![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ব্লগ'' শব্দটি শুরু থেকে ই আমার কাছে আকর্ষয়নীয়.কারণ লেখালেখি আমার বিশেষ পছন্দের একটি কাজ..
গেরিলা ছবির গানগুলো
ফেজবুকে গেরিলার অফিসিয়াল পেজ দেখুন
গেরিলাকে ভোট দিটে ক্লিক করুন এখানে
কাল "গেরিলা" দেখলাম বলাকায়।জীবনের প্রথম হলে গিয়ে চলচিত্র দেখা।তাই ভাবলাম এমন একটি চলচিত্র দেখবো যা আজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবে।এর আগে কখনো বাংলা চলচিত্রের রিভিউ লিখিনি।এটাকেও কেউ রিভিউ ভাববেননা।কেবল মনোভাব প্রকাশ বলা যায়।
এ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত ছবি তৈরি হয়েছে দেশে তার সবই দেখেছি।যদিও আমি সাধারণ দর্শকমাত্র তবুও চোখ বুজে বলে দিতে পারি কোনটা ভাল বা মন্দ লাগার।কারণ চলচিত্র শিল্পের সবচেয়ে স্পস্ট প্রকাশ এবং বৃহৎ মাধ্যম।
মানের কথা বলতে গেলে সাদাচোখে নাসিরউদ্দীন ইউসুফ অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র স্বাধীনতার ৪০ বছর পর উপহার দিয়েছেন বলা যায়।
এর সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারন।প্রতিটি দৃশ্যকে তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।বিলকিসের একাকীত্বের মূহূর্ত,চুপ করে থাকা,রেলগাড়িতে মুক্তির নি:শ্বাস নেয়ার দৃশ্য,ছোটভাই খোকনের স্মৃতিচারন এমনভাবে চিত্রায়ীত হয়েছে যা প্রত্যেকের হৃদয় ছুঁয়েছে।ছোটভাই খোকনের মৃতদেহের মাথায় হাত বুলিয়ে বিলকিস দু হাতের অঞ্জলীতে যখন তুলে ধরল একটি শালিক পাখি, তখন বুকের ভিতরটা হু হু করে উঠল।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের নির্বাচন এবং উপস্থাপনা ও ছিল নিঁখুত।আলতাফের কিছু গান নতুন করে শুনে আবারও উজ্জীবীত হলাম।সত্যিই তিনি বাংলা দেশগানের যে একজন শ্রেস্ঠ সুরকার তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।বিশেষ করে ঐ গানটা,"জয় সত্যের জয়,জয় প্রেমের জয়"।আর যে রবীন্দ্রসংগীতগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলোও সাধারন দর্শকের কাছে শ্রুতিমধুরতো বটেই মনকেও জাগিয়েছে।
অভিনয়ের কথা না বললেই নয়।প্রত্যেক অভিনেতাকে মনে হল তার সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন এখানে।জয়া আহসান ভাল অভিনেতা জানতাম কিন্তু এই চলচিত্রে মনে হল তিনি নতুন করে জন্মালেন আরেক জয়া হয়ে।বিলকিস চরিত্রে নিজেকেও ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।শেষ দৃশ্যে গ্রেনেড হাতে জয়ার হাসি শয়তানের ও ঘুম কেড়ে নেবে।আর রেল লাইনের উপর দিয়ে তিনি যখন হাটছিলেন ত্রস্ত পায়ে তখন তার বাড়ি ফেরার টান দর্শকের মাঝেও সঞ্চারীত হল।রেলগাড়িতে বোরকা অনাবৃত করে রাখার পর সাহসিনী বিলকিসের মুখাবয়বে যে আগুন ধরা পড়ল তা একজন সাহসী ৭১ এর গেরিলাকেই সবার সামনে তুলে ধরে।
