তা না হলে দেখবেন আপনার দলের রাশাদ খলিফার লিখিত ইতিহাস একরকম আর দুনিয়ার অন্য তাবত মুসলিম ঐতিহাসিকদের ইতিহাস আরেকরকম।

৩৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:০১

নজিবুল্লাহ বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনার কথা আমি বুঝি না এটা ঠিক নয়। এবং আল্লাহ্ আমাকে কোরআন পুরোটা জানার ও মানার তৌফিক দিয়েছে। আমি আপনার দুটি আয়অত আবারো দিলাম। কে ভুল করেছে। দেখুনঃ

১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)

২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)

এই আয়াত আপনি পুরোটা লেখেননী। এটা আমার কাধে ফেলছেন কেন। আপনি সেই কোরআনের ভাষায় ফেৎনা সৃষ্টি কারী। আয়াত লিখলে পুরো টায় লিখবেন।[/sb]

আপনার মত স্বল্প জ্ঞানের মানুষকে বার বার বুঝাতে বুঝাতে আমি হাফিয়ে উঠছি ।আমি এখানে কি পূর্ণ দুটি আয়াত উল্লেখ করিনি ? এ দুটি আয়াত দিয়ে আমি কিসের দলীল দিয়েছিলাম। আম এ দুটি আয়াত দিয়ে দলীল দিয়েছিলাম যে, কোরআন বিকৃত হয় নি, বরং অবিকৃতই আছে, এবং এটা অবিকৃত রাখা আল্লাহ পাকের দায়িত্ব। তিনি এটা অবিকৃত রাখবেন বলে নিজেই ওয়াদা করেছেন। আর সে ওয়াদা এ দুটি আয়াতেই স্পষ্ট ভাবে রয়েছে।

কিন্তু আপনি মুহকামাত, মতাশাবিহাত এর ব্যাখ্যা না জেনেই হুট করে বলে দিলেন যে, এ দুটি আয়াত হল মতাশাবিহাত বা অস্পষ্ট আয়াত। এ দুটি আয়াতের মাঝে কি কোন অস্পষ্টতা রয়েছে ? ক্লাস টু এর কোন ছাত্র ও এ দুটি বাক্য পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবে। তাহলে এ দুটো আয়াত আয়াতে মাতুশাবিহাত বা অস্পষ্ট আয়াত হল কি করে ? আপনি না বুঝেই বলে দিলেন যে, কোরআন বুঝা এত সহজ নয় যদি সহজ হত তাহলে দ্বিতীয় আয়াতে যে বলা হয়েছে ২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭) এখানে পাঠ করার বাস্তবতা কোথায় ? দুনিয়ার সবাই তো পাঠ করতে পারে না। তখন আমি বলেছিলাম যে, এই যে আপনি পাঠ করা বলতে দুনিয়ার সকল মানুষের পাঠ করা বুঝলেন এটা হল কোরআন সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের স্বল্পতার দরন। তা না হলে এর আগের আয়াতটি জানা থাকলে আপনি জানতেন যে, এখানে দুনিয়ার সকলরমানুষের কথা বলা হয় নি, বরং শুধুমাত্র হযরত মুহাম্মদ (স:) এর কথা্ই বলা হয়েছে। যেটা তার পূর্বের আয়াতেই রয়েছে। কিন্তু আল্লাহ পাক কোরআন হেফাজত করবেন এ ওয়াদা সম্বলিত আয়াত টি হল পরের আয়াতটি তাহলে আমি কেন অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এর পূর্বের আয়াতটি এখানে উল্লেখ করতে যাব ? দুটি তো সম্পূর্ণ আলাদা দুটি আয়াত। আমার কথা বুঝানোর জন্যে আমার দ্বিতীয় আয়াতটিই তো যথেষ্ট তাহলে কেন আমি পূর্বের আয়াতও অযথা টেনে আনবো ? কিন্তু আপনি যখন দ্বিতীয় আয়াত এ কোরআন পাঠের বিষয় টি ভুল বুঝলেন তখনই আপনাকে আমি বুঝানোর জন্যে পূর্বের আয়াত টিও উল্যেখ করলাম, যে আপনার কোরআন সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান নাই বিধায় ই আপনি এমন হাস্যকর প্রশ্ন টি করতে পারলেন। আর মনে করতেছেন কুরআন বুঝা অনেক কঠিন। বাট পূর্বের আয়াত টি জানা থাকলেই আপনি আগেই বুঝতে পারেতেন এখানে কাঠিন্যের কিছু্ই নেই। তাই কোরআন বুঝতে হলে পূর্ণ কোরআন জানতে হবে। কোন নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা বস্তবায়নের জন্যে সিলেক্টেড কতিপয় আয়াত জানলেই কোরআন জানাও হয় না, ইসলাম জানাও হয় না।

৩৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:১৫

নজিবুল্লাহ বলেছেন: আমি আকাশ পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই (কোরআন) আমানত পেশ করেছিলাম, অতঃপর তারা একে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা বহণ করল। নিশ্চয় সে জালেম-অজ্ঞ।

আল্লাহ্ এই কোরআন প্রথমে আকাশকে দিতে চায়লো কিন্তু আকাশ নিলো না। সে নিতে অস্বীকার করলো। আপনার কি ধারনা মাবুদ এই কিতাব কোরআনের কথা বলেছে । ধরুন আকাশ এই কোরআন নিলো। আচ্ছা আকাশ এই কোরআন নিয়ে কি করবে? সেকি আপনারে আমাকে পড়ে শোনাবে? নিশ্চয় না। এর পর পৃথিবী কে কোরআন দিতে চায়লো; কিন্তু সেও নিতে অস্বীকার করলো, কেন? পৃথিবী এই কোরআন কি করবে? সেকি আমাদের পড়ে নির্দেশ দেবে, না পড়ে শোনাবে? সেও নিলো না। এবার পর্বতমালার সামনে এই কোরআন আমানত পেশ করলো অতঃপর সেও একে বহন করতে অস্বীকার করল । কেন অস্বীকার করলো? এই কোরআন আসলে কোন কোরআন? কেনই বা পর্বত এই কোরআন নিলো না আর নিলেইবা সেই কোরআন পাহাড়-পর্বত কি করবে। সেকি আমাদের পড়ে শোনাতো? এর উত্তর জানা আছে আপনার?



