![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ব্লগ'' শব্দটি শুরু থেকে ই আমার কাছে আকর্ষয়নীয়.কারণ লেখালেখি আমার বিশেষ পছন্দের একটি কাজ..
এক বিশিস্ট জ্ঞানী দেখলাম কিছুক্ষন আগে বাউলদের নিয়ে এই পোস্টখানা দিল......
Click This Link
লেখাটা পড়ে সাদা চোখে মনে হয় নিছক সত্য কথাই লেখা হল।কিন্ত আসলেই কী তাই?নাকী উদ্দেশ্যপ্রনোদিত??আমার কাছে সেটাই মনে হল।আজকাল ইসলামিক প্রপাগান্ডা এত বেশি বেড়েছে যে শেষ পর্যন্ত তার আঁচ বাউলদের উপর ও পড়ছে।
এই বিশিস্ট ব্যক্তি বাউল ধর্মের উৎস ও ইতিহাস এবং ধর্মটি কতটা ভাল বা মন্দ সে বিষয়ে ব্যাপক গবেষনা করেছেন।তিনি বাউলতত্ত্ব নিয়ে যে মত বা রেফারেন্স দিয়েছেন তা ভুল না কিন্তু যারা এসব মতামত দিয়েছে তারা কতটা সঠিক? আসলে সেটা নিয়ে কথা নয়।কথা হচ্ছে তার বিশ্লেষন নিয়ে।
তিনি বলেছেন,"মূলতঃ বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ভেকধারী এসব বাউলরা তাদের বিকৃত ও কুৎসিত জীবনাচারণকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার জন্য বিভিন্ন গানে মোকাম, মঞ্জিল, আল্লাহ, রাসূল, আনল হক, আদম-হাওয়া, মুহাম্মদ-খাদিজাসহ বিভিন্ন আরবী পরিভাষা, আরবী হরফ ও বাংলা শব্দ প্রতীকরূপে ইচ্ছাকৃতভাবেই ব্যবহার করেছে।"
বিকৃত যৌনাচার কী সব বাউলদের মাঝে?নিশচয়ই না।যেমন নয় সব হুজুরদের মাঝে।কোন ধর্ম নির্ভুল নয়।তিনি বাউল ধর্মের যে নেতিবাচক দিকগুলো এনেছেন,তার চেয়ে বড় নেতিবাচক দিক আছে ইসলাম ধর্মে।এখানে তো চারজন পর্যন্ত স্ত্রী জায়েজ।সেবিকাকে বা দাসীকেও চাইলে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে ব্যাবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
Click This Link
আবার ইসলাম ধর্মের চেয়েও বেশি নেতিবাচক দিক আছে হিন্দু ধর্মে।
আমার কথা হচ্ছে,ধর্মীয় আচার আচারনের ভিন্যতা থাকতেই পারে।যেকোন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখার ক্ষমতা এবং সহিষ্নুতা প্রত্যেকের থাকা উচিত।সমস্যা হল এই ব্লগারের মত ইসলাম সেবকরা সেটা পারেনা বলেই ইসলাম এখন বিপন্ন।যার ফল বাউল নির্যাতন এবং তার এই বিষাক্ত পোস্ট। বাউলদের উপর যে বর্বর আক্রমন হয়েছে সেটা কোনোভাবে কী গ্রহনযোগ্য?এই ব্লগার যেভাবে বাউল ধর্মকে বিশ্লষন করেছেন তাতে তো বাউল ধর্মকেই নিষিদ্ধ করা উচিত।কিন্তু সেটা গনতন্ত্র নয়।
এবার আসি মূল যুক্তিতে,তিনি বলেছেন,"ইসলাম, ইসলামী আকিদাহ্ যা এদেশের আপামর মুসলিমের অন্তর্নিহিত বিশ্বাসের সাথে বাউল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসের দূরতম সম্পর্ক নেই এবং তা পুরোপুরি ষাংঘর্ষিক। শুধু তাই নয়, বিশ্বাসে পৌত্তলিক, আচার-আচরণে ভয়ঙ্কর কুসংস্কারাচ্ছন্ন, বিকৃত জীবানাচারণ ও অবাধ যৌনাচারে অভ্যস্ত বাউল সম্প্রদায় কোনভাবেই এদেশের মানুষের কৃষ্টি-কালচার বা আত্বপরিচিতির বন্ধনমূল হতে পারেনা"
