নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭ মার্চ আজ, হরতাল কি শোভনীয়?

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১২

আজ রোববার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। আজ থেকে ৪২ বছর আগে ১৯৭১ সালের এইদিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উদ্বেলিত মহাসমাবেশে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই তেজদীপ্ত ভাষণ 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।' এই উচ্চারণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বানটি দিয়েই ক্ষান্ত হননি, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা মুক্তিকামী মানুষের কাছে লাল-সবুজ পতাকাকে মূর্তিমান করে তোলে। আর এরই মাধ্যমে বাঙালির ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, বঙ্গবন্ধুর সেই বজ্রকণ্ঠ আজও বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক মানুষের মহাসমাবেশে পাক হানাদার বাহিনীর আসন্ন হামলা প্রতিরোধের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু তার

মাত্র ২০ মিনিটের ভাষণে বলেন, 'আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।' পাকিস্তানি শাষক গোষ্ঠীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু দ্বীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, 'সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাংলার মানুষ মুক্তি চায়। বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়। বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।' বঙ্গবন্ধুর এ তেজদীপ্ত মুক্তির বাণী শোনার জন্য ওইদিন সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ দলে দলে হেঁটে, বাসে-ট্রাকে-লঞ্চে-ট্রেনে চেপে রেসকোর্স ময়দানে সমবেত হয়। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে নারী-পুরুষের স্রোতে সয়লাব হয়ে যায় তখনকার ঘোড়দৌড়ের এই বিশাল ময়দান।

বিকেল সোয়া তিনটায় পায়জামা-পাঞ্জাবি-মুজিবকোট পরিহিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভা মঞ্চে আসেন। জনতা তুমুল করতালি ও আকাশ কাঁপানো করতালির মাধ্যমে তাদের প্রিয় নেতাকে অভিনন্দন জানায়। বঙ্গবন্ধুও মঞ্চ থেকে হাত নেড়ে জনতার সমুদ্রকে অভিনন্দন জানান। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনের রূপরেখা জনতার সামনে তুলে ধরেন। ঘোষণা করেন বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো লাখ লাখ বাঙালি শোনেন, 'রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাল্লাহ।' বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মাঝেই শোনা যায় জনসমুদ্রের গর্জন, আনন্দধ্বনি। জনতার কণ্ঠে 'জাগো জাগো-বাঙালি জাগো', 'তোমার আমার ঠিকানা-পদ্মা মেঘনা যমুনা', 'তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব', 'বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর', 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' সেস্নাগানে সেস্নাগানে ঢাকার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছিল তখন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু। তার সেই বজ্রনির্ঘোষ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিকামী জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মূলত রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই তেজদ্দীপ্ত ভাষণই ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলার মুক্তি সংগ্রামের মূল ভিত্তি। সেদিন বেতার কর্তৃপক্ষের পূর্ব ঘোষণা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্সের ভাষণ সরাসরি সমপ্রচার না করার প্রতিবাদে বেতারের বাঙালি কর্মচারীরা তাৎক্ষণিক ধর্মঘট শুরু করেন। ফলে বিকেল থেকে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সমপ্রচার বন্ধ হয়ে যায়। তবে গভীর রাতে তৎকালীন সামরিক কর্তৃপক্ষ ঢাকা বেতারে বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্সের ভাষণের পূর্ণ বিবরণ প্রচারের অনুমতি দেয়। পরদিন সকালে বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী ভাষণ দিয়েই ঢাকা বেতার কেন্দ্র পুনরায় চালু হয়। সন্ধ্যায় ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান ন্যাশনাল এলায়েন্স নেতা এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আসগর খান সামরিক শাসন প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশনে যোগদান সম্পর্কে আওয়ামী লীগ প্রধান রেসকোর্সের জনসভা থেকে যে শর্ত দিয়েছেন তা ন্যায়সঙ্গত উপযুক্ত, সুষ্ঠু ও বৈধ।'