এটা হল আপনার কোরআন এর ভাষা সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচয়। এটা একটা যাষ্ট উপমা। দেখুন আপনি আগে একটি আয়াত পেশ করেছেন , সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।

আর কুরআনকে পাহাড়ের উপর/পৃথিবীর উপর নাযিলের ব্যাপারটাও আল্লাহ পাক যাষ্ট উপমা স্বরুপ আমাদেরকে বুঝাচ্ছেন যে, কোরআনের গুরুত্ব, মাহাত্ব, বরত্ব. এর আযমত, কারমত, সম্মান কত অধিক তা তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না, কারন এর ভিতরের ভার বইতে পাহাড় বা পৃথিবীও অক্ষম অতএব তোমরা একে বাহ্যিক সম্মান ও এর হুকুমাহকাম পালনের ব্যাপারে খুবই গুরত্ব সহকারে একে গ্রহণ কর। একে কনরুপ তুচ্ছ তাচ্চিল্য করো না এ জন্যে কোরআনের উপমা, রুপকতা, রহস্যময়তা এগুলো জানতে হলে আপনাকে কয়েকগুলো শাস্ত্রের উপরে পান্ডিত্য থাকতে হবে । এলমে লুগাত, এলমে কালাম, এলমে বালাগাত, এলমে ফাসাহাত, এলমে নাহু, এলমে সরফ এগুলো মাদ্রাসায় শিক্ষা দান করা হয়, এ সমস্ত সাস্ত্র গুলোর উপরে আপনার দখল না থাকলে আপনি কখনোই কোরআনকে পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন না। মুহকামাতকে বলবেন মুতাশাবিহাত আর মুতাশাবিহাত কে বলবেন মুহকামাত। রুপক কে বলবেন আসল আসল কে বলবেন রুপক। কারন কোরআন নাযিল হয়েছে প্রাচীন আরবের সাত টি আঞ্চলিক ভাষা রীতির উপর। তাই আপনাকে কুরআন বুঝতে হলে প্র্রাচীন আরবের ভষা রিতী জানতে হবে। এ জন্যে মাদ্রাসাগুলোতে এখনো আইয়ামে জাহিলিয়াতের আরবি সাহিত্যও পড়ানো হয়। একমাত্র কোরআনকে পুর্নাঙ্গরুপে অনুধাবন করার জন্যেই।

৩৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৩৫

হাছন রাধা করিম বলেছেন: সালাম। সেলিম ভাই, নাজিবুল্লাহ ভাই আপনাকে কোনো অবস্হায়ই কাফের বলতে পারেননা। কে কাফের আর কে বিশ্বাসী তা নির্ধারন করার মালিক একমাএ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। পূর্ববর্তি ধর্ম বাতিল হওয়া না হওয়া নিয়ে আপনি যেমন ঠিক তেমনি নাজিবুল্লাহ ভাই ও ঠিক। কিন্তু কথা হচ্ছে যে আপনার আর্গুমেন্টে কিছুটা ভুল রয়েছে। কোথায় ভুল হয়েছে সেটা আমি সময় পেলে ইনশাআল্লাহ লিখে জানাবো।

৩৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:২৫

নজিবুল্লাহ বলেছেন: মজবাসেরের কোরআন বিরুধী বিশ্বাস :



১. মিঃ মজ বাসার যেমন মুহাম্মদ (সাঃ)-কে সর্বশেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করেন না – তেমনি আবার কোরানকেও আল্লাহ’র সর্বশেষ বাণী বা রেভিলেশন হিসেবে বিশ্বাস করেন না। বরঞ্চ উনি ‘পুনঃ পুনঃ নবী-রাসূল’ এবং ‘পুনঃ পুনঃ রেভিলেশন’ মতবাদে বিশ্বাস করেন। যদিও বিগত চৌদ্দশ’ বছরে কতজন নবী-রাসূল এসেছেন এবং তাদের সবাইকে উনি নবী-রাসূল হিসেবে বিশ্বাস করেন কিনা - সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে পিছলাইয়া যাওয়া হয়। অথচ কোরান-অনলি মতবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডঃ রাশাদ খলিফার ৩৩:৪০ আয়াতের অনুবাদ অনুযায়ীও মুহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী। এমনকি কোরান-অনলি মতবাদের অন্যতম প্রচারক ডঃ শাব্বির আহমেদও মুহাম্মদ (সাঃ)-কে সর্বশেষ নবী হিসেবেই বিশ্বাস করেন। আর কোরান-হাদিস এবং মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর সর্বশেষ ভাষণ অনুযায়ী দল-মত নির্বিশেষে মুসলিমরা তো বটেই।

২. মিঃ মজ বাসারের বিশ্বাস অনুযায়ী কোরান পরিবর্তন হয়েছে এবং বর্তমান কোরানের মধ্যে ভুল-ভ্রান্তিও আছে।

৩. মিঃ মজ বাসারের বিশ্বাস অনুযায়ী কোরান হচ্ছে মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর নিজের বাণী। কোরান দিয়ে তা প্রমাণ করারও চেষ্টা করা হয়েছে।

৪. মিঃ মজ বাসার কোরানের বিচার দিবসের পরিবর্তে কোরান-পরিপন্থী জন্মান্তরবাদে বিশ্বাস করেন।

৫. মিঃ মজ বাসার ইসলামের প্রচলিত সালাতে বিশ্বাস করেন না। নিজেও সালাত পালন করেন না এবং যারা সালাত পালন করেন, উনার মতে, তারা হচ্ছেন পাগল জাতীয় কিছু। অথচ কোরান-অনলি মতবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডঃ রাশাদ খলিফা এবং তার অনুসারীরাই প্রচলিত নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতে বিশ্বাস করে এবং প্রচলিত সালাতের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলোর সবই কোরানে বিদ্যমান।

৬. মিঃ মজ বাসারের মতে প্রচলিত হজ্জের তারিখ অবৈধ – যদিও কোরানের কোথাও প্রচলিত হজ্জের তারিখকে অবৈধ বলা হয়নি।

৭. মিঃ মজ বাসার কুরবানির দিনকে ‘আন্তর্জাতিক পশু হত্যা দিবস’ বলেন – যদিও কোরানের কোথাও এমন কথা বলা হয়নি।

৮. মিঃ মজ বাসার অসততার আশ্রয় নিয়ে মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ছোট করার উদ্দেশ্যে কোরান দিয়ে সকল নবীকে ‘বিশ্বনবী’ বানাতে যেয়ে এন্টাইভণ্ডের কাছে ধরা খেয়েছেন।