আলতাফ মাহমুদের চরিত্রটি কল্পিত নয়।আহমেদ রুবেল সাবলীল অভিনয় দিয়ে তাকে আরো জীবন্ত করেছেন।পাক আর্মি এসে যখন জিজ্ঞেস করল,"হু ইজ আলতাফ মাহমুদ?"মাথা উচু করে দাড়িয়ে দৃপ্তকন্ঠে বললেন,"আমি ই আলতাফ মাহমুদ"বেজে উঠল সেই আমোঘ সংগীত যা শুধু এমন বীরের জন্যই রচিত,"বল বীর চির উন্নত মম শির"।কাজী নজরুলের রচিত 'বিদ্রোহ"কবিতাটির এ সংগীতরূপ এবং উপস্থাপনা আমাদের চেতনায় করাঘাত করেছে।
শতাব্দী ওয়াদুদের জায়গায় পাকি অফিসার হিসেবে আর কাউকে ভাবতে পারছিনা বলেই তার করা একসাথে দুটি চরিত্র একই মনে হল বেশি করে।সত্যিকার অর্থে তিনি সফল।একজন ভিলেন (তাও আবার পাক আর্মি চরিত্রে) ও যে ভাল অভিনয় দিয়ে দর্শকের আগ্রহ কাড়তে পারেন তা তার সুঅভিনয় দেখেই বোঝা গেল।তাই ঢাকার পাক অফিসার যখন গুলিতে মরল দর্শকের হাততালি যেন থামতেই চায়নি।
আর প্রভাবশালী ব্যাক্তি সৈয়দ সাহেব হিসেবে এটি এম শামসুজ্জামান বারবার এসেছেন ত্রানকর্তা হিসেবে কয়েকটি দৃশ্যে।তার শক্তিশালী অভিনয়ে চরিত্রটি ততকালীন সময়কে আরো বাস্তব করেছে।
ভাবনা ও মূল বক্তব্যে চলচিত্রটি বেশ সিরিয়াস হলেও তাকে কীভাবে উপভোগযোগ্য করে উপস্থাপন করা যায় তা বিশিস্ট পরিচালক ভালই জানেন।কিছু কিছু দৃশ্যে দর্শক হাসবে।মানে ব্যাপক আনন্দ পাবে।যেমন বিলকিসের বিয়ের পরে বন্ধুদের নিয়ে নৌকা ভ্রমনের স্মৃতিচারণে-"এক দফা এক দাবি,মুরগী মসল্লা ভুনা খিচুড়ী।"তারপর রেলগাড়িতে ফেরিওয়ালার ওষুধ ফেরী করার সময়ের ডায়ালগগুলো।
এবার আসি শেষ কথায়,পরিচালক চলচিত্রটি শেষ করেছেন বেশ চমকপ্রদভাবে।বিলকিস ও চন্দনকে যখন হাতেনাতে ধরে মিলিটারী ক্যাম্পে আনা হল বিলকিস তখন চন্দনকে পরিচয় দেয় নিজের আপন ছোট ভাই "সিরাজ'' নামে।যখন ধরা পড়ে,ছেলেটি আসলে হিন্দু তখন মেজর বিলকিস কে হিন্দু মনে করে আরো বেশি আল্হাদিত হয়ে এগিয়ে যায় তার দিকে।ঠিক সেই মুহূর্তে বিলকিস গ্রেনেড ছুড়ে দেয় ।শেষ দৃশ্যটির মূল ভাব মূলত পুরো চলচিত্রটির ই মূলভাব।একজন সত্যিকারের গেরিলা কখোনো কোনো অন্যায়ের কাছে ধরা দেয় না।নয় কোনো অসম্মান কিংবা সাম্প্রদায়িকতা।শেষ দৃশ্যটি এও বলে দেয় যে, আমাদের জাতীয়তাবাদের শিকড় হিন্দু মুসলীম সম্পৃতির উপর হাজার বছর ধরে নির্মিত বাংগালী জাতিয়তাবাদ।যাকে তথাকথিত ইসলাম ধর্মের জুজু দেখিয়ে ভেঙে দেয়ার চেস্টা করা হলে সে চেস্টাকে বাংগালী জীবন দিয়ে হলেও নস্যাত করে দেবে।
আমাদের দেশে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকরা সিনেমাহলে যাবেন সিনেমা দেখতে, এই সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি।কিন্তু আমি শিক্ষকদের অনুরোধ করছি যেন তারা অন্তত "গেরিলা"চলচিত্রটি শিক্ষার্থীদের দেখান।আমি নিজে যদি শিক্ষক হই অবশ্যই আমি আমার শিক্ষার্থীদেরকে দেখাবো। কারন এমন চলচিত্রই ''গেরিলা"যা শুধু বিনোদন ই নয়,আমাদের লুপ্ত দেশাত্ব চেতনাকে জাগ্রত করে এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে উপস্থাপন করে।