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে বাণী দিয়েছেন।

বিশ্ব রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনকের ওই ভাষণের দিক-নির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস ছিল এই ঐতিহাসিক ভাষণ। যার আবেদন আজও অটুট রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যদিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন করে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে উপনীত হব_ এই হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।

দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাতটায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, বিকেল সাড়ে তিনটায় আলোচনা সভা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান এবং পত্র-পত্রিকা বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রদান করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: shudu ajke na,,kono din i hortal shobonio na

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

একরামুল হায়দার বলেছেন: ভাই, ওরা তো বাংলার স্বাধীনতাই চায় না, ওদের কাছে ৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এর তো কোনো মূল্য নাই

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: এই দেশে সবই শোভন। আর এই শোভনের অবস্থা রেলের শোভন নামের নোংরা বগিগুলোর মতই।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ১৯৯৪ সাল : ২৬ এপ্রিল হরতাল, ১০ সেপ্টেম্বর অবরোধ, ১১, ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর হরতাল, ২৭ সেপ্টেম্বর অবরোধ ৩০ নভেম্বর অবরোধ, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর হরতাল, ২৪ ডিসেম্বর অবরোধ, ২৯ ডিসেম্বর অবরোধ।

১৯৯৫ সাল : ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি হরতাল। ১৯ জানুয়ারি অবরোধ। ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি হরতাল। ১২ ও ১৩ মার্চ লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল। ২৮ মার্চ ঢাকা অবরোধ। ৯ এপ্রিল ৫ বিভাগে হরতাল। ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর লাগাতার ৩২ ঘণ্টা হরতাল। ৬ সেপ্টেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ১৬, ১৭, ১৮ সেপ্টেম্বর লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতাল। ৭ এবং ৮ অক্টোবর পাঁচ বিভাগে লাগাতার ৩২ ঘণ্টা হরতাল। ১৬, ১৭, ১৮ এবং ১৯ অক্টোবর লাগাতার ৯৬ ঘণ্টা হরতাল। ৬ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ। ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ৯, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতাল। ১৭ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ।

১৯৯৬ সাল : ৩ ও ৪ জানুয়ারি লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল। ৮ ও ৯ জানুয়ারি লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল। ১৭ জানুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ২৪ জানুয়ারি সিলেটে ১১ ঘণ্টা হরতাল। ২৭ জানুয়ারি খুলনায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ২৮ জানুয়ারি খুলনায় অর্ধদিবস হরতাল। ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হরতাল। ৩ ফেব্রুয়ারি অর্ধদিবস হরতাল। ৭ ফেব্রুয়ারি ফেনীতে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত হরতাল। ৮ ফেব্রুয়ারি ফেনীতে হরতাল। ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে হরতাল। ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জে হরতাল। ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অবরোধ। ১৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার হরতাল। ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি লাগাতার অসহযোগ। ৯ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত লাগাতার ২২ দিন অসহযোগ।

এখানে উল্লেখ্য, ১৯৯১-৯৬ আমলে আওয়ামী লীগ মোট হরতাল ডেকেছিল ১৭৩ দিন। এর মাঝে উল্লেখিত ৯৬ দিন ছিল তত্ত্বাবধায়কের দাবীতে আওয়ামী লীগ এবং জামাতের যুগপৎ কর্মসূচী।




এইবার নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। :) :)

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

কলাবাগান১ বলেছেন: ভাই, ওরা তো বাংলার স্বাধীনতাই চায় না, ওদের কাছে ৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এর তো কোনো মূল্য নাই

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

মহাপাগল বলেছেন: বালের বাল হরিদাস পাল। শোভনীয় বলতে কি বুঝাও তুমি!

