![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৬ জানুয়ারি মহাজোট সরকারের শেষ বছর শুরু হলো। ২০০৯ সালের এই দিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা শপথ গ্রহণ করেন। সেই বছরই পিলখানা হত্যাযজ্ঞসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হয় তাঁর মন্ত্রিপরিষদকে। ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ জনগণের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তার মধ্যে শিক্ষাখাতে ঐতিহাসিক সংস্কার ও যুগান্তকারী পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্য আকাশচুম্বী। তবে অধিকাংশ সংবাদপত্র বা মিডিয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সেই সাফল্যের দৃষ্টান্তগুলো উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো তথা ছাত্র সংঘর্ষ, উপাচার্য অপসারণ প্রভৃতি খবরের নিচে এ-স্তরে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো অনুচ্চারিত থেকে যায়। এজন্য উচ্চশিক্ষায় বর্তমান সরকারের অবদান পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ছিল জ্ঞান সৃষ্টি করা, জ্ঞান-জগতের অভিনব উদ্ভাবনের নতুন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠদান ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের নিয়ত নিয়োজিত রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একাধারে জ্ঞানদান করেন, নিজে জ্ঞান সৃষ্টির জন্য আত্মনিমগ্ন থাকেন, শিক্ষার্থীর সুপ্ত জ্ঞান অভীপ্সা জাগিয়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হন, সর্বোপরি মানব কল্যাণে জ্ঞানকে ব্যবহার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানার্জনে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও সত্য অনুসন্ধান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় সমাপ্তের পর একজন শিক্ষার্থী কেবল একটি সনদ উপার্জনের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন না। বরং সংস্কারমুক্ত ও যুক্তিশীল মননের অধিকারী একজন ব্যক্তি হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের অন্যতম পুরোধাও তিনি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও গবেষণার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকা- এবং সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষমতা গ্রহণের পর মহাজোট সরকার চার বছর অতিবাহিত করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনও এই সময় অতিক্রম করছে। গত চার বছরে মহাজোট সরকারের সফল ও সার্থক কর্মকা- সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত রয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রশাসনিক ও সরকারি পদক্ষেপের সাফল্যগাথা আমাদের অনেকেরই অজানা। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত চার বছরে প্রশাসনের সাফল্য ঈর্ষণীয়। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপিত মুক্তবুদ্ধির পরিচর্যা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে বিদ্যাচর্চার নিরাপদ কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি বলতে পারি, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ এই বিদ্যাপীঠকে অসামান্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন। তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ও শিক্ষক নিয়োগে নিরপেক্ষতা ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি নিজে একজন ভালো শিক্ষকরূপে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন।
২.
কালের কণ্ঠে ৩১ ডিসেম্বর (২০১২) প্রকাশিত ‘মহাজোট সরকার : ভালো-মন্দের ৪ বছর, পরিবর্তন ও চমকে ঠাসা শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক সংবাদে বর্তমান মহাজোট সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের বিবরণ দেওয়া হলেও উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের অগ্রগতি নিয়ে বিশ্লেষণ অনুপস্থিত। উক্ত পত্রিকায় ১/১/২০১৩ তারিখে প্রকাশিত ‘বছরজুড়ে আলোচনায় বুয়েট ও জাবি’ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়েছে, অবৈধ পদোন্নতিসহ অনিয়ম ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে অপসারিত হন ভিসি, প্রোভিসি। এই সংবাদটিও উচ্চ বিদ্যাপীঠের সম্পূর্ণ চিত্র নয়। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষ ও হতাহতের খবর এবং তাকে কেন্দ্র করে শিক্ষাকার্য ব্যাহত হওয়ার বিবরণ যথার্থ। জাহাঙ্গীরনগরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলনে ক্লাস না হওয়া এবং বুয়েটের একটানা ৪৪ দিন ক্লাস বন্ধ থাকা কিংবা কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা অবশ্যই উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের নেতিবাচক দিক। ১৬ জুলাই কালের কণ্ঠের সম্পাদকীয় থেকে জানা যায়, সেই মুহূর্তে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি কলেজ ও ৮টি পলিটেকনিক ইসস্টিটিউটে অস্থিরতা বিরাজ করছিল, যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি চরম হুমকি হিসেবে গণ্য হয়েছিল। এটা স্বাভাবিক যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বন্দ্ব-বিবাদে শিক্ষকদের পদত্যাগের হুমকি, ক্লাস বর্জন, অবস্থান ধর্মঘট চলতে থাকলে শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার মান দুর্বল হয়ে পড়বে। সেশনজট বাড়বে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সমাজে খারাপ ধারণা তৈরি হবে। বর্তমানে পুরনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। নতুনগুলোতে রয়েছে আর্থিক দুর্বলতা ও শিক্ষক সংকট। ঢাকার বাইরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক একেবারেই মিলছে না বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য সিনিয়র ও অভিজ্ঞ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা দিয়ে ঢাকার বাইরে যেতে উৎসাহী করতে হবে তাঁদের।
