নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত শিবির কী করছে এখন?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ যখন প্রায় শেষপর্যায়ে চলে এসেছিল, তখন একজন বিচারপতির ব্যক্তিগত স্কাইপে আলাপ হ্যাক করে বেশ হইচই ফেলে দেয় একটি চক্র। চাপের মুখে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রধানের পদ থেকে সরে যান বিচারপতি নিজামুল হক। কিন্তু ওই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা রয়েছে তার কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন। তবে এরই মধ্যে আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে ওই চক্রটি। গ্রামীণফোনসহ বিভিন্ন অপারেটরের মোবাইল ফোনে গতকাল বৃহস্পতিবার এসএমএস (ক্ষুদেবার্তা) পাঠানো হয়। এতে এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে করে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণকারীর নম্বর আসছে না। প্রেরণকারীর নাম হিসেবে লেখা রয়েছে ‘ব্রাসেল্স’। এসএমএসটিতে একটি ওয়েবসাইট (িি.িঃৎরনঁহধষষবধশং.নব) এড্রেস দিয়ে বলা হয়েছে, ‘হোয়াই নাসিম রিজাইন্ড? ভিজিটৃ’। এছাড়া বলা হয়েছে, ‘শুনুন, বাংলা র’ স্কাইপ’।



সাইটটিতে ঢুকে দেখা যায়, সরকারের বিরুদ্ধে নানান প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে সাইটটিতে। ট্রাইব্যুনাল লিক্স নামের ওই সাইটে বিচারপতি নিজামুল হক ও জিয়াউদ্দিন আহমেদের হ্যাক হওয়া শত শত ই-মেইলের স্ক্রিনশট দেয়া রয়েছে। ইংরেজিতে তৈরি সাইটটিতে সংশ্লিষ্ট কারো নাম-ঠিকানা দেয়া নেই। তবে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও ডেইলিমোশানের পেইজের ইউআরএল দেয়া রয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুকের ইউআরএলে গিয়ে দেখা যায়, ‘এনমি এনমি’ (যঃঃঢ়://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ধহসু.ধহসু.১৮) নামের একজনের প্রোফাইল। গতকাল রাত পর্যন্ত ওই প্রোফাইলে বন্ধু সংখ্যা ছিল ২৮০। ওসব প্রোফাইলের বেশির ভাগেরই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে জামাত-শিবিরের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক অনেক কথাবার্তাও লেখা রয়েছে ওসব প্রোফাইলে।



‘বিশেষ প্রযুক্তি’ ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইটি বিশেষজ্ঞরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্র্যাকনেটের চট্টগ্রাম অফিসের একজন আইটি কর্মকর্তা গতকাল রাতে টেলিফোনে ভোরের কাগজকে বলেন, এ ধরনের এসএমএস ইন্টারনেট থেকে পাঠানো সম্ভব। অনেক সাইট রয়েছে যারা বিনামূল্যেই এ ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে। এ ছাড়া কোনো টেলিফোন অপারেটরের নাম্বার গোপন করার সফটওয়্যার দিয়েও



এ কাজ করে থাকতে পারে অপরাধীরা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারপতির স্কাইপে কথোপকথন হ্যাকসহ এ ধরনের এসএমএস খুব বেশি নতুন কিছু নয়। কিন্তু চক্রটি যেভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করছে সে বিষয়ে সরকারের লোকজন একেবারে অন্ধকারে, সেটিই আশঙ্কার বিষয়।



আইটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজনসহ একটি পূর্ণাঙ্গ আইন থাকার পরও সাইবার অপরাধীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে যাওয়ায় শুধু ব্যক্তির নয়, পুরো রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। সাইবার অপরাধীরা যে কোনো সময় গোপন নথিপত্র ফাঁস করে দিয়ে দেশকেই বিপদে ফেলতে পারে বলে মনে করেন তারা।



বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পর সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, যারা বিচারপতির ব্যক্তিগত কথাবার্তা হ্যাক করেছে, তারা সাইবার ক্রাইম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।



মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরও সাইবার অপরাধীদের ধরতে খুব বেশি তৎপরতা দেখা যায়নি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। যে পত্রিকায় বিচারপতির কথোপকথন প্রকাশ হয়েছিল কেবল ওই পত্রিকার সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের ধরার বিষয়েই কাজ করতে দেখা গেছে গোয়েন্দাদের।



প্রসঙ্গত, স্কাইপে কথোপকথন ফাঁস হওয়ায় বিতর্কের মুখে ১১ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপতি নিজামুল হক। দেশে সাইবার ক্রাইমের বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬-তে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। ওই আইনের ৫৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি জনসাধারণের বা কোনো ব্যক্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বা ক্ষতি হবে মর্মে জানা সত্ত্বেও এমন কোনো কাজ করেন, যার ফলে কোনো কম্পিউটার রিসোর্সের কোনো তথ্যবিনাশ, বাতিল বা পরিবর্তিত হয় বা তার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাস পায় বা অন্য কোনোভাবে একে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে। ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারে বা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার ওই কাজ অপরাধ বলে গণ্য হবে। কোনো ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধ করলে তিনি অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। কিন্তু এখনো দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি সরকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১

আল মামুনুর রশিদ বলেছেন: thik jamat sihibir ke dhorse. cyber crime lage emni to dhortase.

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১

মমিন মজুমদার বলেছেন: কারো দোষ দিয়ে লাভ কি্। সরকার যুদ্ধাপরাধ মামলার বিষয়ে আন্তরিক না। সরকারের ভিতরের লোকেরা কেহ বলে যুদ্ধাপরাধ কেহ বলে মানবতাবিরোধী। আসলে কোনটায় না এটা আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহি:প্রকাশ।যার ফলে সরকার স্বেছায় স্কাইপ নাটক করেছে। আর এখানে খোজ নিলে দেখা যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর লোকেরাই জড়িত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.