তুমার মাথা গরম।

এইডা পড় মাথা ঠান্ডা কর।

‘যতদিন বেঁচে আছি, ডাল-ভাত যা পারি খাওয়াবো। কিন্তু আমরা যখন থাকবো না তখন এই ছেলেদের কে দেখবে, কে খাওয়াবে! এক আল্লাহ ছাড়া তো আমার ছেলেদের আর কেউ নাই।’ প্রতিবন্ধী তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তায় আবেগতাড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মজিবর রহমান। দাম্পত্য জীবনে একে একে তিনটি সুস্থ সন্তান জন্ম দিলেও বর্তমানে তারা সবাই প্রতিবন্ধী। অভাবের সংসারে এই তিন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে সীমাহীন দুঃখ আর যন্ত্রণায় কাটছে তাদের দিন।
জানা যায়, তাদের প্রথম সন্তান জিয়াউর রহমানের বয়স (২৯)। জন্ম থেকে সে সুস্থ ছিল। ৭ বছর বয়সে বাবা-মা তাকে ধানাইদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সে সুস্থ শরীরে নিয়মিত স্কুলে গেছে। ১২ বছর বয়স থেকে তার দুই হাঁটুর নীচের মাংসপেশী শক্ত হতে শুরু করে। রগ কুচকিয়ে আসতে থাকে। ধীরে ধীরে তার চার হাত-পা অস্বাভাবিক চিকন হয়ে যেতে থাকে। এ সময় রাজশাহী ও ঢাকায় বড় বড় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করিয়ে কোন কাজ হয়নি। বর্তমানে সে একেবারেই অচল। স্বাধীনভাবে হাত-পা নড়ানো বা স্থানান্তরের কোন মতা নেই তার। হাঁটা-চলা থেকে শোয়া, বসা ও খাওয়ানো সবই করাতে হয় বাবা-মাকে। শরীরে মশা-মাছি বা কোন পোকা-মাকড় বসলে তা তাড়ানোর মতা তাদের নাই। দ্বিতীয় সন্তান জামানুর রহমান (২৭) ও তৃতীয় সন্তান জামিরুল ইসলামের (১৫) অবস্থাও একই। তারাও বড় ভাইয়ের মত সুস্থভাবে জন্ম নিলেও ১০-১২ বছর বয়সে একইভাবে ধীরে ধীরে হাত-পা চিকন হয়ে গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্য প্রফেসর ডাঃ এ. বি. সিদ্দিকী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ কমর উদ্দীন আহমেদ সহ বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে।
তিন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে জান্নাতুন্নেছা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, তিন সন্তানই জন্ম থেকে সুস্থ-স্বাভাবিক ছিল। আমার নিজের নামের প্রথম অর জ দিয়ে তিন সন্তানের নাম রেখেছি। সন্তানদের জন্মের পর আনন্দে গ্রামের বাড়ি বাড়ি মিষ্টি বিলিয়েছি। শিতি করে গড়ে তুলবো বলে স্কুলে পাঠিয়েছি। কিন্তু কোন দোষে আমার ছেলেগুলো এমন হয়ে গেলো তা বুঝতে পারলাম না।
অসহায় পিতা মজিবর রহমান বলেন, জমি বিক্রয় করে সন্তানদের চিকিৎসা করেছি। বর্তমান মাত্র এক বিঘা জমি অবশিষ্ট আছে। ছেলেদের তিনবেলা খাবার দেয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। ইচ্ছা থাকলে ও তিন ছেলের জন্য তিনটা হুইল চেয়ার এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হচেছ না। সব বাবা-মাই বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের অবলম্বন করে বেঁচে থাকে। কিন্তু সে আশাতো নেইই, বরং আমাদের অবর্তমানে এই তিন ছেলে কোথায় যাবে, না শেয়ালে-শকুনে খাবে এই দুশ্চিন্তায় বৃদ্ধ বয়সে আমার দিন কাটে না।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

সুবর্ণা রহমান বলেছেন: ভাই, ওরা তো বাংলার স্বাধীনতাই চায় না, ওদের কাছে ৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এর তো কোনো মূল্য নাই

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: mohapagol bhai apni ei post ta ekhane keno dilen buzlam na,,ektu bolen pls

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.