নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চার বছরে বিএনপি পচঁলো-জামাতের হাত ধরে...

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের মেয়াদ চার বছর পূর্ণ হতে চলেছে। বিগত সময়ের চারদলীয় জোটের ব্যর্থতার কারণে দেশবাসী মহাজোট সরকারের ওপর দেশ পরিচালনার মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছিল। চার বছরে মহাজোট সরকার জনগণের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে তা বিশদ আলোচানার দাবি রাখে। খোলা চোখে বিশ্লেষণ করলে মহাজোট সরকারের ব্যর্থতার দায়ভার কম নয়। তবে চারদলীয় জোটের শাসনামলের সঙ্গে তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিবেচনা করলে এই সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার সঠিক চিত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব।

শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। শিক্ষাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সুস্পষ্ট শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন, নকলমুক্তকরণ ও জানুয়ারির প্রথম দিকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন বই প্রদান, অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি প্রণয়ন, রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারী শিক্ষার প্রসার ও উৎসাহিতকরণে স্নাতক পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চশিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য স্বাধীনতার পর এমনভাবে কোন সরকার কখনো সুস্পষ্ট করতে পারেনি, যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বিগত চারদলীয় জোট সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করতে পারেনি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। বর্তমান সরকার এই বিষয়টি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও ব্যর্থ ছিল না। বিভিন্ন পরীক্ষা বাতিল করে সরকার স্বদিচ্ছার পরিচয় দিয়েছে। তবে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, যদিও সরকার প্রধান আন্তরিকার পরিচয় দিতে চেষ্টা করেছেন। ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি ছিল লজ্জাজনক।

কৃষি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। বিগত কয়েক বছরে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন তথা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষি উপকরণ সহজলভ্যকরণ, কৃষক লোনের সহজলভ্যতা ও কার্ড প্রদান এবং পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনাসহ পাট ও ছাত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা ছিল লক্ষণীয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময় কৃষি ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা বিদমান ছিল। মহাজোট সরকার কৃষি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করলেও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ করে উত্তর বঙ্গের মঙ্গা দূর করার ক্ষেত্রে সরকার সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে।

জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পেঁৗছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের আধুনিকীকরণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা সন্তোষজনক। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অটিজম ও প্রতিবন্ধী-মানবিক এই বিষয়টিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

বিগত সরকারের সময়ে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের ভোগান্তি চরমে থাকলেও মহাজোট সরকার জনগণের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে। যদিও বিভিন্ন পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও কুইক রেন্টালের জন্য সরকারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিগত যেকোন সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকারর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। তবে গত চার বছরে আইনশৃঙ্খলার প্রত্যাশিত উন্নয়নে ব্যর্থতা, গুমের সংখ্যা বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের অব্যাহত দাম বৃদ্ধি, পানি সংকট ও গ্যাস সমস্যা সমাধানে পর্যাপ্ত পদক্ষেপের অভাব, চাল ব্যতীত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচিত হবে।

মহাজোট সরকার জঙ্গিবাদ দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদে সারাদেশে বোমা হামলায় ১ হাজার ৮১৪ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ১৭০ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এই বোমা হামলার অধিকাংশই উগ্র মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ গোষ্ঠীদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে। এর মধ্যে উদীচী বোমা হামলা, ময়মনসিংহ সিনেমা হলে বোমা হামলাসহ ১৭ ও ২১ আগস্টে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তাছাড়া বাংলাভাই আর শায়খ আবদুর রহমানের মতো জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছিল, যারা প্রকাশ্যে মানুষকে গাছে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এক্ষেত্রে মহাজোট সরকারের ভূমিকা ছিল সুস্পষ্ট। বর্তমান সরকারের প্রথম তিন বছরে বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলায় ১৫ জন আহত ও ৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০১২ সালের মে মাস পর্যন্ত বোমা হামলায় ২ জন আহত ও ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মূলত ছাত্র সংগঠনগুলোর অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এসব বোমা হামলা সংগঠিত হয়েছে।

মায়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সমুদ্র সমস্যা সমাধান ও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সরকারের কঠোর মনোভাব দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা নিরসন ও তিস্তা পানিবণ্টনে অক্ষমতা সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে পরিগণিত হবে। শেখ হাসিনার শান্তি মডেল জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে তিনি যে মডেল উপস্থাপন করেছেন তার কতটুকু তিনি নিজ দেশে বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন_ তা প্রশ্নসাপেক্ষ। শেখ হাসিনা গার্মেন্টস কারকাখানায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে ছয় লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। চারদলীয় জোট সরকারের সময় মানুষের জীবনের মূল্য যেখানে একটি ছাগল সমতুল্য ছিল সেখানে এই টাকা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, টাকা দিয়েই কী জীবনের মূল্যেও পরিমাপ করা যায়? দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সরকার গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।