৯. মিঃ মজ বাসার অসততার আশ্রয় নিয়ে কোরান দিয়ে তার আব্বাজান ও নানাজান-কে ‘বাংলার রাছুল’ বানাতে যেয়ে শাহবাজ নজরুল সাহেবের কাছে ধরা খেয়েছেন।

১০. মিঃ মজ বাসারের বিশ্বাস অনুযায়ী মুহাম্মদ (সাঃ) নাকি অহি পাওয়ার পরক্ষণেই মাঝে মাঝে তা ভুলেও যেতেন! কোরানের ২:১০৬ আয়াতের বিকৃত ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে এন্টাইভণ্ডের কাছে হাতে-নাতে ধরা খেয়েছেন। এভাবে কোরানের নামে কোরানের আয়াতকে বিকৃত করে কোরান-পরিপন্থী মতবাদ প্রচার করতে যেয়ে অনেকবারই ধরা খেয়েছেন। কোরানের কোথাও আসলে এমন অদ্ভুত কথা বলা নাই।

১১. মিঃ মজ বাসার বাজারের বই-পুস্তক আর হাদিসের বাংলা অনুবাদ থেকে খুঁজে খুঁজে আপাতদৃষ্টিতে ‘দৃষ্টিকটু’ বা ‘হাস্যকর’ মনে হয় এমন কিছু উক্তি বা শব্দ জোগাড় করে সেগুলোর সাথে নিজের প্রতারণা আর কাল্পনিক অপব্যাখ্যা যোগ করে প্রায়ই আল্লাহ এবং মুহাম্মদ (সাঃ)-কে হেয় করার চেষ্টা করেন। ধরা খেলে সব দোষ হাদিস, শরিয়ত, শিয়া-সুন্নী, ও মুসলিম স্কলারদের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করেন।

১২. যারা এক সাথে একাধিক স্ত্রী রাখেন তাদেরকে মিঃ মজ বাসার ‘জারজ’ বলে গালি দেন। অথচ কোরান অনুযায়ীই মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর এক সাথে একাধিক স্ত্রী ছিল (৩৩:৬, ৩৩:২৮, ৩৩:৩০, ৩৩:৩২, ৩৩:৫০, ৩৩:৫৯, ৬৬:১) এবং কোরানে সুস্পষ্টভাবে একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতিও দেয়া হয়েছে (৪:২-৪, ৩৩:৫০)। তবে কেউ চাইলেই একাধিক স্ত্রী রাখতে পারবে কিনা – বা কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রী রাখা যাবে – এ বিষয়ে মুসলিম স্কলারদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে একাধিক স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ড রাখলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

১৩. মিঃ মজ বাসারের মতে একমাত্র মুসলিমরা (উনার মতে শিয়া-ছুন্নী) ব্যতীত আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা নাকি সঠিক পথেই আছে। ফলে উনার দায়িত্ব হচ্ছে মুসলিমদেরকে ধর্মান্তরিত করা। যার ফলে উনি কথিত শিয়া-ছুন্নী-দেরকে যেমন মুসলিম মনে করেন না তেমনি আবার পশ্চিমা বিশ্বের চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও যারা ইসলাম গ্রহণ করছেন তাদেরকে নিয়েও উপহাস-বিদ্রূপ করেন।

১৪. মিঃ মজ বাসারের বিশ্বাস অনুযায়ী ‘মাওলানা’ মানে হচ্ছে ‘আমাদের আল্লাহ’! ফলে যারা নামের আগে ‘মাওলানা’ লাগায় তারা সবাই নাকি মজ বাসারের ‘আল্লাহ’ – মুসলিমদের আল্লাহ নয় নিশ্চয়! তার অনেক লেখাতে ‘মাওলানা’ শব্দের পর ব্র্যাকেটে ‘আমাদের আল্লাহ’ বসিয়ে দিয়ে সাইদীকে পর্যন্ত ‘আমাদের আল্লাহ’ বানিয়ে দেয়া হয়েছে!

১৫. মিঃ মজ বাসার কোরানকে বগলে জাপটে ধরে কথায় কথায় হাদিস, শরিয়ত, শিয়া, সুন্নী, ও মুসলিম স্কলারদের বিরুদ্ধে বিষোদগারের আড়ালে কোরান-ভিত্তিক ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ও চর্চার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ান। আর কোরানকে বগলে জাপটে ধরে রাখলেও কোরান যে আল্লাহর বাণী - সেটি যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করে তার একটি লেখাও পাওয়া যায় না। বরঞ্চ কেউ যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করলে তাকে আক্রমণ করা হয়।

১৬. স্বয়ং কোরানেই যেখানে অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের সমালোচনা করা হয়েছে এবং কিছু কিছু বিশ্বাসকে একদম বাতিল করে দেয়া হয়েছে সেখানে মিঃ মজ বাসারের লেখাতে অন্যান্য ধর্মের কোনরকম সমালোচনা পাওয়া যায় না। তার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বে বসে সংস্কারের নামে মুসলিমদেরকে ইসলাম থেকে বিপথগামী করা।

১৭. মিঃ মজ বাসারের অনেক লেখাতে মুসলিমদেরকে (উনার মতে শিয়া-ছুন্নী) ‘বোখারীগণের উম্মত’ বলে উপহাস-বিদ্রূপ করা হয়েছে। তার মানে মিঃ মজ বাসার নিজেই বোখারীগণের উম্মত ছিলেন, যেহেতু উনি একজন এক্স-ছুন্নী, মুসলিম ছিলেন না নিশ্চয়। কেননা মুসলিমরা স্বপ্নেও কখনো নিজেদেরকে ‘বোখারীগণের উম্মত’ ভাবতে পারে না।

১৮. মিঃ মজ বাসার ‘শরিয়ত’ শব্দকে সংজ্ঞায়িত না করে অনেক ভয়ঙ্কর ও কুরুচিপূর্ণ হাবিজাবিকে ‘শরিয়ত’ এর নামে চালিয়ে দিয়ে কোরানের সাথে শরিয়তের ‘সংঘর্ষ’ দেখিয়ে – শিয়া-সুন্নীদেরকে শরিয়তের অনুসারী বানিয়ে দিয়ে – সংস্কারের নামে কোরান-পরিপন্থী মতবাদ প্রচার করেন। কিন্তু ‘শরিয়ত’ এর নামে যেগুলো চালিয়ে দেয়া হয় সেগুলোর পক্ষে কোন রেফারেন্স দেয়া হয় না। কারণ রেফারেন্স দিতে গেলেই তার ভণ্ডামী আর মিথ্যাচার ফাঁস হয়ে যাবে। আর কোরানের আয়াত নাম্বার দিয়ে যা বলা হয় সেগুলোর প্রায় সবই নিজস্ব অপব্যাখ্যা। ইতোমধ্যে অনেকেই সেগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।