কোন ধর্মের আচার আচারণ কতটা খারাপ বা ধ্বংসাত্বক তা নির্ভর করে তা কতটা সমাজকে প্রভাবিত করছে এবং কীভাবে করছে।বাউলরা গাজা ভাং খায় প্রাচীনকাল থেকে সেটা আমরা সবাই জানি,কিন্তু আমাদের যুবসমাজকে মাদকের দিকে ঠেলে দিতে তার ভূমিকা কতটুকু?আর তাদের যে যৌনাচারের কথা বলেছেন,সেটা তাদের সম্প্রদায়ের মাঝে সীমাবদ্ধ বলেই তা সাধারন্যে অজানা।কোন ধর্মে জীবনাচারনের এই স্বাধীনতা থাকতেই পারে,যেমন আছে পশ্চীমাদের কিংবা আফ্রিকান কোন কোন গোস্ঠীর মাঝে।সেটা যদি বাউল বহির্ভূত সমাজকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত না করে তাহলে সমস্যা কী?এই বিশিস্ট ব্লগারের মত ইসলামসেবকদের এ্যাত অন্তর্জালা কেন বোঝা গেল না।
শরীফ উদ্দীন সবুজ নামক একজন ব্লগারের কাছ থেকে কিছু বিষয় জেনে উপকৃত হলাম।তার বরাদ দিয়ে বলছি,
"বাউলদের সম্পর্কে এটি একটি খন্ডিত পোষ্ট। নিজেদের বিশ্বাস ধর্ম সম্পর্কিত তথ্য বাউলরা অত্যন্ত যত্ন করে গোপন রাখে। 'দ্যা ভিঞ্চি কোড' যারা পড়েছেন বা দেখেছেন বা পড়েছেন তারা এ গোপনীয়তাটি কিছুটা অনুধাবন করতে পারবেন। ভিঞ্চি তার সম্প্রদায়ের কোড লুকিয়ে রেখেছিলেন ছবিতে। বাউলরা লুকিয়ে রাখে তাদের গানে। বাঙ্গালী জাতি যে এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো তার প্রমান কি? লিখিত প্রমান হচ্ছে দোহা বা চর্যাগীতি বা চর্যাপদ। এ চর্যাপদ কি? চর্যাপদ হচ্ছে বাউলদের সাধন সংকেত। গানের ভেতর লুকিয়ে রাখা তাদের গোপন বার্তা। এক হাজার বছর আগেও বাউল ছিলো। আর তাদের গানের ভেতর লুকিয়ে রাখা গোপন লিখিত বার্তাটি-ই বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমাদের প্রাচীনত্বের প্রমান। একারনেই বাঙ্গালীর ইতিহাস মানেই বাউলের ইতিহাস।
যৌনাচার সম্পর্কে যেটি এ পোষ্টে বলা হয়েছে সেটি উদ্দেশ্যমূলক। বাউলদের সাধনার চূড়ান্ত পর্যায় হচ্ছে নারী বা পুরুষ এর বিচ্ছিন্ন হয়ে স্রষ্টার সাথে মিলে যাওয়া। নারী পুরুষের সম্পর্ক তুচ্ছ করতে না পারলে সাধনার চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়া যায়না। কে আমরা? কোত্থেকে এসেছি? কোথায় ফিরে যাবো? অতি প্রাচীন এসব প্রশ্ন ভাবুক মাত্রই মনে হাহাকার তৈরী করে। বাউলরা এ প্রশ্নের উত্তর খঁজেছেন নিজস্ব পন্থায়। উত্তরও লুকিয়ে রেখেছেন সযত্নে। সাধারন বাঙ্গালী মুসলমানের সাথে বাউলদের মিল ঐ জায়গায় জীবনের কোন না কোন স্তরে আমাদের মনেও এসব প্রশ্ন হাহাকার তোলে। এ বাংলার প্রকৃতি এজন্য দায়ী। পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষের মধ্যে এসব প্রশ্ন সমানভাবে আলোড়ন তৈরী করে না। যেমন করে আমাদের। এই দার্শনিক বোধ বাঙ্গালী ও বাউলকে একাত্ম করেছে।"