ধন্যবাদ দিচ্ছি সৈয়দ শামসুল হককে যার উপন্যাস"নিষিদ্ধ লোবান"অবলম্বনে লেখা হয়েছে এর চিত্রনাট্য।আর অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি নাসিরউদ্দীন ইউসুফকে যিনি তাঁর অক্লান্ত সাধনায় রূপালী পর্দায় তুলে ধরেছেন গেরিলাকে।তিনি নিজে অসীম সাহসী একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলেই পুরো ছবিটিতে মূর্ত হয়ে উঠেছে দেশের প্রতি তার আবেগীয় ভালবাসা।এখানেও তিনি জয়ী হয়েছেন ৭১ এর মতোই।৭১ এ যেমন জন্ম হয়ে ছিল বাংলাদেশ নামক একটি ফিনিক্স পাখির তেমনি এই চলচিত্রও আশা করি জন্ম দেবে হাজার হাজার বিলকিসের যারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে বাঁচাতে লড়বে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত।
পুনশ্চ:সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস "নিষিদ্ধ লোবান"এবং পরিচালক নাসিরউদ্দীন ইউসুফের ৭১ এর কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সম্মিলনে তৈরি হয় "গেরিলা"র চিত্রনাট্য।
২| ০২ রা মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭
ফেরারী... বলেছেন: সাবলীল রিভিউ । ++
আর 'গেরিলা' - এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ।।
৩| ০২ রা মে, ২০১১ বিকাল ৫:০১
মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: লেখাটা একবার রিভাইস দিয়ে পোষ্ট করলে ভাল হত।
০২ রা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মনপবন বলেছেন: কেন ভাই?কী ভুল হয়েছে বলেন।
৪| ০২ রা মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
ফাইরুজ বলেছেন: রিভিউ ভাল লাগলো।এখনো দেখা হয়নি ।
৫| ০২ রা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০২
রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন: সিনেমার শেষ অংশে বিলকিসকে উদ্দেশ্য করে পাকি মেজরের সংলাপ –
“আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ঈমাণ রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে।”
পাকিরা সফল তারা কিছু পাকি উত্তম বীজ রেখে যেতে পারছে
৬| ০২ রা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন: সিনেমার শেষ অংশে বিলকিসকে উদ্দেশ্য করে পাকি মেজরের সংলাপ –
“আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ঈমাণ রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে।”
পাকিরা সফল তারা কিছু পাকি উত্তম বীজ রেখে যেতে পারছে
০২ রা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মনপবন বলেছেন: বার বার একি মন্তব্য লেখার অর্থ কী বুঝলাম না।তবে কথার সাথে একমত।
৭| ০২ রা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮
মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: পাকিরা সফল তারা কিছু পাকি উত্তম বীজ রেখে যেতে পারছে
অস্বীকার করনের কোনই উপায় নাই।
আর হেগো দোহায় দিয়া দিয়া আরেক শ্রেনী নব্য রক্তচোষা হয়ে উঠছে,
এটাও কিন্তু বলতে হবে আমাদের।
৮| ০২ রা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
ত্রিনিত্রি বলেছেন: চমৎকার রিভিউ!