১৯. মিঃ মজ বাসারের কাছে মুসলিম স্কলার মানেই সাইদী-আমিনী আর আজিজুল হক – যেহেতু তাদের সাথে মিঃ মজ বাসারের ইসলাম নিয়ে ক্যাচাল হয়েছে – বাংলা ব্লগে ইসলামে বিশ্বাসীদের সাথে যেমন হচ্ছে। আর মুসলিম (উনার মতে শিয়া-ছুন্নী) মানেই বাংলাদেশী মুসলিম। অর্থাৎ উনার বিশ্বাস অনুযায়ী বাংলাদেশের বাহিরে ইসলাম ও মুসলিম বলে কিছু নাই!

২০. আল্লাহ এবং মুহাম্মদ (সাঃ)-কে হেয় করে মিঃ মজ বাসারের উক্তির কিছু নমুনা:

“হারামী-নাপাক ঋতুর সময় মাত্র মিশামিশি করার খায়েশ যিনি কন্ট্রোল করতে পারেনি! রোজাবস্থায় মাত্র বিবির জিহ্বা চুষার লোভটুকু যিনি সংবরণ করতে পারনেনি (হাদিছ মতে)! তিনি আবার সঙ্গম সংবরণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে বিশ্বাস করার কোনই হেতু নেই, বরং টিন এইজড্ হাস্যকর, ফাল্তুই বটে!”

“শরিয়তের আল্লাহ এক, দেখা যায়! আসমানে বরই বাগানের পাশে বাস করে! আসমনের আসমানে ৮টি পাঠা ছাগলের পিঠে থাকে! আকৃতি বা অস্তিত্ত্বশীল আল্লাহর প্রমান স্বরুপ তিনি উরু বের করে তার মিতা রাছুলকে দেখিয়ে ছিলেন।”

“এমনকি অহি পাওয়ার পরক্ষণেই মাঝে মাঝে তা ভুলেও যেতেন।”

“ছাগলের মূখ থেকেই আল্লাহ কোরানকে সংরক্ষন করতে ব্যর্থ!”
২১. আল্লাহ সম্পর্কে মিঃ মজ বাসারের বিশ্বাস:

“আল্লাহ নিরাকার, নির্বিকার, অস্তিত্বহীন, অনস্তিত্ত্ব; মাত্র ভাবনা-উপলব্দির বিষয়; যা সৃষ্টি-অসৃষ্টি, দৃশ্য-অদৃশ্য মিলে একাকার!”

কোরানের কোথাও আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু লিখা নেই। ‘ডিম’ নামটা ঠিক রেখে কচ্ছপের ডিমকে মুরগীর ডিম হিসেবে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে আরকি! সর্বোপরি, মৌলবাদী মজ বাসারের অবস্থানটা এরকম:

মুসলিমরা যদি বলে ‘ডান’, মিঃ মজ বাসারকে ‘বাম’ বলতেই হবে। মুসলিমরা যদি বলে ‘সাদা’, মিঃ মজ বাসারকে ‘কালো’ বলতেই হবে। মুসলিমরা যদি বলে ‘আল্লাহ আছে’, মিঃ মজ বাসারকে ‘আল্লাহ নাই’ বলতেই হবে। মুসলিমরা যদি বলে ‘আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়’, মিঃ মজ বাসারকে ‘আল্লাহ একাকার ও দ্বিতীয়’ বলতেই হবে। মুসলিমরা যদি বলে ‘কোরান আল্লাহর বাণী’, মিঃ মজ বাসারকে ‘কোরান মানুষের বাণী’ বলতেই হবে। মুসলিমরা যদি বলে ‘কোরানে কোন ভুল-ভ্রান্তি নেই’, মিঃ মজ বাসারকে ‘কোরানে ভুল-ভ্রান্তি আছে’ বলতেই হবে। ইত্যাদি। ইত্যাদি। এ যেন কারো দ্বারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত!

০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ বুঝলাম না। আমার সাথে আপনার বাহাস হচ্ছে একটি বিষয় নিয়ে। কিন্তু
মিঃ মজ বাসার সম্পর্কে আমাকে বলছেন কেন? আমি সেই বিষয় নিয়ে কিছু বলবো না। তবে আপনিও কোরআন পড়েন আমিও কোরআন পড়ি। তবে কেউ বোঝে আর কেউ বোঝে না। মাওলানা আকরাম খাঁ তার মোস্তফা চরিত বইতে লিকেছেন এই কোরআন মগাদের জন্য নয়। আর আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন ইহা উহাদের জন্য যারা জ্ঞান রাখে। এই কোরআন জ্ঞানীদের জন্য, এই কোরআন বোদ্ধাদের জন্য, এই কোরআন চিন্তশীলদের জন্য। এই কথাগুলি কোরআনের। কোরআন সকলে'ই বুঝেবে এটা ঠিক নয়।নাজিবুললাহ্।আপনি বলেছেনঃ ৩৩:৪০ আয়াতের অনুবাদ অনুযায়ীও মুহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী।

এই আয়াতটি খুব ভালো করে পড়ে দেখুন কি লিখা আছে আরবীটা।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

অনুবাদটি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ কোরআনে ভুল বাখ্য আছে। যেমন বলছেঃ
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

এইযে শেষ নবী বলা হয়েছে। এই শেষ কথাটির আরবী শব্দ কি হবে কখনো দেখেছেন? আসলে এর আরবী শব্দটি হচ্ছে خَاتَمَ খাতম, খাতাম কিংবা খতম। ফার্সী শব্দ খাতাম মানে শেষ,উর্দু শব্দও শেষ, হিন্দী শব্দ খাতাম মানে শেষ। বাংলাদেশের মানুষও বলে থাকে খতম করে দিলাম, মানে শেষ
করে দিলাম। নাজিবুললাহ্ আসলে আরবী শব্দ খাতাম মানে কি চলুন দেখি। সূরা বাকারা ২:৭ আয়াতঃ
خَتَمَ
اللّهُ عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ(শীল-মোহর) করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় (মোহর) ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