একই সময় কেবল বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অনেক জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানচর্চায় বিঘœ সৃষ্টির ঘটনা জানা যায়। গত বছর (২৩/৮/২০১২) শ্রীলংকায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে একটানা শিক্ষক ধর্মঘটের কারণে সরকার দেশটির প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল। যুক্তরাজ্যে টিউশন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিল। অবশ্য ভারতে বর্তমান সোনিয়া গান্ধী সরকার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিল পাস করেছে; যেগুলো আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় গৃহীত বৈপ্লবিক কিছু সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কেবল ২০১১ সালেই সে দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক বিল গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় কারিগরি ও প্রযুক্তির সঙ্গে নেটওয়ার্কিং, তথ্য প্রযুক্তি ও দূরশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। কারিকুলাম পরিবর্তন করে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিল ২০১১, তার আগে ‘অ্যাক্রিডিটেশন অব হাইয়ার এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটস বিল ২০১০’ প্রণীত হয়। ভারতীয় সংসদে অসাধু শিক্ষা ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষেও বিল পাস হয়েছে। কারণ সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার নামে প্রতারণা করে আসছিল। ২০১০ সালে বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল পাস হয়েছে। উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে সেখানেও বিশ্বব্যাংকের ঋণ বরাদ্দ রয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগ্য উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের কাজ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৬ সালের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় জোট সরকারের আমলের দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী উপাচার্যদের সরে যেতে হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীপরিষদের পরিচালনা শুরু হলে। বর্তমানে দেশে ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ৬০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখের কিছু বেশি। জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণের রীতি নেই। এ দু’টি বাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ (৭১%) এবং ছাত্রীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের ওপর (২৯%)। পাবলিকের তুলনায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ২০১১ সালে আরো ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ক্যাথলিক ফাদারদের পরিচালিত নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেতে এখনো সময়ের প্রয়োজন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে।
উচ্চশিক্ষাকে ১৬ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবং দক্ষ জনগোষ্ঠী সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সময় একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো অনেকগুলো। উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ও নেভাল একাডেমীসহ সামরিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসনালস, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। ঢাকার টেক্সটাইল কলেজকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়েছে। কারিগরি তথা বস্ত্রখাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশীয় বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্যই এই প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে দেশের মধ্যে একাধিক বেসরকারি ডিজাইন ইনস্টিটিউট থাকলেও কোনো ডিজাইন ও ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা কেন গৃহীত হচ্ছে না এটা আমার বোধগম্য হয় না। বস্ত্রখাতের বিশাল বাজার সত্ত্বেও এ ধরনের বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব দুঃখজনক।
যদিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার রাঙ্গামাটিতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আলেমা-ওলামা ও ইসলামি চিন্তাবিদদের দীর্ঘকালের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়া জেলার শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ অনুসারে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের তালিবাবাদে একটি ‘ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলছে। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা চলছে।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। সংকট তৈরি করা হয়েছিল অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অধিভুক্ত কলেজগুলোকে দুর্নীতির আখড়া বানানো হয়েছিল। এমনকি সে সময়ের একজন সাবেক উপাচার্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে বর্তমান সরকারের আমলে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ করে এর কার্যকারিতা ও মানবৃদ্ধির কাজ চলছে। সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে অধিভুক্ত কলেজসমূহে। কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লাখ। তাদের নিয়ে এর আগে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি, বর্তমানে বিধিবিধান তৈরি করে গতি আনা হয়েছে পরীক্ষা সংক্রান্ত ও অন্যান্য কার্যক্রমে। বেসরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষক নিবন্ধন প্রাপ্তরা ব্যতীত কেউ কলেজে নিয়োগও পাচ্ছেন না। অন্যদিকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি দূরশিক্ষণ নির্ভর ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এর প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত ও ঝরে পড়া মানুষের মাঝে শিক্ষাদানের সুযোগ সৃষ্টি ও বিশেষভাবে কর্মজীবীদের দক্ষতা এবং তাদের উচ্চশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করাই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য।
৩.