৯| ০২ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৫৯
নিভৃতচারী বলেছেন: প্রথমেই কিছু কথা বলতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের উপর এ যাবৎকাল যত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তার সংখ্যা হওয়া উচিত ছিল অন্তত বর্তমানের কয়েকগুণ। তবুও এই চলচ্চিত্রটিকে আমি অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা করব কয়েকটি কারণে। প্রথমত, চিত্রনাট্য । দ্বিতীয়ত, প্রায় প্রতিটি চরিত্রই অনেক শক্তিশালী এবং অভিনয় ছিল অনবদ্য। বিশেষ করে বলতে হয়, জয়া আহসান, আহমেদ রুবেল, শতাব্দী ওয়াদুদ, এ.টি.এম. শামসুজ্জামান এবং চন্দন চরিত্রে অভিনয়কারী ছেলেটির কথা [দুঃখিত, এ মুহূর্তে মনে আসছে না] । আর সবশেষে অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি । সব মিলিয়ে দুর্দান্ত হয়েছে।
মনে হয় আমিই একটা মিনি-রিভিউ দিয়ে দিলাম। যাই হোক, অনেকদিন পর আমার দেখা অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র । সরাসরি প্রিয়তে।
আর লেখকের রিভিউ-এর কথা নতুন করে কি বলব । অনেক গোছানো এবং সাবলীল লেখা। প্লাস । সামনে আরও লেখা চাই কিন্তু ।
০২ রা মে, ২০১১ রাত ১০:১১
মনপবন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।আপনিও লিখুন কিছু।
১০| ০৩ রা মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬
মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: ১।তিনি বাংলা দেশগানের যে একজন
(দেশগান জিনিষটা কি বুঝিনি।)
২।যখন ধরা পড়ে ছেলেটি আসলে হিন্দু তখন মেজর বিলকিস কে হিন্দু মনে করে আরো বেশি আল্হাদিত হয়ে এগিয়ে যায়
(ইটালিক অংশটুকুর মানে বুঝতে সমস্যা হয়েছে। ও সারা লেখাতে যতি চিহ্নের উপস্হিতি কম কম লেগেছে।)
রাগ লয়েন না ভাইজান, এই ছবি নিয়ে কোন লেখা অহনতরি পড়ি নাই।
মনে হয় বাড়তি মনোযোগ ছিল। আর আমার কমেন্ট টা ইতিবাচক দৃষ্টিভংগী থেকে করা।
১১| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:২৬
রর্ঝনি৩০ বলেছেন: আমাদের জাতীয়তাবাদের শিকড় হিন্দু মুসলীম সম্পৃতির উপর হাজার বছর ধরে নির্মিত বাংগালী জাতিয়তাবাদ।যাকে তথাকথিত ইসলাম ধর্মের জুজু দেখিয়ে ভেংগে দেয়ার চেস্টা করা হলে সে চেস্টাকে বাংগালী জীবন দিয়ে হলেও নস্যাত করে দেবে আর ৭১ এ যেমন জন্ম হয়ে ছিল বাংলাদেশ নামক একটি ফিনিক্স পাখির তেমনি এই চলচিত্রও আশা করি জন্ম দেবে হাজার হাজার বিলকিসের যারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে বাঁচাতে লড়বে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত
সহমত।
১২| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১০:৫৬
মনপবন বলেছেন: @মাথা পাগলা:অবশ্যই আপনার বক্তব্য ইতিবাচকভাবে দেখা হল।ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
*"দেশগান" মানে দেশাত্মবোধক গান।সাধারনত সাধারন মানুষ এ শব্দটি ব্যাবহার করি না।কিন্তু যারা গান গায় তাদেরকে 'দেশগান"শব্দটি বেশি ব্যাবহার করতে দেখেছি।