এই আয়াতেও দেখলেন খাতাম মানে কি? আসলে খাতাম আরবী শব্দ যান মানে শীল,মোহর,অলংকৃত। খাতাম মানে কি এটা কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে। প্লিজ একটু দয়া করে দেখে নিবেন। আমার প্রশ্ন খাতাম মানে কেবল এক জায়গায়'ই আছে শেষ আর কোথাও খাতাম মানে শেষ নয়; এটা কি কেউ তাদের ইচ্ছামত করে নিয়েছে? নাকি আসলে খাতাম মানে আরবী শব্দকে উর্দু,হিন্দী,ফারশী ও বাংলা দিয়ে চালিয়ে দিবে? আমি ইচ্ছা করলে আপনায় আরও আয়াত দিতে পারতাম। কিন্তু আপনি একটু কষ্ট করে দেখুন ও আমাকে জানান। কোরআনের আর কোথাও খাতাম মানে শেষ লিখা আছে কিনা? না আর কোথাও খাতাম মানে শেষ নাই। কেবল সূরা আহযাবের এই আয়াতেই আছে। আসলে এই আহযাবের আসল বাখ্য কি হবে একটু দেখে নেয়।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

এখন আপনি বলতে পারেন যে, শীল মানেইতো শেষ। না মোটেও শীল মানে শেষ নয়।একটু গল্পের আকারে বলি। আমরা সকলে কোথাও চিঠি পাঠাতে চায়লে ডাক বাক্সে গিয়ে চিঠি ফেলে আসি।একটি নিদৃষ্ট সময়ে পিয়ন এসে চিঠি গুলি বের করে নেয়। এবং বের করে সরাসরি সে বিলি করতে যায় না। সে করেকি? তার অফিসে নিয়ে তাতে একটি লোহার শীল প্যাডে কালি নিয়ে চিঠিতে মারে। মানে সত্যায়ন করে। তার মানে শীল অর্থাত শেষ নয়। শীল মানে সত্যায়নকারী। আমরা যখন চিঠিটা পায় তখন খামের উপরের শীল দেখে বুঝি এই চিঠিটা কোথায় থেকে এসেছে। আমরা চিঠির সত্যায়ন শীল দেখে বুঝি এটা ডাক বিভাগ থেকে নাকি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। তাহলে আমরা বুঝলাম আয়াতের
অর্থঃ
মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

তারমানে সকল নবীর সত্যায়নকারী। হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ)। কি বুঝলেন।আপনি বুঝবেন না। ঠিক আছ, না বুঝলে এই কোরআনে খাতাম শব্দ বহু জায়গায় আছে আপনি আর একটি জায়গায় খাতাম মানে শেষ এই অর্থটা দেখাবেন প্লিজ।

৩৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:২৫

নজিবুল্লাহ বলেছেন: সর্বপোরি, কোরআন অবিকৃত ভাবে সংরক্ষিত একে অস্বিকার করে কোরআনের বিকৃতি ঘটেছে ও কোরআনের অনেক আয়াত নষ্ট করা হয়েছে, ইহুদী-খৃষ্টানদের এই দাবীকেই প্রতিষ্ঠা করার মিশনে নেমেছে এই ইহুদীর দালাল। দেখুন তার মন্তব্য :

"১. কুফিদের মতে: ৬২৩৬টি খ।বসরাবাসীদের মতে: ৬২১৬টি গ। সিরীযাদের মতে: ৬২৫০টি ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে; ৬২১৪টি মক্বীদের মতে ৬২১৮টি আয়শার মতে ৬৬৬৬টি (দ্র: সং। ই। বিশ্বকোষ, ১ম খ। ৩য় মুদ্রণ 'আয়াত' অধ্যায়; পৃ: ৭০)"


"২. অতিকৃত কোরান সকলে মেনে নিলে এই অদ্ভুত পার্থক্য কেন হে? এই কোরান গ্রন্থ অহিকৃত কোরান নয়; রাছুলের মৃত্যুর পরে নোক্তাবিহীন অহিকৃত লিখিত কোরান রদবদল করে দল রচিত নোক্তাতি সংযুক্তি করে আল্লাহর কেতাবে নাফরমানী করে।"

৩. "হারাম-হালাল পয়সায়, পাক-নাপাক কাগজ-কালি, মুনাফাখোরী মনুষ্য রচিত-সংকলিত; আর মদ-শুকরের চেয়েও হারাম উপার্জন ধর্মের বিনিময় মজুরী গ্রহণকারী হাফেজদের সাহায্য-সহযোগীতায় আল্লাহ এই কোরান বইটি সংরক্ষণ করার অংগীকার করেননি, করেন না:
ক. বিশ্বে ২ ধরণের কোরান বই প্রচলিত: ১. আফ্রিকায় নাফি’র পাঠ ও মিশরসহ অন্য সর্বত্র হাফসে’র পাঠ।"

৪. "কোরান গ্রন্থে উল্লেখ থাকে ৬৬৬৬টি আয়াত কিন্তু গুণলে পাওয়া যায় ৬২৩৬টি।"

৫. "সম্পত্তি বন্টনে আয়াত ৪: ১১, ১২ আয়াতে ভুল আছে, হিসাব মিলে না।"



অতএব মজবাসার কোরআনে বিশ্বাসী নয়, মজবাসার ইহুদী খৃষ্টানদের প্রকাশ্য পেইড দালাল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেন দেখুন তার মন্তব্যঃ
"১. কুফিদের মতে: ৬২৩৬টি খ।বসরাবাসীদের মতে: ৬২১৬টি গ। সিরীযাদের মতে: ৬২৫০টি ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে; ৬২১৪টি মক্বীদের মতে ৬২১৮টি আয়শার মতে ৬৬৬৬টি (দ্র: সং। ই। বিশ্বকোষ, ১ম খ। ৩য় মুদ্রণ 'আয়াত' অধ্যায়; পৃ: ৭০)"

এইগুলি তার মন্তব্য নয়। আপনি কি লিখাপড়া জানেন না? এই রেফারেন্স গুলি কোথাকার তাতো দেয়া আছে।
ইসলামী বিশ্বকোষ, ১ম খ। ৩য় মুদ্রণ 'আয়াত' অধ্যায়; পৃ: ৭০)
আপনার কিছু বলার থাকলে "ইসলামী বিশ্বকোষ" এর প্রকাশনাকে বলুন। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে।ইসলামী বিশ্বকোষ এই তথ্য কোথা থেকে দিলো। তাদের জিজ্ঞাসা করুন। অযথা মানুষকে কালার করেন কেন?