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার শপথের পর থেকে এ পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিচালনা খাতে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের শতভাগ সরকারকেই বহন করতে হচ্ছে যদিও সেই বরাদ্দ গবেষণা পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ সরকারি বরাদ্দের বেশিরভাগ ব্যয় হয় সাড়ে দশ হাজার শিক্ষক এবং ১৫ হাজার কর্মকর্তা ও ১৬ হাজারের ওপর কর্মচারীর বেতন-ভাতা দিতে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বর্তমান সরকারের চার বছরে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৬৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পূর্বেই বলা হয়েছে, অনেকগুলো আবেদন থেকে নতুন আরো ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রত্যন্ত অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার প্রসার ও বিস্তারে ভূমিকা রাখবে।
আইন প্রণয়ন থেকে শুরু করে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়নে সচেষ্ট বর্তমান সরকার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ১৯৯২ এবং ১৯৯৮ সালের সংশোধিত আইন ত্র“টিপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ হওয়ায় ২০১০ সালে বেসরকারি আইন নতুনভাবে প্রণীত হয়েছে। নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের আলোকে উচ্চশিক্ষার মান উন্নীতকরণসহ উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। এক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা যাচ্ছে, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সকল শর্ত পূরণের প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শর্তপূরণ করে মান অর্জন করেছে। শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। নিজস্ব ক্যাম্পাসের জন্যও বলা হয়েছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় জমি কিনে নিজস্ব একাডেমিকসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করে নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করেছে। অনেকে জমি কিনেছে, স্থাপনা করছে। ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় মামলার কারণে জটিলতার মধ্যে আছে। এ ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগতমান নিশ্চিতকরণ ও তা বিশ্ব পর্যায়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর আলোকে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ ২০১২’ প্রবিধানমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ। শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত করা হবে। দু’একটি বাদে এতোদিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয় প্রচলন ছিল না। বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির অনুরোধ রক্ষা করেছে অনেকেই; স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগে বাংলা ভাষা-সাহিত্য পড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিদেশী খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়-সমূহের স্থান ও পরিচালনা সংক্রান্ত প্রবিধানমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। তার উপর মতামত গ্রহণ, আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। একে পর্যালোচনাপূর্বক পুনর্বিন্যাস করার জন্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে একটি সাব-কমিটি কাজ করছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় মতামত আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করা হবে।
৪.