কিছু বানানগত ভুল এখনো রয়ে গেছে যা সংশোধন করতে হবে।
রর্ঝনি৩০:নির্ঝরের উলটা উচ্চারণ যে এইটা হয় একটু সময় লাগল বুঝতে।ধন্যবাদ লেখার জেস্ট বোঝার জন্য।স্বার্থক হল লেখাটা।
১৩| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২০
যোগিনী বলেছেন: ++++
১৪| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ১:২৭
সাদাকালোরঙিন বলেছেন: পাকিরা সফল তারা কিছু পাকি উত্তম বীজ রেখে যেতে পারছে
একটা পাকিবীজ এখন গাছে পরিণত হয়েছে , দেখতে চাইলে এখানে দেখুন
০৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২২
মনপবন বলেছেন: সত্যিই।এইসব ছাগল আর পাকীবীজের জন্যই বাংলাদেশের এই অবস্থা।
১৫| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ৩:১৫
লাল দরজা বলেছেন: সিনেমাটা শেষমেষ কবে নাগাদ যে দেখতে পারবো! ধন্যবাদ লিংন্ক গুলো শেয়ার করার জন্য।
আর, জীবনে এ প্রথম হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছেন শুনে নির্বাক হয়ে গেলাম।
গেরিলার জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক, শুভকামনা।
০৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২১
মনপবন বলেছেন: খুব শিঘ্রই দেখে নিন।আপনাকেও ধন্যবাদ।
গেরিলা দেখার আগ পর্যন্ত কোন বাংলা সিনেমা,সিনেমা হলে গিয়ে দেখার আগ্রহ জাগেনি।কারণ এ্যতদিন "গেরিলা"র মত সিনেমা তৈরি ই হয়নি।
১৬| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ৩:১৮
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: আগুনের পরশমনি ,, ওরা এগারো জন ,,এই ছবিগুলো দেখেছেন ???
০৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৫
মনপবন বলেছেন: নিশ্চয়ই দেখেছি।কিন্তু এগুলোর চেয়েও নির্মান এবং অভিনেতাদের অভিনয়ে দিক বিবেচনা করে গেরিলা কে এগিয়ে রাখতে হবে নি:সন্দেহে।
১৭| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৩৩
লাল দরজা বলেছেন:
গেরিলা দেখার আগ পর্যন্ত কোন বাংলা সিনেমা,সিনেমা হলে গিয়ে দেখার আগ্রহ জাগেনি।কারণ এ্যতদিন "গেরিলা"র মত সিনেমা তৈরি ই হয়নি।
গেরিলা দেখিনি, নিশ্চই নির্মানের দিক থেকে অনেক উৎকর্ষ এক ছবি। দেখে নিব প্রথম সুযোগে। তবে, ভালো ছবি আকাশ থেকে নেমে আসবে না। ভালো ছবি ৫/১০ কোটি টাকা খরচ হয়ে নির্মান হয়ে আসলে আমি ১৫০/২০০ টাকা খরচ করে দেখে নিব তা হলে জীবনেও আর ভালো ছবি নির্মান হবে না।
ভালো ছবি পেতে হলে আমাদের অবশ্যই অপেক্ষাকৃত কম ভালো ছবি, দূর্বল ছবি ও দেখতে হবে। সাপোর্ট করতে হবে চলচ্চিত্র মাধ্যমকে। গত পাঁচ বছরে অনেক বাজে ছবি তৈরি হলেও অন্তত গোটা ৫০ ছবি দূর্বল হোক কম ভালো হোক একটু ভালো হোক হয়েছে অতি অবশ্যই। সেখান থেকে অন্তত দু'চারটা ছবি দেখতে নিশ্চই পারাযেত। হাতে গুনে বলে দিতে পারবো গত পাঁচ বছরে অন্তত দশটি ছবি আন্তর্যাতিক অঙ্গনে বিশেষ সুনাম ও পুরষ্কার পেয়েছে। হাতে গুনে বলতে পারবো গত পাঁচ বছরে অন্তত আরো দশটি ছবি বানিয্যিক ভাবে দারুন সফল হয়েছে। তার মাঝে অন্তত দু তিনটি ছবি দেখে রাখতে পারা যেত নিশ্চই।