৩৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৪

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ওই আবালের বাচ্চা আবাল, মাছের বাজারের পা চাটতে চাটতে কি মাথায় মাল উঠাইছোস ? মাথার ঘিলু কি সব তোর প্রভু ইহুদী-খৃষ্টানদের কাছে বন্ধক রেখে দিয়েছোস ? মাথায় তো তোর গোবর ভর ? একেক জায়গায় একেক রকম কথা বলিস কেন ?

এই জায়গায় আমাকে বলতেছোস এই আয়াতে খাতম অর্থ সীল আবার
Click This Link এই পোষ্টের ১৪ নং কমেন্টে তুই নিজেই বলতেছোস এই আয়াতের খাতাম অর্থ সীল না খাতাম অর্থ শেষ । আর কতবার আমার কাছে ধরা খেলে তোর লাজ শরম হবে ? এ পর্যন্ত কতবার ধরা খেলি এই পোষএ ? একটু গুনে দেখতো!

নবীকে মান্য কারীদের মগা বলায় আপনাকে আমি এ ভাষা প্রয়োগ করতে বাধ্য হলাম। কোরআন কখনোই বিকৃত হবে না, আল্লাহর এ দুআয়াতে আপনি বিশ্বাস না আনলে আপনি কোরআনে অবিশ্বাসী। কোরআনে অবিশ্বাসীদের সাথে এভাবে সময় নষ্ট করার কোনই মানে নেই। আগে কোরআনে বিশ্বাস আনুন তারপরে হাদীস নিয়ে আলোচনা হবে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ ওই আবালের বাচ্চা আবাল, মাছের বাজারের পা চাটতে চাটতে কি মাথায় মাল উঠাইছোস ? মাথার ঘিলু কি সব তোর প্রভু ইহুদী-খৃষ্টানদের কাছে বন্ধক রেখে দিয়েছোস ? মাথায় তো তোর গোবর ভর ?

১। প্রথমত আপনি কি সত্যি ইসলাম ধর্মের লোক?
(ক) আমার মনে হয় না। কেন? ইসলাম মানে শান্তি সেটা আপনার ভিতরে নেই। আছে গালা-গালি আর ক্রোধ।
আপনি বলেছেনঃ এই আয়াতে খাতম অর্থ আমি সীল বলেছি আর এই লিংক এর ১৪ নম্বার আয়াতে খাতাম মানে শেষ বলেছি। হায়রে উল্টা বুঝলি রাম। এটা আমি বলি নাই এটা বাংলাদেশের বেশীর ভাগ কোরআন বলেছে। আমি আপনাকে হিকমা নিয়ে বোঝাতে গিয়ে ওটা দিয়ে উদাহরণ দিয়েছি। আপনি নিজেই ভুল বুঝেছেন। আপনি আমার কমেন্ট ঠিক মত পড়েন নাই। আপনার মাথা কি ঠিক আছে সেটা একটু ঝালিয়ে দেখুন। তবে আপনার জানার জন্য আবারো ঐ লিংকটির পুরো কমেন্ট তুলে দিলাম প্লিজ পরে দেখুন আমি ভুল বলিনী। আপনি ভুল বঝেছেন।

১১১১১১১১১১১১১১১১১১পুরনো কমেন্ট১১১১১১১১১১১১১১১১১১
কিতাব হলো কোরআন এবং হিকমাহ হলো আল্লাহর নাজিলকৃহ ওহী। হিকমাহ নামক নাজিলকৃত ওহী দ্বারা নবী তার সাহাবাদের যেভাবে পরিচালিত করেছেন, আদেশ করেছেন, নিষেধ করেছেন, নিজে কাজ করেছেন বা সাহাবাদের করা কাজের মৌন ও বাস্তব সম্মতি দিয়েছেন।

এক কথায় আপনি বলতে চাচ্ছেন যে হিকমা মানে হাদীস? যদি ধনে নেয় যে হিকমা মানে হাদীস তাহলে কোরআন ও হিকমা নাজিল হলো মাবুদ কর্তৃক, তাতে দুটোই অহি? তাহলে একটি কোরআন হিসাবে আর একটি হাদীস হিসাবে কেন? একটি (কোরআন) রাসুল সাথে সাথে লিপিবদ্ধ করালেন আর একটি (হাদীস) বোখারীদের জন্য রেখেদিলেন কেন? আপনি একটু ভাবুনতো?
হাদীস অর্থ: কথা, বাণী, খবর, ইঙ্গিত, ইতিহাস, অহি ইত্যাদি। আধুনিক
হাদীস গ্রন্থে কম করে হলেও হাদীসের ছয় রকমের সংজ্ঞা পাওয়া যায়।
যার মূল বৈশিষ্ট্য হল অহি/কোরআন বহির্ভূত রাসুলের কথা/কাজ; অতপর
সাহাবা (রাসুলকে যারা দেখেছেন), তাবেইন (সহাবাদেরকে যারা
দেখেছেন), তাবে-তাবেঈন (তাবেইনদের যারা দেখেছেন); অতঃপর
পরবর্তী মনীষীগণের কথা ও কাজকেই হাদীস বলে আখ্যায়িত আছে।
অর্থাৎ হাদীসের নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা, সূত্র নেই। আর এই সুত্রের মূল
আবিষ্কারক বা ঘোষক কে! তার কোনো নাম ঠিকানা নেই! নেই কোনো
নির্দিষ্ট পরিচয় বা ইতিহাস। কারণ কোরআনের বিপরীতে স্বয়ং রাসুলের
নামেই হাদীস গ্রন্থ চালিয়ে নেয়ার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করার শক্তি-সাহস
তাদের ছিল না।
উল্লেখিত সূত্র ছাড়াও রাসুল ও সাহাবাগণ এমন কোনো কথা বা
কাজের পক্ষে বিপক্ষে ‘হা’ বা ‘না’ কোনো উত্তর/মন্তব্য না করে বরং
নীরব রয়েছেন, এমন কথা ও কর্মকেও হাদীস সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে। নীচে এমন হাদীসের একটি নমুনা লক্ষণীয়:
“রাসুল (সাঃ) একদল সাহাবাদের বনি কুরাইজা গোত্রের উদ্দেশ্যে
রওয়ানা করিয়ে তাদেরকে নির্দেশ দেন যে, ‘তোমরা কেউ যেন বনি-
কুরাইজায় না পৌছে নামাজ না পড়ো।’ পথে আসরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে
যায় দেখে দলের এক অংশ পথেই নামাজ পড়ে নেন। আর অন্য অংশটি
বনি-কুরাইজায় পৌঁছে মাগরেব ও আছর এক সঙ্গে পড়ে নেন। পরে রাসুলের (সাঃ) সামনে এসে এ কথা বর্ণনা করা হলে তিনি নীরব থাকেন।
অর্থাৎ নীরব থেকে উভয় দলের কাজকে সমর্থন করেন। বোখারীর অনুবাদের ফুটনোটে লিখেছেন, “যারা পথে নামাজ পড়ে নেন, তারা রাসুলের (সাঃ) কথার অর্থ করেন, ‘চলার গতি এত দ্রুত করতে হবে যাতে আসরের মধ্যেই বনি কুরাইজায় পৌছে যাওয়া যায়।’ আর
অন্যেরা রাসুলে (সাঃ)-এর নির্দেশকে শাব্দিক ও স্থুল অর্থে নেন এইতো হাদীস?