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কর্মকা- নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নয়নে মনোযোগী হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহী করেছে। হেকেপ (ঐঊছঅঊচ)সহ দুটি প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য ২০১২ সালে দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬টি গবেষণা উপ-প্রকল্পে ১৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে ২০১১ সালে ৯৩টি গবেষণা উপ-প্রকল্পে ১৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। দেশের উচ্চ শিক্ষাখাতে গবেষণায় এর আগে এতো বেশি বরাদ্দ আর কখনো দেওয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ইউজিসি পরিচালিত হেকেপের (উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের প্রকল্পের) প্রজেক্টে অর্ধ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বিভাগের শিক্ষকরা। অর্থাৎ সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন ও যথার্থ অর্থ ব্যয় সম্পর্কে সচেতনার প্রয়োজন রয়েছে।
গবেষণার ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির সংযুক্তি একটি অনিবার্য দিক। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক যোগাযোগে উচ্চ গতিসম্পন্ন ডাটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এ সরকারের আমলেই ইউজিসি ও পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-এর মধ্যে কোম্পানিটির দেশব্যাপী বিস্তৃত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ২০ বছরব্যাপী ব্যবহার বিষয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাÑ ঢাকা, বুয়েট, শেরে বাংলানগর কৃষি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল, জাহাঙ্গীরনগর ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইধহমষধফবংয জবংবধৎপয ধহফ ঊফঁপধঃরড়হ ঘবঃড়িৎশ (ইজঊঘ) ঈড়হহবপঃরারঃু স্থাপিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, গবেষকদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এডুকেশন আন্ড রিসার্চ নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ঞৎধহং ঊঁৎধংরধ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঘবঃড়িৎশ (ঞঊওঘ) সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এর সদস্য হয়েছে। এর ফলে এশিয়া প্যাসিফিক, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকান দেশসমূহের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে আমাদের দেশের নেটওয়ার্ক আরো সমৃদ্ধ হবে। এই যোগাযোগ অনেক বেশি গতিশীল ও দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এর ফলে বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সরাসরি তথ্য আদান-প্রদানসহ সকল ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কার্যক্রমে অনলাইন পদ্ধতির ব্যবহার যুক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ও এসএমএস-এর মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপত্র ও ফি গ্রহণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তারে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। পক্ষান্তরে পাকিস্তানে ১০০ জনে মাত্র ১৬ জন। সেখানকার চেয়ে আমাদের শিক্ষার হারও বেশি ৫৬% আর সেখানে ৫৫%। ১২২ কোটি মানুষের দেশ ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৯১ কোটি এবং শ্রীলংকায় ২ কোটি মানুষের প্রায় সকলেই তথ্য প্রযুক্তির সুবিধার মধ্যে আছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চশিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে সেই সম্পর্ক রয়েছে। তবে চীনের উনান প্রদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এখন আলোচিত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে সেই প্রদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জনকে পূর্ণ বৃত্তিতে অধ্যয়নের সুযোগ দেবে উনান শিক্ষা বিভাগ। এ সরকার দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হলে জ্ঞানের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
৫.
মহাজোট সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশিত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য সরকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন, সুশীল সমাজ, নারী উন্নয়ন প্রতিনিধি সকলের সাথে আলোচনা করে যৌন নিপীড়ন নিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। বাংলা ভাষার দূষণ, বিকৃত উচ্চারণ, বিদেশী ভাষার সুরে বাংলা উচ্চারণ ইত্যাদি রোধের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের ৪ বছরে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের অশান্ত পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের অভিমত হলোÑ বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিনের ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি করতে হবে। রাজনীতিবিদদের অনুসারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাস ও মুক্তবুদ্ধির চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত রাখবেন; কিন্তু প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। সরকার ও প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা আন্তরিক হলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে আমরা মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের যাবতীয় জ্ঞান ভা-ারের রক্ষক হিসেবে পরিগণিত। কেবল রক্ষক বললে ভুল হবে বরং সেই জ্ঞানকে সাধনার মাধ্যমে, বোধশক্তি ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে বৃদ্ধি করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উপস্থিত করার দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয়ের। সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্যে সুস্থ মানসিকতা ও উচ্চ মানসম্পন্ন মনন সৃষ্টি করাও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। মুক্তচিন্তার চর্চা, নিরাসক্তভাবে সত্যের অনুসন্ধানের মাধ্যমে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য। এসব লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণীর বিদ্যাপীঠে পরিণত করতে সহায়ক হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো সৃজনশীলতার সূতিকাগার। নতুন জ্ঞান সৃষ্টির প্রচেষ্টা, নতুন চিন্তা ও আবিষ্কার সমাজকে এগিয়ে নেয় এ ভাবনা আমাদের অস্থি-মজ্জায় লালন করা দরকার।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্যসূত্র : শিক্ষাখাতে ঐতিহাসিক সংস্কার ও যুগান্তকারী পরিবর্তনÑ নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, শিক্ষামন্ত্রী
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
শিনজন বলেছেন: ধন্যবাদ; অনেক তথ্য পেলাম।