কথা গুলো লিখলাম এ কারনে, আমাদের হলে যেয়ে ছবি দেখার অভ্যেসটা একেবারে চলে গেছে। এর একটা বড়ো কারন যেমন চলচ্চিত্র শিল্পের অবক্ষয় তার চে বড়ো কারন, ছোট পর্দায় বসে বড় পর্দার নির্মান দেখার চিন্তা ভাবনা। একটা চলচ্চিত্র কোন ভাবেই ২/৪ লাখ টাকার টেলিভিশন প্রডাকশন নয় বা ৪০/৫০ টাকার ডিভিডি সিডি নয়। একটা চলচ্চিত্র নির্মানকে যদি আমরা চলচ্চিতে ফরমেটে না দেখে অন্য ফরমেটে কনভার্ট করে দেখার আগ্রহ রাখি তা হলে এ দেশে ভালো চলচ্চিত্র অর কোন দিন ও নির্মান হবে না। হলে হবে গেরিলার মত কোন অতর্কিত নির্মান।
নিয়মিত ভাবে ভালো ছবি পেতে হলে আমাদের সিনেমা থিয়েটারে যেয়ে নিয়মিত দেশী বিদেশী ছবি দেখতে হবে। ভালো লাগলে বলতে হবে, ভালো না লাগলে আরো বেশী করে বলতে হবে। তবেই না, নির্মাতারা সহসী হবেন, বাধ্য হবেন, উৎসাহী হবেন আপনার আমার মনের মত ছবি নির্মান করতে।
অনেক কথা লিখলাম, যার সাথে হয়ত সরাসরি গেরিলা ছবিটির বা এই ব্লগের কোন যোগসুত্র নেই। তবুও একরকম ইচ্ছে হল ভাবনা গুলো শেয়ার করার। বাংলাদেশের ক্ষয়ে পরা চলচ্চিত্র নিয়ে আমি একটা ছোট কাজ করেছি, ঐ অভিজ্ঞতা থেকে এই লিখবার আগ্রহ। আমাদের জীবনের একটা অনন্য সময় ছিল যখন আমরা মনের আনন্দে হলে যেয়ে বাংলা সিনেমা দেখতাম। যখন শুনলাম আপনার মত একজন তরুন জীবনে কোন দিন সিনেমা হলে যেয়ে সিনেমা দেখার আগ্রহ বোধ করেন নাই তখন এইটুকু লেখা নিজের দায়িত্বে লিখলাম। আশা করি মনে কিছু নেবেন না বা ভুল বুঝবেন না।
প্রসঙ্গ ক্রমে আমার যে কাজের কথা বলেছি তার একটা লিংন্ক এখানে আছে্ যদিও প্রমো, পুরো কাজটি এখানে আপ করা নেই। (http://youtu.be/mfVrggaTeCw)
ধন্যবাদ।
১৮| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪৪
মে ঘ দূ ত বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।
১৯| ০৬ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫
মনপবন বলেছেন: @লাল দরজা:অসংখ ধন্যবাদ।সত্যি বলতে কী,আপনার কথাগুলোর সাথে ১১০ ভাগ একমট আমি।হয়তো এটা আমাদের বাজে দিক।অবশ্যই কিছু ভাল ছবি আমাদের দেশে তৈরি হয়েছে যা আমাদের প্রত্যেকেরই দেখা উচিত ছিল সিনেমা হলে গিয়ে।যেমন:রানওয়ে,মনের মানুষ,আরো অনেক সিনেমা,নাম মনে করটে পারছিনা।কিন্তু এগুলো আমার সংগ্রহের তালিকায় আছে।
আমি আশা করি আমাদের তরুন প্রজন্ম অশ্লীল বাংলা ছবির বদলে মানসম্পন্ন চলচিত্র দেখতে আবার হলমুখী হবে।
@মেঘদূত:অশেষ ধন্যবাদ পরার জন্য।
২০| ২৮ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:০৪
সমকালের গান বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৬
ফেরারী... বলেছেন: সাবলীল রিভিউ । ++
আর 'গেরিলা' - এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ।।