১। আপনি হিকমা বলতে হাদীস বুঝিয়েছেন এটা আপনার কথায় স্পষ্ট,
তবে আপনি হিকমা মানে যে হাদীস এর সঠিক রেফারেন্স কিন্তু দিতে
পারেন নাই।
২। আমি আপনাকে হিকমা মানে বলেছি জ্ঞান, শক্তি ও কৌশল। হিকমা
মানে জ্ঞানগর্ভকথা নয়। আরবী ব্যাকারণে একটি অর্থ এক এক
জায়গায় গিয়ে এক এক ভাবে ব্যবহার হয়। যেমন সূরা
আহযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ জ্ঞান গর্ভ কথা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
৩। مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে

এখানে খাতাম বলতে শেষ বুঝিয়েছেন। এই একই খাতাম শব্দ সূরা বাকারাহ ২:৭ আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে। এই শব্দ সেখানে আলাদা মিন করছে। একটু দেখুন
خَتَمَ اللّهُ
عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

এখানে খাতাম মানে বন্ধ,শীল ও পর্দা ব্যবহৃত হয়েছে । আবার কোথাও কোথাও খাতাম মানে শেষ করে দেওয়া হয়েছ্। এমন আরবী অনেক শব্দ এক এক জায়গায় এক এক রকম করে মানে করা আছে।
আমি জানিনা। কেন আপনার কাছে হিকমা মানে হাদীস হলো, তাও আবার অহি কিন্তু নবী তা কোন সাহাবাকে দিয়ে লিপিবদ্ধ করলেন না।
কেন করলেন না? রাসুল (সাঃ) নিজ হাতে কোন কিছু লিখলে মুশরেকরা তার লিখা নিয়ে বিতন্ডা করতো কোরআন সেই স্বাক্ষোদেয়। [সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াত]
চায়লে আপনাকে আরও অনেক এমন একই শব্দের ভিন্ন ভিন্ন মানে আছে তা দেখএত পারি।
২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২পুরনো কমেন্ট২২২২২২২২২২২২২২২২২২২২

আপনি আমাকে কোরআন অবিশ্বাসী বলেছেন। ভাই আপনার কাছে কি কোন যন্ত্র আছে যা দিয়ে মাপা যায়, বিশ্বাস অবিশ্বাস,কাফের ও জান্নাতী? আপনি আজ নিজেই রাগের চোটে প্রমান দিলেন আপনি Abdullah Arif Muslim। অবশ্য শরুতেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম। আপনার গোঁ ধরা দেখে।

৩৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৬

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ওই আবালের বাচ্চা আবাল, মাছের বাজারের পা চাটতে চাটতে কি মাথায় মাল উঠাইছোস ? মাথার ঘিলু কি সব তোর প্রভু ইহুদী-খৃষ্টানদের কাছে বন্ধক রেখে দিয়েছোস ? মাথায় তো তোর গোবর ভরা। একেক জায়গায় একেক রকম কথা বলিস কেন ?

এই জায়গায় আমাকে বলতেছোস এই আয়াতে খাতম অর্থ সীল আবার
Click This Link এই পোষ্টের ১৪ নং কমেন্টে তুই নিজেই বলতেছোস এই আয়াতের খাতাম অর্থ সীল না খাতাম অর্থ শেষ । আর কতবার আমার কাছে ধরা খেলে তোর লাজ শরম হবে ? এ পর্যন্ত কতবার ধরা খেলি এই পোষএ ? একটু গুনে দেখতো!

তুই নিজেই দেখ তুই ঐ পোষ্ট এ কি লিখিছিলি !

"আরবী ব্যাকারণে একটি অর্থ এক এক
জায়গায় গিয়ে এক এক ভাবে ব্যবহার হয়। যেমন সূরা
হযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ জ্ঞান গর্ভ কথা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
৩। مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে

এখানে খাতাম বলতে শেষ বুঝিয়েছেন। এই একই খাতাম শব্দ সূরা বাকারাহ ২:৭ আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে। এই শব্দ সেখানে আলাদা মিন করছে। একটু দেখুন
خَتَمَ اللّهُ
عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

এখানে খাতাম মানে বন্ধ,শীল ও পর্দা ব্যবহৃত হয়েছে । আবার কোথাও কোথাও খাতাম মানে শেষ করে দেওয়া হয়েছ্। এমন আরবী অনেক শব্দ এক এক জায়গায় এক এক রকম করে মানে করা আছে।"

নবীকে মান্য কারীদের মগা বলায় আপনাকে আমি এ ভাষা প্রয়োগ করতে বাধ্য হলাম। কোরআন কখনোই বিকৃত হবে না, আল্লাহর এ দু’আয়াতে আপনি বিশ্বাস না আনলে আপনি কোরআনে অবিশ্বাসী। কোরআনে অবিশ্বাসীদের সাথে এভাবে সময় নষ্ট করার কোনই মানে নেই। আগে কোরআনে বিশ্বাস আনুন তারপরে হাদীস নিয়ে আলোচনা হবে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নবীকে মান্যকারীদের আমি মগা বলেছি। এটা আপনি কোথায় পেলেন? আপনি লিখাটি ভালে করে পড়েছেন?