আমার ব্যক্তিগত মত হল,আপাতদৃস্টিতে অবশ্যই মুসলিম অন্তর্নিহিত বিশ্বাসের সাথে বাউল ধর্ম যায় না এবং তা পুরোটাই সাংঘর্ষিক।কিন্তু তবুও আমরা শত শত বছর ধরে কেন এ্যত বেশি সহানুভূতিশীল তাদের প্রতি,বলতে পারেন?কারন ঐ যে বলেছেন এদেশের বেশিরভাগ মানুষ পরধর্ম মতে সহনশীল।এবং ঠিক এ কারনেই,অবশ্যই তারা আমার,একজন বাংগালীর আত্বপরিচিতির সাথে সম্পৃক্ত।শত শত বছর ধরে যে বাউল হিন্দু মুসলিম বুদ্ধ খৃস্টান নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রকাশ পায় এমন গান গেয়ে যায় বাংলাদেশের হাজার হাজার গ্রামের আনাচে কানাচে এবং বলে"সবার উপর মানুষ সত্য,তাহার উপর নাই"সে অবশ্যই আমার কৃস্টি-সংস্কৃতি-আত্মপরিচয়ের অংশ।যতই থাক তার সাথে বার কোটি মুসলমানের ধর্মীয় আচারনের অমিল।বরং তার ভূমিকাই আমাদের পরধর্ম মতে সহনশীল হতে সহায়তা করেছে বহুলাংশে।আর যেখানে আসছে দেশের ঐতিহ্য,দেশ,সংস্কৃতি ও কৃস্টির কথা,মানে বিষয়টা যেহেতু সামগ্রীক তাই ধর্মীয় পরিচয় সেখানে গৌন।হামিদা হক,কবির চৌধুরীরা বাউল ধর্মের সাথে নয়, কর্ম এবং শত শত বছর ধরে সমাজে তাদের ভূমিকার সাথে বাংগালীর আত্মপরিচয়ের সংযোগের কথাই বলেছেন।
সর্বপরি,এই ব্লগার বাউল ধর্মের যে জন্ম ইতিহাস তুলে ধরেছেন সেটাই প্রমান করে যে তারা কতটা ইতিবাচক,কারন সেখানে সাম্প্রদায়িক অন্ধত্বের কোন ঠাই নেই,বরং সর্ব ধর্মের মিলন।আর যে নেতিবাচক বিষয়গুলো বলেছেন সেরকম অনেক নেতিবাচক দিক কোন ধর্মে না আছে?
তাই অনুরোধ এভাবে কোন গোস্ঠির বিপকখে উষ্কানমূলক পোস্ট দিয়ে সাধারণ পাঠককে বিভ্রান্ত করবেননা আর কোন ব্লগার।কেননা ইসলামকে ব্যাবহার করে এভাবে গোস্ঠিগত বিদ্বেষ ছড়ালে তা শুধু বিভ্রান্তকারীর ধর্মীয় পরিচয়কেই ছোট করবে।সবচেয়ে বড় কথা কারো সাথে আমার মত ও পথের অমিল থাকতেই পারে কিন্তু যতক্ষন না পর্যন্ত তা আমার জন্য বা আর কারো জন্য ক্ষতিকর না হয় ততখন পর্যন্ত তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাই সর্বোচ্চ মানবিকতা ও গনতন্ত্র।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:০২
কানা বাবা বলেছেন:
ধুর্!
হুদা-ই টাইম্ লস্ কোল্লাম্...
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩
মনপবন বলেছেন: @কানা বাবা:টাইম লস করার জন্য ধন্যবাদ
@নিভৃতচারী:উতসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২৬
ব্যাক্তি বলেছেন: Confused
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০২
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: এ তো দেখি কানার হাট বাজার........................
বাউল কি ধর্ম নাকি ধর্ম ত্যাগী.................