বর্তমান সরকারের সফলতার পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ের ব্যর্থতা আমাদের আশাহত করেছে। কয়েকজন মন্ত্রী ও আমলার দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন এখনও নিশ্চিত হয়নি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের জন্য সরকারকেই এই দায়ভার বহন করতে হবে। দেশবাসীর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আবুল হোসেন এবং আবুল হাসানকে আইনের মুখোমুখি করা উচিত ছিল। পদ্মা সেতুর পাশাপাশি রেল দুর্নীতি এবং হলমার্ক-ডেসটিনির অর্থ জালিয়াতি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, সরকার ইতোমধ্যে জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের মুখোমুখি করেছে। এর মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি লুট হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। পদ্মা সেতু, হলমার্ক ও ডেসটিনির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলেও শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। তবে দুর্নীতির দায়ে কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি ছিল ইতিবাচক। বর্তমান সরকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও চারদলীয় সরকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কোন ব্যক্তিকেই আইনের আওতায় আনতে পারেনি।

গত চার বছরে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে সাগর-রুনির হত্যাকা- ও বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের বিষয়টি ছিল চরম উদ্বেগের। সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে আজ পর্যন্ত সরকার গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। সরকারকে অবশ্যই এই হত্যাকা-ের বিচার করতে হবে। বিশ্বজিতের খুনিদের সরকার ইতোমধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি বিশ্বজিতের পরিবার সুবিচার পাবে। এই দুই হত্যাকা-ের পাশাপাশি ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া ছিল সরকারের চরম ব্যর্থতা। একজন রাজনীতিবিদের এভাবে গুম হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কোনভাবেই কাম্য নয়। এক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

মহাজোট সরকারের প্রথম তিন বছরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করলেও গত বছরে রাজনৈতিক সংঘাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাজোট সরকারের প্রথম তিন বছরে রাজনৈতিক সংঘাতে ৪১ হাজার ৯০ জন আহত ও ৬০৬ জন নিহত হয়েছেন। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘাতে ১১ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১ হাজার ৬৭ জন আহত হয়েছেন। তবে চারদলীয় জোটের সঙ্গে তুলনা করলে মহাজোট সরকারের সময়ে এই সংঘাতের পরিমাণ অনেকটা কম বলেই প্রতীয়মান হয়। বিগত (২০০১-২০০৬) শাসনামলে রাজনৈতিক সংঘাতে ২ হাজার ২৭৩ জন নিহতের সঙ্গে সঙ্গে আহত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৮৪০ জন। তাছাড়া সেই সময়ে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে। শাহ এমএস কিবরিয়া, আইভী রহমান, আহসান উল্লাহ মাস্টার ও মমতাজ উদ্দিনের মতো প্রথিতযশা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হত্যাকা-ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আইনের আওতায় আনা তো দূরের কথা, বিভিন্ন ধরনের নাটকের অবতারণা করা হয়েছিল।

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারের অন্যতম একটি বিষয় ছিল বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এই সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা থাকলেও সরকার তা করেনি। সংবিধান সংশোধনের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ওপর ভিত্তি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা বাতিল করা। আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করলেও দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির কথা বিবেচনা করে পরবর্তী দুটি নির্বাচন এই পদ্ধতির মাধ্যমে হতে পারে বলে আদালত যে অভিমত দিয়েছে, তা মহাজোট সরকার আমলে নেয়নি। এর ফলে আগামী নির্বাচন নিয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকারকেই করতে হবে।

মহাজোট সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা। অভিযুক্তদের বিচারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বিএনপির প্রত্যক্ষ মদতে জামায়াত-শিবির যে হিংসাত্মক কর্মকা- চালাচ্ছে তা সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করাও এই সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাদের বিচার কাজ দ্রত সম্পন্ন করে সরকার জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবে এমনটিই আমাদের প্রত্যাশা।

সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করবে সাধারণ জনগণ। তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে সরকারের আন্তরিকতা ও স্বদিচ্ছার জন্য দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অনেককেই আইনের মুখোমুখি করা হয়েছে। যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। মহাজোট সরকার দুর্নীতির তকমা কিছুটা হলেও মুছতে সক্ষম হয়েছে। গত চার বছরের চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করবে, যা আমাদের আশান্বিত করেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.