সূরা
আহযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ জ্ঞান গর্ভ কথা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

৩। সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃمَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

এটা সেদিন কোন অর্থে আপনাকে পেস্ট করেছিলাম সেটা কি জানেন। এই আয়াতের তরজমা কিন্তু আমি করি নাই। আর সেই দিন এই বিয়ন নিয়ে বাহাস হচ্ছিলো না, হচ্ছিলো হিকমা নিয়ে। যদি খাতাম নিয়ে বাহাস হতো তাহলে আমি অবশ্যই বিষয়টি আপনাকে ভেঙ্গে বুঝাতাম। এই ১৪ নং কমেন্টে খাতাম মানে আপনকে বোঝাতে সূরা বাকারার ৭ নং আয়াত উল্লেখ করেছি। যে সেখানে খাতাম মানে শেষ নয়, খাতাম মানে এখানে বন্ধ,শীল ও পর্দা ব্যবহৃত হয়েছে । এটা আমি আপনাকে বোঝাচ্ছি;আমি আপনাকে খাতাম মানে শেষ বললাম কই? এইটাতো সকল কোরআনে ভুল তরজমা করাই আছে।

আপনি আমাকে গালা-গালি তুই তাকার করছেন কেন? আপনার ভেতরে চুল পরিমান ভদ্রতা নাই। অবশ্য ভদ্রতা বংশের পরিচয়। আপনার আচরণ'ই বলে দিচ্ছে আপনি কোন বংশের মানুষ। আর ইসলাম সেটাও আচরণে ফুটে উঠে।

৪০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

নজিবুল্লাহ বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেন দেখুন তার মন্তব্যঃ
"১. কুফিদের মতে: ৬২৩৬টি খ।বসরাবাসীদের মতে: ৬২১৬টি গ। সিরীযাদের মতে: ৬২৫০টি ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে; ৬২১৪টি মক্বীদের মতে ৬২১৮টি আয়শার মতে ৬৬৬৬টি (দ্র: সং। ই। বিশ্বকোষ, ১ম খ। ৩য় মুদ্রণ 'আয়াত' অধ্যায়; পৃ: ৭০)"

এইগুলি তার মন্তব্য নয়। আপনি কি লিখাপড়া জানেন না? এই রেফারেন্স গুলি কোথাকার তাতো দেয়া আছে।
ইসলামী বিশ্বকোষ, ১ম খ। ৩য় মুদ্রণ 'আয়াত' অধ্যায়; পৃ: ৭০)
আপনার কিছু বলার থাকলে "ইসলামী বিশ্বকোষ" এর প্রকাশনাকে বলুন। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে।ইসলামী বিশ্বকোষ এই তথ্য কোথা থেকে দিলো। তাদের জিজ্ঞাসা করুন। অযথা মানুষকে কালার করেন কেন?


এই পোষ্ট এর ৭নং মন্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছি এ বিষয়টি। এর পরও মজবাসারের পা চাটতে চাটতে এ মগার মাথার ঘিলু নাই করে ফেলেছে তাই কিছুই তার মাথায় ঢুকতেছেনা্

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:১৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: অবাক কান্ড! পৃথিবীতে আজ অবধী আমরা যা জেনেছি তা কেবল বিভিন্ন কিতাব পড়ে। এই সব কিতাব যুগে যুগে মানুষের মাঝে গল্প আকারে ছিলো। আপনি ঐশী কিতাব বাদে আপনি যা পড়ছেন সেগুলি কারোনা কারো লিখা্। তার রেফারেন্স সূত্র মানুষ। এই একই মানুষ কারো কাছে মিথথুক আবার কারো কাছে বিশ্বাসী। মানুষের দ্বারা লিখা কিতাব বিশ্বাস করবেন কিসের ভিত্তিতে?

৪১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬

নজিবুল্লাহ বলেছেন: সারারাত গীত শুইন্না সকালে জিগায় রামায়ন কে !

যদি আল্লাহর কিতাব বিশ্বাস করে থাকেন আর মানুষের লিখা ইতিহাসের চাইতে আল্লাহর ওহী কে বেশী প্রাধান্ন দিয়ে থাকেন তাহলে এই কথা আবার বলেন কেন যে ,

"বাংলাদেশের সম্পর্কে জানলে আপনাকে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়তেই হবে। ঠিক তেমনী আরব সম্পর্কে জানলে, হাশেমী বংশ সম্পর্কে জানলে, ইসলাম সম্বন্ধে জানলে ইতিহাস পড়তে হবে।"

আমি তো আপনাকে এ কথাটাই বুঝাতে চাচ্ছি যে, আল্লাহ বলতেছেন তার কোরআন বিকৃত হয়নি কিন্তু আপনি মানুষের লিখা ইতিহাস দিয়ে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন কেন যে, কোরআন বিকৃত হয়েছে ? তাহলে তো আপনি আল্লাহর কথার চাইতে মানুষের কথাকে বেশী গুরুত্ব দিলেন! তাহলে আবার উপরের মন্তব্যটি করলেন কেন ?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনানি যে জ্ঞান অর্জন করেছেন হয়তো আমি সে জ্ঞানে জ্ঞানান্নিত নই। আর আমি যে জ্ঞান অর্জ করেছি হয়তো সেই জ্ঞান আপনি জ্ঞানান্নিত নন? যার শেষ ভালো তার সব ভালো। আপনার মূখে ধর্মের কথা মানাই না! কারনঃ
১। আপনি ইসলাম ধর্মের মানুষ হয়ে আর একটি মানুষ কে গালাগালি পারছেন। নবীর আদর্শ তা করতে বলে না।
২। আর একটি কথা আপনি ইলমে গায়েব জানেন তায় না? তানা হলে আমি ইহুদী,খ্রীষ্টিয়ান, কাদিয়ানী ও রাশেদ খলিফার লোক এটা আপনি জানলেন কি ভাবে? যাক ভালো থাকেন, আল্লাহ্ আপনাকে ভালো রাকুন এবং সুস্থ্য রাখুক এই দোয় করি। আল্লাহ্ হাফেজ।

৪২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ মেহেদী পরাগ নামে এক ভদ্রলোক আপনাকে কমেন্ট করেছেন পারলে একটু পড়ে দেখেন। Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.