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৪
সত্যাশ্রয়ী বলেছেন:
দুইটাই বড় পোস্ট পড়তে টাইম লাগে। তবে আপনার পোস্টের মূল বক্তব্যটা বোঝা গেল না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আসলে ? ঐ লেখক যে বাউলদের যৌনজীবন/বিকৃতচার নিয়ে লিখেছেন সেগুলো মিথ্যা কিনা সেটা পরিস্কার করেন নি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪২
মনপবন বলেছেন: উনি যে ইন্টেনশন নিয়ে লিখেছেন তার আলোকে তা অবশ্যই মিথ্যা।কোন ধর্মের র ই মূল কার্যকলাপ ঐ সব আজেবাজে কাজ হতে পারে না।ওগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা,অপরিহার্য নয়।
আর আপনিতো আমার পোস্ট ই ভাল করে পড়েননি,সময় লাগবে বলে বা বড় বলে।তাহলে মূল বক্তব্য বুঝবেন কেমন করে?আশা করি পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন।
তবুও বলি সংখেপে যে দুটি বিষয় আমি বোঝাতে চেয়েছি:
১।যৌনাচার ও বিশৃংখল কর্মকান্ড বা মাদক সেবন বাউল ধর্মের অপরিহার্য অংশ নয়।যাকিছু ঐ ব্লগার উল্লেখ করেছেন তা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে অপব্যাক্খা দ্বারা বাউল ধর্মের অন্তর্গত কার্যাবলী হিসেবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
২।বাউলরা বাংগালী জাতি ও সংস্কৃতি সত্তার অপরিহার্য অংশ কারণ তাদের আধ্যাত্মীক কর্মকান্ড এবং সৃস্টি ই বাংগালীকে পরধর্মে সহনশীল ও অসাম্প্রদায়ীক হতে সহায়তা করে আসছে শত শত বছর ধরে। তাছাড়া নিরাকার সাধক মুসলিম সমাজের মূল ধর্মীয় চেতনার সাথে বাউল ধর্মের চেতনার মিল রয়েছে যা এ উপমহাদেশে সাকারাশ্রয়ী(সনাতন ধর্মের অনুসারী)দের বিপরীতে মুসলীম অধিবাসীদের অবস্থানকে শক্ত করেছিল।এ উপমহাদেশে বিশেষ করে গ্রাম বাংলার সাধারন মুসলীমরা তাই যখন উচু বর্নের হিন্দুদের দ্বারা অত্যাচারিত হত তখন এই বাউলদের সাথেই তারা অনুভব করত একিসাথে সামাজিক ও আত্মিক বন্ধন।একি কথা খাটে নিম্ন বর্নের হিন্দুদের খেত্রেও।যদিও বাউল ধর্মের হিন্দু সংস্করণ একটা আছে-বৈষ্নব ধর্ম।যেহেতু উচু বর্নের হিন্দুদের দ্বারা তারাও অত্যাচারিত হত তাই তারাও বাউল ও বৈষ্নব উভয়ের সাথে বন্ধন অনুভব করত।তাই তাদেরকে কোনভাবেই বাংগালী সত্তা থেকে দূরে রাখাতো যাবেইনা বরং বাউল ছারা বাংগালী ও বাংলা অপূর্নাংগ।এ মাটির যে কয়জন কালজয়ী সূর্যসন্তান আছেন
তাদের মাঝে লালন ,হাছন রাজা এবং শাহ আব্দুল করীম সবাই ছিলেন বাউল।তাদের মাঝে কেউ কেউ ধর্মে না হলেও কর্মে কিংবা মর্মে।
৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৪
হুনার মন্দ বলেছেন: বাউল সাধনার মূল হচ্ছে দেহকে জয় করা। যার মূলই হচ্ছে লোভ, কাম জয় করা। ফলে এই যুক্তিতে ঐ পোষ্টের প্রায় সব যুক্তিই ধরা খেয়ে যায়। এখন আমি যদি কোন এক হুজুর, বা পোপ, বা ঠাকুরের চুরি করা দেখে সবাইকেই চোর বলি তাহলে আমাকে বোঝানোর কিই বা থাকতে পারে।
আপনার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
+
৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "বাউলদের সম্পর্কে এটি একটি খন্ডিত পোষ্ট। নিজেদের বিশ্বাস ধর্ম সম্পর্কিত তথ্য বাউলরা অত্যন্ত যত্ন করে গোপন রাখে। 'দ্যা ভিঞ্চি কোড' যারা পড়েছেন বা দেখেছেন বা পড়েছেন তারা এ গোপনীয়তাটি কিছুটা অনুধাবন করতে পারবেন। ভিঞ্চি তার সম্প্রদায়ের কোড লুকিয়ে রেখেছিলেন ছবিতে। বাউলরা লুকিয়ে রাখে তাদের গানে। বাঙ্গালী জাতি যে এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো তার প্রমান কি? লিখিত প্রমান হচ্ছে দোহা বা চর্যাগীতি বা চর্যাপদ। এ চর্যাপদ কি? চর্যাপদ হচ্ছে বাউলদের সাধন সংকেত। গানের ভেতর লুকিয়ে রাখা তাদের গোপন বার্তা। এক হাজার বছর আগেও বাউল ছিলো। আর তাদের গানের ভেতর লুকিয়ে রাখা গোপন লিখিত বার্তাটি-ই বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমাদের প্রাচীনত্বের প্রমান। একারনেই বাঙ্গালীর ইতিহাস মানেই বাউলের ইতিহাস।
thanks
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৫৫
শুধু প্যচাল বলেছেন: ভাল লাগল। এরা এখন বাউলের পিছে লাগছে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। বদমাইশ, ভন্ডের দল।
আপনার কথা আসলেই যুক্তিতে আসে -যৌন বিষয়ে যে কথা ভন্ডরা বলে গেল, ইহা একান্তই বাউলদের নিজেদের বিষয়, তারা ইহাকে সকলের মাঝে প্রতিষ্ঠা করেনি, করতে চায়ও না, অথচ দেখুন এই ভন্ডরা এই ব্লগে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছে , চুরি করে জেনেছে, সেইটা আবার প্রচার করছে। আবার ইসলামের যে বাজে বিষয় আছে তাও বুক ফুলায় প্রচার করছে।
বলে বেড়ায় ৯৭% মুসলিমের দেশে বাউলরা নাকি কত কি করছে। আরে গাধাগুলো বিলাতী বীজে সৃষ্টি সেই বিষয়ে জানোয়ার গুলোর হুস নেই। মুসলিম আগে নাকি এই বাউল ধ্যান ধারনা এই বাংলায় আগে ছিল? সেই বিষয় জানেনা। শয়তানের দল। এরা বিশ্ব বলতে বুঝে মক্কার কাবা শরিফ, আর জ্ঞান বলতে বুঝে ৩০ পারার কাগজের কোরান। এর থেকে এরা বাইরে বের হতে পারেনা। এরা তাই নজরুলের ভাষায় সাথে আমারও ভাষায় দো পা ওয়ালা জন্তু।
লালনও এদের পশু বলে গেছিলেন।
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬
মনপবন বলেছেন: @হুদার মন্দ,বিদ্রোহী ভৃগু,শুধু প্যাচাল:অশেষ ধন্যবাদ।
১১| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১:৩৩
চা সিগারেট বলেছেন: আমার চুল লেখস
০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৪
মনপবন বলেছেন: তোর মুখোশটা খুলে পড়ল।যা চেহারা বানাইছস!আয়নার সামনে গিয়া দ্যাক আ্যকবার নিজেরে।সয়তানও তোরে দেইখা লজ্জা পাইবো।
১২| ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৯
চা সিগারেট বলেছেন: কখনো মুখোশ পড়ি নাই, পড়ার দরকার হয় নায় , কারণ সৎ সাহস আমার ভালই আছে। যেইটা খারাপ সেইটাকে খারাপ বলতে জানি, আর ভালকেও মরযাদা দিতে জানি।
সয়তান যদি আমার চেহারা দেখে ভয় পায় তাহলে সেটা আমার সৌভাগ্য।
১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৩
মনপবন বলেছেন: ভয় না লোজজা পাইছে।অবাক হইয়া ভাবতেছে, সে আসলে কুয়ার ব্যাং।নিজেরে রাজা ভাবত।আসলেতো সে তোর কাছে কিছু না ,আমি শিওর
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪১
নিভৃতচারী বলেছেন: খুব ভালো লাগল। ব্যক্তিগতভাবে বাউলদের সম্পর্কে খুব গভীরভাবে না জানলেও তাদের আধ্যাত্মিক ভাবনাগুলোর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। "সবার উপর মানুষ সত্য,তাহার উপর নাই" - এ শ্লোগান যাদের মূলমন্ত্র তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, কুৎসা রটানো মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত হানারই শামিল। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এইসব কট্টরপন্থী অপশক্তির বিরুদ্ধে।